কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
১৮. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসা-বাণিজ্যের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৩৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪১৮
৩৩২. চিকিৎসকদের মজুরী সম্পর্কে।
৩৩৮৩. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... আবু সা’ঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীদের একটি দল কোন এক সফরে থাকাকালে তাঁরা আরবের একটি গোত্রের নিকট অবতরণ করেন এবং তাদের নিকট মেহমান হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু তারা তাদেরকে আতিথ্যে বরণ করতে অস্বীকার করে।
রাবী বলেনঃ এ গোত্রের নেতাকে বিষাক্ত জীবে দংশন করে। তারা তার চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে, কিন্তু তাতে কোন ফল হয় না। তখন তাদের কেউ কেউ বলে, যদি তোমরা এই দলের লোকদের নিকট গমন কর, যারা তোমাদের কাছে অবস্থান করছে, তবে এদের কারো কাছে এরূপ কিছু থাকতে পারে, যাতে তোমাদের নেতার উপকার হতে পারে। তখন সে গোত্রের একজন সাহাবীদের নিকট উপস্থিত হয়ে বলেঃ আমাদের নেতাকে বিষাক্ত প্রাণী দংশন করেছে এবং সব ধরনের চিকিৎসা সত্ত্বেও তার কোন উপকার হচ্ছে না, এখন তোমাদের মাঝে এমন কোন ঝাড়-ফুঁককারী আছে কি না, যে তাকে রোগমুক্ত করতে পারে?
তখন সাহাবীদের একজন বলেনঃ আমি তো ঝাড়-ফুঁকই দ্বারা চিকিৎসা করি। কিন্তু ব্যাপার হলে আমরা তোমাদের মেহমান হতে চেয়েছিলাম, তোমরা আমাদের মেহমান হিসাবে গ্রহণ করতে রাযি হওনি। এখন আমি কোন ঝাড়-ফুঁকই করব না, যতক্ষণ না তোমরা এর পারিশ্রমিক দেবে। তখন তারা তাঁকে এক পাল ছাগল প্রদান করতে চায়।
সাহাবী সে ব্যক্তির কাছে উপস্থিত হয়ে সূরা ফাতিহা পাঠ করে দংশিত স্থানে থুথুর প্রলেপ দিতে থাকেন, যাতে সে রোগমুক্ত হয় এমন ভাবে, যেমন কোন ব্যক্তি রশির বন্ধন হতে মুক্তি পায়। তখন সে গোত্রের লোকেরা উক্ত সাহাবীকে যে বিনিময় দিতে চেয়েছিল, তা প্রদান করে। তখন তাঁরা বলেনঃ আসুন, আমরা এগুলো বণ্টন করে নেই।
তখন ঝাড়-ফুঁকদাতা সাহাবী বলেনঃ তোমরা ততক্ষণ বণ্টন করো না, যতক্ষণ না আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হই এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করি। এরপর সাহাবীগণ পরদিন সকালে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হাযির হয়ে ঘটনাটি তাঁর নিকট বর্ণনা করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা কিরূপে জানলে যে, এটি একটি ঝাড়-ফুঁকের মন্ত্র? তোমরা খুব ভাল কাজ করেছ। তোমরা তোমাদের সাথে আমার জন্যও একটি অংশ নির্ধারণ কর।
রাবী বলেনঃ এ গোত্রের নেতাকে বিষাক্ত জীবে দংশন করে। তারা তার চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে, কিন্তু তাতে কোন ফল হয় না। তখন তাদের কেউ কেউ বলে, যদি তোমরা এই দলের লোকদের নিকট গমন কর, যারা তোমাদের কাছে অবস্থান করছে, তবে এদের কারো কাছে এরূপ কিছু থাকতে পারে, যাতে তোমাদের নেতার উপকার হতে পারে। তখন সে গোত্রের একজন সাহাবীদের নিকট উপস্থিত হয়ে বলেঃ আমাদের নেতাকে বিষাক্ত প্রাণী দংশন করেছে এবং সব ধরনের চিকিৎসা সত্ত্বেও তার কোন উপকার হচ্ছে না, এখন তোমাদের মাঝে এমন কোন ঝাড়-ফুঁককারী আছে কি না, যে তাকে রোগমুক্ত করতে পারে?
তখন সাহাবীদের একজন বলেনঃ আমি তো ঝাড়-ফুঁকই দ্বারা চিকিৎসা করি। কিন্তু ব্যাপার হলে আমরা তোমাদের মেহমান হতে চেয়েছিলাম, তোমরা আমাদের মেহমান হিসাবে গ্রহণ করতে রাযি হওনি। এখন আমি কোন ঝাড়-ফুঁকই করব না, যতক্ষণ না তোমরা এর পারিশ্রমিক দেবে। তখন তারা তাঁকে এক পাল ছাগল প্রদান করতে চায়।
সাহাবী সে ব্যক্তির কাছে উপস্থিত হয়ে সূরা ফাতিহা পাঠ করে দংশিত স্থানে থুথুর প্রলেপ দিতে থাকেন, যাতে সে রোগমুক্ত হয় এমন ভাবে, যেমন কোন ব্যক্তি রশির বন্ধন হতে মুক্তি পায়। তখন সে গোত্রের লোকেরা উক্ত সাহাবীকে যে বিনিময় দিতে চেয়েছিল, তা প্রদান করে। তখন তাঁরা বলেনঃ আসুন, আমরা এগুলো বণ্টন করে নেই।
তখন ঝাড়-ফুঁকদাতা সাহাবী বলেনঃ তোমরা ততক্ষণ বণ্টন করো না, যতক্ষণ না আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হই এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করি। এরপর সাহাবীগণ পরদিন সকালে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হাযির হয়ে ঘটনাটি তাঁর নিকট বর্ণনা করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা কিরূপে জানলে যে, এটি একটি ঝাড়-ফুঁকের মন্ত্র? তোমরা খুব ভাল কাজ করেছ। তোমরা তোমাদের সাথে আমার জন্যও একটি অংশ নির্ধারণ কর।
باب فِي كَسْبِ الأَطِبَّاءِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَهْطًا، مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْطَلَقُوا فِي سَفْرَةٍ سَافَرُوهَا فَنَزَلُوا بِحَىٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ فَاسْتَضَافُوهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يُضَيِّفُوهُمْ - قَالَ - فَلُدِغَ سَيِّدُ ذَلِكَ الْحَىِّ فَشَفَوْا لَهُ بِكُلِّ شَىْءٍ لاَ يَنْفَعُهُ شَىْءٌ . فَقَالَ بَعْضُهُمْ لَوْ أَتَيْتُمْ هَؤُلاَءِ الرَّهْطَ الَّذِينَ نَزَلُوا بِكُمْ لَعَلَّ أَنْ يَكُونَ عِنْدَ بَعْضِهِمْ شَىْءٌ يَنْفَعُ صَاحِبَكُمْ فَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّ سَيِّدَنَا لُدِغَ فَشَفَيْنَا لَهُ بِكُلِّ شَىْءٍ فَلاَ يَنْفَعُهُ شَىْءٌ فَهَلْ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْكُمْ شَىْءٌ يَشْفِي صَاحِبَنَا يَعْنِي رُقْيَةً . فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ إِنِّي لأَرْقِي وَلَكِنِ اسْتَضَفْنَاكُمْ فَأَبَيْتُمْ أَنْ تُضَيِّفُونَا مَا أَنَا بِرَاقٍ حَتَّى تَجْعَلُوا لِي جُعْلاً . فَجَعَلُوا لَهُ قَطِيعًا مِنَ الشَّاءِ فَأَتَاهُ فَقَرَأَ عَلَيْهِ بِأُمِّ الْكِتَابِ وَيَتْفُلُ حَتَّى بَرِئَ كَأَنَّمَا أُنْشِطَ مِنْ عِقَالٍ فَأَوْفَاهُمْ جُعْلَهُمُ الَّذِي صَالَحُوهُ عَلَيْهِ . فَقَالُوا اقْتَسِمُوا فَقَالَ الَّذِي رَقَى لاَ تَفْعَلُوا حَتَّى نَأْتِيَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَسْتَأْمِرَهُ . فَغَدَوْا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرُوا لَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مِنْ أَيْنَ عَلِمْتُمْ أَنَّهَا رُقْيَةٌ أَحْسَنْتُمْ وَاضْرِبُوا لِي مَعَكُمْ بِسَهْمٍ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৩৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪১৯
৩৩২. চিকিৎসকদের মজুরী সম্পর্কে।
৩৩৮৪. হাসান ইবনে আলী (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب فِي كَسْبِ الأَطِبَّاءِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَخِيهِ، مَعْبَدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৩৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪২০
৩৩২. চিকিৎসকদের মজুরী সম্পর্কে।
৩৩৮৫. উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয (রাহঃ) .... খারিজা ইবনে সালত (রাযিঃ) তাঁর চাচা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ একদা তিনি কোন এক কওমের পাশ দিয়ে গমন কালে সেখানকার কিছু লোক তার কাছে এসে বলেঃ আপনি তো ঐ ব্যক্তির (নবী (ﷺ)-এর) নিকট থেকে কিছু মংগল নিয়ে এসেছেন, এখন আপনি আমাদের এ ব্যক্তির উপর ঝাড়-ফুঁক করুন। তখন তারা জনৈক শৃঙ্খলাবদ্ধ পাগলকে তাঁর কাছে নিয়ে আসে। তিনি তার উপর তিন দিন সকাল-সন্ধ্যা সূরা ফাতিহা পাঠ করে থুথু জমা করে তার শরীরে নিক্ষেপ করতে থাকেন। ফলে সে ব্যক্তির অবস্থা এমন ভাল হয়ে যায় যে, সে যেন বন্ধনমুক্ত হয়ে যায়। তখন সে লোকেরা তাঁকে কিছু প্রদান করে। এরপর তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে সমস্ত ঘটনা তাঁর কাছে বর্ণনা করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তুমি যা পেয়েছ তা ভক্ষণ কর। আমার জীবনের শপথ! কিছু লোক তো মিথ্যা তন্ত্র-মন্ত্র পাঠ করে এর বিনিময়ে অর্জিত মালামাল ভক্ষণ করে। আর তুমি তো সত্য মন্ত্র পাঠ করে এর বিনিময়ে প্রাপ্ত মাল ভক্ষণ করেছো।
باب فِي كَسْبِ الأَطِبَّاءِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي السَّفَرِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ الصَّلْتِ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّهُ مَرَّ بِقَوْمٍ فَأَتَوْهُ فَقَالُوا إِنَّكَ جِئْتَ مِنْ عِنْدِ هَذَا الرَّجُلِ بِخَيْرٍ فَارْقِ لَنَا هَذَا الرَّجُلَ . فَأَتَوْهُ بِرَجُلٍ مَعْتُوهٍ فِي الْقُيُودِ فَرَقَاهُ بِأُمِّ الْقُرْآنِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ غُدْوَةً وَعَشِيَّةً كُلَّمَا خَتَمَهَا جَمَعَ بُزَاقَهُ ثُمَّ تَفَلَ فَكَأَنَّمَا أُنْشِطَ مِنْ عِقَالٍ فَأَعْطُوهُ شَيْئًا فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَهُ لَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " كُلْ فَلَعَمْرِي لَمَنْ أَكَلَ بِرُقْيَةٍ بَاطِلٍ لَقَدْ أَكَلْتَ بِرُقْيَةٍ حَقٍّ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: