কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২১. (হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৬২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৬৯
৪২৯. মদ হারাম হওয়া সম্পর্কে।
৩৬২৮. আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) ..... উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন মদ হারাম হওয়ার হুকুম নাযিল হয়, তখন পাঁচটি জিনিস দিয়ে মদ তৈরী করা হতো। যেমন--(১) আংগুর, (২) খেজুর, (৩) মধু, (৪) গম এবং (৫) যব থেকে। আর মদ হলো ঐ জিনিস, যা মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধিকে তিরোহিত করে। আর আমি চাইতাম যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেন ততদিন আমাদের থেকে পৃথক না হন, যতদিন না তিনটি জিনিসের হুকুম সম্পর্কে আমরা তাঁর সর্বশেষ সিদ্ধান্ত পাই। আর তা হলোঃ দাদার প্রাপ্য অংশ, উত্তরাধিকারহীন পরিত্যক্ত সস্পওির অবস্থা এবং সুদের যাবতীয় মামলা।
باب فِي تَحْرِيمِ الْخَمْرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ، حَدَّثَنِي الشَّعْبِيُّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ نَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ يَوْمَ نَزَلَ وَهِيَ مِنْ خَمْسَةِ أَشْيَاءَ مِنَ الْعِنَبِ وَالتَّمْرِ وَالْعَسَلِ وَالْحِنْطَةِ وَالشَّعِيرِ وَالْخَمْرُ مَا خَامَرَ الْعَقْلَ وَثَلاَثٌ وَدِدْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يُفَارِقْنَا حَتَّى يَعْهَدَ إِلَيْنَا فِيهِنَّ عَهْدًا نَنْتَهِي إِلَيْهِ الْجَدُّ وَالْكَلاَلَةُ وَأَبْوَابٌ مِنْ أَبْوَابِ الرِّبَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৭০
৪২৯. মদ হারাম হওয়া সম্পর্কে।
৩৬২৯. আব্বাদ ইবনে মুসা (রাহঃ) ..... উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন মদ হারাম হওয়ার হুকুম নাযিল হয়, তখন উমর (রাযিঃ) বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য মদের হুকুম স্পষ্টরূপে বর্ণনা করুন। তখন এ আয়াত নাযিল হয়, যা সূরা বাকারাতে আছেঃ লোকেরা আপনার নিকট মদ ও জুয়ার হুকুম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। আপনি তাদের বলে দিন যে, এ দুটিতে আছে বড় গুনাহ ......... আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
এরপর উমর (রাযিঃ)-কে ডাকা হয় এবং আয়াতটি তাঁকে শোনান হয়। তখন তিনি বলেনঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য মদের হুকুম স্পষ্ট করে বলে দিন। তখন সূরা নিসার এ আয়াত নাযিল হয়ঃ ওহে যারা ঈমান এনেছ, তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের নিকটবর্তী হয়ো না।
এরপর নামাযের ইকামত শুরু হওয়ার আগেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আহবানকারী এরূপ ঘোষণা করতেন যে, কোন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি যেন নামাযে শরীক না হয়। পরে উমর (রাযিঃ)-কে ডেকে এ আয়াত শোনান হয়। তখন তিনি বলেনঃ ইয়া আল্লাহ! আমাদের জন্য মদের হুকুম স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিন। এরপর এ আয়াত নাযিল হয়ঃ নিশ্চয় মদ এবং জুয়া ইত্যাদি এরূপ জঘন্য শয়তানী আমল, যা দ্বারা শয়তান মানুষের মধ্যে দুশমনী সৃষ্টি করে এবং এর দ্বারা আল্লাহর যিকির হতে বিরত রাখে। তবু কি তোমরা ফিরে আসবে না? তখন উমর (রাযিঃ) বলেনঃ আমরা ফিরে আসলাম।
এরপর উমর (রাযিঃ)-কে ডাকা হয় এবং আয়াতটি তাঁকে শোনান হয়। তখন তিনি বলেনঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য মদের হুকুম স্পষ্ট করে বলে দিন। তখন সূরা নিসার এ আয়াত নাযিল হয়ঃ ওহে যারা ঈমান এনেছ, তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের নিকটবর্তী হয়ো না।
এরপর নামাযের ইকামত শুরু হওয়ার আগেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আহবানকারী এরূপ ঘোষণা করতেন যে, কোন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি যেন নামাযে শরীক না হয়। পরে উমর (রাযিঃ)-কে ডেকে এ আয়াত শোনান হয়। তখন তিনি বলেনঃ ইয়া আল্লাহ! আমাদের জন্য মদের হুকুম স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিন। এরপর এ আয়াত নাযিল হয়ঃ নিশ্চয় মদ এবং জুয়া ইত্যাদি এরূপ জঘন্য শয়তানী আমল, যা দ্বারা শয়তান মানুষের মধ্যে দুশমনী সৃষ্টি করে এবং এর দ্বারা আল্লাহর যিকির হতে বিরত রাখে। তবু কি তোমরা ফিরে আসবে না? তখন উমর (রাযিঃ) বলেনঃ আমরা ফিরে আসলাম।
باب فِي تَحْرِيمِ الْخَمْرِ
حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مُوسَى الْخُتَّلِيُّ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ لَمَّا نَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ قَالَ عُمَرُ اللَّهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِي الْخَمْرِ بَيَانًا شِفَاءً فَنَزَلَتِ الآيَةُ الَّتِي فِي الْبَقَرَةِ ( يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ ) الآيَةَ قَالَ فَدُعِيَ عُمَرُ فَقُرِئَتْ عَلَيْهِ قَالَ اللَّهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِي الْخَمْرِ بَيَانًا شِفَاءً فَنَزَلَتِ الآيَةُ الَّتِي فِي النِّسَاءِ ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى ) فَكَانَ مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ يُنَادِي أَلاَ لاَ يَقْرَبَنَّ الصَّلاَةَ سَكْرَانُ فَدُعِيَ عُمَرُ فَقُرِئَتْ عَلَيْهِ فَقَالَ اللَّهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِي الْخَمْرِ بَيَانًا شِفَاءً فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ( فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ ) قَالَ عُمَرُ انْتَهَيْنَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৭১
৪২৯. মদ হারাম হওয়া সম্পর্কে।
৩৬৩০. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... আলী ইবনে আবী তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা জনৈক আনসার সাহাবী তাঁকে ও আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ)-কে দাওয়াত দিয়ে শরাব পান করান। আর এ ছিল শরাব হারাম হওয়ার আগের ঘটনা। এরপর আলী (রাযিঃ) মাগরিবের নামাযে তাদের ইমামতি করেন এবং সূরা কাফিরুন পাঠ করেন, যাতে তিনি ভুল করে ফেলেন। তখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তোমরা তা অনুধাবন করতে সক্ষম হয় যে, তোমরা কী বলছো। (নিসাঃ ৪৩)
باب فِي تَحْرِيمِ الْخَمْرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَلَيْهِ السَّلاَمُ أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ دَعَاهُ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ فَسَقَاهُمَا قَبْلَ أَنْ تُحَرَّمَ الْخَمْرُ فَأَمَّهُمْ عَلِيٌّ فِي الْمَغْرِبِ فَقَرَأَ ( قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) فَخَلَطَ فِيهَا فَنَزَلَتْ ( لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ ) .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৭২
৪২৯. মদ হারাম হওয়া সম্পর্কে।
৩৬৩১. আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কুরআনের এ আয়াতদ্বয়ঃ (১) ওহে যারা ঈমান এনেছ, তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের নিকটবর্তী হয়ো না, এবং (২) তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে মদ ও জুয়া সম্পর্কে। আপনি বলুনঃ এ দু’টি ভয়ংকর গুনাহের কাজ এবং মানুষের কিছু উপকারও এতে রয়েছে। এ দু’টি আয়াতের হুকুমকে সূরা মায়িদার এ আয়াতঃ নিশ্চয় মদ, জুয়া ইত্যাদি এরূপ জঘণ্য শয়তানী কাজ, যা দ্বারা শয়তান মানুষের মধ্যে দুশমনী সৃষ্টি করে ......... আয়াতের শেষ পর্যন্তঃ রহিত করে দিয়েছে।
باب فِي تَحْرِيمِ الْخَمْرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى ) وَ ( يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ ) نَسَخَتْهُمَا الَّتِي فِي الْمَائِدَةِ ( إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنْصَابُ ) الآيَةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৭৩
৪২৯. মদ হারাম হওয়া সম্পর্কে।
৩৬৩২. সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন শরাব হারাম হয়, তখন আমি আবু তালহা (রাযিঃ)-এর ঘরে লোকদের শরাব পান করাচ্ছিলাম। এ সময় আমাদের শরাব ছিল পচা খেজুর রসের নেশাযুক্ত তাড়ি। এ সময় আমাদের কাছে একজন এসে বলেঃ শরাব হারাম হয়ে গেছে এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ঘোষকও এরূপ ঘোষণা দিচ্ছিল। তখন আমরা বলিঃ ইনি তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ঘোষক।
باب فِي تَحْرِيمِ الْخَمْرِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كُنْتُ سَاقِيَ الْقَوْمِ حَيْثُ حُرِّمَتِ الْخَمْرُ فِي مَنْزِلِ أَبِي طَلْحَةَ وَمَا شَرَابُنَا يَوْمَئِذٍ إِلاَّ الْفَضِيخُ فَدَخَلَ عَلَيْنَا رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّ الْخَمْرَ قَدْ حُرِّمَتْ وَنَادَى مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَا هَذَا مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান