কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২২. খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৭৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৪০
৪৯৭. সমুদ্রের জীব সম্পর্কে।
৩৭৯৬. আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু উবাইদা (রাযিঃ)-কে আমাদের আমীর নিযুক্ত করে আমাদেরকে কুরাইশদের একটি কাফেলাকে পাঁকড়াও করে আনার জন্য প্রেরণ করেন এবং রাস্তায় খাওয়ার জন্য এক থলি খেজুরও প্রদান করেন। এ খেজুর ছাড়া আমাদের সাথে আর কোন খেজুর না থাকায় আবু উবাইদা (রাযিঃ) আমাদের মাত্র একটি করে খেজুর দিতেন, যা আমরা বাচ্চাদের মত চুষতাম এবং তা মুখে রেখে পানি পান করতাম। আর তা সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের জন্য যথেষ্ট হতো।
এছাড়া আমরা আমাদের লাঠি দিয়ে গাছের পাতা পেড়ে তা পানিতে ভিজিয়ে খেতাম। এ অবস্থায় আমরা যখন সমুদ্রের নিকটবর্তী হই, তখন আমরা উঁচু বালুস্তূপের মত কিছু দেখতে পাই। যখন আমরা এর কাছে পৌছাই, তখন জানতে পারি যে, এটি একটি সমুদ্রের জীব, যাকে ’আম্বর’ বলা হয়। সেটিকে দেখে আবু উবাইদা (রাযিঃ) বলেনঃ এতো মৃত জীব, এটি খাওয়া আমাদের জন্য জায়েয নয়। এরপর তিনি বলেনঃ আমরা তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্তৃক প্রেরিত হয়েছি এবং আল্লাহর রাস্তায় সফর করছি। এখন তোমরা অসহায় অবস্থায় পরেছ, কাজেই তোমরা তা খাও।
জাবির (রাযিঃ) বলেনঃ আমরা সেখানে এক মাসের মত অবস্থান করেছিলাম এবং আমাদের সংখ্যা ছিল তিন শ’তের মত। ফলে, আমরা তা খেতে থাকি, এমনকি আমরা সবাই মোটা-তাজা হয়ে যাই। এরপর আমরা যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে ফিরে আসি, তখন এ বিষয়ে তাঁকে অবহিত করি। তিনি বলেনঃ এ ছিল একটি বিশেষ ধরনের খাদ্য, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য (সমুদ্র থেকে) বের করেছেন। কী, তোমাদের কাছে এর কোন গোশত আছে নাকি, যা তোমরা আমাকে খাওয়াবে? তখন আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট সে মাছের গোশত প্রেরণ করি, (যা তিনি খান)।
এছাড়া আমরা আমাদের লাঠি দিয়ে গাছের পাতা পেড়ে তা পানিতে ভিজিয়ে খেতাম। এ অবস্থায় আমরা যখন সমুদ্রের নিকটবর্তী হই, তখন আমরা উঁচু বালুস্তূপের মত কিছু দেখতে পাই। যখন আমরা এর কাছে পৌছাই, তখন জানতে পারি যে, এটি একটি সমুদ্রের জীব, যাকে ’আম্বর’ বলা হয়। সেটিকে দেখে আবু উবাইদা (রাযিঃ) বলেনঃ এতো মৃত জীব, এটি খাওয়া আমাদের জন্য জায়েয নয়। এরপর তিনি বলেনঃ আমরা তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্তৃক প্রেরিত হয়েছি এবং আল্লাহর রাস্তায় সফর করছি। এখন তোমরা অসহায় অবস্থায় পরেছ, কাজেই তোমরা তা খাও।
জাবির (রাযিঃ) বলেনঃ আমরা সেখানে এক মাসের মত অবস্থান করেছিলাম এবং আমাদের সংখ্যা ছিল তিন শ’তের মত। ফলে, আমরা তা খেতে থাকি, এমনকি আমরা সবাই মোটা-তাজা হয়ে যাই। এরপর আমরা যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে ফিরে আসি, তখন এ বিষয়ে তাঁকে অবহিত করি। তিনি বলেনঃ এ ছিল একটি বিশেষ ধরনের খাদ্য, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য (সমুদ্র থেকে) বের করেছেন। কী, তোমাদের কাছে এর কোন গোশত আছে নাকি, যা তোমরা আমাকে খাওয়াবে? তখন আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট সে মাছের গোশত প্রেরণ করি, (যা তিনি খান)।
باب فِي دَوَابِّ الْبَحْرِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَّرَ عَلَيْنَا أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ نَتَلَقَّى عِيرًا لِقُرَيْشٍ وَزَوَّدَنَا جِرَابًا مِنْ تَمْرٍ لَمْ نَجِدْ لَهُ غَيْرَهُ فَكَانَ أَبُو عُبَيْدَةَ يُعْطِينَا تَمْرَةً تَمْرَةً كُنَّا نَمُصُّهَا كَمَا يَمُصُّ الصَّبِيُّ ثُمَّ نَشْرَبُ عَلَيْهَا مِنَ الْمَاءِ فَتَكْفِينَا يَوْمَنَا إِلَى اللَّيْلِ وَكُنَّا نَضْرِبُ بِعِصِيِّنَا الْخَبَطَ ثُمَّ نَبُلُّهُ بِالْمَاءِ فَنَأْكُلُهُ وَانْطَلَقْنَا عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ فَرُفِعَ لَنَا كَهَيْئَةِ الْكَثِيبِ الضَّخْمِ فَأَتَيْنَاهُ فَإِذَا هُوَ دَابَّةٌ تُدْعَى الْعَنْبَرَ فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ مَيْتَةٌ وَلاَ تَحِلُّ لَنَا ثُمَّ قَالَ لاَ بَلْ نَحْنُ رُسُلُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَقَدِ اضْطُرِرْتُمْ إِلَيْهِ فَكُلُوا فَأَقَمْنَا عَلَيْهِ شَهْرًا وَنَحْنُ ثَلاَثُمِائَةٍ حَتَّى سَمِنَّا فَلَمَّا قَدِمْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ " هُوَ رِزْقٌ أَخْرَجَهُ اللَّهُ لَكُمْ فَهَلْ مَعَكُمْ مِنْ لَحْمِهِ شَىْءٌ فَتُطْعِمُونَا مِنْهُ " . فَأَرْسَلْنَا مِنْهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .فَأَكَلَ