কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
১৯. বিচার-আদালত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৫৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬১০
৪০৫. একটি শপথ ও একজন সাক্ষীর উপর বিচার করা।
৩৫৭১. আহমদ ইবনে আবী বকর (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) একটি শপথ এবং একজন সাক্ষীর সাক্ষ্যের উপর মামলার বিচার নিষ্পত্তি করেন।[১]
[১] ইমাম আবু হানীফা (র.)-এর মতে, কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেক মামলার স্বাক্ষীর জন্য দু'জন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দু'জন স্ত্রীলোকের সাক্ষ্যদান একান্ত জরুরী। (অনুবাদক)
[১] ইমাম আবু হানীফা (র.)-এর মতে, কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেক মামলার স্বাক্ষীর জন্য দু'জন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দু'জন স্ত্রীলোকের সাক্ষ্যদান একান্ত জরুরী। (অনুবাদক)
باب الْقَضَاءِ بِالْيَمِينِ وَالشَّاهِدِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ أَبُو مُصْعَبٍ الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنَا الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَزَادَنِي الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ أَخْبَرَنِي الشَّافِعِيُّ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِسُهَيْلٍ فَقَالَ أَخْبَرَنِي رَبِيعَةُ - وَهُوَ عِنْدِي ثِقَةٌ - أَنِّي حَدَّثْتُهُ إِيَّاهُ وَلاَ أَحْفَظُهُ . قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ وَقَدْ كَانَ أَصَابَتْ سُهَيْلاً عِلَّةٌ أَذْهَبَتْ بَعْضَ عَقْلِهِ وَنَسِيَ بَعْضَ حَدِيثِهِ فَكَانَ سُهَيْلٌ بَعْدُ يُحَدِّثُهُ عَنْ رَبِيعَةَ عَنْهُ عَنْ أَبِيهِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৫৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬১১
৪০৫. একটি শপথ ও একজন সাক্ষীর উপর বিচার করা।
৩৫৭২. মুহাম্মাদ ইবনে দাউদ (রাহঃ) ..... সুলাইমান ইবনে বিলাল (রাহঃ) রাবীআ (রাযিঃ) হতে মাসআবের বর্ণিত সনদ ও অর্থে হাদীস বর্ণনা করেছেন। রাবী সুলাইমান (রাহঃ) বলেনঃ আমি সুহাঈল (রাযিঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করে এ হাদীস সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ আমি এ হাদীস সম্পর্কে অবহিত নই। এরপর আমি তাঁকে বলি যে, রাবী’আ আপনার পক্ষ হতে এ হাদীস আমার কাছে বর্ণনা করেছেন। তখন তিনি বলেনঃ রাবীআ যদি আমার পক্ষ হতে এটি তোমার কাছে বর্ণনা করে থাকে, তবে তুমিও এটি আমার পক্ষ হতে রাবীআ থেকে বর্ণনা কর।
باب الْقَضَاءِ بِالْيَمِينِ وَالشَّاهِدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ الإِسْكَنْدَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادٌ، - يَعْنِي ابْنَ يُونُسَ - حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ رَبِيعَةَ، بِإِسْنَادِ أَبِي مُصْعَبٍ وَمَعْنَاهُ . قَالَ سُلَيْمَانُ فَلَقِيتُ سُهَيْلاً فَسَأَلْتُهُ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ مَا أَعْرِفُهُ . فَقُلْتُ لَهُ إِنَّ رَبِيعَةَ أَخْبَرَنِي بِهِ عَنْكَ . قَالَ فَإِنْ كَانَ رَبِيعَةُ أَخْبَرَكَ عَنِّي فَحَدِّثْ بِهِ عَنْ رَبِيعَةَ عَنِّي .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৫৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬১২
৪০৫. একটি শপথ ও একজন সাক্ষীর উপর বিচার করা।
৩৫৭৩. আহমদ ইবনে আব্দা (রাহঃ) .... শুআয়ব ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আমার দাদা যুবায়ব আনবারী (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনু আনবরের প্রতি একটি সেনাদল প্রেরণ করেন। যারা তাদেরকে তায়েফের নিকটবর্তী স্থান রুকবাম্বতে বন্দী করে নবী (ﷺ)-এর নিকট পেশ করেন। আমি অশ্বারোহী সৈন্য ছিলাম। তাই আমি তাদের আগে নবী (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলিঃ হে আল্লাহর নবী! আপনার প্রতি সালাম ও বরকত বর্ষিত হোক। (তিনি বলেনঃ) আপনার সেনাবাহিনী আমাদের কাছে উপস্থিত হয়ে আমাদের বন্দী করেছে, অথচ আমরা তো ইসলাম কবুল করেছি এবং আমাদের পশুর কান চিরে দিয়েছি।
এর পর আনবর গোত্রের লোকেরা যখন উপস্থিত হলো, তখন নবী (ﷺ) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমরা যে ইসলাম গ্রহণ করছো, এর কোন সাক্ষী-প্রমাণ আছে কি, যখন তোমরা বন্দী হয়েছো? তখন আমি বলি, হ্যাঁ আছে। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করে কে সেই সাক্ষী? আমি বলিঃ সামুরা, যিনি আনবর গোত্রের জনৈক ব্যক্তি এবং আরো একজন- যার নাম সে বলে। তখন দ্বিতীয় ব্যক্তি সাক্ষ্য দিলেও সামুরা সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করে। এ সময় নবী (ﷺ) বলেনঃ সে তো তোমাদের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করেছে, এখন তুমি তোমার দ্বিতীয় সাক্ষীর সাথে শপথ করতে পার কি? আমি বলিঃ হ্যাঁ।
তখন তিনি আমাকে শপথ করতে বলেন এবং আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলিঃ আমরা অমুক অমুক দিন ইসলাম কবুল করেছি এবং আমাদের পশুর কান চিরে দিয়েছি। একথা শুনে নবী (ﷺ) তাঁর সৈন্যদলকে এরূপ নির্দেশ দেনঃ যাও, তোমরা তাদের অর্ধেক মাল ভাগ-বণ্টন করে নাও এবং তাদের সন্তান-সন্ততিদের স্পর্শ করবে না। এরপর তিনি বলেনঃ যদি মহান আল্লাহ মুজাহিদদের চেষ্টা অহেতুক হওয়াকে অপছন্দ না করতেন, তবে আমরা তোমাদের মাল হতে একটি রশিও গ্রহণ করতাম না।
যুবায়ব বলেনঃ এ সময় আমার মা আমাকে ডেকে বলেন যে, এ লোকটি আমার তোশক ছিনিয়ে নিয়েছে। তখন আমি নবী (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বিষয়টি তাকে অবহিত করি। তখন তিনি আমাকে বলেনঃ তাকে গ্রেফতার কর। তখন আমি তার গলায় কাপড় দিয়ে তাকে পাকড়াও করি এবং আমাদের অবস্থানে ফিরে যাই। তখন নবী (ﷺ) আমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলেনঃ তুমি তোমার বন্দীর কাছে কি চাচ্ছ? এসময় আমি তাকে ছেড়ে দিই। তখন নবী (ﷺ) দাঁড়িয়ে তাকে এরূপ নির্দেশ দেনঃ তুমি তার মায়ের তোশক ফিরিয়ে দাও, যা তুমি ছিনিয়ে নিয়েছ। তখন সে বলেঃ হে আল্লাহর নবী! তা তো আমার কাছে নেই।
রাবী বলেনঃ তখন নবী (ﷺ) সে ব্যক্তির তরবারি তার থেকে নিয়ে আমাকে প্রদান করেন এবং তাকে এরূপ নির্দেশ দেন যে, তাকে আরো কিছু খাদ্য- শস্য প্রধান করো।
যাবীব বলেনঃ তখন সে ব্যক্তি আমাকে যবের কিছু অংশও প্রদান করে।
এর পর আনবর গোত্রের লোকেরা যখন উপস্থিত হলো, তখন নবী (ﷺ) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমরা যে ইসলাম গ্রহণ করছো, এর কোন সাক্ষী-প্রমাণ আছে কি, যখন তোমরা বন্দী হয়েছো? তখন আমি বলি, হ্যাঁ আছে। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করে কে সেই সাক্ষী? আমি বলিঃ সামুরা, যিনি আনবর গোত্রের জনৈক ব্যক্তি এবং আরো একজন- যার নাম সে বলে। তখন দ্বিতীয় ব্যক্তি সাক্ষ্য দিলেও সামুরা সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করে। এ সময় নবী (ﷺ) বলেনঃ সে তো তোমাদের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করেছে, এখন তুমি তোমার দ্বিতীয় সাক্ষীর সাথে শপথ করতে পার কি? আমি বলিঃ হ্যাঁ।
তখন তিনি আমাকে শপথ করতে বলেন এবং আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলিঃ আমরা অমুক অমুক দিন ইসলাম কবুল করেছি এবং আমাদের পশুর কান চিরে দিয়েছি। একথা শুনে নবী (ﷺ) তাঁর সৈন্যদলকে এরূপ নির্দেশ দেনঃ যাও, তোমরা তাদের অর্ধেক মাল ভাগ-বণ্টন করে নাও এবং তাদের সন্তান-সন্ততিদের স্পর্শ করবে না। এরপর তিনি বলেনঃ যদি মহান আল্লাহ মুজাহিদদের চেষ্টা অহেতুক হওয়াকে অপছন্দ না করতেন, তবে আমরা তোমাদের মাল হতে একটি রশিও গ্রহণ করতাম না।
যুবায়ব বলেনঃ এ সময় আমার মা আমাকে ডেকে বলেন যে, এ লোকটি আমার তোশক ছিনিয়ে নিয়েছে। তখন আমি নবী (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বিষয়টি তাকে অবহিত করি। তখন তিনি আমাকে বলেনঃ তাকে গ্রেফতার কর। তখন আমি তার গলায় কাপড় দিয়ে তাকে পাকড়াও করি এবং আমাদের অবস্থানে ফিরে যাই। তখন নবী (ﷺ) আমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলেনঃ তুমি তোমার বন্দীর কাছে কি চাচ্ছ? এসময় আমি তাকে ছেড়ে দিই। তখন নবী (ﷺ) দাঁড়িয়ে তাকে এরূপ নির্দেশ দেনঃ তুমি তার মায়ের তোশক ফিরিয়ে দাও, যা তুমি ছিনিয়ে নিয়েছ। তখন সে বলেঃ হে আল্লাহর নবী! তা তো আমার কাছে নেই।
রাবী বলেনঃ তখন নবী (ﷺ) সে ব্যক্তির তরবারি তার থেকে নিয়ে আমাকে প্রদান করেন এবং তাকে এরূপ নির্দেশ দেন যে, তাকে আরো কিছু খাদ্য- শস্য প্রধান করো।
যাবীব বলেনঃ তখন সে ব্যক্তি আমাকে যবের কিছু অংশও প্রদান করে।
باب الْقَضَاءِ بِالْيَمِينِ وَالشَّاهِدِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْبِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ جَدِّيَ الزُّبَيْبَ، يَقُولُ بَعَثَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَيْشًا إِلَى بَنِي الْعَنْبَرِ فَأَخَذُوهُمْ بِرُكْبَةٍ مِنْ نَاحِيَةِ الطَّائِفِ فَاسْتَاقُوهُمْ إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَكِبْتُ فَسَبَقْتُهُمْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ أَتَانَا جُنْدُكَ فَأَخَذُونَا وَقَدْ كُنَّا أَسْلَمْنَا وَخَضْرَمْنَا آذَانَ النَّعَمِ فَلَمَّا قَدِمَ بَلْعَنْبَرُ قَالَ لِي نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلْ لَكُمْ بَيِّنَةٌ عَلَى أَنَّكُمْ أَسْلَمْتُمْ قَبْلَ أَنْ تُؤْخَذُوا فِي هَذِهِ الأَيَّامِ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " مَنْ بَيِّنَتُكَ " . قُلْتُ سَمُرَةُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي الْعَنْبَرِ وَرَجُلٌ آخَرُ سَمَّاهُ لَهُ فَشَهِدَ الرَّجُلُ وَأَبَى سَمُرَةُ أَنْ يَشْهَدَ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَدْ أَبَى أَنْ يَشْهَدَ لَكَ فَتَحْلِفُ مَعَ شَاهِدِكَ الآخَرِ " . قُلْتُ نَعَمْ . فَاسْتَحْلَفَنِي فَحَلَفْتُ بِاللَّهِ لَقَدْ أَسْلَمْنَا يَوْمَ كَذَا وَكَذَا وَخَضْرَمْنَا آذَانَ النَّعَمِ . فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اذْهَبُوا فَقَاسِمُوهُمْ أَنْصَافَ الأَمْوَالِ وَلاَ تَمَسُّوا ذَرَارِيَهُمْ لَوْلاَ أَنَّ اللَّهَ لاَ يُحِبُّ ضَلاَلَةَ الْعَمَلِ مَا رَزَيْنَاكُمْ عِقَالاً " . قَالَ الزُّبَيْبُ فَدَعَتْنِي أُمِّي فَقَالَتْ هَذَا الرَّجُلُ أَخَذَ زِرْبِيَّتِي فَانْصَرَفْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم - يَعْنِي فَأَخْبَرْتُهُ - فَقَالَ لِي " احْبِسْهُ " . فَأَخَذْتُ بِتَلْبِيبِهِ وَقُمْتُ مَعَهُ مَكَانَنَا ثُمَّ نَظَرَ إِلَيْنَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمَيْنِ فَقَالَ " مَا تُرِيدُ بِأَسِيرِكَ " . فَأَرْسَلْتُهُ مِنْ يَدِي فَقَامَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِلرَّجُلِ " رُدَّ عَلَى هَذَا زِرْبِيَّةَ أُمِّهِ الَّتِي أَخَذْتَ مِنْهَا " . فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّهَا خَرَجَتْ مِنْ يَدِي . قَالَ فَاخْتَلَعَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَيْفَ الرَّجُلِ فَأَعْطَانِيهِ . وَقَالَ لِلرَّجُلِ " اذْهَبْ فَزِدْهُ آصُعًا مِنْ طَعَامٍ " . قَالَ فَزَادَنِي آصُعًا مِنْ شَعِيرٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: