কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৩৩. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৩৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৪৬ - ৪৪৪৭
২৪. ইয়াহুদী নারী-পুরুষের রজম সম্পর্কে।
৪৩৯০. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা ইয়াহুদীরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে বলেঃ তাদের মধ্যেকার একজন পুরুষ ও একজন নারী যিনা করেছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমরা যিনা সম্পর্কে তাওরাতে কি নির্দেশ পাও? তারা বলেঃ আমরা তো ব্যভিচারীদের অসম্মানিত করি এবং বেত্রাদণ্ড দেই। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বলেনঃ তোমরা মিথ্যা বলছো। তাওরাতে রজমের হুকুম আছে। তখন তারা তাওরাত এনে, তা পড়তে শুরু করলে, এক ব্যক্তি রজমের আয়াতের উপর তার হাত রাখে এবং এর সামনের ও পেছনের আয়াত পড়তে থাকে।

তখন আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) তাকে বলেনঃ তুমি তোমার হতে উঠাও। সে তার হাত উঠালে, সেখানে রজমের আয়াত দেখা যায়। তখন তারা বলেঃ হে মুহাম্মাদ! আপনি সত্য বলেছেন। এতে রজমের আয়াত আছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে ইয়াহুদী নর-নারীকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দিলে, তা কার্যকর করা হয়। রাবী আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেনঃ সে সময় আমি দেখেছি, পুরুষ লোকটি মহিলাকে পাথরের আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য তাকে আড়াল করে দাঁড়াচ্ছিল।

আল-বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা কালিমা মাখা মুখ বিশিষ্ট এক ইয়াহুদীকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাকে জনসমক্ষে ঘুরানো হচ্ছিল। তিনি তাদের কসম দিয়ে বলেন, তাদের কিতাবে যেনাকারীর হাদ্দ কি? বর্ণনাকারী বলেন, তারা তাঁকে তাদের মধ্যকার একজনকে দেখিয়ে দিলো। নবী (ﷺ) তাকে প্রশ্ন করেনঃ তোমাদের কিতাবে যেনাকারীর হাদ্দ ঘটলে তাদের শাস্তি থেকে রেহাই দেয়া এবং অন্যদের শাস্তি দেয়া আমরা পছন্দ করলাম না। অতএব আমরা উপরোক্ত শাস্তি বাতিল করে দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নির্দেশ দিলে অপরাধীকে রজম করা হয়। অতঃপর তিনি বলেনঃ হে আল্লাহ! তারা তোমার কিতাবের যে অংশের মৃত্যু ঘটিয়েছিল আমিই প্রথম তা পুনর্জীবিত করলাম।
باب فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ إِنَّ الْيَهُودَ جَاءُوا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرُوا لَهُ أَنَّ رَجُلاً مِنْهُمْ وَامْرَأَةً زَنَيَا فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا تَجِدُونَ فِي التَّوْرَاةِ فِي شَأْنِ الزِّنَا " . فَقَالُوا نَفْضَحُهُمْ وَيُجْلَدُونَ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ كَذَبْتُمْ إِنَّ فِيهَا الرَّجْمَ . فَأَتَوْا بِالتَّوْرَاةِ فَنَشَرُوهَا فَجَعَلَ أَحَدُهُمْ يَدَهُ عَلَى آيَةِ الرَّجْمِ ثُمَّ جَعَلَ يَقْرَأُ مَا قَبْلَهَا وَمَا بَعْدَهَا فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ ارْفَعْ يَدَكَ . فَرَفَعَهَا فَإِذَا فِيهَا آيَةُ الرَّجْمِ فَقَالُوا صَدَقَ يَا مُحَمَّدُ فِيهَا آيَةُ الرَّجْمِ . فَأَمَرَ بِهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرُجِمَا . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَرَأَيْتُ الرَّجُلَ يَحْنِي عَلَى الْمَرْأَةِ يَقِيهَا الْحِجَارَةَ .

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ مَرُّوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَهُودِيٍّ قَدْ حُمِّمَ وَجْهُهُ وَهُوَ يُطَافُ بِهِ فَنَاشَدَهُمْ مَا حَدُّ الزَّانِي فِي كِتَابِهِمْ قَالَ فَأَحَالُوهُ عَلَى رَجُلٍ مِنْهُمْ فَنَشَدَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَا حَدُّ الزَّانِي فِي كِتَابِكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ الرَّجْمُ وَلَكِنْ ظَهَرَ الزِّنَا فِي أَشْرَافِنَا فَكَرِهْنَا أَنْ يُتْرَكَ الشَّرِيفُ وَيُقَامَ عَلَى مَنْ دُونَهُ فَوَضَعْنَا هَذَا عَنَّا ‏.‏ فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرُجِمَ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَوَّلُ مَنْ أَحْيَا مَا أَمَاتُوا مِنْ كِتَابِكَ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৪৩৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৪৮
২৪. ইয়াহুদী নারী-পুরুষের রজম সম্পর্কে।
৪৩৯১. মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) ..... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে দিয়ে একজন ইয়াহুদী যাচ্ছিল, যার মুখে কাল দাগ দেয়া হয়েছিল। তখন তিনি তাদের ডেকে বলেনঃ তোমরা কি যিনাকারীর শাস্তি তাওরাত এরূপ পেয়েছ? তারা বলেঃ হ্যাঁ। তখন নবী (ﷺ) তাদের একজন আলিমকে ডাকেন এবং বলেনঃ আমি তোমাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যিনি মুসার উপর তাওরাত নাযিল করেন। তোমরা কি তোমাদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাতে যিনার শাস্তি এরূপ পেয়েছ? তখন সে ব্যক্তি বলেঃ না, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আপনি আমাকে এরূপ কঠিন শপথ প্রদান না করতেন, তবে তা আমি আপনার কাছে প্রকাশ করতাম না।

আমরা আমাদের ধর্মগ্রন্থে যিনার শাস্তি রজম পাই। কিন্তু যখন আমাদের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যিনার প্রচলন অধিক হয়ে যায়, তখন কোন শরীফ লোক এজন্য দোষী সাব্যস্ত হলে আমরা তাকে ছেড়ে দেই এবং কোন দুর্বল লোক যিনা করলে তার উপর শরীআতের নির্দেশিত শাস্তি প্রদান করি। আমরা সর্বসম্মতভাবে এরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি যে, আমরা নিজেরাই এমন একটি হদ বা শাস্তি নির্ধারণ করে নেই, যা শরীফ ও দুর্বল ব্যক্তিদের উপর একইভাবে প্রয়োগ করা যায়। তখন আমরা মুখে কাল দাগ ও বেত্রাদণ্ডের ব্যবস্থা নির্ধারণ করি এবং রজমের ব্যবস্থা পরিহার করি।

তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ ইয়া আল্লাহ! তারা যখন তোমার নির্দেশ পরিত্যাগ করেছে, তখন সর্বপ্রথম আমিই তা জারী করব। তিনি তখন সে ব্যক্তির উপর রজমের হুকুম জারী করলে তা কার্যকরী করা হয়। তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ হে রাসূল! তারা যেন আপনাকে কষ্ট না দেয়, যারা কাফির হওয়ার কারণে জলদি করে .... যারা আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফায়সালা করে না, তারা কাফির। এ নির্দেশ ইয়াহুদীদের সম্পর্কে। এরপর আল্লাহর বাণীঃ যারা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারা জালিম। এ আয়াতও ইয়াহুদীদের সম্পর্কে নাযিল হয়। তারপর আল্লাহর এ বাণীঃ যারা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারা ফাসিক। এ আয়াত সব ধরনের কাফিরদের সম্পর্কে নাযিল হয়।
باب فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ مُرَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَهُودِيٍّ مُحَمَّمٍ مَجْلُودٍ فَدَعَاهُمْ فَقَالَ " هَكَذَا تَجِدُونَ حَدَّ الزَّانِي " . فَقَالُوا نَعَمْ . فَدَعَا رَجُلاً مِنْ عُلَمَائِهِمْ قَالَ لَهُ " نَشَدْتُكَ بِاللَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى هَكَذَا تَجِدُونَ حَدَّ الزَّانِي فِي كِتَابِكُمْ " . فَقَالَ اللَّهُمَّ لاَ وَلَوْلاَ أَنَّكَ نَشَدْتَنِي بِهَذَا لَمْ أُخْبِرْكَ نَجِدُ حَدَّ الزَّانِي فِي كِتَابِنَا الرَّجْمَ وَلَكِنَّهُ كَثُرَ فِي أَشْرَافِنَا فَكُنَّا إِذَا أَخَذْنَا الرَّجُلَ الشَّرِيفَ تَرَكْنَاهُ وَإِذَا أَخَذْنَا الرَّجُلَ الضَّعِيفَ أَقَمْنَا عَلَيْهِ الْحَدَّ فَقُلْنَا تَعَالَوْا فَنَجْتَمِعَ عَلَى شَىْءٍ نُقِيمُهُ عَلَى الشَّرِيفِ وَالْوَضِيعِ فَاجْتَمَعْنَا عَلَى التَّحْمِيمِ وَالْجَلْدِ وَتَرَكْنَا الرَّجْمَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ إِنِّي أَوَّلُ مَنْ أَحْيَا أَمْرَكَ إِذْ أَمَاتُوهُ " . فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ لاَ يَحْزُنْكَ الَّذِينَ يُسَارِعُونَ فِي الْكُفْرِ ) إِلَى قَوْلِهِ ( يَقُولُونَ إِنْ أُوتِيتُمْ هَذَا فَخُذُوهُ وَإِنْ لَمْ تُؤْتَوْهُ فَاحْذَرُوا ) إِلَى قَوْلِهِ ( وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ ) فِي الْيَهُودِ إِلَى قَوْلِهِ ( وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ ) فِي الْيَهُودِ إِلَى قَوْلِهِ ( وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ ) قَالَ هِيَ فِي الْكُفَّارِ كُلُّهَا يَعْنِي هَذِهِ الآيَةَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৪৯
২৪. ইয়াহুদী নারী-পুরুষের রজম সম্পর্কে।
৪৩৯২. আহমদ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা ইয়াহুদীদের একটি দল এসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে ’কুফ’ নামক স্থানে ডেকে নিয়ে যায়। তিনি তাদের সাথে সেখানকার এক মাদ্রাসায় গেলে তারা বলেঃ হে আবুল কাসিম! আমাদের এক ব্যক্তি একজন মহিলার সাথে যিনা করেছে, আপনি সে সম্পর্কে তাদের মাঝে ফায়সাল দেন। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জন্য একটি বালিশ রেখে দেয়, তিনি তাঁর উপর বসে বলেনঃ তোমরা আমার কাছে তাওরাত নিয়ে এসো। তাঁর কাছে তাওরাত আনা হলে, তিনি বালিশ নিয়ে তার উপর তাওরাত রাখেন। এরপর তিনি বলেনঃ আমি তোমার উপর এবং তোমার নাযিলকারীর উপর ঈমান রাখি। তারপর তিনি বলেনঃ তোমাদের মাঝে যে ব্যক্তি সব চাইতে জ্ঞানী, তাকে ডাক। তখন একজন যুবক আলিম (আব্দুল্লাহ ইবনে সুরিয়া) কে ডাকা হয়। পরে রজম সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে; যেরূপ রাবী মালিক-নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
باب فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ أَسْلَمَ، حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ أَتَى نَفَرٌ مِنْ يَهُودَ فَدَعَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْقُفِّ فَأَتَاهُمْ فِي بَيْتِ الْمِدْرَاسِ فَقَالُوا يَا أَبَا الْقَاسِمِ إِنَّ رَجُلاً مِنَّا زَنَى بِامْرَأَةٍ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ فَوَضَعُوا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وِسَادَةً فَجَلَسَ عَلَيْهَا ثُمَّ قَالَ " ائْتُونِي بِالتَّوْرَاةِ " . فَأُتِيَ بِهَا فَنَزَعَ الْوِسَادَةَ مِنْ تَحْتِهِ فَوَضَعَ التَّوْرَاةَ عَلَيْهَا ثُمَّ قَالَ " آمَنْتُ بِكِ وَبِمَنْ أَنْزَلَكِ " . ثُمَّ قَالَ " ائْتُونِي بِأَعْلَمِكُمْ " . فَأُتِيَ بِفَتًى شَابٍّ ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ الرَّجْمِ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৫০
২৪. ইয়াহুদী নারী-পুরুষের রজম সম্পর্কে।
৪৩৯৩. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ইয়াহুদীদের থেকে একজন পুরুষ ও একজন নারী ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। তখন তারা একজন অপর জনকে বলেঃ চল আমরা এদের নিয়ে এই নবীর কাছে যাই; কেননা, তাকে শরীআতের হালকা নির্দেশসহ পাঠানো হয়েছে। কাজেই, তিনি যদি আমাদের ব্যাপারে রজমের চাইতে নীচু পর্যায়ের কোন নির্দেশ দেন, তবে আমরা তা মেনে নেব। আর এটি আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট একটি উজ্জ্বল নিদর্শনস্বরূপ হবে যে, আমরা তাক (আল্লাহকে) বলবোঃ এতো তোমার নবীদের মধ্য হতে এক নবীর নির্দেশ।

রাবী বলেনঃ তখন তারা নবী করীম (ﷺ) এর নিকট আসে এবং তিনি তাঁর সাহাবীদের সাথে তখন মসজিদে বসেছিলেন। তারা বলেঃ হে আবুল কাসিম! যে সমস্ত নারী-পুরুষ যিনা করে এদের ব্যাপারে আপনার অভিমত কি? তিনি তাদের সাথে কোন কথা না বলে, তাদের এক মাদ্রাসায় গমন করেন এবং এর দরজায় দাঁড়িয়ে বলেনঃ আমি তোমাদের আল্লাহর নামের শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যিনি মুসার উপর তাওরাত নাযিল করেছেন; তোমরা যিনা সম্পর্কে তাকে কিরূপ নির্দেশ দেখতে পাও, যদি সে ব্যক্তি বিবাহিত হয়? তখন তারা বলেঃ আমাদের নিকট তার শাস্তি হলোঃ তার মুখে কাল দাগ দেওয়া, অসম্মানিত করা এবং বেত্রাঘাত করা। আর এভাবে অপমান করা যে, যিনাকারীদের গাধার পিঠে, তার পিছনের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসিয়ে দিয়ে, লোকদের মাঝে ঘুরানো।

রাবী বলেনঃ এ সময় ইয়াহুদীদের এক যুবক চুপ করে বসে থাকে। নবী (ﷺ) তাকে চুপ থাকতে দেখে, তাকে আল্লাহর নামের শপথ দিয়ে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। তখন সে যুবক বলেঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি যখন আমাকে আল্লাহর নামের শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছেন, তখন আমি বলতে বাধ্য যে, তাওরাতের মধ্যে যিনার শাস্তি হলো রজম। তখন নবী করীম (ﷺ) জিজ্ঞাসা করে, কিরূপে তা পরিবর্তন করলে? তখন সে বলেঃ আমাদের জনৈক বাদশাহ তার একজন নিকটাত্মীয় যিনা করায়, তিনি তাকে রজম করেন নি।

এরপর একজন সাধারণ লোক যিনা করলে, বাদশাহ তাকে রজম করার ইচ্ছা করেন। তখন সে লোকের সম্প্রদায়ের লোকেরা উপস্থিত হয়ে এরূপ দাবী করে যে, যতক্ষণ না বাদশাহ তার নিকটাত্মীয়কে এনে আমাদের সামনে পাথর মেরে হত্যা করবে; ততক্ষণ আমরা আমাদের সম্প্রদায়ের লোককে রজম করতে দেব না। যখন তারা এরূপ শাস্তিদানে (মুখে কাল দাগ ইত্যাদি) একমত হয়ে সমস্যার সমাধান করে। তখন নবী করীম (ﷺ) বলেনঃ আমি তোমাদের ব্যাপারে তাওরাতের হুকুম অনুযায়ী ফায়সালা দিচ্ছি। তিনি সে দু’জনের ব্যাপারে রজমের হুকুম দিলে, তা কার্যকর করা হয়।

রাবী যুহরী (রাহঃ) বলেনঃ আমি জানতে পেরেছি যে, এ আয়াত তাদের সম্পর্কে নাযিল হয়ঃ আমি তাওরাত নাযিল করেছি, যাতে হিদায়াত ও নূর আছে। আর ঐ সব নবীরা তাওরাতের নির্দেশ মত ফায়সালা করে থাকে, যারা আল্লাহর অনুগত। নবী করীম (ﷺ)ও ঐ সমস্ত নবীদের অন্যতম ছিলেন।
باب فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا رَجُلٌ، مِنْ مُزَيْنَةَ ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ سَمِعْتُ رَجُلاً، مِنْ مُزَيْنَةَ مِمَّنْ يَتَّبِعُ الْعِلْمَ وَيَعِيهِ - ثُمَّ اتَّفَقَا - وَنَحْنُ عِنْدَ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ فَحَدَّثَنَا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - وَهَذَا حَدِيثُ مَعْمَرٍ وَهُوَ أَتَمُّ - قَالَ زَنَى رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ وَامْرَأَةٌ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ اذْهَبُوا بِنَا إِلَى هَذَا النَّبِيِّ فَإِنَّهُ نَبِيٌّ بُعِثَ بِالتَّخْفِيفِ فَإِنْ أَفْتَانَا بِفُتْيَا دُونَ الرَّجْمِ قَبِلْنَاهَا وَاحْتَجَجْنَا بِهَا عِنْدَ اللَّهِ قُلْنَا فُتْيَا نَبِيٍّ مِنْ أَنْبِيَائِكَ - قَالَ - فَأَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ فِي أَصْحَابِهِ فَقَالُوا يَا أَبَا الْقَاسِمِ مَا تَرَى فِي رَجُلٍ وَامْرَأَةٍ زَنَيَا فَلَمْ يُكَلِّمْهُمْ كَلِمَةً حَتَّى أَتَى بَيْتَ مِدْرَاسِهِمْ فَقَامَ عَلَى الْبَابِ فَقَالَ " أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى مَا تَجِدُونَ فِي التَّوْرَاةِ عَلَى مَنْ زَنَى إِذَا أُحْصِنَ " . قَالُوا يُحَمَّمُ وَيُجَبَّهُ وَيُجْلَدُ - وَالتَّجْبِيَةُ أَنْ يُحْمَلَ الزَّانِيَانِ عَلَى حِمَارٍ وَتُقَابَلَ أَقْفِيَتُهُمَا وَيُطَافَ بِهِمَا - قَالَ وَسَكَتَ شَابٌّ مِنْهُمْ فَلَمَّا رَآهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَكَتَ أَلَظَّ بِهِ النِّشْدَةَ فَقَالَ اللَّهُمَّ إِذْ نَشَدْتَنَا فَإِنَّا نَجِدُ فِي التَّوْرَاةِ الرَّجْمَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " فَمَا أَوَّلُ مَا ارْتَخَصْتُمْ أَمْرَ اللَّهِ " . قَالَ زَنَى ذُو قَرَابَةٍ مَعَ مَلِكٍ مِنْ مُلُوكِنَا فَأَخَّرَ عَنْهُ الرَّجْمَ ثُمَّ زَنَى رَجُلٌ فِي أُسْرَةٍ مِنَ النَّاسِ فَأَرَادَ رَجْمَهُ فَحَالَ قَوْمُهُ دُونَهُ وَقَالُوا لاَ يُرْجَمُ صَاحِبُنَا حَتَّى تَجِيءَ بِصَاحِبِكَ فَتَرْجُمَهُ فَاصْطَلَحُوا عَلَى هَذِهِ الْعُقُوبَةِ بَيْنَهُمْ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " فَإِنِّي أَحْكُمُ بِمَا فِي التَّوْرَاةِ " . فَأَمَرَ بِهِمَا فَرُجِمَا . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَبَلَغَنَا أَنَّ هَذِهِ الآيَةَ نَزَلَتْ فِيهِمْ ( إِنَّا أَنْزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّونَ الَّذِينَ أَسْلَمُوا ) كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৫১
২৪. ইয়াহুদী নারী-পুরুষের রজম সম্পর্কে।
৪৩৯৪. আব্দুল আযীয ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ইয়াহুদীদের একজন নারী ও একজন পুরুষ যিনা করে, আর তারা ছিল বিবাহিত। এর ঘটনা তখনকার, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সবেমাত্র হিজরত করে মদীনায় আসেন এবং তাওরাতের ও ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের শাস্তির বিধান ছিল পাথর মেরে হত্যা করা। কিন্তু তারা এ নির্দেশ অমান্য করে, যিনাকারীদের জন্য শাস্তি স্বরূপ একশত বেত্রাঘাত এবং গাধার পিঠে উল্টোমুখী বসিয়ে নগর পরিক্রমার মাধ্যমে অপমান করাকে নির্দিষ্ট করে নেয়।

ইয়াহুদীদের কিছু সংখ্যক আলিম একত্র হয়ে, একদল লোককে এ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট পাঠায়। এরপর পূর্ববর্তী হাদীস অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে রাবী বলেনঃ যেহেতু ইয়াহুদীরা তাঁর অনুসারী ছিল না, এ জন্য আল্লাহ তাঁকে এমন ইখতিয়ার দেন যে, যদি তারা আপনার কাছে কোন ব্যাপারে ফায়সালার জন্য আসে, তবে আপনি সে ব্যাপারে ফায়সালা দিতে পারেন এবং না-ও দিতে পারেন। যদি আপনি তাদের ব্যাপারে কোন ফায়সালা দেন, তবে তা যেন ইনসাফ-ভিত্তিক হয়। কেননা, আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালবাসেন।
باب فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى أَبُو الأَصْبَغِ الْحَرَّانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَجُلاً، مِنْ مُزَيْنَةَ يُحَدِّثُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ زَنَى رَجُلٌ وَامْرَأَةٌ مِنَ الْيَهُودِ وَقَدْ أُحْصِنَا حِينَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَقَدْ كَانَ الرَّجْمُ مَكْتُوبًا عَلَيْهِمْ فِي التَّوْرَاةِ فَتَرَكُوهُ وَأَخَذُوا بِالتَّجْبِيَةِ يُضْرَبُ مِائَةً بِحَبْلٍ مَطْلِيٍّ بِقَارٍ وَيُحْمَلُ عَلَى حِمَارٍ وَجْهُهُ مِمَّا يَلِي دُبُرَ الْحِمَارِ فَاجْتَمَعَ أَحْبَارٌ مِنْ أَحْبَارِهِمْ فَبَعَثُوا قَوْمًا آخَرِينَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا سَلُوهُ عَنْ حَدِّ الزَّانِي . وَسَاقَ الْحَدِيثَ قَالَ فِيهِ قَالَ وَلَمْ يَكُونُوا مِنْ أَهْلِ دِينِهِ فَيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ فَخُيِّرَ فِي ذَلِكَ قَالَ ( فَإِنْ جَاءُوكَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ أَوْ أَعْرِضْ عَنْهُمْ ) .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৫২
২৪. ইয়াহুদী নারী-পুরুষের রজম সম্পর্কে।
৪৩৯৫. ইয়াহয়া ইবনে মুসা (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা ইয়াহুদীরা দু’জন যিনাকার নারী-পুরষকে (নবী (ﷺ)-এর নিকট) নিয়ে আসে। তখন তিনি তাদের বলেনঃ তোমরা তোমাদের দু’জন আলিমকে আনো। তখন তারা বিখ্যাত ইয়াহুদী আলিম সুরিয়ার দু’পুত্রকে নিয়ে আসে। তখন তিনি তাদেরকে আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমরা দু’জন এ দুই ব্যক্তি সম্পর্কে তাওরাতে কিরূপ নির্দেশ পেয়েছে? তারা বলেঃ আমরা তাওরাতে এরূপ নির্দেশ পেয়েছি যে, যখন চার ব্যক্তি এরূপ সাক্ষ্য দিবে আমরা পুরুষের পুরুষাঙ্গটি স্ত্রীলোকের যোনীতে এরূপ প্রবেশ করতে দেখেছি, যেরূপ যেরূপ সুরমাদানীর মধ্যে এর শলাকা প্রবেশ করে। এরূপ সাক্ষ্য পাওয়ার পর তাদের রজম করা হয়।

তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ এমতাবস্থায় কিসে তোমাদের এ দু’ব্যক্তিকে পাথর মেরে হত্যা করতে বাঁধা দিচ্ছে? তারা দু’জন বলেঃ আমাদের বাদশাহী চলে গেছে, কাজেই আমরা এরূপ নির্দেশ পালন করতে পছন্দ করি না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাক্ষী আনার জন্য নির্দেশ দিলে, তারা চারজন সাক্ষী নিয়ে আসে। আর তারা এরূপ সাক্ষ্য দেয় যে, তারা পুরুষ লোকটির লিঙ্গ স্ত্রীলোকটির যোনীতে এভাবে প্রবেশ করতে দেখেছে, যেভাবে সুরমাদানীর মধ্যে এর শলাকা প্রবেশ করে। তখন নবী (ﷺ) তাদেরকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ প্রদান করেন।
باب فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى الْبَلْخِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ مُجَالِدٌ أَخْبَرَنَا عَنْ عَامِرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ جَاءَتِ الْيَهُودُ بِرَجُلٍ وَامْرَأَةٍ مِنْهُمْ زَنَيَا فَقَالَ ائْتُونِي بِأَعْلَمِ رَجُلَيْنِ مِنْكُمْ فَأَتَوْهُ بِابْنَىْ صُورِيَا فَنَشَدَهُمَا " كَيْفَ تَجِدَانِ أَمْرَ هَذَيْنِ فِي التَّوْرَاةِ " . قَالاَ نَجِدُ فِي التَّوْرَاةِ إِذَا شَهِدَ أَرْبَعَةٌ أَنَّهُمْ رَأَوْا ذَكَرَهُ فِي فَرْجِهَا مِثْلَ الْمِيلِ فِي الْمُكْحُلَةِ رُجِمَا . قَالَ " فَمَا يَمْنَعُكُمَا أَنْ تَرْجُمُوهُمَا " . قَالاَ ذَهَبَ سُلْطَانُنَا فَكَرِهْنَا الْقَتْلَ فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالشُّهُودِ فَجَاءُوا بِأَرْبَعَةٍ فَشَهِدُوا أَنَّهُمْ رَأَوْا ذَكَرَهُ فِي فَرْجِهَا مِثْلَ الْمِيلِ فِي الْمُكْحُلَةِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِرَجْمِهِمَا .
হাদীস নং:৪৩৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৫৩ - ৪৪৫৪
২৪. ইয়াহুদী নারী-পুরুষের রজম সম্পর্কে।
৪৩৯৬. ওয়াহাব ইবনে বাকীয়া (রাহঃ) .... ইবরাহীম ও শা’বী নবী করীম (ﷺ) হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে সেখানে এর উল্লেখ নেই যে, নবী (ﷺ) তাদের ডাকলে- তারা সাক্ষ্য প্রদান করে।

আশ-শা’বী (রহঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত।
باب فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ هُشَيْمٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، وَالشَّعْبِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ لَمْ يَذْكُرْ فَدَعَا بِالشُّهُودِ فَشَهِدُوا .

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ هُشَيْمٍ، عَنِ ابْنِ شُبْرُمَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، بِنَحْوٍ مِنْهُ ‏.‏