কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
১৭. শপথ ও মান্নতের বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩২৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩১৬
২৮৬. যার মালিক নয়, এরূপ কিছু মান্নত করলে।
৩২৭৯. সুলাইমান ইবনে হারব ও মুহাম্মাদ ইবনে ঈসা (রাহঃ) ..... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আযবা উটনীটি ছিল বনু ’আকীলের’ জনৈক ব্যক্তির, যেটি হাজীদের কাফিলার আগে আগে চলতো। রাবী বলেনঃ একবার সে ব্যক্তিকে বন্দী করে নবী (ﷺ)-এর নিকট আনা হয় এবং নবী (ﷺ) এ সময় তাঁর গাধার পিঠে চাদর জড়িয়ে বসে ছিলেন। তখন সে বলেঃ হে মুহাম্মাদ! তুমি আমাকে এবং হাজীদের কাফিলার আগে গমনকারী এ উটকে কেন পাকড়াও করলে? তখন তিনি বলেনঃ আমি তোমাকে তোমাদের বন্ধু গোত্র ছাকীফের অপরাধের কারণে গ্রেফতার করেছি।
রাবী বলেনঃ ছাকীফ গোত্রের অপরাধ ছিল যে, তারা নবী (ﷺ)-এর দু’জন সাহাবীকে বন্দী করে রেখেছিল। রাবী বলেনঃ সে তার কথাবার্তার মাঝে এরূপ বলছিল যে, আমি তো মুসলমান, অথবা আমি মুসলমান হয়ে গেছি। অতঃপর তিনি যখন একটু দূরে সরে যান, তখন সে উচ্চস্বরে বলেঃ হে মুহাম্মাদ, হে মুহাম্মাদ!
রাবী বলেনঃ যেহেতু নবী (ﷺ) অনুগ্রহকারী ও মেহেরবান ছিলেন, সে জন্য তিনি ফিরে এসে বলেনঃ তোমার ব্যাপার কি? সে বলেঃ আমি মুসলিম। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ যদি তুমি সে সময় একথা বলতে, যখন তুমি স্বাধীন বা মুক্ত ছিলে, তবে তুমি সম্পূর্ণরূপে মুক্তি পেতে।
আবু দাউদ বলেনঃ অতঃপর আমি রাবী সুলাইমান হতে বর্ণিত হাদীস বর্ণনা করব। (তা হলো,) তখন সে বলেঃ হে মুহাম্মাদ! আমি ক্ষুধার্ত, তুমি আমাকে খাবার দাও। আমি পিপাসার্ত, তুমি আমাকে পানি পান করাও। রাবী বলেন, তখন নবী (ﷺ) তাকে বলেন যে, এটাই হলো তোমার আসল মাকসুদ। অথবা তিনি বলেনঃ এটাই তার আসল ইচ্ছা।
রাবী বলেনঃ এরপর সে ব্যক্তিকে দু’জন সাহাবীর মুক্তিপণ হিসাবে ছেড়ে দেওয়া হয়। রাবী ইমরান বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে আযবা উটনীকে নিজের বাহন স্বরূপ রেখে দেন।
রাবী বলেনঃ এ সময় একবার মুশরিকরা মদীনার উপকণ্ঠে হামলা চালিয়ে আযবা উটনীকে (চুরি করে) নিয়ে যায়। তারা ফিরে যাওয়ার সময় একজন মুসলিম নারীকে বন্দী করে নিয়ে যায়।
রাবী বলেনঃ তারা তাদের উটগুলিকে রাতের বেলায় একটি ময়দানে ছেড়ে রাখত। রাবী বলেনঃ তারা এক রাতে ঘুমিয়ে থাকলে সে মহিলা দাঁড়ায় (যাতে পালিয়ে যেতে পারে)। কিন্তু যখনই সে কোন উটের নিকট গেল, সে শোরগোল বাধিয়ে দিল। অবশেষে সে মহিলা আযবা উটনীর কাছে আসে। রাবী বলেনঃ সে মহিলা একটি দ্রুতগামী শক্তিশালী উটের নিকট আসে। তখন সে তার উপর সওয়ার হয়ে এরূপ মান্নত করে যে, যদি আল্লাহ তাকে নাজাত দেন, তবে সে আযবা উটনীকে কুরবানী করবে।
রাবী বলেনঃ অতঃপর সে মহিলা যখন মদীনায় পৌছে, তখন সে উটনীকে চিনতে পারা যায় যে, সেটি ছিল নবী (ﷺ)-এর উট। তখন নবী (ﷺ)-কে এ খবর দেওয়া হয়। তখন নবী (ﷺ) সে মহিলাকে ডেকে পাঠান। তখন সে মহিলা সে উটনী নিয়ে নবী (ﷺ)-এর নিকট হাযির হয় এবং তার মান্নত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। তখন তিনি বলেনঃ তুমি উটনীটিকে খারাপ প্রতিদান দিতে চেয়েছ। আল্লাহ তাআলা এর কারণে তোমাকে নাজাত দিয়েছেন, অথচ তুমি তাকে কুরবানী করার মান্নত করেছ! এমন মান্নত পূরণ করার প্রয়োজন নেই, যা আল্লাহর নাফরমানীর জন্য করা হয় এবং বনু আদম যার মালিক নয়।
আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ এ মহিলা ছিলেন আবু যর (রাযিঃ)-এর স্ত্রী।
রাবী বলেনঃ ছাকীফ গোত্রের অপরাধ ছিল যে, তারা নবী (ﷺ)-এর দু’জন সাহাবীকে বন্দী করে রেখেছিল। রাবী বলেনঃ সে তার কথাবার্তার মাঝে এরূপ বলছিল যে, আমি তো মুসলমান, অথবা আমি মুসলমান হয়ে গেছি। অতঃপর তিনি যখন একটু দূরে সরে যান, তখন সে উচ্চস্বরে বলেঃ হে মুহাম্মাদ, হে মুহাম্মাদ!
রাবী বলেনঃ যেহেতু নবী (ﷺ) অনুগ্রহকারী ও মেহেরবান ছিলেন, সে জন্য তিনি ফিরে এসে বলেনঃ তোমার ব্যাপার কি? সে বলেঃ আমি মুসলিম। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ যদি তুমি সে সময় একথা বলতে, যখন তুমি স্বাধীন বা মুক্ত ছিলে, তবে তুমি সম্পূর্ণরূপে মুক্তি পেতে।
আবু দাউদ বলেনঃ অতঃপর আমি রাবী সুলাইমান হতে বর্ণিত হাদীস বর্ণনা করব। (তা হলো,) তখন সে বলেঃ হে মুহাম্মাদ! আমি ক্ষুধার্ত, তুমি আমাকে খাবার দাও। আমি পিপাসার্ত, তুমি আমাকে পানি পান করাও। রাবী বলেন, তখন নবী (ﷺ) তাকে বলেন যে, এটাই হলো তোমার আসল মাকসুদ। অথবা তিনি বলেনঃ এটাই তার আসল ইচ্ছা।
রাবী বলেনঃ এরপর সে ব্যক্তিকে দু’জন সাহাবীর মুক্তিপণ হিসাবে ছেড়ে দেওয়া হয়। রাবী ইমরান বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে আযবা উটনীকে নিজের বাহন স্বরূপ রেখে দেন।
রাবী বলেনঃ এ সময় একবার মুশরিকরা মদীনার উপকণ্ঠে হামলা চালিয়ে আযবা উটনীকে (চুরি করে) নিয়ে যায়। তারা ফিরে যাওয়ার সময় একজন মুসলিম নারীকে বন্দী করে নিয়ে যায়।
রাবী বলেনঃ তারা তাদের উটগুলিকে রাতের বেলায় একটি ময়দানে ছেড়ে রাখত। রাবী বলেনঃ তারা এক রাতে ঘুমিয়ে থাকলে সে মহিলা দাঁড়ায় (যাতে পালিয়ে যেতে পারে)। কিন্তু যখনই সে কোন উটের নিকট গেল, সে শোরগোল বাধিয়ে দিল। অবশেষে সে মহিলা আযবা উটনীর কাছে আসে। রাবী বলেনঃ সে মহিলা একটি দ্রুতগামী শক্তিশালী উটের নিকট আসে। তখন সে তার উপর সওয়ার হয়ে এরূপ মান্নত করে যে, যদি আল্লাহ তাকে নাজাত দেন, তবে সে আযবা উটনীকে কুরবানী করবে।
রাবী বলেনঃ অতঃপর সে মহিলা যখন মদীনায় পৌছে, তখন সে উটনীকে চিনতে পারা যায় যে, সেটি ছিল নবী (ﷺ)-এর উট। তখন নবী (ﷺ)-কে এ খবর দেওয়া হয়। তখন নবী (ﷺ) সে মহিলাকে ডেকে পাঠান। তখন সে মহিলা সে উটনী নিয়ে নবী (ﷺ)-এর নিকট হাযির হয় এবং তার মান্নত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। তখন তিনি বলেনঃ তুমি উটনীটিকে খারাপ প্রতিদান দিতে চেয়েছ। আল্লাহ তাআলা এর কারণে তোমাকে নাজাত দিয়েছেন, অথচ তুমি তাকে কুরবানী করার মান্নত করেছ! এমন মান্নত পূরণ করার প্রয়োজন নেই, যা আল্লাহর নাফরমানীর জন্য করা হয় এবং বনু আদম যার মালিক নয়।
আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ এ মহিলা ছিলেন আবু যর (রাযিঃ)-এর স্ত্রী।
باب فِي النَّذْرِ فِيمَا لاَ يَمْلِكُ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، : قَالَ كَانَتِ الْعَضْبَاءُ لِرَجُلٍ مِنْ بَنِي عَقِيلٍ وَكَانَتْ مِنْ سَوَابِقِ الْحَاجِّ قَالَ : فَأُسِرَ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي وَثَاقٍ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى حِمَارٍ عَلَيْهِ قَطِيفَةٌ فَقَالَ : يَا مُحَمَّدُ عَلاَمَ تَأْخُذُنِي وَتَأْخُذُ سَابِقَةَ الْحَاجِّ قَالَ : " نَأْخُذُكَ بِجَرِيرَةِ حُلَفَائِكَ ثَقِيفٍ " . قَالَ : وَكَانَ ثَقِيفٌ قَدْ أَسَرُوا رَجُلَيْنِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ : وَقَدْ قَالَ فِيمَا قَالَ : وَأَنَا مُسْلِمٌ أَوْ قَالَ : وَقَدْ أَسْلَمْتُ . فَلَمَّا مَضَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم - قَالَ أَبُو دَاوُدَ : فَهِمْتُ هَذَا مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ عِيسَى - نَادَاهُ يَا مُحَمَّدُ يَا مُحَمَّدُ . قَالَ : وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَحِيمًا رَفِيقًا فَرَجَعَ إِلَيْهِ قَالَ : " مَا شَأْنُكَ " . قَالَ : إِنِّي مُسْلِمٌ . قَالَ : " لَوْ قُلْتَهَا وَأَنْتَ تَمْلِكُ أَمْرَكَ أَفْلَحْتَ كُلَّ الْفَلاَحِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ : ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى حَدِيثِ سُلَيْمَانَ قَالَ : يَا مُحَمَّدُ إِنِّي جَائِعٌ فَأَطْعِمْنِي إِنِّي ظَمْآنٌ فَاسْقِنِي . قَالَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم : " هَذِهِ حَاجَتُكَ " . أَوْ قَالَ : " هَذِهِ حَاجَتُهُ " . قَالَ : فَفُودِيَ الرَّجُلُ بَعْدُ بِالرَّجُلَيْنِ . قَالَ : وَحَبَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَضْبَاءَ لِرَحْلِهِ - قَالَ - فَأَغَارَ الْمُشْرِكُونَ عَلَى سَرْحِ الْمَدِينَةِ فَذَهَبُوا بِالْعَضْبَاءِ - قَالَ - فَلَمَّا ذَهَبُوا بِهَا وَأَسَرُوا امْرَأَةً مِنَ الْمُسْلِمِينَ - قَالَ - فَكَانُوا إِذَا كَانَ اللَّيْلُ يُرِيحُونَ إِبِلَهُمْ فِي أَفْنِيَتِهِمْ - قَالَ - فَنُوِّمُوا لَيْلَةً وَقَامَتِ الْمَرْأَةُ فَجَعَلَتْ لاَ تَضَعُ يَدَهَا عَلَى بَعِيرٍ إِلاَّ رَغَا حَتَّى أَتَتْ عَلَى الْعَضْبَاءِ - قَالَ - فَأَتَتْ عَلَى نَاقَةٍ ذَلُولٍ مُجَرَّسَةٍ - قَالَ - فَرَكِبَتْهَا ثُمَّ جَعَلَتْ لِلَّهِ عَلَيْهَا إِنْ نَجَّاهَا اللَّهُ لَتَنْحَرَنَّهَا - قَالَ - فَلَمَّا قَدِمَتِ الْمَدِينَةَ عُرِفَتِ النَّاقَةُ نَاقَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأُخْبِرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا، فَجِيءَ بِهَا وَأُخْبِرَ بِنَذْرِهَا فَقَالَ : " بِئْسَمَا جَزَيْتِيهَا " . أَوْ : " جَزَتْهَا " . : " إِنِ اللَّهُ أَنْجَاهَا عَلَيْهَا لَتَنْحَرَنَّهَا، لاَ وَفَاءَ لِنَذْرٍ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ وَلاَ فِيمَا لاَ يَمْلِكُ ابْنُ آدَمَ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ : وَالْمَرْأَةُ هَذِهِ امْرَأَةُ أَبِي ذَرٍّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান