কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

২৪. গোলাম আযাদ করা সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৮৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২৯
২. মুকাতিব দাসের চুক্তিভঙ্গ হওয়ার পর তা বিক্রি সম্পর্কে।
৩৮৮৮. কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) .... উরওয়া (রাহঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, একদা বারীরা তার (আয়িশার) কাছে এসে তাঁর মুক্তিপণের টাকার জন্য সাহায্য চায়। আর তখনও তিনি তার মুক্তির জন্য কোন টাকা আদায় করেননি। তখন আয়িশা (রাযিঃ) তাকে বলেনঃ তুমি তোমার মনিবের কাছে জিজ্ঞাসা কর, যদি তিনি মানেন যে, তোমার মুক্তিপণের টাকা পরিশোধের পর, তুমি মারা গেলে তোমার পরিত্যক্ত সম্পদের মালিক আমি হব, তবে আমি তোমরা দেয়া সমস্ত টাকা পরিশোধ করে দেব।

তখন বারীরা (রাযিঃ) তাঁর মনিবের সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে, তারা তা মানতে অস্বীকার করে এবং বলেঃ যদি আয়িশা (রাযিঃ) তোমাকে আল্লাহর ওয়াস্তে সাহায্য করতে চান, করতে পারেনঃ কিন্তু তোমার পরিত্যক্ত সম্পদের মালিকানা হবে আমাদের। তখন তিনি এ ব্যাপারটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে আলোচনা করলে, তিনি বলেনঃ তুমি তাঁকে খরিদ করে মুক্ত করে দাও। কেননা, যে মুক্ত করে, দাসের পরিত্যাক্ত সম্পদ তারই। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে বলেনঃ লোকদের কি হয়েছে যে, তারা এরূপ শর্ত আরোপ করে, যা আল্লাহর কিতাবে নেই। আর তারা যদি এরূপ শর্ত আরোপ করে, যার উল্লেখ কুরআনে নেই, তবে তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য, যদি একশতবার করা হয়। আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সত্য ও মজবুত।
باب فِي بَيْعِ الْمُكَاتَبِ إِذَا فُسِخَتِ الْكِتَابَةُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَخْبَرَتْهُ أَنَّ بَرِيرَةَ جَاءَتْ عَائِشَةَ تَسْتَعِينُهَا فِي كِتَابَتِهَا وَلَمْ تَكُنْ قَضَتْ مِنْ كِتَابَتِهَا شَيْئًا فَقَالَتْ لَهَا عَائِشَةُ ارْجِعِي إِلَى أَهْلِكِ فَإِنْ أَحَبُّوا أَنْ أَقْضِيَ عَنْكِ كِتَابَتَكِ وَيَكُونَ وَلاَؤُكِ لِي فَعَلْتُ . فَذَكَرَتْ ذَلِكَ بَرِيرَةُ لأَهْلِهَا فَأَبَوْا وَقَالُوا إِنْ شَاءَتْ أَنْ تَحْتَسِبَ عَلَيْكِ فَلْتَفْعَلْ وَيَكُونَ لَنَا وَلاَؤُكِ . فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ابْتَاعِي فَأَعْتِقِي فَإِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ " . ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا بَالُ أُنَاسٍ يَشْتَرِطُونَ شُرُوطًا لَيْسَتْ فِي كِتَابِ اللَّهِ مَنِ اشْتَرَطَ شَرْطًا لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَلَيْسَ لَهُ وَإِنْ شَرَطَهُ مِائَةَ مَرَّةٍ شَرْطُ اللَّهِ أَحَقُّ وَأَوْثَقُ " .
হাদীস নং:৩৮৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৩০
২. মুকাতিব দাসের চুক্তিভঙ্গ হওয়ার পর তা বিক্রি সম্পর্কে।
৩৮৮৯. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা বারীরা (রাযিঃ) তাঁর মুক্তিপণের টাকার সাহায্যের জন্য এসে বলে যে, আমার মনিব আমার সাথে নয় ওকিয়ার বিনিময়ে মক্তিদানের লক্ষ্যে এরূপ চুক্তি করেছেন যে, আমি প্রতি বছর এক উকিয়া পরিশোধ করবে। কাজেই, এব্যাপারে আপনি আমায় সাহায্য করুন। তখন আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ তোমার মনিব রাযী হলে আমি তোমার দেয়া সমস্ত টাকা এক সাথে পরিশোধ করে দেব, তবে শর্ত হলো, তোমার পরিত্যক্ত সম্পদের মালিকানা হবে আমার। তখন বারীরা (রাযিঃ) এ ব্যাপারে তাঁর মনিবের সাথে আলোচনা করেন।

রাবী, যুহরী (রাহঃ) হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন এবং শেষে এরূপ বলেন যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ লোকদের কি হয়েছে যে, তারা অন্যকে বলে মুক্তিপণ দেওয়ার জন্য, আর সে নিজেই তার পরিত্যাক্ত সম্পদের দাবী করে! বস্তুত দাসের পরিত্যাক্ত সম্পদের মালিক সে, যে তাকে মুক্ত করে।
باب فِي بَيْعِ الْمُكَاتَبِ إِذَا فُسِخَتِ الْكِتَابَةُ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ جَاءَتْ بَرِيرَةُ لِتَسْتَعِينَ فِي كِتَابَتِهَا فَقَالَتْ إِنِّي كَاتَبْتُ أَهْلِي عَلَى تِسْعِ أَوَاقٍ فِي كُلِّ عَامٍ أُوقِيَّةٌ فَأَعِينِينِي . فَقَالَتْ إِنْ أَحَبَّ أَهْلُكِ أَنْ أَعُدَّهَا عَدَّةً وَاحِدَةً وَأُعْتِقَكِ وَيَكُونَ وَلاَؤُكِ لِي فَعَلْتُ . فَذَهَبَتْ إِلَى أَهْلِهَا وَسَاقَ الْحَدِيثَ نَحْوَ الزُّهْرِيِّ زَادَ فِي كَلاَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي آخِرِهِ " مَا بَالُ رِجَالٍ يَقُولُ أَحَدُهُمْ أَعْتِقْ يَا فُلاَنُ وَالْوَلاَءُ لِي إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ " .
হাদীস নং:৩৮৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৩১
২. মুকাতিব দাসের চুক্তিভঙ্গ হওয়ার পর তা বিক্রি সম্পর্কে।
৩৮৯০. আব্দুল আযীয ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জুয়ায়রিয়া বিনতে হারিছ ইবনে মুসতালিক, ছাবিত ইবনে কায়স ইবনে শামমাম (রাযিঃ), অথবা তাঁর চাচাতো ভাইয়ের অংশে (যুদ্ধ বন্দী হিসাবে) পড়েন। তিনি নিজেকে মুকাতিব দাসী হিসাবে সাব্যস্ত করেন তিনি একজন সুন্দরী, সুশ্রী রমণী ছিলেন, যা প্রত্যেকের জন্য আকর্ষণীয় ছিল। আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট তার মুক্তিপণের টাকার জন্য আবেদন করার উদ্দেশ্যে আসেন। তিনি যখন দরজার কাছে এসে দাঁড়ান, তখন তাকে দেখে আমার খুব খারাপ লাগে। কেননা আমার মনে হচ্ছিল, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সে সৌন্দর্য দেখবেন, যা আমি দেখেছি। তখন জুয়ায়রিয়া বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি জুয়ায়রিয়া বিনতে হারিছ। আর আমার ব্যাপারটি আপনার কাছে গোপন নয়।

আমি (যুদ্ধ বন্দী হিসাবে) ছাবিত ইবনে কায়স ইবনে শামমামের ভাগে পড়েছি, আর আমি তাঁকে মুক্তিপণ দিয়ে বন্ধনমুক্ত হওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এজন্য আমি আমার মুক্তিপণের টাকার প্রয়োজনে আপনার কাছে এসেছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তুমি কি এর চাইতে উত্তম কোন ব্যাপারে সম্মত আছো? সে বলে তা কি ইয়া রাসূলাল্লাহ? তিনি বলেন, আমি তোমার পক্ষ হতে তোমার যাবতীয় মুক্তিপণ আদায় করে দেব এবং তোমাকে বিয়ে করবো।

তখন জুয়ায়রিয়া বলেন, আমি এতে রাযী আছি। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, লোকেরা যখন শুনলো যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জুয়ায়রিয়াকে বিয়ে করেছেন, তখন তাদের হাতে বনু মুসতালিকের যত বন্দী ছিল, সকলকে মুক্ত করে দেয় এবং তারা বলেন এরা তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর শ্বশুর বংশের লোক। (আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ) আমি তাঁর চাইতে ভাগ্যবতী আর কাউকে দেখিনি, যার কারণে তাঁর সম্প্রদায়ের লোকেরা এত উপকৃত হয়েছে! কেননা, তাঁর জন্যই বনু মুসতালিকের একশত বন্দী মুক্তি পায়।
باب فِي بَيْعِ الْمُكَاتَبِ إِذَا فُسِخَتِ الْكِتَابَةُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى أَبُو الأَصْبَغِ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ - عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ وَقَعَتْ جُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ الْمُصْطَلِقِ فِي سَهْمِ ثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ أَوِ ابْنِ عَمٍّ لَهُ فَكَاتَبَتْ عَلَى نَفْسِهَا وَكَانَتِ امْرَأَةً مَلاَّحَةً تَأْخُذُهَا الْعَيْنُ - قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها - فَجَاءَتْ تَسْأَلُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي كِتَابَتِهَا فَلَمَّا قَامَتْ عَلَى الْبَابِ فَرَأَيْتُهَا كَرِهْتُ مَكَانَهَا وَعَرَفْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَيَرَى مِنْهَا مِثْلَ الَّذِي رَأَيْتُ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَا جُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ وَإِنَّمَا كَانَ مِنْ أَمْرِي مَا لاَ يَخْفَى عَلَيْكَ وَإِنِّي وَقَعْتُ فِي سَهْمِ ثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ وَإِنِّي كَاتَبْتُ عَلَى نَفْسِي فَجِئْتُكَ أَسْأَلُكَ فِي كِتَابَتِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَهَلْ لَكِ إِلَى مَا هُوَ خَيْرٌ مِنْهُ " . قَالَتْ وَمَا هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " أُؤَدِّي عَنْكِ كِتَابَتَكِ وَأَتَزَوَّجُكِ " . قَالَتْ قَدْ فَعَلْتُ قَالَتْ فَتَسَامَعَ - تَعْنِي النَّاسَ - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ تَزَوَّجَ جُوَيْرِيَةَ فَأَرْسَلُوا مَا فِي أَيْدِيهِمْ مِنَ السَّبْىِ فَأَعْتَقُوهُمْ وَقَالُوا أَصْهَارُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا رَأَيْنَا امْرَأَةً كَانَتْ أَعْظَمَ بَرَكَةً عَلَى قَوْمِهَا مِنْهَا أُعْتِقَ فِي سَبَبِهَا مِائَةُ أَهْلِ بَيْتٍ مِنْ بَنِي الْمُصْطَلِقِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا حُجَّةٌ فِي أَنَّ الْوَلِيَّ هُوَ يُزَوِّجُ نَفْسَهُ .