কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

২১. (হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩৬৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭১০
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
৪৩৮. নাবীযের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
৩৬৬৮. ঈসা ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ..... দায়লামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করি; ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি তো জানেন, আমরা কারা এবং কোথায় আমরা থাকি, আর কার কাছে এসেছি? তিনি বলেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কাছে এসেছ। তখন আমি বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের ওখানে প্রচুর আংগুর উৎপন্ন হয়, আমরা তা দিয়ে কি করবো? তিনি বলেনঃ তোমরা তা শুকিয়ে রাখবে। এরপর জিজ্ঞাসা করিঃ আমরা আঙ্গুর শুকিয়ে কি করবো? তিনি বলেনঃ তোমরা তা সকালে ভিজিয়ে রেখে সন্ধ্যায় পান করবে এবং সন্ধ্যায় ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করবে। আর তা চামড়ার মশক ও কলসীর মধ্যে ভিজাবে না। কেননা, তা চটকাতে বিলম্ব হলে সির্কা হয়ে যাবে।
كتاب الأشربة
باب فِي صِفَةِ النَّبِيذِ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ، عَنِ السَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الدَّيْلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ عَلِمْتَ مَنْ نَحْنُ وَمِنْ أَيْنَ نَحْنُ فَإِلَى مَنْ نَحْنُ قَالَ " إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ " . فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لَنَا أَعْنَابًا مَا نَصْنَعُ بِهَا قَالَ " زَبِّبُوهَا " . قُلْنَا مَا نَصْنَعُ بِالزَّبِيبِ قَالَ " انْبِذُوهُ عَلَى غَدَائِكُمْ وَاشْرَبُوهُ عَلَى عَشَائِكُمْ وَانْبِذُوهُ عَلَى عَشَائِكُمْ وَاشْرَبُوهُ عَلَى غَدَائِكُمْ وَانْبِذُوهُ فِي الشِّنَانِ وَلاَ تَنْبِذُوهُ فِي الْقُلَلِ فَإِنَّهُ إِذَا تَأَخَّرَ عَنْ عَصْرِهِ صَارَ خَلاًّ " .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭১১
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
৪৩৮. নাবীযের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
৩৬৬৯. মুহাম্মাদ ইবনে মুছান্না (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য এমন মশকে নাবীয তৈরী করা হতো, যার মুখ উপর দিক থেকে বন্ধ করা যেত। আর ঐ মশকের নীচের দিকেও একটি মুখ থাকতো, যা দিয়ে নাবীয পান করা হতো। যে নাবীয সকালে তৈরী করা হতো, তিনি তা সন্ধ্যায় পান করতেন এবং যা সন্ধ্যায় তৈরী করা হতো, তিনি তা সকালে পান করতেন।
كتاب الأشربة
باب فِي صِفَةِ النَّبِيذِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ كَانَ يُنْبَذُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سِقَاءٍ يُوكَأُ أَعْلاَهُ وَلَهُ عَزْلاَءُ يُنْبَذُ غُدْوَةً فَيَشْرَبُهُ عِشَاءً وَيُنْبَذُ عِشَاءً فَيَشْرَبُهُ غُدْوَةً .
হাদীস নং: ৩৬৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭১২
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
৪৩৮. নাবীযের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
৩৬৭০. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জন্য সকালে নাবীয তৈরী করতেন। এর পর সন্ধ্যা হলে তিনি তা সন্ধ্যায় পান করতেন। আর যা অতিরিক্ত থাকতো, আমি তা ফেলে দিতাম অথবা পাত্র খালি করে ফেলতাম। এরপর রাতে তার জন্য যে নাবীয বানানো হতো, তিনি তা সকাল হলে সকালের নাশতা খাওয়ার পর পান করতেন। তিনি আরো বলেনঃ আমি সকাল-সন্ধ্যায় মশক ধৌত করতাম। রাবী বলেন আমার পিতা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেনঃ একদিনে কি দু’বার মশক ধোয়া হতো? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ।
كتاب الأشربة
باب فِي صِفَةِ النَّبِيذِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ شَبِيبَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ، يُحَدِّثُ عَنْ مُقَاتِلِ بْنِ حَيَّانَ، قَالَ حَدَّثَتْنِي عَمَّتِي، عَمْرَةُ عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّهَا كَانَتْ تَنْبِذُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غُدْوَةً فَإِذَا كَانَ مِنَ الْعَشِيِّ فَتَعَشَّى شَرِبَ عَلَى عَشَائِهِ وَإِنْ فَضَلَ شَىْءٌ صَبَبْتُهُ - أَوْ فَرَغْتُهُ - ثُمَّ تَنْبِذُ لَهُ بِاللَّيْلِ فَإِذَا أَصْبَحَ تَغَدَّى فَشَرِبَ عَلَى غَدَائِهِ قَالَتْ نَغْسِلُ السِّقَاءَ غُدْوَةً وَعَشِيَّةً فَقَالَ لَهَا أَبِي مَرَّتَيْنِ فِي يَوْمٍ قَالَتْ نَعَمْ .
হাদীস নং: ৩৬৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭১৩
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
৪৩৮. নাবীযের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
৩৬৭১. মাখলাদ ইবনে খালিদ (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ)-এর জন্য কিশমিশের নাবীয তৈরী করা হতো। তিনি তা সমস্ত দিন পান করতেন, পরদিনও পান করতেন এমন কি তার পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তা পান করতেন। এরপর তাঁর নির্দেশে তা খাদিমদেরও পান করানো হতো অথবা তা ঢেলে ফেলে দেওয়া হতো।
كتاب الأشربة
باب فِي صِفَةِ النَّبِيذِ
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي عُمَرَ، يَحْيَى الْبَهْرَانِيِّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ يُنْبَذُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الزَّبِيبُ فَيَشْرَبُهُ الْيَوْمَ وَالْغَدَ وَبَعْدَ الْغَدِ إِلَى مَسَاءِ الثَّالِثَةِ ثُمَّ يَأْمُرُ بِهِ فَيُسْقَى الْخَدَمَ أَوْ يُهَرَاقُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ مَعْنَى يُسْقَى الْخَدَمَ يُبَادَرُ بِهِ الْفَسَادُ .