কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২২. খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৩৭১১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৫৩
খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
৪৫৭. মেহমানের জন্য অন্যের মাল খাওয়ার হুকুম বাতিল হওয়া।
৩৭১১. আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ (অর্থ) ″তোমরা একে অন্যের মাল অবৈধভাবে খাবে না, অবশ্য ব্যবসার মধ্যে একে অন্যের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে একজন অপর জনের মাল গ্রহণ করতে পার।″ এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর এতে অন্যের বাড়ীতে আহার করাকে গুনাহের কাজ বলে মনে করতে থাকে। পরে এ আয়াতের হুকুম সূরা নূরের এ আয়াত দ্বারা মানুসূখ বা রহিত হয়ে যায়। আয়াতটি হলোঃ (অর্থ) এতে তোমাদের কোন গুনাহ নেই যে, তোমরা খাদ্য খাবে তোমাদের ঘরে, অথবা তোমাদের মাতা-পিতার ঘরে, অথবা নিজের সন্তানের ঘরে, অথবা ভাই ও বোনের ঘরে, অথবা চাচাত ও ফুফীর ঘরে, অথবা মামা ও খালার ঘরে, অথবা ঐ ঘরে যার চাবির মালিক তুমি নিজে, অথবা কোন দোস্ত ও বন্ধুর বাড়ীতে।
এ আয়াত নাযিল হওয়ার আগে লোকদের অবস্থা এরূপ ছিল যে, যদি কোন ধনী ব্যক্তি তার কোন বন্ধু-রান্ধবকে দাওয়াত দিত, তখন সে বলতোঃ আমি তো এখাদ্য গ্রহণ করাকে গুনাহ বলে মনে করি। আর সে আরো বলতোঃ মিসকীন ব্যক্তি এখাদ্য গ্রহণে আমার চাইতে অধিক হকদার। বস্তুত এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর এ সমস্যা দূরীভূত হয় যে, তারা একে অন্যের বাড়ীতে খাদ্য গ্রহণ করবে এ শর্তে যে, সে খাদ্যবস্তু (প্রাণী) এমন হবে, যার উপর তা (যবেহর সময়) আল্লাহর নাম নেয়া হবে, আর আহলে কিতাব বা কিতাবধারীদের খাদ্য গ্রহণ করাও বৈধ সাব্যস্ত হয়।*
* অর্থাৎ যখন কোন মুসলমান বা কিতাবধারী (ইয়াহূদী ও নাসারা) 'বিস্মিল্লাহ্' বলে কোন প্রাণী যবাহ করবে এবং অন্য মুসলমানকে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেবে, তখন সেখানে খাদ্য গ্রহণ করতে পারবে। - (অনুবাদক)
এ আয়াত নাযিল হওয়ার আগে লোকদের অবস্থা এরূপ ছিল যে, যদি কোন ধনী ব্যক্তি তার কোন বন্ধু-রান্ধবকে দাওয়াত দিত, তখন সে বলতোঃ আমি তো এখাদ্য গ্রহণ করাকে গুনাহ বলে মনে করি। আর সে আরো বলতোঃ মিসকীন ব্যক্তি এখাদ্য গ্রহণে আমার চাইতে অধিক হকদার। বস্তুত এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর এ সমস্যা দূরীভূত হয় যে, তারা একে অন্যের বাড়ীতে খাদ্য গ্রহণ করবে এ শর্তে যে, সে খাদ্যবস্তু (প্রাণী) এমন হবে, যার উপর তা (যবেহর সময়) আল্লাহর নাম নেয়া হবে, আর আহলে কিতাব বা কিতাবধারীদের খাদ্য গ্রহণ করাও বৈধ সাব্যস্ত হয়।*
* অর্থাৎ যখন কোন মুসলমান বা কিতাবধারী (ইয়াহূদী ও নাসারা) 'বিস্মিল্লাহ্' বলে কোন প্রাণী যবাহ করবে এবং অন্য মুসলমানকে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেবে, তখন সেখানে খাদ্য গ্রহণ করতে পারবে। - (অনুবাদক)
كتاب الأطعمة
باب نَسْخِ الضَّيْفِ يَأْكُلُ مِنْ مَالِ غَيْرِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ ( لاَ تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِنْكُمْ ) فَكَانَ الرَّجُلُ يُحْرَجُ أَنْ يَأْكُلَ عِنْدَ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ بَعْدَ مَا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فَنَسَخَ ذَلِكَ الآيَةُ الَّتِي فِي النُّورِ قَالَ ( لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ ) ( أَنْ تَأْكُلُوا مِنْ بُيُوتِكُمْ ) إِلَى قَوْلِهِ ( أَشْتَاتًا ) كَانَ الرَّجُلُ الْغَنِيُّ يَدْعُو الرَّجُلَ مِنْ أَهْلِهِ إِلَى الطَّعَامِ قَالَ إِنِّي لأَجَّنَّحُ أَنْ آكُلَ مِنْهُ . وَالتَّجَنُّحُ الْحَرَجُ وَيَقُولُ الْمِسْكِينُ أَحَقُّ بِهِ مِنِّي . فَأُحِلَّ فِي ذَلِكَ أَنْ يَأْكُلُوا مِمَّا ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَأُحِلَّ طَعَامُ أَهْلِ الْكِتَابِ .
তাহকীক: