কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৩৪. নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৪৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫০৮
৬. যদি কেউ কাউকে বিষাক্ত খাদ্য-পানীয় পান করায় এবং সে তাতে মারা যায়, তবে তার থেকে কিসাস নেয়া যাবে কি না?
৪৪৪৬. ইয়াহয়া ইবনে হাবীব (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনাঃ একদা ইয়াহুদী এক নারী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট বিষ-মিশ্রিত বকরীর গোশত নিয়ে আসে। যা থেকে তিনি কিছু ভক্ষণ করেন। ঐ মহিলাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হাযির করা হলে, তিনি তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তখন সে বলেঃ আমি আপনাকে হত্যার উদ্দেশের এরূপ করেছি। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ তোমাকে এ জন্য ক্ষমতা প্রদান করেন নি। তখন সাহাবীগণ বলেনঃ আমরা কি তাকে হত্যা করবো না? তিনি বলেনঃ না।
রাবী আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ আমি এ বিষের ক্রিয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দাঁতের মাড়িতে সব সময় প্রকাশ পেতে দেখেছি।
রাবী আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ আমি এ বিষের ক্রিয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দাঁতের মাড়িতে সব সময় প্রকাশ পেতে দেখেছি।
باب فِيمَنْ سَقَى رَجُلاً سَمًّا أَوْ أَطْعَمَهُ فَمَاتَ أَيُقَادُ مِنْهُ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ امْرَأَةً، يَهُودِيَّةً أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشَاةٍ مَسْمُومَةٍ فَأَكَلَ مِنْهَا فَجِيءَ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ أَرَدْتُ لأَقْتُلَكَ . فَقَالَ " مَا كَانَ اللَّهُ لِيُسَلِّطَكِ عَلَى ذَلِكَ " . أَوْ قَالَ " عَلَىَّ " . قَالَ فَقَالُوا أَلاَ نَقْتُلُهَا قَالَ " لاَ " . فَمَا زِلْتُ أَعْرِفُهَا فِي لَهَوَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫০৯
৬. যদি কেউ কাউকে বিষাক্ত খাদ্য-পানীয় পান করায় এবং সে তাতে মারা যায়, তবে তার থেকে কিসাস নেয়া যাবে কি না?
৪৪৪৭. দাউদ ইবনে রাশীদ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার এক ইয়াহুদী রমণী নবী করীম (ﷺ) এর নিকট হাদিয়া স্বরূপ একটি বিষ-মিশ্রিত বকরীর গোশত প্রেরণ করে। যদ্দরুণ তিনি তাকে কিছুই বলেননি। ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ সে মহিলাটি ছিল মুরাহহাব নামক এক ইয়াহুদীর বোন, যে নবী (ﷺ) এর খাদ্যে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল।
باب فِيمَنْ سَقَى رَجُلاً سَمًّا أَوْ أَطْعَمَهُ فَمَاتَ أَيُقَادُ مِنْهُ
حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبَّاُدُ بْنُ الْعَوَّامِ، ح وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبَّادٌ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، وَأَبِي، سَلَمَةَ - قَالَ هَارُونُ - عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، مِنَ الْيَهُودِ أَهْدَتْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم شَاةً مَسْمُومَةً - قَالَ - فَمَا عَرَضَ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذِهِ أُخْتُ مَرْحَبٍ الْيَهُودِيَّةُ الَّتِي سَمَّتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫১০
৬. যদি কেউ কাউকে বিষাক্ত খাদ্য-পানীয় পান করায় এবং সে তাতে মারা যায়, তবে তার থেকে কিসাস নেয়া যাবে কি না?
৪৪৪৮. সুলাইমান ইবনে দাউদ (রাহঃ) ..... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ খায়বরের একজন ইয়াহুদী নারী ভুনা-বকরীর সাথে বিষ মিশ্রিত করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হাদিয়া স্বরূপ প্রেরণ করে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার রানের গোশত ভক্ষণ করেন এবং সাহাবীদের কেউ কেউ তা ভক্ষণ করে। এ সময় তিনি তাঁর সাহাবীদের বলেনঃ তোমরা তোমাদের হাত উঠিয়ে নাও, (অর্থাৎ তোমরা আর খেয়োনা)। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে ইয়াহুদী নারীকে আনিয়ে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি এ বকরীর গোশতে বিষ মিশিয়েছ? তখন সে জিজ্ঞাসা করেঃ কে আপনাকে এ খবর দিয়েছে? তিনি বলেনঃ বকরীর এই রানটি। তখন সে নারী বলেঃ হ্যাঁ।
নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার এরূপ করার উদ্দেশ্য কি? সে নারী বলেঃ যদি আপনি নবী হন, তবে এ বিষ আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি আপনি নবী না হন, তবে আপনার থেকে পরিত্রাণ পাব, (এ জন্য আমি এরূপ করেছি)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে মহিলাকে ক্ষমা করে দেন এবং তাকে কোনরূপ শাস্তি প্রদান করেননি। বিষ মিশ্রিত গোশত ভক্ষণের ফলে নবী (ﷺ) এর সাহাবীদের কেউ কেউ মারা যায় এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজে এ বকরীর বিষ-মিশ্রিত গোশত খাওয়ার কারণে তাঁর দুই কাঁধের মাঝখানে শিংগা লাগান। আবু হিন্দ (রাযিঃ), যিনি বনু বায়াযা আনসারী (রাযিঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম ছিলেন। তিনি গাভীর শিং ও ছুরির দ্বারা নবী (ﷺ)-এর দেহে শিংগা লাগান।
নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার এরূপ করার উদ্দেশ্য কি? সে নারী বলেঃ যদি আপনি নবী হন, তবে এ বিষ আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি আপনি নবী না হন, তবে আপনার থেকে পরিত্রাণ পাব, (এ জন্য আমি এরূপ করেছি)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে মহিলাকে ক্ষমা করে দেন এবং তাকে কোনরূপ শাস্তি প্রদান করেননি। বিষ মিশ্রিত গোশত ভক্ষণের ফলে নবী (ﷺ) এর সাহাবীদের কেউ কেউ মারা যায় এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজে এ বকরীর বিষ-মিশ্রিত গোশত খাওয়ার কারণে তাঁর দুই কাঁধের মাঝখানে শিংগা লাগান। আবু হিন্দ (রাযিঃ), যিনি বনু বায়াযা আনসারী (রাযিঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম ছিলেন। তিনি গাভীর শিং ও ছুরির দ্বারা নবী (ﷺ)-এর দেহে শিংগা লাগান।
باب فِيمَنْ سَقَى رَجُلاً سَمًّا أَوْ أَطْعَمَهُ فَمَاتَ أَيُقَادُ مِنْهُ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ كَانَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يُحَدِّثُ أَنَّ يَهُودِيَّةً، مِنْ أَهْلِ خَيْبَرَ سَمَّتْ شَاةً مَصْلِيَّةً ثُمَّ أَهْدَتْهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الذِّرَاعَ فَأَكَلَ مِنْهَا وَأَكَلَ رَهْطٌ مِنْ أَصْحَابِهِ مَعَهُ ثُمَّ قَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ارْفَعُوا أَيْدِيَكُمْ " . وَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْيَهُودِيَّةِ فَدَعَاهَا فَقَالَ لَهَا " أَسَمَمْتِ هَذِهِ الشَّاةَ " . قَالَتِ الْيَهُودِيَّةُ مَنْ أَخْبَرَكَ قَالَ " أَخْبَرَتْنِي هَذِهِ فِي يَدِي " . لِلذِّرَاعِ . قَالَتْ نَعَمْ . قَالَ " فَمَا أَرَدْتِ إِلَى ذَلِكَ " . قَالَتْ قُلْتُ إِنْ كَانَ نَبِيًّا فَلَنْ يَضُرَّهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنِ اسْتَرَحْنَا مِنْهُ . فَعَفَا عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يُعَاقِبْهَا وَتُوُفِّيَ بَعْضُ أَصْحَابِهِ الَّذِينَ أَكَلُوا مِنَ الشَّاةِ وَاحْتَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى كَاهِلِهِ مِنْ أَجْلِ الَّذِي أَكَلَ مِنَ الشَّاةِ حَجَمَهُ أَبُو هِنْدٍ بِالْقَرْنِ وَالشَّفْرَةِ وَهُوَ مَوْلًى لِبَنِي بَيَاضَةَ مِنَ الأَنْصَارِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫১১ - ৪৫১৪
৬. যদি কেউ কাউকে বিষাক্ত খাদ্য-পানীয় পান করায় এবং সে তাতে মারা যায়, তবে তার থেকে কিসাস নেয়া যাবে কি না?
৪৪৪৯. ওয়াহাব ইবনে বাকীয়্যা (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ খায়বরের এক ইয়াহুদী নারী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট একটি বিষ-মিশ্রিত ভুনা-বকরী হাদিয়া স্বরূপ প্রেরণ করে। এরপর তিনি জাবির (রাযিঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ এ বকরীর গোশত খাওয়ার কারণে বিশর ইবনে বারা ইবনে মা’রুর আনসারী (রাযিঃ) ইনতিকাল করেন। তখন নবী (ﷺ) সে মহিলাকে উপস্থিত করে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কেন এরূপ করলে? এরপর তিনি জাবির (রাযিঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করে বলেনঃ তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে মহিলাকে হত্যার নির্দেশ দিলে, তাকে হত্যা করা হয়। রাবী এ বর্ণনায় শিংগা লাগানোর কথা উল্লেখ করেননি।
ওয়াহাব ইবনে বাকীয়্যা (রাহঃ) .....আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে আরো বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাদিয়া গ্রহণ করতেন কিন্তু সাদাকা গ্রহণ করতেন না। বর্ণনাকারী বলেন, খায়বরের এক ইয়াহুদী মহিলা একটি ভুনা বকরীতে বিষ মিশিয়ে তাঁকে হাদিয়া দেয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা আহার করেন এবং লোকজনও আহার করে। তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের হাত গুটিয়ে নাও। কারণ এটি আমাকে অবহিত করা হয়েছে যে, এটি বিষযুক্ত। (বিষক্রিয়ার ফলে) বিশর ইবন বারাআ ইবন মা’রূর আনসারী (রাঃ) মারা যান। তিনি ইয়াহুদী মহিলাকে ডেকে এনে প্রশ্ন করেনঃ তুমি যা করলে তা করতে তোমাকে কিসে প্ররোচিত করেছে?
সে বললো, আপনি যদি সত্যি নবী হয়ে থাকেন তাহলে আমি যা করেছি তাতে আপনার ক্ষতি হবে না। আর যদি আপনি বাদশাহ হয়ে থাকেন তাহলে আমি আপনার থেকে মানুষকে শান্তি দিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নির্দেশ দিলে পরে তাকে হত্যা করা হলো। অতঃপর তিনি যে ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন সেই সম্পর্কে বলেনঃ আমি সর্বদা সেই লোকমার ব্যথা অনুভব করছি যা আমি খায়বরে খেয়েছিলাম। এই সময়ে তা আমার প্রধান ধমনি কেটে দিয়েছে।
.........ইবনু কা’ব ইবন মালিক (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী (ﷺ) যখন মৃত্যুরোগে আক্রান্ত ছিলেন তখন উম্মে মুবাশশির (রাঃ) তাঁকে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আপনার রোগ সম্পর্কে কি ভাবছেন? আর আমি আমার ছেলের রোগ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন নই সেই বিষ মেশানো বকরীর গোশত ব্যতীত যা সে খায়বরে আপনার সঙ্গে খেয়েছে। নবী (ﷺ) বললেনঃ আমিও ঐ বিষ ছাড়া আমার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন নই। এ মুহূর্তে তা আমার প্রধান ধমনি কেটে দিচ্ছে।
আহমদ বিন হাম্বল......... উম্মে মুবাশশির (রাঃ) বলেন, আমি নবী (ﷺ)-এর নিকট প্রবেশ করলাম। অতঃপর তিনি মাখলাদ ইবনু খালিদের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন জাবির (রাঃ)-এর হাদীসের মতই। বর্ণনাকারী বলেন, বিশর ইবন বারাআ ইবন মা’রূর (রাঃ) মারা গেলে নবী (ﷺ) ইয়াহুদী মহিলাকে ডেকে এনে প্রশ্ন করেনঃ তুমি যা করেছো তা করতে কিসে তোমাকে প্ররোচিত করেছে? অতঃপর জাবির (রাঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সম্পর্কে নির্দেশ দিলে পরে তাকে হত্যা করা হয়। বর্ণনাকারী এখানে হিজামা তথা রক্তমোক্ষণের কথা উল্লেখ করেননি।
ওয়াহাব ইবনে বাকীয়্যা (রাহঃ) .....আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে আরো বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাদিয়া গ্রহণ করতেন কিন্তু সাদাকা গ্রহণ করতেন না। বর্ণনাকারী বলেন, খায়বরের এক ইয়াহুদী মহিলা একটি ভুনা বকরীতে বিষ মিশিয়ে তাঁকে হাদিয়া দেয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা আহার করেন এবং লোকজনও আহার করে। তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের হাত গুটিয়ে নাও। কারণ এটি আমাকে অবহিত করা হয়েছে যে, এটি বিষযুক্ত। (বিষক্রিয়ার ফলে) বিশর ইবন বারাআ ইবন মা’রূর আনসারী (রাঃ) মারা যান। তিনি ইয়াহুদী মহিলাকে ডেকে এনে প্রশ্ন করেনঃ তুমি যা করলে তা করতে তোমাকে কিসে প্ররোচিত করেছে?
সে বললো, আপনি যদি সত্যি নবী হয়ে থাকেন তাহলে আমি যা করেছি তাতে আপনার ক্ষতি হবে না। আর যদি আপনি বাদশাহ হয়ে থাকেন তাহলে আমি আপনার থেকে মানুষকে শান্তি দিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নির্দেশ দিলে পরে তাকে হত্যা করা হলো। অতঃপর তিনি যে ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন সেই সম্পর্কে বলেনঃ আমি সর্বদা সেই লোকমার ব্যথা অনুভব করছি যা আমি খায়বরে খেয়েছিলাম। এই সময়ে তা আমার প্রধান ধমনি কেটে দিয়েছে।
.........ইবনু কা’ব ইবন মালিক (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী (ﷺ) যখন মৃত্যুরোগে আক্রান্ত ছিলেন তখন উম্মে মুবাশশির (রাঃ) তাঁকে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আপনার রোগ সম্পর্কে কি ভাবছেন? আর আমি আমার ছেলের রোগ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন নই সেই বিষ মেশানো বকরীর গোশত ব্যতীত যা সে খায়বরে আপনার সঙ্গে খেয়েছে। নবী (ﷺ) বললেনঃ আমিও ঐ বিষ ছাড়া আমার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন নই। এ মুহূর্তে তা আমার প্রধান ধমনি কেটে দিচ্ছে।
আহমদ বিন হাম্বল......... উম্মে মুবাশশির (রাঃ) বলেন, আমি নবী (ﷺ)-এর নিকট প্রবেশ করলাম। অতঃপর তিনি মাখলাদ ইবনু খালিদের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন জাবির (রাঃ)-এর হাদীসের মতই। বর্ণনাকারী বলেন, বিশর ইবন বারাআ ইবন মা’রূর (রাঃ) মারা গেলে নবী (ﷺ) ইয়াহুদী মহিলাকে ডেকে এনে প্রশ্ন করেনঃ তুমি যা করেছো তা করতে কিসে তোমাকে প্ররোচিত করেছে? অতঃপর জাবির (রাঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সম্পর্কে নির্দেশ দিলে পরে তাকে হত্যা করা হয়। বর্ণনাকারী এখানে হিজামা তথা রক্তমোক্ষণের কথা উল্লেখ করেননি।
باب فِيمَنْ سَقَى رَجُلاً سَمًّا أَوْ أَطْعَمَهُ فَمَاتَ أَيُقَادُ مِنْهُ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَهْدَتْ لَهُ يَهُودِيَّةٌ بِخَيْبَرَ شَاةً مَصْلِيَّةً نَحْوَ حَدِيثِ جَابِرٍ قَالَ فَمَاتَ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ الأَنْصَارِيُّ فَأَرْسَلَ إِلَى الْيَهُودِيَّةِ " مَا حَمَلَكِ عَلَى الَّذِي صَنَعْتِ " . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ جَابِرٍ فَأَمَرَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُتِلَتْ وَلَمْ يَذْكُرْ أَمْرَ الْحِجَامَةِ .
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْبَلُ الْهَدِيَّةَ وَلاَ يَأْكُلُ الصَّدَقَةَ . وَحَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ عَنْ خَالِدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ وَلَمْ يَذْكُرْ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْبَلُ الْهَدِيَّةَ وَلاَ يَأْكُلُ الصَّدَقَةَ . زَادَ فَأَهْدَتْ لَهُ يَهُودِيَّةٌ بِخَيْبَرَ شَاةً مَصْلِيَّةً سَمَّتْهَا فَأَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهَا وَأَكَلَ الْقَوْمُ فَقَالَ " ارْفَعُوا أَيْدِيَكُمْ فَإِنَّهَا أَخْبَرَتْنِي أَنَّهَا مَسْمُومَةٌ " . فَمَاتَ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ الأَنْصَارِيُّ فَأَرْسَلَ إِلَى الْيَهُودِيَّةِ " مَا حَمَلَكِ عَلَى الَّذِي صَنَعْتِ " . قَالَتْ إِنْ كُنْتَ نَبِيًّا لَمْ يَضُرَّكَ الَّذِي صَنَعْتُ وَإِنْ كُنْتَ مَلِكًا أَرَحْتُ النَّاسَ مِنْكَ . فَأَمَرَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُتِلَتْ ثُمَّ قَالَ فِي وَجَعِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ " مَا زِلْتُ أَجِدُ مِنَ الأَكْلَةِ الَّتِي أَكَلْتُ بِخَيْبَرَ فَهَذَا أَوَانُ قَطَعَتْ أَبْهَرِي " .
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أُمَّ مُبَشِّرٍ، قَالَتْ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ مَا يُتَّهَمُ بِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِنِّي لاَ أَتَّهِمُ بِابْنِي شَيْئًا إِلاَّ الشَّاةَ الْمَسْمُومَةَ الَّتِي أَكَلَ مَعَكَ بِخَيْبَرَ . وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَأَنَا لاَ أَتَّهِمُ بِنَفْسِي إِلاَّ ذَلِكَ فَهَذَا أَوَانُ قَطَعَتْ أَبْهَرِي " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرُبَّمَا حَدَّثَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ بِهَذَا الْحَدِيثِ مُرْسَلاً عَنْ مَعْمَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرُبَّمَا حَدَّثَ بِهِ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ وَذَكَرَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنَّ مَعْمَرًا كَانَ يُحَدِّثُهُمْ بِالْحَدِيثِ مَرَّةً مُرْسَلاً فَيَكْتُبُونَهُ وَيُحَدِّثُهُمْ مَرَّةً بِهِ فَيُسْنِدُهُ فَيَكْتُبُونَهُ وَكُلٌّ صَحِيحٌ عِنْدَنَا قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ فَلَمَّا قَدِمَ ابْنُ الْمُبَارَكِ عَلَى مَعْمَرٍ أَسْنَدَ لَهُ مَعْمَرٌ أَحَادِيثَ كَانَ يُوقِفُهَا .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا رَبَاحٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أُمِّهِ، أَنَّ أُمَّ مُبَشِّرٍ، - قَالَ أَبُو سَعِيدِ بْنُ الأَعْرَابِيِّ كَذَا قَالَ عَنْ أُمِّهِ، وَالصَّوَابُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ مُبَشِّرٍ، - دَخَلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ مَخْلَدِ بْنِ خَالِدٍ نَحْوَ حَدِيثِ جَابِرٍ قَالَ فَمَاتَ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ فَأَرْسَلَ إِلَى الْيَهُودِيَّةِ فَقَالَ " مَا حَمَلَكِ عَلَى الَّذِي صَنَعْتِ " . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ جَابِرٍ فَأَمَرَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُتِلَتْ وَلَمْ يَذْكُرِ الْحِجَامَةَ .
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْبَلُ الْهَدِيَّةَ وَلاَ يَأْكُلُ الصَّدَقَةَ . وَحَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ عَنْ خَالِدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ وَلَمْ يَذْكُرْ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْبَلُ الْهَدِيَّةَ وَلاَ يَأْكُلُ الصَّدَقَةَ . زَادَ فَأَهْدَتْ لَهُ يَهُودِيَّةٌ بِخَيْبَرَ شَاةً مَصْلِيَّةً سَمَّتْهَا فَأَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهَا وَأَكَلَ الْقَوْمُ فَقَالَ " ارْفَعُوا أَيْدِيَكُمْ فَإِنَّهَا أَخْبَرَتْنِي أَنَّهَا مَسْمُومَةٌ " . فَمَاتَ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ الأَنْصَارِيُّ فَأَرْسَلَ إِلَى الْيَهُودِيَّةِ " مَا حَمَلَكِ عَلَى الَّذِي صَنَعْتِ " . قَالَتْ إِنْ كُنْتَ نَبِيًّا لَمْ يَضُرَّكَ الَّذِي صَنَعْتُ وَإِنْ كُنْتَ مَلِكًا أَرَحْتُ النَّاسَ مِنْكَ . فَأَمَرَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُتِلَتْ ثُمَّ قَالَ فِي وَجَعِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ " مَا زِلْتُ أَجِدُ مِنَ الأَكْلَةِ الَّتِي أَكَلْتُ بِخَيْبَرَ فَهَذَا أَوَانُ قَطَعَتْ أَبْهَرِي " .
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أُمَّ مُبَشِّرٍ، قَالَتْ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ مَا يُتَّهَمُ بِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِنِّي لاَ أَتَّهِمُ بِابْنِي شَيْئًا إِلاَّ الشَّاةَ الْمَسْمُومَةَ الَّتِي أَكَلَ مَعَكَ بِخَيْبَرَ . وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَأَنَا لاَ أَتَّهِمُ بِنَفْسِي إِلاَّ ذَلِكَ فَهَذَا أَوَانُ قَطَعَتْ أَبْهَرِي " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرُبَّمَا حَدَّثَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ بِهَذَا الْحَدِيثِ مُرْسَلاً عَنْ مَعْمَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرُبَّمَا حَدَّثَ بِهِ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ وَذَكَرَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنَّ مَعْمَرًا كَانَ يُحَدِّثُهُمْ بِالْحَدِيثِ مَرَّةً مُرْسَلاً فَيَكْتُبُونَهُ وَيُحَدِّثُهُمْ مَرَّةً بِهِ فَيُسْنِدُهُ فَيَكْتُبُونَهُ وَكُلٌّ صَحِيحٌ عِنْدَنَا قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ فَلَمَّا قَدِمَ ابْنُ الْمُبَارَكِ عَلَى مَعْمَرٍ أَسْنَدَ لَهُ مَعْمَرٌ أَحَادِيثَ كَانَ يُوقِفُهَا .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا رَبَاحٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أُمِّهِ، أَنَّ أُمَّ مُبَشِّرٍ، - قَالَ أَبُو سَعِيدِ بْنُ الأَعْرَابِيِّ كَذَا قَالَ عَنْ أُمِّهِ، وَالصَّوَابُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ مُبَشِّرٍ، - دَخَلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ مَخْلَدِ بْنِ خَالِدٍ نَحْوَ حَدِيثِ جَابِرٍ قَالَ فَمَاتَ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ فَأَرْسَلَ إِلَى الْيَهُودِيَّةِ فَقَالَ " مَا حَمَلَكِ عَلَى الَّذِي صَنَعْتِ " . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ جَابِرٍ فَأَمَرَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُتِلَتْ وَلَمْ يَذْكُرِ الْحِجَامَةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান