কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৩০. ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
হাদীস নং: ৪২২১
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭০
ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
৬. মু’মিন ব্যক্তিকে হত্যা করা জঘন্য অপরাধ।
৪২২১. মুআম্মাল ইবনে ফযল (রাহঃ) .... খালিদ ইবনে দিহকান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা যখন কুসতুনতুনিয়ার যুদ্ধে ‘যালকা’ নামক স্থানে ছিলাম, তখন ফিলিস্তিনের একজন গণ্য-মান্য ব্যক্তি, যাকে সকলে চিনতো এবং তার নাম ছিল ‘হানি ইবনে কুলছূম ইবনে শারীক কিনানী। তিন এসে আব্দুল্লাহ ইবনে আবু যাকারিয়া (রাযিঃ)-কে সালাম করেন, যার মর্যাদা সম্পর্কে তিনি অবহিত ছিলেন। রাবী বলেনঃ খালিদ (রাহঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনে যাকারিয়া (রাহঃ) আমাকে বলেছেনঃ আমি উম্মে দারদা (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, যিনি আবু দারদা (রাযিঃ)-কে বলতে শোনেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ মহান আল্লাহ মুশরিক অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি এবং যে মু’মিন অন্য মু’মিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে, এরা ব্যতীত অন্য সকলের গুনাহ মাফ করবেন।
এরপর হানী ইবনে কুলছূম (রাহঃ) বলেনঃ আমি মাহমুদ ইবনে রাবী’ (রাহঃ)-কে উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি, যিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মু’মিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করবে এবং তাকে হত্যা করে খুশী হবে, তার কোন ফরয এবং নফল ইবাদত আল্লাহ কবুল করবেন না।
রাবী বলেনঃ এরপর খালিদ আমাদের বলেন, ইবনে আবু যাকারিয়া (রাহঃ) আবু দারদা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেনঃ যতক্ষণ কোন মু’মিন অকারণে কাউকে হত্যা করে না, ততক্ষণ সে নিশ্চিত ও নেককার থাকে। কিন্তু যখন সে কাউকে হত্যা করে, তখন সে নির্ভীক ও জ্ঞান শূন্য হয়ে যায়।
হানী ইবনে কুলছূম (রাহঃ) মাহমুদ ইবনে রাবী’ (রাহঃ) থেকে তিনি উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন।
এরপর হানী ইবনে কুলছূম (রাহঃ) বলেনঃ আমি মাহমুদ ইবনে রাবী’ (রাহঃ)-কে উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি, যিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মু’মিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করবে এবং তাকে হত্যা করে খুশী হবে, তার কোন ফরয এবং নফল ইবাদত আল্লাহ কবুল করবেন না।
রাবী বলেনঃ এরপর খালিদ আমাদের বলেন, ইবনে আবু যাকারিয়া (রাহঃ) আবু দারদা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেনঃ যতক্ষণ কোন মু’মিন অকারণে কাউকে হত্যা করে না, ততক্ষণ সে নিশ্চিত ও নেককার থাকে। কিন্তু যখন সে কাউকে হত্যা করে, তখন সে নির্ভীক ও জ্ঞান শূন্য হয়ে যায়।
হানী ইবনে কুলছূম (রাহঃ) মাহমুদ ইবনে রাবী’ (রাহঃ) থেকে তিনি উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন।
كتاب الفتن
باب فِي تَعْظِيمِ قَتْلِ الْمُؤْمِنِ
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ دِهْقَانَ، قَالَ كُنَّا فِي غَزْوَةِ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ بِذُلُقْيَةَ فَأَقْبَلَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ فِلَسْطِينَ - مِنْ أَشْرَافِهِمْ وَخِيَارِهِمْ يَعْرِفُونَ ذَلِكَ لَهُ يُقَالُ لَهُ هَانِئُ بْنُ كُلْثُومِ بْنِ شَرِيكٍ الْكِنَانِيُّ - فَسَلَّمَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي زَكَرِيَّا وَكَانَ يَعْرِفُ لَهُ حَقَّهُ قَالَ لَنَا خَالِدٌ فَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زَكَرِيَّا قَالَ سَمِعْتُ أُمَّ الدَّرْدَاءِ تَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " كُلُّ ذَنْبٍ عَسَى اللَّهُ أَنْ يَغْفِرَهُ إِلاَّ مَنْ مَاتَ مُشْرِكًا أَوْ مُؤْمِنٌ قَتَلَ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا " . فَقَالَ هَانِئُ بْنُ كُلْثُومٍ سَمِعْتُ مَحْمُودَ بْنَ الرَّبِيعِ يُحَدِّثُ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ أَنَّهُ سَمِعَهُ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ قَتَلَ مُؤْمِنًا فَاعْتَبَطَ بِقَتْلِهِ لَمْ يَقْبَلِ اللَّهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً " . قَالَ لَنَا خَالِدٌ ثُمَّ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي زَكَرِيَّا عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَزَالُ الْمُؤْمِنُ مُعْنِقًا صَالِحًا مَا لَمْ يُصِبْ دَمًا حَرَامًا فَإِذَا أَصَابَ دَمًا حَرَامًا بَلَّحَ " . وَحَدَّثَ هَانِئُ بْنُ كُلْثُومٍ عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ سَوَاءً .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২২২
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭১
ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
৬. মু’মিন ব্যক্তিকে হত্যা করা জঘন্য অপরাধ।
৪২২২. আব্দুর রহমান ইবনে আমর (রাহঃ) .... খালিদ ইবনে দিহকান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া গাসসানী (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করি اعْتَبَطَ بِقَتْلِهِ এ শব্দের অর্থ কি? তিনি বলেনঃ এর অর্থ হলো- যারা ফিতনার যুগে পরস্পর মারামারি-কাটাকাটি করে এবং তাদের একজন অপরজনকে হত্যা করার পর এরূপ মনে করে যে, সে ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত আছে! আর সে ঐ হত্যার পর তাওবা ইসতিগফারও করে না!
كتاب الفتن
باب فِي تَعْظِيمِ قَتْلِ الْمُؤْمِنِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُبَارَكٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، أَوْ غَيْرُهُ قَالَ قَالَ خَالِدُ بْنُ دِهْقَانَ سَأَلْتُ يَحْيَى بْنَ يَحْيَى الْغَسَّانِيَّ عَنْ قَوْلِهِ " اعْتَبَطَ بِقَتْلِهِ " . قَالَ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي الْفِتْنَةِ فَيَقْتُلُ أَحَدُهُمْ فَيَرَى أَنَّهُ عَلَى هُدًى لاَ يَسْتَغْفِرُ اللَّهَ - يَعْنِي - مِنْ ذَلِكَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪২২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭২
ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
৬. মু’মিন ব্যক্তিকে হত্যা করা জঘন্য অপরাধ।
৪২২৩. মুসলিম ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ..... খারিজা ইবনে যায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ)-কে এ স্থানে বলতে শুনেছি। তিনি বলেনঃ এ আয়াতঃ وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمঅর্থাৎ “যে ব্যক্তি কোন মু’মিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করবে, তার শান্তি হলো জাহান্নাম যেখানে সে চিরস্থায়ী হবে”, সূরা ফুরকানের এ আয়াতঃ
وَالَّذِينَ لاَ يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلاَ يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ
অর্থাৎ “যারা আল্লাহর সাথে অন্য কিছুর শরীক করে না এবং আল্লাহ যাদের হত্যা করতে নিষেধ করেছেন, তাদের হত্যা করে না- তবে হক ব্যতীত”- এর ছয় মাস পর নাযিল হয়।
وَالَّذِينَ لاَ يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلاَ يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ
অর্থাৎ “যারা আল্লাহর সাথে অন্য কিছুর শরীক করে না এবং আল্লাহ যাদের হত্যা করতে নিষেধ করেছেন, তাদের হত্যা করে না- তবে হক ব্যতীত”- এর ছয় মাস পর নাযিল হয়।
كتاب الفتن
باب فِي تَعْظِيمِ قَتْلِ الْمُؤْمِنِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ مُجَالِدِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّ خَارِجَةَ بْنَ زَيْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، فِي هَذَا الْمَكَانِ يَقُولُ أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ( وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا ) بَعْدَ الَّتِي فِي الْفُرْقَانِ ( وَالَّذِينَ لاَ يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلاَ يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ ) بِسِتَّةِ أَشْهُرٍ .
হাদীস নং: ৪২২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭৩
ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
৬. মু’মিন ব্যক্তিকে হত্যা করা জঘন্য অপরাধ।
৪২২৪. ইউসুফ ইবনে মুসা (রাহঃ) ..... সাঈদ ইবনে জুবায়ের (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে উপরোক্ত আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেনঃ যখন সূরা ফুরকানের এ আয়াতঃ যারা আল্লাহর সাথে অন্য কিছুর শরীক করে না এবং অন্য্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করে না”-নাযিল হয়, তখন মক্কার (নও-মুসলিম) মুশরিকরা এরূপ বলতে থাকে যে, আমরা তো আল্লাহর সাথে শরীক করেছি, অন্যায়ভাবে হত্যাও করেছি; এ ছাড়া আমরা আরো অনেক গুনাহ করেছি, (এমতাবস্থায় আমাদের নাজাতের ব্যবস্থা কি?) তখন আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেনঃ “আর যে তাওবা করবে, ঈমান আনবে এবং নেক আমল করবে, আল্লাহ তাদের গুনাহকে নেকীতে পরিবর্তিত করে দেবেন”।
আর সূরা নিসার এ আয়াতঃ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মু’মিনকে হত্যা করবে, সে জাহান্নামে যাবে”, ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে নাযিল হয়, যে ইসলামী শরীআতের হুকুম-আহকাম সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া সত্ত্বেও কোন মু’মিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে, সে অবশ্যই জাহান্নামে যাবে এবং তার তাওবা কবুল হবে না। রাবী সাঈদ (রাহঃ) বলেনঃ আমি এ সম্পর্কে মুজাহিদ (রাহঃ)-এর সাথে আলোচনা করলে, তিনি বলেনঃ তবে কেউ যদি যথার্থ-লজ্জিত হয়ে তাওবা করে, তবে তা কবুল হবে।
আর সূরা নিসার এ আয়াতঃ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মু’মিনকে হত্যা করবে, সে জাহান্নামে যাবে”, ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে নাযিল হয়, যে ইসলামী শরীআতের হুকুম-আহকাম সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া সত্ত্বেও কোন মু’মিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে, সে অবশ্যই জাহান্নামে যাবে এবং তার তাওবা কবুল হবে না। রাবী সাঈদ (রাহঃ) বলেনঃ আমি এ সম্পর্কে মুজাহিদ (রাহঃ)-এর সাথে আলোচনা করলে, তিনি বলেনঃ তবে কেউ যদি যথার্থ-লজ্জিত হয়ে তাওবা করে, তবে তা কবুল হবে।
كتاب الفتن
باب فِي تَعْظِيمِ قَتْلِ الْمُؤْمِنِ
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، أَوْ حَدَّثَنِي الْحَكَمُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ لَمَّا نَزَلَتِ الَّتِي فِي الْفُرْقَانِ ( وَالَّذِينَ لاَ يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلاَ يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ ) قَالَ مُشْرِكُو أَهْلِ مَكَّةَ قَدْ قَتَلْنَا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ وَدَعَوْنَا مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَأَتَيْنَا الْفَوَاحِشَ . فَأَنْزَلَ اللَّهُ ( إِلاَّ مَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلاً صَالِحًا فَأُولَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ ) فَهَذِهِ لأُولَئِكَ قَالَ وَأَمَّا الَّتِي فِي النِّسَاءِ ( وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ ) الآيَةُ قَالَ الرَّجُلُ إِذَا عَرَفَ شَرَائِعَ الإِسْلاَمِ ثُمَّ قَتَلَ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ لاَ تَوْبَةَ لَهُ . فَذَكَرْتُ هَذَا لِمُجَاهِدٍ فَقَالَ إِلاَّ مَنْ نَدِمَ .
হাদীস নং: ৪২২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭৪
ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
৬. মু’মিন ব্যক্তিকে হত্যা করা জঘন্য অপরাধ।
৪২২৫. আহমদ ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এ আয়াতঃ الَّذِينَ لاَ يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ অর্থাৎ “যারা আল্লাহর সাথে অন্য কিছুর শরীক করে না ...” এর অর্থ ঐসব লোক, যারা শিরক করেছে এবং শিরক করা অবস্থায় অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে; তাদের গুনাহ ঈমান আনার পর এবং তাওবা করার পর মাফ হয়ে যাবে। এর দলীল হলো এ আয়াতঃ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ “বলুনঃ হে আমার বান্দাগণ! যারা তাদের নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছে ...।
كتاب الفتن
باب فِي تَعْظِيمِ قَتْلِ الْمُؤْمِنِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي يَعْلَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ فِي ( الَّذِينَ لاَ يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ ) أَهْلُ الشِّرْكِ قَالَ وَنَزَلَ ( يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ ) .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭৫
ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
৬. মু’মিন ব্যক্তিকে হত্যা করা জঘন্য অপরাধ।
৪২২৬. আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এ আয়াত (وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا) অর্থাৎ “যে ব্যক্তি কোন মু’মিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে ...” অন্য কোন আয়াত দ্বারা রহিত হয়নি।
كتاب الفتن
باب فِي تَعْظِيمِ قَتْلِ الْمُؤْمِنِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ النُّعْمَانِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ ( وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا ) قَالَ مَا نَسَخَهَا شَىْءٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭৬
ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
৬. মু’মিন ব্যক্তিকে হত্যা করা জঘন্য অপরাধ।
৪২২৭. আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) .... আবু মাজলায (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এ আয়াতঃ “যে ব্যক্তি কোন মু’মিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করবে, তার ঠিকানা হলো জাহান্নাম”, এর অর্থঃ জাহান্নাম-ই তার প্রাপ্য। তবে আল্লাহ যদি ইচ্ছা করেন, তবে তাকে ক্ষমাও করে দিতে পারেন।
كتاب الفتن
باب فِي تَعْظِيمِ قَتْلِ الْمُؤْمِنِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، فِي قَوْلِهِ ( وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ ) قَالَ هِيَ جَزَاؤُهُ فَإِنْ شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَتَجَاوَزَ عَنْهُ فَعَلَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: