কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

১৫. কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩০১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৭
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬৫. ইয়ামানের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০১৭. হান্নাদ ইবনে সারী (রাহঃ) ..... আমির ইবনে শাহর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন (দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য) বের হন, তখন হামদান গোত্রের লোকেরা আমাকে বলেঃ তুমি কি এ ব্যক্তির (মুহাম্মাদ (ﷺ)) নিকট গমন করে আমাদের ব্যাপারে কথাবার্তা বলবে? যদি তুমি আমাদের সস্পর্কীয় কোন ব্যাপারে রাযী হও, তবে আমরাও তা কবুল করব, আর যদি তুমি কোন কিছু অপছন্দ কর, তবে আমরাও তা অপছন্দ করব। আমি বলিঃ হ্যাঁ। অতঃপর আমি রওয়ানা হই এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হাযির হই। আমি তাঁর কথাবার্তা পছন্দ করি এবং আমার কওমের লোকেরা ইসলাম কবুল করে নেয়। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ পত্রখানা উমায়র যু-মাররানের নিকট প্রেরণ করেন।

রাবী বলেনঃ এরপর তিনি মালিক ইবনে মুরারা রাহাবী (রাযিঃ)-কে সমস্ত ইয়ামানবাসীর নিকট (ইসলামের পয়গাম পৌছানের জন্য) প্রেরণ করেন। তখন আককু যূ-খায়ওয়ান নামক জনৈক ব্যক্তি ইসলাম কবুল করে। রাবী বলেনঃ তখন আককু-কে বলা হয়, তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট যাও এবং তাঁর নিকট হতে তোমার গ্রামবাসী ও তোমার মালের জন্য নিরাপত্তা চাও। তখন সে ব্যক্তি তাঁর নিকট উপস্থিত হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার জন্য এ ফরমান লিখে দেনঃ

’’বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম’’

এ ফরমান রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পক্ষ হতে আককু যূ-খাওয়ানের জন্য। যদি সে (তার বক্তব্য) সত্যবাদী হয়, তবে তার জন্য নিরাপত্তা—তার যমীনে, মালে ও গোলামে এবং সে আল্লাহর যিম্মায় ও মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যিম্মায় থাকবে। এ ফরমানটি লিখেছিলেন খালিদ ইবনে সাঈদ ইবনে আস (রাযিঃ)।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ الْيَمَنِ
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ شَهْرٍ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ لِي هَمْدَانُ هَلْ أَنْتَ آتٍ هَذَا الرَّجُلَ وَمُرْتَادٌ لَنَا فَإِنْ رَضِيتَ لَنَا شَيْئًا قَبِلْنَاهُ وَإِنْ كَرِهْتَ شَيْئًا كَرِهْنَاهُ قُلْتُ نَعَمْ . فَجِئْتُ حَتَّى قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَضِيتُ أَمْرَهُ وَأَسْلَمَ قَوْمِي وَكَتَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَذَا الْكِتَابَ إِلَى عُمَيْرٍ ذِي مَرَّانَ قَالَ وَبَعَثَ مَالِكَ بْنَ مِرَارَةَ الرَّهَاوِيَّ إِلَى الْيَمَنِ جَمِيعًا فَأَسْلَمَ عَكٌّ ذُو خَيْوَانَ . قَالَ فَقِيلَ لِعَكٍّ انْطَلِقْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخُذْ مِنْهُ الأَمَانَ عَلَى قَرْيَتِكَ وَمَالِكَ فَقَدِمَ وَكَتَبَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ لِعَكٍّ ذِي خَيْوَانَ إِنْ كَانَ صَادِقًا فِي أَرْضِهِ وَمَالِهِ وَرَقِيقِهِ فَلَهُ الأَمَانُ وَذِمَّةُ اللَّهِ وَذِمَّةُ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ " . وَكَتَبَ خَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ .
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩০১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৮
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬৫. ইয়ামানের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০১৮. মুহাম্মাদ ইবনে আহমদ কুরাশী ও হারুন ইবনে আব্দিল্লাহ (রাহঃ) ...... আবইয়ায ইবনে হাম্মাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি প্রতিনিধি দলের সাথে উপস্থিত থাকার সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে সাদ্‌কার ব্যাপারে কথাবার্তা বলেন। তখন তিনি বলেনঃ হে সাবার ভ্রাতৃবৃন্দ! সাদ্‌কা দেওয়া তো একটা জরুরী ব্যাপার। তখন সে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের উৎপাদিত শস্য তো কেবল তূলা। আর সাবা শহর তো এখন উজাড় হয়ে গেছে এবং তাদের মাত্র কয়েক ব্যক্তি সাবা শহরে মারিব নামক স্থানে বসবাস করেছে। অবশেষে নবী (ﷺ) তাদের সাথে প্রতি বছর মুআফির নামক স্থানের তাঁতীদের তৈরী কাপড়ের সমদামের সত্তর জোড়া দামী কাপড় রাজস্ব খাতে আদায় করার চুক্তিতে আব্দ্ধ হন, যারা ’সাবা’-ওয়ালাদের থেকে ’মারিব’ নামক স্থানে অবশিষ্ট ছিল। যা তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ইনতিকালের সময় পর্যন্ত সব সময় আদায় করতো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ইন্তিকালের পর সাদ্‌কা আদায়কারী প্রতিনিধিগণ ঐ চুক্তি লংঘন করেন, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবয়ায ইবনে হাম্মালের সাথে সত্তর জোড়া কাপড় গ্রহণের ব্যাপারে করেছিলেন। পরে আবু বকর (রাযিঃ) ঐ নির্দেশ ঐরূপে রাখার হুকুম দেন, যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হুকুম করেছিলেন। অবশেষে আবু বকর (রাযিঃ) ইনতিকাল করার পর ঐ চুক্তি বাতিল হয়ে যায় এবং নিয়মিত সাদ্‌কা আদায় প্রথা চালু হয়।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ الْيَمَنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الْقُرَشِيُّ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا فَرَجُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي عَمِّي، ثَابِتُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ، سَعِيدٍ - يَعْنِي ابْنَ أَبْيَضَ - عَنْ جَدِّهِ، أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ أَنَّهُ كَلَّمَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّدَقَةِ حِينَ وَفَدَ عَلَيْهِ فَقَالَ " يَا أَخَا سَبَإٍ لاَ بُدَّ مِنْ صَدَقَةٍ " . فَقَالَ إِنَّمَا زَرْعُنَا الْقُطْنُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَقَدْ تَبَدَّدَتْ سَبَأٌ وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ إِلاَّ قَلِيلٌ بِمَأْرِبٍ . فَصَالَحَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى سَبْعِينَ حُلَّةِ بَزٍّ مِنْ قِيمَةِ وَفَاءِ بَزِّ الْمَعَافِرِ كُلَّ سَنَةٍ عَمَّنْ بَقِيَ مِنْ سَبَإٍ بِمَأْرِبَ فَلَمْ يَزَالُوا يُؤَدُّونَهَا حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَإِنَّ الْعُمَّالَ انْتَقَضُوا عَلَيْهِمْ بَعْدَ قَبْضِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيمَا صَالَحَ أَبْيَضُ بْنُ حَمَّالٍ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْحُلَلِ السَّبْعِينَ فَرَدَّ ذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى مَا وَضَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى مَاتَ أَبُو بَكْرٍ فَلَمَّا مَاتَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه انْتَقَضَ ذَلِكَ وَصَارَتْ عَلَى الصَّدَقَةِ .