কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

১৫. কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৫ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২৯৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৩
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৫৩. হাসান ইবনে আলী ও মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া ইবনে ফারিয মা’না (রাহঃ) .... মালিক ইবনে হাদাসান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা উমর (রাযিঃ) দিনের কিছু অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর আমাকে ডেকে পাঠান। আমি তখন তাঁর কাছে উপস্থিত হই এবং তাকে চাদর শূন্য একটা বিছানার উপর উপবিষ্ট দেখতে পাই। যখন আমি তাঁর কাছে পৌছাই, তখন তিনি আমাকে বলেনঃ হে মালিক! তোমার সম্প্রদায়ের কিছু লোক আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের কিছু মাল দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এখন তুমি তা তাদের মাঝে বণ্টন করে দাও।

আমি বললামঃ আমাকে বাদ দিয়ে যদি অন্য কাউকে একাজের নির্দেশ দিতেন, (তবে ভাল হতো)। তখন তিনি বললেনঃ তুমি-ই এ দায়িত্ব গ্রহণ কর। এ সময় ইয়ারফা (রাযিঃ) সেখানে হাযির হয়ে বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনার নিকট উপস্থিত হওয়ার জন্য উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ), আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ), যুবাইর ইবনে আওয়াম (রাযিঃ) এবং সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তাদেরকে আমার কাছে আসতে দাও।

তখন তাঁরা সেখানে প্রবেশ করে। পরে ইয়ারফা উপস্থিত হয়ে বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনার নিকট আব্বাস (রাযিঃ) ও আলী (রাযিঃ) আসার জন্য অনুমতি চাচ্ছেন। তখন তিনি [উমর (রাযিঃ)] বললেনঃ তাদের আসতে দাও। পরে এ দু’জনও তাঁর নিকট হাযির হন। আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি আমার ও এর মধ্যকার ব্যাপারটি ফয়সালা করে দিন। তখন উপস্থিত লোকদের থেকে জনৈক ব্যক্তি বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! এদের ব্যাপারটি মীমাংশা করে দিন এবং এদের উপর রহম করুন।(১)

মালিক ইবনে আওস (রাযিঃ) বলেনঃ আমার ধারণা আব্বাস (রাযিঃ) এবং আলী (রাযিঃ) এ ব্যাপারের জন্য পূর্বোক্ত ব্যক্তিদের আগেই প্রেরণ করেন। তখন উমর (রাযিঃ) বলেনঃ ব্যস্ত হবেন না, ধৈর্য ধরুন, শান্ত হন। অতঃপর তিনি উছমান (রাযিঃ) ও অন্যদের সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের সেই আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যাঁর হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে। আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমরা (নবীরা) কোন মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদ্‌কা। তখন তাঁরা বলেনঃ হ্যাঁ।

অতঃপর আলী (রাযিঃ) ও আব্বাস (রাযিঃ)-কে সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের উভয়কে সে আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞানা করছি, যাঁর হুকুমে আসমান ও যমীন কায়েম আছে, আপনারা কি অবগত আছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ বলেছেনঃ আমরা মীরাছ রেখে যাই না, বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদ্‌কা। তখন তারা উভয়ে বলেনঃ হ্যাঁ। তিনি [উমর (রাযিঃ)] বলেনঃ আল্লাহ তা’আল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এমন কিছু খাস বৈশিষ্ট প্রদান করেন, যা অন্য আর কাউকে দেননি। যেমন, আল্লাহ বলেছেনঃ

وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ وَلَكِنَّ اللَّهَ يُسَلِّطُ رُسُلَهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

অর্থাৎ আর যা কিছু আল্লাহ তাঁর রাসূলকে দিয়েছেন, তাদের নিকট হতে, তা লাভের জন্য তোমরা ঘোড়া এবং উট পরিচালিত করনি; বরং আল্লাহ তাঁর রাসূলদের বিজয়ী করেন যার উপর তিনি ইচ্ছা করেন। আর আল্লাহ হলেন সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

বস্তুত আল্লাহ তাঁর রাসূলকে বনু নযীর গোত্রের মাল প্রদান করেছিলেন। আল্লাহর শপখ! তিনি এই মালের উপর তোমাদের একচেটিয়া প্রাধান্য প্রদান করেননি এবং তোমাদের বাদ দিয়ে অন্য কেউ তা গ্রহণ করেনি। বরং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তো এই মাল হতে তাঁর ও তাঁর পরিবারবর্গের ভরণ-পোষণের নিমিত্ত এক বছরের খরচের পরিমাণ সম্পদ গ্রহণ করতেন এবং অবশিষ্ট মাল অন্যান্য গনিমতের মালের অনুরূপ হতো। অতঃপর তিনি [উমর (রাযিঃ)] তাঁদের সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের সেই আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন কায়েম আছে, আপনারা কি এটা অবগত আছেন? তখন তাঁরা বলেনঃ হ্যাঁ। তখন তিনি আব্বাস (রাযিঃ) ও আলী (রাযিঃ) কে সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের উভয়কে সেই আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে, আপনারা কি এটা অবগত আছেন? তখন তাঁরা (দু’জনে) বলেনঃ হ্যাঁ।

বস্তুত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ইন্তিকালের পর [আবু বকর (রাযিঃ) যখন খলীফা নির্বাচিত হন], তখন আবু বকর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খলীফা। তখন আপনি (হে আব্বাস) এবং এ ব্যক্তি [আলী (রাযিঃ)] আবু বকর (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়েছিলেন। এ সময় আপনি আপনার ভাতিজার পরিত্যক্ত সস্পদের উত্তরাধিকারিত্বের দাবি করছিলেন এবং ইনি তাঁর স্ত্রীর সম্মানিত পিতা (রাসূলুল্লাহ (ﷺ))-এর মীরাছ দাবি করছিলেন। তখন তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমরা (নবীরা) মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা ছেড়ে যাই, তা হলো সাদ্‌কা। আর আল্লাহ জানেন, আবু বকর (রাযিঃ) ছিলেন সত্যবাদী, নেকবখত, সত্য পথের দিশারী এবং সত্যের অনুসারী। এরপর আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সম্পদের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। আবু বকর (রাযিঃ)-এর ইনতিকালের পর, আমি খলীফা মনোনীত হওয়ার পর বলিঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পক্ষ হতে এ মালের তত্ত্বাবধায়ক।

আর আমি মালের তত্ত্বাবধায়ক ততদিন থাকব, যতদিন আল্লাহ চান। এখন আপনারা দু’জন এসেছেন এবং আপনারা একই খেয়ালের অধিকারী। আপনারা আমার নিকট উক্ত মাল দাবী করছেন। আমার বক্তব্য এই যে, যদি আপনারা চান, তবে এ শর্তের উপর আমি এ মাল আপনাদের দেব যে, আপনারা আল্লাহর নামে শপথ করে বলবেন যে আপনারা এ মালের দেখাশুনা এরূপই করবেন, যেমনভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) করতেন।

আপনারা এ শর্তের উপর এ মাল আমার নিকট থেকে গ্রহণ করেছেন। আর এখন আপনারা উভয়ে আমার নিকট এ জন্য হাযির হয়েছেন যে, আমি যেন এর বিপরীত কোন ফয়সালা করি।

আল্লাহর শপথ! আমি যে ফয়সালা দিয়েছি, তাছাড়া অন্য কোন ফয়সালা আমি কিয়ামত পর্যন্ত দেব না। অবশ্য আপনারা যদি এ সম্পদ যথাযথরূপে দেখাশুনা করতে অপারগ হন, তবে এর দেখাশুনার দায়িত্ব আবার আমার উপর ন্যস্ত করুন। আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ তাঁরা দু’জন তাঁর কাছে এ দরখাস্ত করেন যে, এর দেখাশুনার দায়িত্ব আমাদের মাঝে বণ্টন করে দেন। আর এরূপ নয় যে, তারা নবী (ﷺ)-এর হাদীসঃ আমরা মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা ছেড়ে যাই, তা হলো সাদ্‌কা’’, সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। বস্তুত তাঁরা উভয়ে তাদের প্রাপ্যের প্রত্যাশায় ছিলেন। তখন উমর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি এ সম্পদের উপর বণ্টনের নাম আসতে দেব না, বরং আমি একে এর প্রথম অবস্থার উপর ছেড়ে দেব।[১]

[১] আল্লাহ তা'আলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বনু-নযীর, খায়বর ও ফিদাকের যে সম্পদ দান করেছিলেন, হযরত আব্বাস (রা.) ও আলী (রা.) সে সম্পদে তাঁদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অংশ দাবী করছিলেন।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ الْمَعْنَى، قَالاَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ، قَالَ أَرْسَلَ إِلَىَّ عُمَرُ حِينَ تَعَالَى النَّهَارُ فَجِئْتُهُ فَوَجَدْتُهُ جَالِسًا عَلَى سَرِيرٍ مُفْضِيًا إِلَى رِمَالِهِ فَقَالَ حِينَ دَخَلْتُ عَلَيْهِ يَا مَالُ إِنَّهُ قَدْ دَفَّ أَهْلُ أَبْيَاتٍ مِنْ قَوْمِكَ وَإِنِّي قَدْ أَمَرْتُ فِيهِمْ بِشَىْءٍ فَاقْسِمْ فِيهِمْ . قُلْتُ لَوْ أَمَرْتَ غَيْرِي بِذَلِكَ . فَقَالَ خُذْهُ . فَجَاءَهُ يَرْفَأُ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَلْ لَكَ فِي عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَالزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ نَعَمْ . فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا ثُمَّ جَاءَهُ يَرْفَأُ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَلْ لَكَ فِي الْعَبَّاسِ وَعَلِيٍّ قَالَ نَعَمْ . فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا فَقَالَ الْعَبَّاسُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا - يَعْنِي عَلِيًّا - فَقَالَ بَعْضُهُمْ أَجَلْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنَهُمَا وَارْحَمْهُمَا . قَالَ مَالِكُ بْنُ أَوْسٍ خُيِّلَ إِلَىَّ أَنَّهُمَا قَدَّمَا أُولَئِكَ النَّفَرَ لِذَلِكَ . فَقَالَ عُمَرُ رَحِمَهُ اللَّهُ اتَّئِدَا . ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أُولَئِكَ الرَّهْطِ فَقَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . قَالُوا نَعَمْ . ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَالْعَبَّاسِ رضى الله عنهما فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . فَقَالاَ نَعَمْ . قَالَ فَإِنَّ اللَّهَ خَصَّ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم بِخَاصَّةٍ لَمْ يَخُصَّ بِهَا أَحَدًا مِنَ النَّاسِ فَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى ( وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ وَلَكِنَّ اللَّهَ يُسَلِّطُ رُسُلَهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ ) وَكَانَ اللَّهُ أَفَاءَ عَلَى رَسُولِهِ بَنِي النَّضِيرِ فَوَاللَّهِ مَا اسْتَأْثَرَ بِهَا عَلَيْكُمْ وَلاَ أَخَذَهَا دُونَكُمْ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْخُذُ مِنْهَا نَفَقَةَ سَنَةٍ أَوْ نَفَقَتَهُ وَنَفَقَةَ أَهْلِهِ سَنَةً وَيَجْعَلُ مَا بَقِيَ أُسْوَةَ الْمَالِ . ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أُولَئِكَ الرَّهْطِ فَقَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمُونَ ذَلِكَ قَالُوا نَعَمْ . ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى الْعَبَّاسِ وَعَلِيٍّ رضى الله عنهما فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمَانِ ذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ . فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجِئْتَ أَنْتَ وَهَذَا إِلَى أَبِي بَكْرٍ تَطْلُبُ أَنْتَ مِيرَاثَكَ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ وَيَطْلُبُ هَذَا مِيرَاثَ امْرَأَتِهِ مِنْ أَبِيهَا فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَحِمَهُ اللَّهُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّهُ لَصَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ فَوَلِيَهَا أَبُو بَكْرٍ فَلَمَّا تُوُفِّيَ أَبُو بَكْرٍ قُلْتُ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَوَلِيُّ أَبِي بَكْرٍ فَوَلِيتُهَا مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ أَلِيَهَا فَجِئْتَ أَنْتَ وَهَذَا وَأَنْتُمَا جَمِيعٌ وَأَمْرُكُمَا وَاحِدٌ فَسَأَلْتُمَانِيهَا فَقُلْتُ إِنْ شِئْتُمَا أَنْ أَدْفَعَهَا إِلَيْكُمَا عَلَى أَنَّ عَلَيْكُمَا عَهْدَ اللَّهِ أَنْ تَلِيَاهَا بِالَّذِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَلِيهَا فَأَخَذْتُمَاهَا مِنِّي عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ جِئْتُمَانِي لأَقْضِيَ بَيْنَكُمَا بِغَيْرِ ذَلِكَ وَاللَّهِ لاَ أَقْضِي بَيْنَكُمَا بِغَيْرِ ذَلِكَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ فَإِنْ عَجَزْتُمَا عَنْهَا فَرُدَّاهَا إِلَىَّ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ إِنَّمَا سَأَلاَهُ أَنْ يَكُونَ يُصَيِّرُهُ بَيْنَهُمَا نِصْفَيْنِ لاَ أَنَّهُمَا جَهِلاَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . فَإِنَّهُمَا كَانَا لاَ يَطْلُبَانِ إِلاَّ الصَّوَابَ . فَقَالَ عُمَرُ لاَ أُوقِعُ عَلَيْهِ اسْمَ الْقَسْمِ أَدَعُهُ عَلَى مَا هُوَ عَلَيْهِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৯৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৪
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৫৪. মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ (রাহঃ) ...... মালিক ইবনে আওস (রাযিঃ) উপরোক্ত হাদীসে বর্ণিত ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেনঃ তাঁরা উভয়ে অর্থাৎ আলী (রাযিঃ) ও আব্বাস (রাযিঃ) ঐ মালের ব্যাপারে পরস্পর ঝগড়ায় লিপ্ত হন, যা আল্লাহ তাঁর রাসূলকে বনু নযীর গোত্রের ধন-সম্পদ হতে প্রদান করেছিলেন।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ ثَوْرٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسٍ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ وَهُمَا - يَعْنِي عَلِيًّا وَالْعَبَّاسَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - يَخْتَصِمَانِ فِيمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَمْوَالِ بَنِي النَّضِيرِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَرَادَ أَنْ لاَ يُوقِعَ عَلَيْهِ اسْمَ قَسْمٍ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৯৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৫
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৫৫. উছমান ইবনে আবী শায়বা ও আহমদ ইবনে আব্দা (রাযিঃ) .... উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ বনু নযীর গোত্রের মালামাল ঐ ধন-সস্পদের অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা আল্লাহ তাঁর রাসূলকে প্রদান করেছিলেন এবং ঐ সম্পদ হাসিলের জন্য মুসলমানরা তাদের ঘোড়া ও উট পরিচালিত করেন নি (অর্থাৎ বিনাযুদ্ধে ঐ মাল হস্তগত হয়েছিল)। বস্তুত ঐ সমস্ত মালামাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জন্য খাস ছিল। তিনি ঐ সম্পদ নিজের পরিবার-পরিজনদের ভরণ-পোষণের জন্য ব্যয় করতেন।

রাবী ইবনে আব্দা বলেনঃ তিনি ঐ মাল হতে তার পরিবার-পরিজনদের জন্য এক বছরের খরচ নির্বাহ করতেন এবং অবশিষ্ট মাল আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য ঘোড়া, উট ইত্যাদি পশু ক্রয়ের জন্য ব্যয় করতেন।

রাবী ইবনে আব্দা আরো বলেনঃ তিনি অবশিষ্ট মাল দিয়ে যুদ্ধের নিমিত্ত উট, ঘোড়া ইত্যাদি এবং যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করতেন।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، - الْمَعْنَى - أَنَّ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ، أَخْبَرَهُمْ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ كَانَتْ أَمْوَالُ بَنِي النَّضِيرِ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِمَّا لَمْ يُوجِفِ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِ بِخَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ كَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَالِصًا يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِ بَيْتِهِ - قَالَ ابْنُ عَبْدَةَ يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ قُوتَ سَنَةٍ - فَمَا بَقِيَ جُعِلَ فِي الْكُرَاعِ وَعُدَّةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ ابْنُ عَبْدَةَ فِي الْكُرَاعِ وَالسِّلاَحِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৯৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৬
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৫৬. মুসাদ্দাদ (রাযিঃ) .... যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উমর (রাযিঃ) বলেছেন যে, আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ যা কিছু তাঁর রাসূলকে প্রদান করেছেন, তাদের নিকট হতে তা লাভের জন্য তোমরা ঘোড়া এবং উট পরিচালিত করনি।

যুহরী বলেন, উমর (রাযিঃ) বলেছেনঃ এই ধন-সম্পদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য খাস ছিল, যা হলো-উরায়না নামক গ্রাম, ফিদাক ইত্যাদি। আর দ্বিতীয় আয়াত-যার অর্থ হলোঃ ″আল্লাহ তাঁর রাসূলকে গ্রামবাসীদের নিকট হতে যা কিছু প্রদান করেছেন, তা হলো-আল্লাহর, তাঁর রাসূলের, নিকটাত্মীয়দের, ইয়াতীমদের, মিসকীনদের এবং মুসাফিরদের জন্য। আর ঐ সমস্ত ফকীরের জন্য, যারা তাদের ঘরবাড়ী ও ধন-সস্পদ হতে বিতাড়িত হয়েছে এবং যারা তাদের পরে এসেছে (ইসলাম কবুলের পর, দারুল ইসলামে)।″ উক্ত আয়াতের বর্ণিত হুকুম সমস্ত শ্রেণীর লোকেরা শামিল আছে এবং মালে গনিমতের হকদার কোন মুসলমান বাদ পড়েনি।

রাবী আইয়ুব অথবা যুহরী বলেনঃ এই গনিমতের মালে সকলের হক আছে, তবে তারা ব্যতীত, যে সব দাস-দাসীর তোমরা মালিক।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ قَالَ عُمَرُ ( وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ ) . قَالَ الزُّهْرِيُّ قَالَ عُمَرُ هَذِهِ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَاصَّةً قُرَى عُرَيْنَةَ فَدَكَ وَكَذَا وَكَذَا ( مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ ) وَ لِلْفُقَرَاءِ الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ وَالَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ وَالإِيمَانَ مِنْ قَبْلِهِمْ . وَالَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَعْدِهِمْ فَاسْتَوْعَبَتْ هَذِهِ الآيَةُ النَّاسَ فَلَمْ يَبْقَ أَحَدٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلاَّ لَهُ فِيهَا حَقٌّ . قَالَ أَيُّوبُ أَوْ قَالَ حَظٌّ إِلاَّ بَعْضَ مَنْ تَمْلِكُونَ مِنْ أَرِقَّائِكُمْ .
হাদীস নং:২৯৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৭
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৫৭. হিশাম ইবনে আম্মার (রাযিঃ) ..... মালিক ইবনে আওস ইবনে হাদাছান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উমর (রাযিঃ)-এর দলীল হলো যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জন্য তিন প্রকারের মালে গনিমত খাস ছিল-যা বনু নযীর, খায়বর ও ফিদাক নামে পরিচিত। সুতরাং যে মাল তিনি বনু নযীর থেকে প্রাপ্ত হন, তা তাঁর প্রয়োজনের জন্য খাস ছিল। আর তিনি ফিদাক হতে যা লাভ করেছিলেন, তা ছিল মুসলমানদের প্রয়োজন মিটাবার জন্য এবং খায়বরে প্রাপ্ত ধন-সম্পদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তিন ভাগে বিভক্ত করতেন, যার দু’অংশ সাধারণ মুসলমানদের কল্যাণে ব্যয় হতো এবং অপর ভাগ তাঁর পরিবার-পরিজনদের ভরণ-পোষণের জন্য ব্যয় হতো। আর তাঁর পরিবার-পরিজনদের ব্যয় নির্বাহের পর যে মাল বাকী থাকত, তা তিনি গরীব মুহাজিরদের মাঝে বণ্টন করে দিতেন।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ح وَحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ح وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، - وَهَذَا لَفْظُ حَدِيثِهِ - كُلُّهُمْ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ، قَالَ كَانَ فِيمَا احْتَجَّ بِهِ عُمَرُ رضى الله عنه أَنَّهُ قَالَ كَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثُ صَفَايَا بَنُو النَّضِيرِ وَخَيْبَرُ وَفَدَكُ فَأَمَّا بَنُو النَّضِيرِ فَكَانَتْ حُبْسًا لِنَوَائِبِهِ وَأَمَّا فَدَكُ فَكَانَتْ حُبْسًا لأَبْنَاءِ السَّبِيلِ وَأَمَّا خَيْبَرُ فَجَزَّأَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَةَ أَجْزَاءٍ جُزْءَيْنِ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَجُزْءًا نَفَقَةً لأَهْلِهِ فَمَا فَضَلَ عَنْ نَفَقَةِ أَهْلِهِ جَعَلَهُ بَيْنَ فُقَرَاءِ الْمُهَاجِرِينَ .
হাদীস নং:২৯৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৮
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৫৮. ইয়াযীদ ইবনে খালিদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মাওয়াহব হামদানী ..... নবী (ﷺ)-এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কন্যা ফাতিমা (রাযিঃ) কোন এক ব্যক্তিকে আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)-এর নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মাল হতে নিজের মীরাছ চাওয়ার জন্য প্রেরণ করেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে আল্লাহ মদীনাতে ও ফিদাকে যা প্রদান করেছিলেন এবং খায়বরে প্রাপ্ত মালের এক-পঞ্চমাংশ বাদে বাকী যে অংশ রেখে গিয়েছেন তা থেকে প্রাপ্ত আমার অংশ যেন আবু বকর (রাযিঃ) আমাকে দিয়ে দেন।

তখন আবু বকর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমরা (নবীরা) মীরাছ রাখি না; বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদ্‌কা। মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পরিবার-পরিজন এ মাল হতে খেতে পারবে। কিন্তু আল্লাহর শপথ! আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাদ্‌কা হতে কোন কিছুই পরিবর্তন করতে পারব না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে যেরূপ ছিল, সেরূপই থাকবে। এ ব্যাপারে আমি শুধু এতটুকু করতে পারি, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) করতেন। এভাবে আবু বকর (রাযিঃ) ঐ মাল হতে ফাতিমা (রাযিঃ)-কে কোন কিছু দিতে অস্বীকার করেন।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عُقَيْلِ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْسَلَتْ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رضى الله عنه تَسْأَلُهُ مِيرَاثَهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ بِالْمَدِينَةِ وَفَدَكَ وَمَا بَقِيَ مِنْ خُمُسِ خَيْبَرَ . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ إِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ مِنْ هَذَا الْمَالِ " . وَإِنِّي وَاللَّهِ لاَ أُغَيِّرُ شَيئًا مِنْ صَدَقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ حَالِهَا الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلأَعْمَلَنَّ فِيهَا بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَبَى أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه أَنْ يَدْفَعَ إِلَى فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ مِنْهَا شَيْئًا .
হাদীস নং:২৯৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৯
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৫৯. আমর ইবনে উছমান হিমসী (রহ) .... নবী (ﷺ)-এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন ফাতিমা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মদীনা ও ফিদাকের সাদ্‌কা এবং খায়বরের সম্পওির এক-পঞ্চমাংশের পর বাকী অংশ দাবী করেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ তখন আবু বকর (রাযিঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমরা (নবীরা) মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদ্‌কা। অবশ্য মুহাম্মাদ এর পরিবারবর্গ এ মাল হতে ভক্ষণ করতে পারবে, অর্থাৎ আল্লাহর মাল হিসাবে। আর তারা খাদ্যদ্রব্য ছাড়া কিছুই পাবে না।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ وَفَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلاَمُ حِينَئِذٍ تَطْلُبُ صَدَقَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الَّتِي بِالْمَدِينَةِ وَفَدَكَ وَمَا بَقِيَ مِنْ خُمُسِ خَيْبَرَ . قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ وَإِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ فِي هَذَا الْمَالِ " . يَعْنِي مَالَ اللَّهِ لَيْسَ لَهُمْ أَنْ يَزِيدُوا عَلَى الْمَأْكَلِ .
হাদীস নং:২৯৬০
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৭০
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬০. হাজ্জাজ ইবনে আবী ইয়াকুব (রাহঃ) ..... উরওয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আয়িশা (রাযিঃ) এ হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেছেন যে, যখন ফাতিমা (রাযিঃ) তাঁর মীরাছ দাবী করেন, তখন আবু বকর (রাযিঃ) তাঁকে মীরাছ দিতে অস্বীকার করেন এবং বলেনঃ যে কাজ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) করতেন, আমি কখনো তা পরিত্যাগ করব না। কেননা আমার ভয় হয়, যদি আমি তার কিছু পরিত্যাগ করি, তবে হয়তো গুমরাহ হয়ে যাব। (আবু বকর (রাযিঃ)-এর ইন্তিকালের পর) উমর (রাযিঃ) তাঁর মদীনার সাদ্‌কার মাল আব্বাস (রাযিঃ) এবং আলী (রাযিঃ)-এর নিকট সোপর্দ করেন, যার উপর আলী (রাযিঃ) দখল নিয়েছিলেন।

আর ফিদাক ও খায়বরের মাল উমর (রাযিঃ) নিজের কতৃত্বে রেখে দেন এবং বলেনঃ এ দু’প্রকারের মালামাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাদ্‌কা, যা তাঁর বিভিন্ন প্রয়োজনে খরচ হতো। একই ভাবে এ দু’প্রকারের মাল খরচ করার ইখতিয়ার তাঁকে দেওয়া হয়, যিনি রাষ্ট্রের কর্ণধার হবেন। বস্তুত এ সময় হতে খিলাফতের শেষ সময় পর্যন্ত ফিদাক ও খায়বরের মাল এভাবে খরচ হতে থাকে, যেভাবে তিনি তা খরচের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، أَنَّ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَخْبَرَتْهُ بِهَذَا الْحَدِيثِ، قَالَ فِيهِ فَأَبَى أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه عَلَيْهَا ذَلِكَ وَقَالَ لَسْتُ تَارِكًا شَيْئًا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْمَلُ بِهِ إِلاَّ عَمِلْتُ بِهِ إِنِّي أَخْشَى إِنْ تَرَكْتُ شَيْئًا مِنْ أَمْرِهِ أَنْ أَزِيغَ فَأَمَّا صَدَقَتُهُ بِالْمَدِينَةِ فَدَفَعَهَا عُمَرُ إِلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ رضى الله عنهم فَغَلَبَهُ عَلِيٌّ عَلَيْهَا وَأَمَّا خَيْبَرُ وَفَدَكُ فَأَمْسَكَهُمَا عُمَرُ وَقَالَ هُمَا صَدَقَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَتَا لِحُقُوقِهِ الَّتِي تَعْرُوهُ وَنَوَائِبِهِ وَأَمْرُهُمَا إِلَى مَنْ وَلِيَ الأَمْرَ . قَالَ فَهُمَا عَلَى ذَلِكَ إِلَى الْيَوْمِ .
হাদীস নং:২৯৬১
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৭১
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬১. মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ (রাহঃ) ....... যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহর বাণীঃ তোমরা যারা তার জন্য ঘোড়া এবং উট পরিচালিত করনি; (বরং আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে তা তাঁকে প্রদান করেন)। এ আয়াত সম্পর্কে রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিদাক এবং গ্রামবাসীদের সাথে তখন সন্ধি করেন, যখন তিনি অপর একটা সম্প্রদায়কে অবরোধ করেছিলেন। তখন সেখানকার লোকেরা সন্ধির উদ্দেশ্যে তাঁর কাছে প্রস্তাব পেশ করে। এ ঘটনা সম্পর্কে আল্লাহ বলেনঃ তোমরা ঐ মাল হাসিল করার জন্য ঘোড়া এবং উট পরিচালিত করনি; বরং বিনাযুদ্ধে তোমরা তা লাভ করেছিলে।

যুহরী (রাহঃ) বলেনঃ বনু নযীর গোত্র থেকে প্রাপ্ত মাল নবী (ﷺ) এর জন্য খাস ছিল। কেননা তা যুদ্ধের দ্বারা হাসিল হয়নি; বরং সন্ধির দ্বারা হয়েছিল। বস্তুত নবী (ﷺ) ঐ সম্পদ মুহাজিরদের মাঝে বণ্টন করে দেন এবং আনসারদের অভাবী দু’ব্যক্তি ছাড়া তিনি আর কাউকে কিছুই প্রদান করেননি।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ ثَوْرٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، فِي قَوْلِهِ ( فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ ) قَالَ صَالَحَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَهْلَ فَدَكَ وَقُرًى قَدْ سَمَّاهَا لاَ أَحْفَظُهَا وَهُوَ مُحَاصِرٌ قَوْمًا آخَرِينَ فَأَرْسَلُوا إِلَيْهِ بِالصُّلْحِ قَالَ ( فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ ) يَقُولُ بِغَيْرِ قِتَالٍ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَكَانَتْ بَنُو النَّضِيرِ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خَالِصًا لَمْ يَفْتَحُوهَا عَنْوَةً افْتَتَحُوهَا عَلَى صُلْحٍ فَقَسَمَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ الْمُهَاجِرِينَ لَمْ يُعْطِ الأَنْصَارَ مِنْهَا شَيْئًا إِلاَّ رَجُلَيْنِ كَانَتْ بِهِمَا حَاجَةٌ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৯৬২
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৭২
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬২. আব্দুল্লাহ ইবনে জাররাহ (রাহঃ) ..... মুগীরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উমর ইবনে আব্দুল আযীয খলীফা নির্বাচিত হওয়ার পর বনু মারোয়ানকে সমবেত করে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর ফিদাকের আয় হতে পরিবার-পরিজন ও ফকীর-মিসকীনদের ব্যয় নির্বাহ করতেন, বনু হাশিম গোত্রের ছোট বাচ্চাদের প্রতি ইহসান করতেন, বিধবা এবং অবিবাহিত নারীদের জন্য খরচ করতেন। একবার ফাতিমা (রাযিঃ) তাঁর নিকট ফিদাকের সস্পদপ্রাপ্তির জন্য আবেদন করলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন। বস্তুত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবদ্দশায় ঐ সম্পদ ঐরূপেই অবশিষ্ট ছিল। এমনকি তাঁর ইন্তিকালের সময় পর্যন্ত এ পদ্ধতি চালু ছিল।

অতঃপর আবু বকর (রাযিঃ) খলীফা নির্বাচিত হওয়ার পর ফিদাকের ধন-সম্পত্তির ব্যাপারে ঐ নিয়ম চালু রাখেন, যা নবী (ﷺ)-এর যামানায় চালু ছিল। এরপর উমর (রাযিঃ) যখন এর মুতাওয়াল্লী নির্বাচিত হন, তখন তিনিও ঐ মালের ব্যাপারে একই নীতি অবলম্বন করেন, যা নবী (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ) গ্রহণ করেছিলেন। এমনকি উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এর মৃত্যু সময়ও ঐ নীতি চালু ছিল।

পরে মারোয়ান একে নিজের জায়গীর বানিয়ে নেন। অবশেষে তা উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ)-এর নিয়ন্ত্রণে আসে। তখন তিনি এ খেয়াল করেন যে, নবী (ﷺ) যখন এ মাল ফাতিমা (রাযিঃ) কে প্রদান করেননি, তখন আমার জন্যও তা ভোগ করা উচিত হবে না। সে জন্য আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছিঃ আমি ঐ সম্পদ তার মূল অবস্থায় ফিরিয়ে দিচ্ছি, যেমন তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যামানায় ছিল। (আর আগে যেভাবে যাদের প্রয়োজনে তা ব্যবহৃত হতো, তেমনি পরেও তা ঐভাবেই ব্যবহৃত হবে)।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْجَرَّاحِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، قَالَ جَمَعَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بَنِي مَرْوَانَ حِينَ اسْتُخْلِفَ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَتْ لَهُ فَدَكُ فَكَانَ يُنْفِقُ مِنْهَا وَيَعُودُ مِنْهَا عَلَى صَغِيرِ بَنِي هَاشِمٍ وَيُزَوِّجُ مِنْهَا أَيِّمَهُمْ وَإِنَّ فَاطِمَةَ سَأَلَتْهُ أَنْ يَجْعَلَهَا لَهَا فَأَبَى فَكَانَتْ كَذَلِكَ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ فَلَمَّا أَنْ وَلِيَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه عَمِلَ فِيهَا بِمَا عَمِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي حَيَاتِهِ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ فَلَمَّا أَنْ وَلِيَ عُمَرُ عَمِلَ فِيهَا بِمِثْلِ مَا عَمِلاَ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ ثُمَّ أَقْطَعَهَا مَرْوَانُ ثُمَّ صَارَتْ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ - يَعْنِي عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ - فَرَأَيْتُ أَمْرًا مَنَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ لَيْسَ لِي بِحَقٍّ وَأَنَا أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ رَدَدْتُهَا عَلَى مَا كَانَتْ يَعْنِي عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৯৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৭৩
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬৩. উছমান ইবনে আবী শায়বা (রাহঃ) .... আবু তুফায়ল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা ফাতিমা (রাযিঃ) আবু বকর (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নিজের হিসসা দাবী করেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে এরূপ বলতে শুনেছি যে, যখন আল্লাহ তাঁর কোন নবীকে কোন জীবিকা প্রদান করেন, তা তাঁর পরবর্তী স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তির অধিকারে চলে যাবে।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ جُمَيْعٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، قَالَ جَاءَتْ فَاطِمَةُ رضى الله عنها إِلَى أَبِي بَكْرٍ رضى الله عنه تَطْلُبُ مِيرَاثَهَا مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلاَمُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا أَطْعَمَ نَبِيًّا طُعْمَةً فَهِيَ لِلَّذِي يَقُومُ مِنْ بَعْدِهِ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৯৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৭৪
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬৪. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার ওয়ারিছরা আমার পরিত্যক্ত সম্পদ হতে এক দীনারও বন্টন করতে পারবে না। আমি যা কিছু রেখে যাব, তা আমার স্ত্রীদের ভরণ-পোষণের ব্যয় নির্বাহ এবং আমার কর্মচারীর পারিশ্রমিক প্রদানের পর সাদ্‌কা হিসাবে পরিগণিত হবে।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَقْتَسِمُ وَرَثَتِي دِينَارًا مَا تَرَكْتُ بَعْدَ نَفَقَةِ نِسَائِي وَمُؤْنَةِ عَامِلِي فَهُوَ صَدَقَةٌ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৯৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৭৫
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬৫. আমর ইবনে মারযূক (রাহঃ) ....... আবু বুখতারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জনৈক ব্যক্তি হতে এমন একটি হাদীস শুনেছিলাম, যা আমার খুবই পছন্দ হয়। তখন আমি তাকে বলিঃ হাদীসটি আমাকে লিখে দিন। তিনি তা স্পষ্টভাবে লিখে আনেন এবং আব্বাস (রাযিঃ), আলী (রাযিঃ) এবং উমর (রাযিঃ)-এর কাছে আনেন। এ সময় তালহা (রাযিঃ), যুবাইর (রাযিঃ), আব্দুর রহমান (রাযিঃ) এবং সা’দ (রাযিঃ) তাঁর কাছে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আব্বাস (রাযিঃ) এবং আলী (রাযিঃ) পরস্পর ঝগড়ায় লিপ্ত হলে উমর (রাযিঃ) তালহা, যুবাইর, আব্দুর রহমান এবং সা’দ (রাযিঃ)-কে বলেনঃ আপনারা কি জানেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নবীদের যাবতীয় সম্পদ তাঁর পরিবার-পরিজনদের ভরণ-পোষণের খরচ বাদে বাকী সবই সাদ্‌কা। আমরা কোন মীরাছ রেখে যাই না। তখন তাঁরা বলেনঃ হ্যাঁ, ঠিক। তখন উমর (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বীয় মাল হতে নিজের পরিবারদের জন্য খরচ করার পর বাকী অংশ সাদ্‌কা করে দিতেন। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ইন্তিকালের পর আবু বকর (রাযিঃ) দু’বছরের জন্য এর মুতাওয়াল্লী হন। আর তিনি ঐ নীতিই অনুসরণ করেন, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) করেছিলেন।

এরপর রাবী মালিক ইবনে আওস (রাযিঃ)-এর হাদীসের কিছু অংশ বর্ণনা করেন।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ حَدِيثًا، مِنْ رَجُلٍ فَأَعْجَبَنِي فَقُلْتُ اكْتُبْهُ لِي فَأَتَى بِهِ مَكْتُوبًا مُذَبَّرًا دَخَلَ الْعَبَّاسُ وَعَلِيٌّ عَلَى عُمَرَ وَعِنْدَهُ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ وَسَعْدٌ وَهُمَا يَخْتَصِمَانِ فَقَالَ عُمَرُ لِطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ وَسَعْدٍ أَلَمْ تَعْلَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كُلُّ مَالِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صَدَقَةٌ إِلاَّ مَا أَطْعَمَهُ أَهْلَهُ وَكَسَاهُمْ إِنَّا لاَ نُورَثُ " . قَالُوا بَلَى . قَالَ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْفِقُ مِنْ مَالِهِ عَلَى أَهْلِهِ وَيَتَصَدَّقُ بِفَضْلِهِ ثُمَّ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَلِيَهَا أَبُو بَكْرٍ سَنَتَيْنِ فَكَانَ يَصْنَعُ الَّذِي كَانَ يَصْنَعُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . ثُمَّ ذَكَرَ شَيْئًا مِنْ حَدِيثِ مَالِكِ بْنِ أَوْسٍ .
হাদীস নং:২৯৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৭৬
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬৬. কা’নবী (রাহঃ) ...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইনতিকাল করেন, তখন তার স্ত্রীগণ উছমান (রাযিঃ) কে আবু বকর সিদ্দীকের নিকট এ জন্য প্রেরণ করেন যে, যাতে তাঁর নিকট তাঁর স্ত্রীদের ’ছুমুন’ বা এক-অষ্টমাংশ মীরাছ দাবী করেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মাল হতে। তখন আয়িশা (রাযিঃ) তাঁদের ডেকে বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি এরূপ বর্ণনা করেন নি যে, আমরা মীরাছ রেখে যাই না, বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদ্‌কা।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ إِنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرَدْنَ أَنْ يَبْعَثْنَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فَيَسْأَلْنَهُ ثُمُنَهُنَّ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ لَهُنَّ عَائِشَةُ أَلَيْسَ قَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ " .
হাদীস নং:২৯৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৭৭
১৫৭. গনিমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬৭. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া ইবনে ফারিস (রাহঃ) ..... ইবনে শিহাব (রাহঃ) উপরোক্ত হাদীসের ন্যায় হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন যে, একদা আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ তোমরা কি আল্লাহকে ভয় করবে না? তোমরা কি শোননি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলতেনঃ আমরা মীরাছ রেখে যাই না, বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদ্‌কা। আর এ ধন-সস্পদ তো কেবল মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পরিবার পরিজনদের ভরণ-পোষণের জন্য এবং তাঁর নিজস্ব প্রয়োজন ও মেহমানদের মাঝে বিতরণের জন্য। আমার ইন্তিকালের পর এ ধন-সম্পদ তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকবে, যিনি খলীফা মনোনীত হবেন।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ قُلْتُ أَلاَ تَتَّقِينَ اللَّهَ أَلَمْ تَسْمَعْنَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ وَإِنَّمَا هَذَا الْمَالُ لآلِ مُحَمَّدٍ لِنَائِبَتِهِمْ وَلِضَيْفِهِمْ فَإِذَا مِتُّ فَهُوَ إِلَى مَنْ وَلِيَ الأَمْرَ مِنْ بَعْدِي " .