কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৩৫. সুন্নাহের গুরুত্ব ও আকাঈদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৫৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬০৪
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৩৩. আব্দুল ওয়াহাব (রাহঃ) .... মিকদাম ইবনে মা’দীকরাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ জেনে রাখ! আমাকে কুরআন প্রদান করা হয়েছে এবং এর সাথে অনুরূপ (হাদীস) দেয়া হয়েছ। অদূর ভবিষ্যতে একজন অভাবহীন তৃপ্ত ব্যক্তি তার খাটের উপর অবস্থান করে বলবেঃ তোমরা এ কুরআনকে গ্রহণ কর এবং এতে যা হালাল বলা হয়েছে, তা হালাল হিসাবে গ্রহণ কর; আর যা হারাম বলা হয়েছে তা হারাম হিসাবে গ্রহণ কর।
জেনে রাখ! গৃহ-পালিত গাধার গোশত তোমাদের জন্য হালাল নয়, কোন হিংস্র জন্তুর গোশতও হালাল নয়, কোন যিম্মীর পরিত্যক্ত মাল হালাল নয়, তবে যদি তার মালিক তা থেকে বে-পরওয়া হয়, সে আলাদা ব্যাপার। আর যদি কেউ মেহমান হিসেবে কোন কওমের কাছে যায়, তবে তাদের উচিত তার মেহমানদারী করা। তারা যদি সে ব্যক্তি মেহমানদারী না করে, তবে তাদের নিকট থেকে মেহমানের হক গ্রহণ করার অধিকার তার থাকবে।
জেনে রাখ! গৃহ-পালিত গাধার গোশত তোমাদের জন্য হালাল নয়, কোন হিংস্র জন্তুর গোশতও হালাল নয়, কোন যিম্মীর পরিত্যক্ত মাল হালাল নয়, তবে যদি তার মালিক তা থেকে বে-পরওয়া হয়, সে আলাদা ব্যাপার। আর যদি কেউ মেহমান হিসেবে কোন কওমের কাছে যায়, তবে তাদের উচিত তার মেহমানদারী করা। তারা যদি সে ব্যক্তি মেহমানদারী না করে, তবে তাদের নিকট থেকে মেহমানের হক গ্রহণ করার অধিকার তার থাকবে।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرِو بْنُ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ حَرِيزِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَوْفٍ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " أَلاَ إِنِّي أُوتِيتُ الْكِتَابَ وَمِثْلَهُ مَعَهُ أَلاَ يُوشِكُ رَجُلٌ شَبْعَانُ عَلَى أَرِيكَتِهِ يَقُولُ عَلَيْكُمْ بِهَذَا الْقُرْآنِ فَمَا وَجَدْتُمْ فِيهِ مِنْ حَلاَلٍ فَأَحِلُّوهُ وَمَا وَجَدْتُمْ فِيهِ مِنْ حَرَامٍ فَحَرِّمُوهُ أَلاَ لاَ يَحِلُّ لَكُمْ لَحْمُ الْحِمَارِ الأَهْلِيِّ وَلاَ كُلُّ ذِي نَابٍ مِنَ السَّبُعِ وَلاَ لُقَطَةُ مُعَاهِدٍ إِلاَّ أَنْ يَسْتَغْنِيَ عَنْهَا صَاحِبُهَا وَمَنْ نَزَلَ بِقَوْمٍ فَعَلَيْهِمْ أَنْ يَقْرُوهُ فَإِنْ لَمْ يَقْرُوهُ فَلَهُ أَنْ يُعْقِبَهُمْ بِمِثْلِ قِرَاهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬১১
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৩৪. ইয়াযীদ ইবনে খালিদ (রাহঃ) .... ইয়াযীদ ইবনে উমায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, যিনি মু’আয ইবনে জাবাল (রাযিঃ)-এর সাথী ছিলেন, তিনি বলেনঃ মু’আয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) যখন কোন যিক্রের মজলিসে বসতেন, তখন এরূপ বলতেন যে, আল্লাহ তাআলা সত্য প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং সন্দেহ পোষণকারীরা ধ্বংস হয়েছে। একদিন তিনি বলেনঃ তোমাদের পরবর্তী সময়ে ব্যাপক ফিতনার সৃষ্টি হবে। সে সময় ধন-সম্পদের প্রাচুর্য হবে এবং কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হবে। ফলে, মু’মিন, মুনাফিক, স্ত্রী-পুরুষ, ছোট-বড় গোলাম ও স্বাধীন ব্যক্তি তার জ্ঞান অর্জন করবে।
তখন এক ব্যক্তি এরূপ বলবেঃ লোকদের কি হয়েছে? তারা আমার অনুসরণ কেন করে না, অথচ আমি কুরআন পড়েছি! তারা ততক্ষণ আমার অনুসরণ করবে না, যতক্ষণ না আমি কুরআন ব্যতীত অন্য জিনিস তাদের সামনে পেশ করি। কাজেই, কেউ যদি এরূপ কিছু করে, তবে তোমরা তা অস্বীকার করবে। কেননা, এরূপ যা কিছু উদ্ভাবিত হবে, তা গুমরাহী এবং আমি আলিমদের গুমরাহী সম্পর্কে অধিক শংকিত। কেননা, শয়তান কখনো কখনো আলিমদের মুখ থেকে গুমরাহীর কথা বের করে দেয় এবং কোন কোন সময় মুনাফিকও সত্য কথা বলে।
রাবী বলেনঃ তখন আমি মু’আয (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিঃ জ্ঞানী ব্যক্তি যে অজ্ঞানের মত কথা বলতে পারে এবং মুনাফিক ও কোন সময় সত্য কথা বলতে পারে, তা আমরা কিভাবে অবগত হতে পারি? তিনি বলেনঃ তোমরা জ্ঞানীদের সে সব কথা পরিহার করবে, যা ভুল ও মিথ্যার সাথে প্রসিদ্ধি লাভ করবে এবং লোকেরা তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করবে। এ সময় ও তোমরা তাদের সাথে সস্পর্কচ্ছেদ করবে না; কেননা, হয়তো তারা তা থেকে ফিরে আসতে পারে। তোমরা তাদের থেকে সত্য কথা শ্রবণ করবে এবং তা গ্রহণ করবে। কেননা, হকের মধ্যে সত্যের নূর নিহিত থাকে।
তখন এক ব্যক্তি এরূপ বলবেঃ লোকদের কি হয়েছে? তারা আমার অনুসরণ কেন করে না, অথচ আমি কুরআন পড়েছি! তারা ততক্ষণ আমার অনুসরণ করবে না, যতক্ষণ না আমি কুরআন ব্যতীত অন্য জিনিস তাদের সামনে পেশ করি। কাজেই, কেউ যদি এরূপ কিছু করে, তবে তোমরা তা অস্বীকার করবে। কেননা, এরূপ যা কিছু উদ্ভাবিত হবে, তা গুমরাহী এবং আমি আলিমদের গুমরাহী সম্পর্কে অধিক শংকিত। কেননা, শয়তান কখনো কখনো আলিমদের মুখ থেকে গুমরাহীর কথা বের করে দেয় এবং কোন কোন সময় মুনাফিকও সত্য কথা বলে।
রাবী বলেনঃ তখন আমি মু’আয (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিঃ জ্ঞানী ব্যক্তি যে অজ্ঞানের মত কথা বলতে পারে এবং মুনাফিক ও কোন সময় সত্য কথা বলতে পারে, তা আমরা কিভাবে অবগত হতে পারি? তিনি বলেনঃ তোমরা জ্ঞানীদের সে সব কথা পরিহার করবে, যা ভুল ও মিথ্যার সাথে প্রসিদ্ধি লাভ করবে এবং লোকেরা তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করবে। এ সময় ও তোমরা তাদের সাথে সস্পর্কচ্ছেদ করবে না; কেননা, হয়তো তারা তা থেকে ফিরে আসতে পারে। তোমরা তাদের থেকে সত্য কথা শ্রবণ করবে এবং তা গ্রহণ করবে। কেননা, হকের মধ্যে সত্যের নূর নিহিত থাকে।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيَّ، عَائِذَ اللَّهِ أَخْبَرَهُ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ عُمَيْرَةَ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ أَخْبَرَهُ قَالَ كَانَ لاَ يَجْلِسُ مَجْلِسًا لِلذِّكْرِ حِينَ يَجْلِسُ إِلاَّ قَالَ اللَّهُ حَكَمٌ قِسْطٌ هَلَكَ الْمُرْتَابُونَ فَقَالَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ يَوْمًا إِنَّ مِنْ وَرَائِكُمْ فِتَنًا يَكْثُرُ فِيهَا الْمَالُ وَيُفْتَحُ فِيهَا الْقُرْآنُ حَتَّى يَأْخُذَهُ الْمُؤْمِنُ وَالْمُنَافِقُ وَالرَّجُلُ وَالْمَرْأَةُ وَالصَّغِيرُ وَالْكَبِيرُ وَالْعَبْدُ وَالْحُرُّ فَيُوشِكُ قَائِلٌ أَنْ يَقُولَ مَا لِلنَّاسِ لاَ يَتَّبِعُونِي وَقَدْ قَرَأْتُ الْقُرْآنَ مَا هُمْ بِمُتَّبِعِيَّ حَتَّى أَبْتَدِعَ لَهُمْ غَيْرَهُ فَإِيَّاكُمْ وَمَا ابْتُدِعَ فَإِنَّ مَا ابْتُدِعَ ضَلاَلَةٌ وَأُحَذِّرُكُمْ زَيْغَةَ الْحَكِيمِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ يَقُولُ كَلِمَةَ الضَّلاَلَةِ عَلَى لِسَانِ الْحَكِيمِ وَقَدْ يَقُولُ الْمُنَافِقُ كَلِمَةَ الْحَقِّ . قَالَ قُلْتُ لِمُعَاذٍ مَا يُدْرِينِي رَحِمَكَ اللَّهُ أَنَّ الْحَكِيمَ قَدْ يَقُولُ كَلِمَةَ الضَّلاَلَةِ وَأَنَّ الْمُنَافِقَ قَدْ يَقُولُ كَلِمَةَ الْحَقِّ قَالَ بَلَى اجْتَنِبْ مِنْ كَلاَمِ الْحَكِيمِ الْمُشْتَهِرَاتِ الَّتِي يُقَالُ لَهَا مَا هَذِهِ وَلاَ يُثْنِيَنَّكَ ذَلِكَ عَنْهُ فَإِنَّهُ لَعَلَّهُ أَنْ يُرَاجِعَ وَتَلَقَّ الْحَقَّ إِذَا سَمِعْتَهُ فَإِنَّ عَلَى الْحَقِّ نُورًا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ فِي هَذَا وَلاَ يُنْئِيَنَّكَ ذَلِكَ عَنْهُ مَكَانَ يُثْنِيَنَّكَ . وَقَالَ صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ عَنِ الزُّهْرِيِّ فِي هَذَا الْمُشَبَّهَاتِ مَكَانَ الْمُشْتَهِرَاتِ وَقَالَ لاَ يُثْنِيَنَّكَ كَمَا قَالَ عُقَيْلٌ . وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ بَلَى مَا تَشَابَهَ عَلَيْكَ مِنْ قَوْلِ الْحَكِيمِ حَتَّى تَقُولَ مَا أَرَادَ بِهَذِهِ الْكَلِمَةِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬১২
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৩৫. মুহাম্মাদ ইবনে কাছীর (রাহঃ) ......... সুফিয়ান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ)-এর নিকট পত্রযোগে তাকদীর সম্পর্কে জানতে চান। আবুস সালত (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি তাকদীর সম্পর্কে জানার জন্য উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ)-কে পত্র লেখেন। এর জবাবে তিনি লেখেনঃ আমি তোমাকে ওসীয়ত করছি আল্লাহকে ভয় করার জন্য এবং তাঁর হুকুম মেনে চলার জন্য এবং তাঁর নবীর সুন্নতের অনুসরণ করাব জন্য। আর বিদ’আতিগণ যা উদ্ভাবন করেছে, তা পরিহার করার জন্য আমি তোমাকে ওসীয়ত করছি। বিদ’আতীরা এসব কথা তখন উদ্ভাবন করেছে, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সুন্নত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিদ’আত সৃষ্টির পর তারা বিভ্রান্ত হয়েছে। তোমার উচিত, সুন্নতকে দুঢ়ভাবে ধারণ করা। কেননা, সুন্নতের উপর আমল করলে তুমি আল্লাহর হুকুমে গুমরাহী থেকে বেঁচে যাবে।
জেনে রাখ! লোকেরা এমন কোন বিদ’আত সৃষ্টি করিনি, যা বাতিল হওয়ার জন্য দলীল বর্ণিত হয়নি এবং তা দেখাতে শিক্ষা হয়নি। আর সুন্নতকে তিনি জারী করেছেন, যিনি জানতেন, এর বিরোধিতা করলে কিরূপ গুনাহ, ক্রটি-বিচ্যূতি ও আহমকী হবে। কাজেই তুমি সে তরীকার অনুসরণ কর, যে তরীকা অনুসরণ করেছিল পূর্ববর্তীগণ। কেননা, তাঁরা দ্বীনের ইলম সম্পর্কে গভীর জ্ঞানী ছিলেন। আর যে কাজ করতে তাঁরা নিষেধ করেছেন, তা জেনে-শুনেই করেছেন। তারা দ্বীনের অর্থ বুঝার ক্ষেত্রে আমাদের চাইতে অনেক ক্ষমতার অধিকারী ছিল। আর তাদের মাঝে যে যোগ্যতা ছিল, তা ছিল উন্নতমানের।
তোমরা যে তরীকার উপর প্রতিষ্ঠিত আছ, যদি তা-ই হিদায়াত হয়, তবে তোমরা অগ্রগামী হয়ে যাবে। আর যদি তোমরা বল, যারা দ্বীনের মধ্যে নতুন কথা সৃষ্টি করেছে; তবে আমরা বলবোঃ আগের লোকেরাই উত্তম ছিল এবং তারা এদের চাইতে অগ্রগামী ছিল। যতটুকু বর্ণনা করার, তা তাঁরা করেছেন। আর যতটুকু বলা দরকার, তা সবই করেছেন; এর উপরেও কিছু বলার নেই এবং নীচেও কিছু বলার নেই। কিছু লোক তাদের থেকে কম বর্ণনা করেছে, তারা ক্ষতি করেছে; আর কিছু লোক তাদের চাইতে বেশী বর্ণনা করেছেন। পূর্ববর্তী আলিমগণ মধ্যপন্থী ছিলেন এবং তাঁরা সোজা-সরল রাস্তার অনুসরণকারী ছিলেন।
তুমি পত্রে তাকদীর সম্পর্কে জানতে চেয়েছ। আল্লাহর হুকুমে তুমি এ প্রশ্ন সম্পর্কে তাদের চাইতে অধিক জ্ঞানী। আমি মনে করি, যত বিদ’আতী সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা যা নতুন উদ্ভাবন করেছে, এর মধ্যে তাকদীরের বর্ণনা খুবই স্পষ্ট এবং মজবুত। জাহিলী যুগের লোকেরা তাদের কথাবার্তায় তাকদীরের কথা বলতো এবং তাদের কবিতায় তাকদীর থেকে মুসীবত দূর করে দিত। অবশেষে ইসলাম এ ধারণাকে আরো শক্ত করেছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক বা দুই হাদীসে নয়, বরং অনেক হাদীসে তাকদীরের কথা বর্ণনা করেছেন। মুসলমানেরা তাঁর থেকে এসব শুনেছেন এবং অন্যের কাছে বর্ণনাও করেছেন তাঁর জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পরও; এর উপর বিশ্বাস রেখে এবং মেনে নিয়ে।
আর নিজের দুর্বলতা সম্পর্কে জেনে যে এমন কিছুই নেই, যা আল্লাহ জানেন না এবং তাঁর কিতাবে লেখা নেই, অথবা এ ব্যাপারে আল্লাহর-ফায়সালা বাস্তবায়িত হয়নি। উল্লেখ্য যে, তাকদীরের বর্ণনা আল্লাহর মজবুত কিতাবে রয়েছে, তা থেকে পূর্ববর্তীগণ তাকদীরের মাসআলা-মাসায়েল শিখেছে। যদি তুমি বলঃ কেন আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন, আর কেন এমন বলেন (যা বাহ্যতঃ তাকদীরের বিপরীত)? এর জবাব হলোঃ আগের যুগের লোকেরা এ আয়াত পড়েছিল এবং তারা এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে সম্যক অবহিত ছিল, যা তোমরা জান না। তারা আল্লাহর কিতাব ও তাকদীর সম্পর্কে বলতোঃ তা-ই হবে, যা আল্লাহ চান ; আর তা হবে না, যা তিনি চান না। আর আমরা আমাদের উপকার ও অপকারের পূর্ণ ক্ষমতা রাখি না। এ বিশ্বাসের উপর পূর্ববর্তীগণ উত্তম কাজ করতেন এবং খারাপ কাজ করতে ভয় পেতেন।
জেনে রাখ! লোকেরা এমন কোন বিদ’আত সৃষ্টি করিনি, যা বাতিল হওয়ার জন্য দলীল বর্ণিত হয়নি এবং তা দেখাতে শিক্ষা হয়নি। আর সুন্নতকে তিনি জারী করেছেন, যিনি জানতেন, এর বিরোধিতা করলে কিরূপ গুনাহ, ক্রটি-বিচ্যূতি ও আহমকী হবে। কাজেই তুমি সে তরীকার অনুসরণ কর, যে তরীকা অনুসরণ করেছিল পূর্ববর্তীগণ। কেননা, তাঁরা দ্বীনের ইলম সম্পর্কে গভীর জ্ঞানী ছিলেন। আর যে কাজ করতে তাঁরা নিষেধ করেছেন, তা জেনে-শুনেই করেছেন। তারা দ্বীনের অর্থ বুঝার ক্ষেত্রে আমাদের চাইতে অনেক ক্ষমতার অধিকারী ছিল। আর তাদের মাঝে যে যোগ্যতা ছিল, তা ছিল উন্নতমানের।
তোমরা যে তরীকার উপর প্রতিষ্ঠিত আছ, যদি তা-ই হিদায়াত হয়, তবে তোমরা অগ্রগামী হয়ে যাবে। আর যদি তোমরা বল, যারা দ্বীনের মধ্যে নতুন কথা সৃষ্টি করেছে; তবে আমরা বলবোঃ আগের লোকেরাই উত্তম ছিল এবং তারা এদের চাইতে অগ্রগামী ছিল। যতটুকু বর্ণনা করার, তা তাঁরা করেছেন। আর যতটুকু বলা দরকার, তা সবই করেছেন; এর উপরেও কিছু বলার নেই এবং নীচেও কিছু বলার নেই। কিছু লোক তাদের থেকে কম বর্ণনা করেছে, তারা ক্ষতি করেছে; আর কিছু লোক তাদের চাইতে বেশী বর্ণনা করেছেন। পূর্ববর্তী আলিমগণ মধ্যপন্থী ছিলেন এবং তাঁরা সোজা-সরল রাস্তার অনুসরণকারী ছিলেন।
তুমি পত্রে তাকদীর সম্পর্কে জানতে চেয়েছ। আল্লাহর হুকুমে তুমি এ প্রশ্ন সম্পর্কে তাদের চাইতে অধিক জ্ঞানী। আমি মনে করি, যত বিদ’আতী সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা যা নতুন উদ্ভাবন করেছে, এর মধ্যে তাকদীরের বর্ণনা খুবই স্পষ্ট এবং মজবুত। জাহিলী যুগের লোকেরা তাদের কথাবার্তায় তাকদীরের কথা বলতো এবং তাদের কবিতায় তাকদীর থেকে মুসীবত দূর করে দিত। অবশেষে ইসলাম এ ধারণাকে আরো শক্ত করেছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক বা দুই হাদীসে নয়, বরং অনেক হাদীসে তাকদীরের কথা বর্ণনা করেছেন। মুসলমানেরা তাঁর থেকে এসব শুনেছেন এবং অন্যের কাছে বর্ণনাও করেছেন তাঁর জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পরও; এর উপর বিশ্বাস রেখে এবং মেনে নিয়ে।
আর নিজের দুর্বলতা সম্পর্কে জেনে যে এমন কিছুই নেই, যা আল্লাহ জানেন না এবং তাঁর কিতাবে লেখা নেই, অথবা এ ব্যাপারে আল্লাহর-ফায়সালা বাস্তবায়িত হয়নি। উল্লেখ্য যে, তাকদীরের বর্ণনা আল্লাহর মজবুত কিতাবে রয়েছে, তা থেকে পূর্ববর্তীগণ তাকদীরের মাসআলা-মাসায়েল শিখেছে। যদি তুমি বলঃ কেন আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন, আর কেন এমন বলেন (যা বাহ্যতঃ তাকদীরের বিপরীত)? এর জবাব হলোঃ আগের যুগের লোকেরা এ আয়াত পড়েছিল এবং তারা এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে সম্যক অবহিত ছিল, যা তোমরা জান না। তারা আল্লাহর কিতাব ও তাকদীর সম্পর্কে বলতোঃ তা-ই হবে, যা আল্লাহ চান ; আর তা হবে না, যা তিনি চান না। আর আমরা আমাদের উপকার ও অপকারের পূর্ণ ক্ষমতা রাখি না। এ বিশ্বাসের উপর পূর্ববর্তীগণ উত্তম কাজ করতেন এবং খারাপ কাজ করতে ভয় পেতেন।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ كَتَبَ رَجُلٌ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَسْأَلُهُ عَنِ الْقَدَرِ، ح وَحَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ حَدَّثَنَا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ دُلَيْلٍ، قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيَّ، يُحَدِّثُنَا عَنِ النَّضْرِ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ قَبِيصَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ، عَنْ أَبِي الصَّلْتِ، - وَهَذَا لَفْظُ حَدِيثِ ابْنِ كَثِيرٍ وَمَعْنَاهُمْ - قَالَ كَتَبَ رَجُلٌ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَسْأَلُهُ عَنِ الْقَدَرِ فَكَتَبَ أَمَّا بَعْدُ أُوصِيكَ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالاِقْتِصَادِ فِي أَمْرِهِ وَاتِّبَاعِ سُنَّةِ نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَرْكِ مَا أَحْدَثَ الْمُحْدِثُونَ بَعْدَ مَا جَرَتْ بِهِ سُنَّتُهُ وَكُفُوا مُؤْنَتَهُ فَعَلَيْكَ بِلُزُومِ السُّنَّةِ فَإِنَّهَا لَكَ بِإِذْنِ اللَّهِ عِصْمَةٌ ثُمَّ اعْلَمْ أَنَّهُ لَمْ يَبْتَدِعِ النَّاسُ بِدْعَةً إِلاَّ قَدْ مَضَى قَبْلَهَا مَا هُوَ دَلِيلٌ عَلَيْهَا أَوْ عِبْرَةٌ فِيهَا فَإِنَّ السُّنَّةَ إِنَّمَا سَنَّهَا مَنْ قَدْ عَلِمَ مَا فِي خِلاَفِهَا وَلَمْ يَقُلِ ابْنُ كَثِيرٍ مَنْ قَدْ عَلِمَ . مِنَ الْخَطَإِ وَالزَّلَلِ وَالْحُمْقِ وَالتَّعَمُّقِ فَارْضَ لِنَفْسِكَ مَا رَضِيَ بِهِ الْقَوْمُ لأَنْفُسِهِمْ فَإِنَّهُمْ عَلَى عِلْمٍ وَقَفُوا وَبِبَصَرٍ نَافِذٍ كَفَوْا وَلَهُمْ عَلَى كَشْفِ الأُمُورِ كَانُوا أَقْوَى وَبِفَضْلِ مَا كَانُوا فِيهِ أَوْلَى فَإِنْ كَانَ الْهُدَى مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ لَقَدْ سَبَقْتُمُوهُمْ إِلَيْهِ وَلَئِنْ قُلْتُمْ إِنَّمَا حَدَثَ بَعْدَهُمْ . مَا أَحْدَثَهُ إِلاَّ مَنِ اتَّبَعَ غَيْرَ سَبِيلِهِمْ وَرَغِبَ بِنَفْسِهِ عَنْهُمْ فَإِنَّهُمْ هُمُ السَّابِقُونَ فَقَدْ تَكَلَّمُوا فِيهِ بِمَا يَكْفِي وَوَصَفُوا مِنْهُ مَا يَشْفِي فَمَا دُونَهُمْ مِنْ مَقْصَرٍ وَمَا فَوْقَهُمْ مِنْ مَحْسَرٍ وَقَدْ قَصَّرَ قَوْمٌ دُونَهُمْ فَجَفَوْا وَطَمَحَ عَنْهُمْ أَقْوَامٌ فَغَلَوْا وَإِنَّهُمْ بَيْنَ ذَلِكَ لَعَلَى هُدًى مُسْتَقِيمٍ كَتَبْتَ تَسْأَلُ عَنِ الإِقْرَارِ بِالْقَدَرِ فَعَلَى الْخَبِيرِ بِإِذْنِ اللَّهِ وَقَعْتَ مَا أَعْلَمُ مَا أَحْدَثَ النَّاسُ مِنْ مُحْدَثَةٍ وَلاَ ابْتَدَعُوا مِنْ بِدْعَةٍ هِيَ أَبْيَنُ أَثَرًا وَلاَ أَثْبَتُ أَمْرًا مِنَ الإِقْرَارِ بِالْقَدَرِ لَقَدْ كَانَ ذَكَرَهُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ الْجُهَلاَءُ يَتَكَلَّمُونَ بِهِ فِي كَلاَمِهِمْ وَفِي شِعْرِهِمْ يُعَزُّونَ بِهِ أَنْفُسَهُمْ عَلَى مَا فَاتَهُمْ ثُمَّ لَمْ يَزِدْهُ الإِسْلاَمُ بَعْدُ إِلاَّ شِدَّةً وَلَقَدْ ذَكَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَيْرِ حَدِيثٍ وَلاَ حَدِيثَيْنِ وَقَدْ سَمِعَهُ مِنْهُ الْمُسْلِمُونَ فَتَكَلَّمُوا بِهِ فِي حَيَاتِهِ وَبَعْدَ وَفَاتِهِ يَقِينًا وَتَسْلِيمًا لِرَبِّهِمْ وَتَضْعِيفًا لأَنْفُسِهِمْ أَنْ يَكُونَ شَىْءٌ لَمْ يُحِطْ بِهِ عِلْمُهُ وَلَمْ يُحْصِهِ كِتَابُهُ وَلَمْ يَمْضِ فِيهِ قَدَرُهُ وَإِنَّهُ مَعَ ذَلِكَ لَفِي مُحْكَمِ كِتَابِهِ مِنْهُ اقْتَبَسُوهُ وَمِنْهُ تَعَلَّمُوهُ وَلَئِنْ قُلْتُمْ لِمَ أَنْزَلَ اللَّهُ آيَةَ كَذَا وَلِمَ قَالَ كَذَا . لَقَدْ قَرَءُوْا مِنْهُ مَا قَرَأْتُمْ وَعَلِمُوا مِنْ تَأْوِيلِهِ مَا جَهِلْتُمْ وَقَالُوا بَعْدَ ذَلِكَ كُلِّهِ بِكِتَابٍ وَقَدَرٍ وَكُتِبَتِ الشَّقَاوَةُ وَمَا يُقَدَّرْ يَكُنْ وَمَا شَاءَ اللَّهُ كَانَ وَمَا لَمْ يَشَأْ لَمْ يَكُنْ وَلاَ نَمْلِكُ لأَنْفُسِنَا ضَرًّا وَلاَ نَفْعًا ثُمَّ رَغَبُوا بَعْدَ ذَلِكَ وَرَهِبُوا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬১৩
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৩৬. আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) .... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ইবনে উমর (রাযিঃ) এর একজন দোস্ত ছিল শাম দেশে, যিনি তার সাথে পত্রালাপ করতেন। একবার ইবনে উমর (রাযিঃ) তাকে লেখেনঃ আমি জানতে পেরেছি যে, তুমি তাকদীরের ব্যাপারে কথাবার্তা বলেছ! এখন থেকে তুমি আমার কাছে আর পত্র লিখবে না। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ অচিরেই আমার উম্মতের মধ্যে এমন লোক সৃষ্টি হবে যারা তাকদীরকে অস্বীকার করবে।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ - قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو صَخْرٍ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ كَانَ لاِبْنِ عُمَرَ صَدِيقٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ يُكَاتِبُهُ فَكَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّكَ تَكَلَّمْتَ فِي شَىْءٍ مِنَ الْقَدَرِ فَإِيَّاكَ أَنْ تَكْتُبَ إِلَىَّ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّهُ سَيَكُونُ فِي أُمَّتِي أَقْوَامٌ يُكَذِّبُونَ بِالْقَدَرِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬১৪
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৩৭. আব্দুল্লাহ ইবনে জাররাহ (রাহঃ) ..... খালিদ হাযযা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি হাসান বসরী (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিঃ হে আবু সাঈদ! আমাকে বলুন, আদম (আলাইহিস সালাম)-কে কি আসমানের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল, না যমীনের জন্য? তিনি বলেনঃ তাকে যমীনের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল। আমি বলিঃ যদি তিনি গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতেন এবং নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল ভক্ষণ না করতেন? তিনি বলেনঃ এ ছাড়া তার গত্যন্তর ছিল না, (কেননা, তাঁর তাকদীরে এরূপ লেখা ছিল)। আমি বলি, আপনি আমাকে এ আয়াত সম্পর্কে বলুনঃ শয়তান তোমাদের কাউকে গুমরাহ করতে পারে না, তবে তাকে, যে জাহান্নামের যাবে। তিনি বলেনঃ অবশ্যই শয়তান তার গুমরাহীতে কাউকে আব্দ্ধ করতে পারে না, তবে তাকে, যার জন্য আল্লাহ জাহান্নাম অবধারিত করেছেন।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْجَرَّاحِ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، قَالَ قُلْتُ لِلْحَسَنِ يَا أَبَا سَعِيدٍ أَخْبِرْنِي عَنْ آدَمَ، لِلسَّمَاءِ خُلِقَ أَمْ لِلأَرْضِ قَالَ لاَ بَلْ لِلأَرْضِ . قُلْتُ أَرَأَيْتَ لَوِ اعْتَصَمَ فَلَمْ يَأْكُلْ مِنَ الشَّجَرَةِ قَالَ لَمْ يَكُنْ لَهُ مِنْهُ بُدٌّ . قُلْتُ أَخْبِرْنِي عَنْ قَوْلِهِ تَعَالَى ( مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ بِفَاتِنِينَ * إِلاَّ مَنْ هُوَ صَالِ الْجَحِيمِ ) قَالَ إِنَّ الشَّيَاطِينَ لاَ يَفْتِنُونَ بِضَلاَلَتِهِمْ إِلاَّ مَنْ أَوْجَبَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَحِيمَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬১৫
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৩৮. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... হাসান (রাহঃ) এ আয়াত সম্পর্কে বলেনঃ (وَلِذَلِكَ خَلَقَهُمْ) অর্থাৎ আল্লাহ তাদের এজন্য সৃষ্টি করেছেন। এ ব্যাখ্যায় তিনি বলেনঃ আল্লাহ তাদের পয়দা করেছেন জান্নাতের জন্য এবং ওদের (কাফিরদের) সৃষ্টি করেছেন জাহান্নামের জন্য।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنِ الْحَسَنِ، فِي قَوْلِهِ تَعَالَى ( وَلِذَلِكَ خَلَقَهُمْ ) قَالَ خَلَقَ هَؤُلاَءِ لِهَذِهِ وَهَؤُلاَءِ لِهَذِهِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬১৬
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৩৯. আবু কামিল (রাহঃ) .... খালিদ হাযযা (রাহঃ) বলেনঃ আমি হাসান (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করি, এ আয়াতের অর্থ কি? যেখানে বলা হয়েছেঃ শয়তান তোমাদের কাউকে গুমরাহ করতে পারে না, তবে যে জাহান্নামে যাবে, (তার কথা স্বতন্ত্র)। তিনি বলেনঃ অবশ্যই শয়তান তার গুমরাহীর ফাঁদে তাকেই আব্দ্ধ করবে, যার জন্য আল্লাহ জাহান্নাম ওয়াজিব করেছেন।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، قَالَ قُلْتُ لِلْحَسَنِ ( مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ بِفَاتِنِينَ * إِلاَّ مَنْ هُوَ صَالِ الْجَحِيمِ ) قَالَ إِلاَّ مَنْ أَوْجَبَ اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ أَنَّهُ يَصْلَى الْجَحِيمَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬১৭
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৪০. হিলাল ইবনে বিশর (রাহঃ) ..... হুমায়দ (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, হাসান (রাহঃ) বলতেনঃ আসমান থেকে যমীনে পতিত হওয়া এরূপ বলা থেকে উত্তম যে, সব কর্তৃত্ব আমার হাতে।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا هِلاَلُ بْنُ بِشْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ أَخْبَرَنِي حُمَيْدٌ، قَالَ كَانَ الْحَسَنُ يَقُولُ لأَنْ يُسْقَطَ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَقُولَ الأَمْرُ بِيَدِي .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬১৮
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৪১. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... হুমায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হাসান (রাহঃ) মক্কায় আমাদের নিকট আসলে, মক্কার ফকীহগণ আমাকে বলেনঃ আপনি হাসান (রাহঃ)-কে বলুন, তিনি যেন একদিন ওয়াজ করেন। তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, ঠিক আছে। এরপর লোকেরা একত্রিত হলে হাসান (রাহঃ) তাদের সামনে ওয়াজ করেন। আমি তাঁর চাইতে উত্তম বক্তা আর কাউকে দেখিনি। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেঃ হে আবু সাঈদ! শয়তানকে কে সৃষ্টি করেছে? তিনি বলেনঃ সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ ছাড়া আর কেউ স্রষ্টা আছে কি? আল্লাহ শয়তানকে সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি ভাল ও মন্দ সৃষ্টি করেছেন। এরপর তিনি বলেনঃ আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন! তারা কিরূপে এ বুযূর্গের উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، قَالَ قَدِمَ عَلَيْنَا الْحَسَنُ مَكَّةَ فَكَلَّمَنِي فُقَهَاءُ أَهْلِ مَكَّةَ أَنْ أُكَلِّمَهُ فِي أَنْ يَجْلِسَ لَهُمْ يَوْمًا يَعِظُهُمْ فِيهِ . فَقَالَ نَعَمْ . فَاجْتَمَعُوا فَخَطَبَهُمْ فَمَا رَأَيْتُ أَخْطَبَ مِنْهُ فَقَالَ رَجُلٌ يَا أَبَا سَعِيدٍ مَنْ خَلَقَ الشَّيْطَانَ فَقَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ هَلْ مِنْ خَالِقٍ غَيْرُ اللَّهِ خَلَقَ اللَّهُ الشَّيْطَانَ وَخَلَقَ الْخَيْرَ وَخَلَقَ الشَّرَّ . قَالَ الرَّجُلُ قَاتَلَهُمُ اللَّهُ كَيْفَ يَكْذِبُونَ عَلَى هَذَا الشَّيْخِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬১৯
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৪২. ইবনে কাছীর (রাহঃ) .... হুমায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, হাসান (রাহঃ) বলেনঃ আল্লাহর বাণীঃ এভাবেই আমি একে গুনাহগারদের অন্তরে নিক্ষেপ করি, অর্থাৎ শিরককে।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ كَثِيرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنِ الْحَسَنِ، ( كَذَلِكَ نَسْلُكُهُ فِي قُلُوبِ الْمُجْرِمِينَ ) قَالَ الشِّرْكُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬২০
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৪৩. মুহাম্মাদ ইবনে কাছীর (রাহঃ) ......... হাসান (রাহঃ) বলেনঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ তাদের মধ্যে এবং তারা যা চায় তার মধ্যে প্রতিবন্ধক হয়েছে। তিনি বলেনঃ এর অর্থঃ তাদের মধ্যে এবং ঈমানের মধ্যে প্রতিবন্ধক হয়েছে।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ رَجُلٍ، قَدْ سَمَّاهُ غَيْرِ ابْنِ كَثِيرٍ عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عُبَيْدٍ الصِّيدِ، عَنِ الْحَسَنِ، فِي قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ( وَحِيلَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مَا يَشْتَهُونَ ) قَالَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الإِيمَانِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬২১
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৪৪. মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ (রাহঃ) ..... ইবনে আওন (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি শামের দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় পেছন থেকে আমাকে একজন ডাকে। আমি তাকিয়ে দেখি, সে হলো-রজা’ ইবনে হাইওয়া। তিনি বলেনঃ হে আবু আওন! লোকেরা হাসান (রাহঃ) থেকে এসব কী বর্ণনা করে? আমি বলিঃ তারা অধিকাংশ সময় তার উপর মিথ্যা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থাকে।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمٌ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، قَالَ كُنْتُ أَسِيرُ بِالشَّامِ فَنَادَانِي رَجُلٌ مِنْ خَلْفِي فَالْتَفَتُّ فَإِذَا رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ فَقَالَ يَا أَبَا عَوْنٍ مَا هَذَا الَّذِي يَذْكُرُونَ عَنِ الْحَسَنِ قَالَ قُلْتُ إِنَّهُمْ يَكْذِبُونَ عَلَى الْحَسَنِ كَثِيرًا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬২২
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৪৫. সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) .... আইয়ুব (রাহঃ) বলেনঃ হাসান (রাহঃ)-এর উপর দু’ধরনের লোক মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। একটি হলো কাদরীয়া-তারা চায় যে, তার নাম ব্যবহারে তাঁদের বক্তব্য গৃহীত হোক। দ্বিতীয় শ্রেণী হলো তারা- যারা শক্রতাবশত তার সম্পর্কে এরূপ বলে যে, তিনি এরূপ বলেছেন, সেরূপ বলেছেন।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ سَمِعْتُ أَيُّوبَ، يَقُولُ كَذَبَ عَلَى الْحَسَنِ ضَرْبَانِ مِنَ النَّاسِ قَوْمٌ الْقَدَرُ رَأْيُهُمْ وَهُمْ يُرِيدُونَ أَنْ يُنَفِّقُوا بِذَلِكَ رَأْيَهُمْ وَقَوْمٌ لَهُ فِي قُلُوبِهِمْ شَنَآنٌ وَبُغْضٌ يَقُولُونَ أَلَيْسَ مِنْ قَوْلِهِ كَذَا أَلَيْسَ مِنْ قَوْلِهِ كَذَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬২৩
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৪৬. ইবনে মুছান্না (রাহঃ) .... কুররা ইবনে খালিদ (রাহঃ) আমাদের এরূপ বলতেনঃ হে যুবকেরা! তোমরা হাসান (রাহঃ)-কে কাদরীয়া মতবাদের অনুসারী মনে করো না। তাঁর অভিমত আহলে সুন্নতুল জামাআতের অনুরূপ এবং সঠিক।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، أَنَّ يَحْيَى بْنَ كَثِيرٍ الْعَنْبَرِيَّ، حَدَّثَهُمْ قَالَ كَانَ قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ يَقُولُ لَنَا يَا فِتْيَانُ لاَ تُغْلَبُوا عَلَى الْحَسَنِ فَإِنَّهُ كَانَ رَأْيُهُ السُّنَّةَ وَالصَّوَابَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬২৪
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৪৭. ইবনে মুছান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... ইবনে আওন (রাহঃ) বলেনঃ যদি আমরা জানতাম যে, হাসান (রাহঃ) যা বলেছেন, তা প্রসিদ্ধ হয়ে যাবে, তবে তাঁর কাছে গিয়ে একটা কিতাব রচনা করতাম এবং লোকদের সাক্ষ্য গ্রহণ করতাম। কিন্তু আমরা এমন কথা বলেছি, যা প্রত্যাহার যোগ্য নয়।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، قَالَ لَوْ عَلِمْنَا أَنَّ كَلِمَةَ، الْحَسَنِ تَبْلُغُ مَا بَلَغَتْ لَكَتَبْنَا بِرُجُوعِهِ كِتَابًا وَأَشْهَدْنَا عَلَيْهِ شُهُودًا وَلَكِنَّا قُلْنَا كَلِمَةٌ خَرَجَتْ لاَ تُحْمَلُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬২৫
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৪৮. সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) .... আইয়ুব (রাহঃ) বলেনঃ হাসান (রাহঃ) বলেছেনঃ আমি আর কখনো এরূপ কথা বলবো না।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، قَالَ قَالَ لِيَ الْحَسَنُ مَا أَنَا بِعَائِدٍ، إِلَى شَىْءٍ مِنْهُ أَبَدًا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬২৬
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৪৯. হিলাল ইবনে বিশর (রাহঃ) .... উছমান বাততী (রাহঃ) বলেনঃ হাসান (রাহঃ) যখনই কোন আয়াতের তাফসীর করেছেন, তখনই তাকদীরকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا هِلاَلُ بْنُ بِشْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ عُثْمَانَ الْبَتِّيِّ، قَالَ مَا فَسَّرَ الْحَسَنُ آيَةً قَطُّ إِلاَّ عَلَى الإِثْبَاتِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬০৫
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৫০. আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) .... আবু রাফি (রাযিঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমি তোমাদের মাঝে কাউকে এরূপ পাব না, যে তার খাটের উপর বালিশে হেলান দিয়ে থাকে। যদি তার কাছে আমার কোন আদেশ বা নিষেধ আসে, তখন সে বলেঃ আমি তো এ জানি না। বরং আমি আল্লাহর কিতাবে যে নির্দেশ পেয়েছি, তার অনুসরণ করি।*
* আলোচ্য হাদীসে নবী (ﷺ) অহংকারীদের সতর্ক করে দিয়েছেন, যারা নিজেদের আরাম-আয়েশের জন্য এরূপ বলবে এবং হাদীসের নির্দেশ পরিত্যাগ কর কেবলমাত্র ব্যক্তিস্বার্থ ও সুবিধার জন্য কুরআনের অনুসারী হওয়ার দাবী করবে। এরা সত্যিকারের মুসলিম নয়। বরং প্রকৃত মুসলমান তারা - যারা কুরআন ও হাদীসের পূর্ণ অনুসরণ করবে। - (অনুবাদক)
* আলোচ্য হাদীসে নবী (ﷺ) অহংকারীদের সতর্ক করে দিয়েছেন, যারা নিজেদের আরাম-আয়েশের জন্য এরূপ বলবে এবং হাদীসের নির্দেশ পরিত্যাগ কর কেবলমাত্র ব্যক্তিস্বার্থ ও সুবিধার জন্য কুরআনের অনুসারী হওয়ার দাবী করবে। এরা সত্যিকারের মুসলিম নয়। বরং প্রকৃত মুসলমান তারা - যারা কুরআন ও হাদীসের পূর্ণ অনুসরণ করবে। - (অনুবাদক)
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ مُتَّكِئًا عَلَى أَرِيكَتِهِ يَأْتِيهِ الأَمْرُ مِنْ أَمْرِي مِمَّا أَمَرْتُ بِهِ أَوْ نَهَيْتُ عَنْهُ فَيَقُولُ لاَ نَدْرِي مَا وَجَدْنَا فِي كِتَابِ اللَّهِ اتَّبَعْنَاهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬০৬
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৫১. মুহাম্মাদ ইবনে সাব্বাহ (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের এ দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছুর সংযোজন করবে, যা এতে নেই তা পরিত্যাজ্য। রাবী ঈসা (রাহঃ) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমরা যা করিনি, যদি এমন কাজ কেউ করে, তাবে তা পরিত্যাজ্য।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَخْرَمِيُّ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ " . قَالَ ابْنُ عِيسَى قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَنَعَ أَمْرًا عَلَى غَيْرِ أَمْرِنَا فَهُوَ رَدٌّ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬০৭
৬. সুন্নতের অনুসরণ করা জরুরী।
৪৫৫২. আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) .... হাজার ইবনে হাজার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমরা ইরবায ইবনে সারিয়া (রাযিঃ) এর নিকট গমন করি, যার শানে এ আয়াত নাযিল হয়ঃ তাদের জন্য কোন অসুবিধা নেই, যারা আপনার নিকট এ জন্য আসে যে, আপনি তাদের জন্য বাহনের ব্যবস্থা করবেন। আপনি বলেনঃ আমি তো তোমাদের জন্য কোন বাহন পাই না।
রাবী বলেনঃ আমরা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে সালাম করি এবং বলিঃ আমরা আপনাকে দেখার জন্য, আপনার খিদমতের জন্য এবং আপনার কাছ থেকে কিছু সংগ্রহের জন্য এসেছি। তখন তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সঙ্গে নামায আদায়ের পর, আমাদের দিকে ফিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন, যাতে আমাদের চোখ অশ্রু ভারাক্রান্ত হয় এবং অন্তর ভীত-সন্ত্রস্ত হয়। আমাদের মধ্যে একজন বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! মনে হচ্ছে এ আপনার বিদায়ী ভাষণ, কাজেই আপনি আমাদের আরো কিছু অছীয়ত করুন।
তখন তিনি বলেনঃ আমি তোমাদের তাকওয়া অবলম্বনের জন্য বলছি এবং শোনা ও মানার জন্যও, যদিও তোমাদের আমীর হাবশী গোলাম হয়। কেননা, তোমাদের মাঝে যারা আমার পরে জীবিত থাকবে, তারা বহু মতভেদ দেখতে পাবে। এমতাবস্থায় তোমাদের উচিত হবে আমার ও আমার খুলাফায়ে-রাশেদার সুন্নতের অনুসরণ করা, যারা সত্য ও ন্যায়ের অনুসারী। তোমরা তাদের দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করবে। তোমরা বিদ’আতের অনুসরণ ও অনুকরণ করা হতে দূরে থাকবে। কেননা, প্রত্যেক নতুন কথাই বিদ’আত এবং প্রত্যেক বিদ’আতই গুমরাহী।
রাবী বলেনঃ আমরা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে সালাম করি এবং বলিঃ আমরা আপনাকে দেখার জন্য, আপনার খিদমতের জন্য এবং আপনার কাছ থেকে কিছু সংগ্রহের জন্য এসেছি। তখন তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সঙ্গে নামায আদায়ের পর, আমাদের দিকে ফিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন, যাতে আমাদের চোখ অশ্রু ভারাক্রান্ত হয় এবং অন্তর ভীত-সন্ত্রস্ত হয়। আমাদের মধ্যে একজন বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! মনে হচ্ছে এ আপনার বিদায়ী ভাষণ, কাজেই আপনি আমাদের আরো কিছু অছীয়ত করুন।
তখন তিনি বলেনঃ আমি তোমাদের তাকওয়া অবলম্বনের জন্য বলছি এবং শোনা ও মানার জন্যও, যদিও তোমাদের আমীর হাবশী গোলাম হয়। কেননা, তোমাদের মাঝে যারা আমার পরে জীবিত থাকবে, তারা বহু মতভেদ দেখতে পাবে। এমতাবস্থায় তোমাদের উচিত হবে আমার ও আমার খুলাফায়ে-রাশেদার সুন্নতের অনুসরণ করা, যারা সত্য ও ন্যায়ের অনুসারী। তোমরা তাদের দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করবে। তোমরা বিদ’আতের অনুসরণ ও অনুকরণ করা হতে দূরে থাকবে। কেননা, প্রত্যেক নতুন কথাই বিদ’আত এবং প্রত্যেক বিদ’আতই গুমরাহী।
باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ مَعْدَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو السُّلَمِيُّ، وَحُجْرُ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ أَتَيْنَا الْعِرْبَاضَ بْنَ سَارِيَةَ وَهُوَ مِمَّنْ نَزَلَ فِيهِ ( وَلاَ عَلَى الَّذِينَ إِذَا مَا أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ قُلْتَ لاَ أَجِدُ مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ ) فَسَلَّمْنَا وَقُلْنَا أَتَيْنَاكَ زَائِرِينَ وَعَائِدِينَ وَمُقْتَبِسِينَ . فَقَالَ الْعِرْبَاضُ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا فَوَعَظَنَا مَوْعِظَةً بَلِيغَةً ذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ وَوَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ فَقَالَ قَائِلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَأَنَّ هَذِهِ مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَمَاذَا تَعْهَدُ إِلَيْنَا فَقَالَ " أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ عَبْدًا حَبَشِيًّا فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ بَعْدِي فَسَيَرَى اخْتِلاَفًا كَثِيرًا فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الْمَهْدِيِّينَ الرَّاشِدِينَ تَمَسَّكُوا بِهَا وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ " .