কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
১৩. ওছিয়াতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৮৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৬৪
১০৪. ওসিয়াতকারীর জন্য তার মাল হতে যে পরিমাণ ওসিয়াত করা অবৈধ, সে সম্পর্কে।
২৮৫৪. উছমান ইবনে আবী শায়বা ও ইবনে আবী খালাফ (রাহঃ) .... আমির ইবনে সা‘দ (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্নণা করেছেন। তিনি বলেনঃ একবার তিনি [সা‘দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ)] কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে দেখতে আসেন। সে সময় তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার অনেক ধন-সম্পদ আছে কিন্তু একটি কন্যা ব্যতীত আমার আর কোন উত্তরাধিকার নেই। কাজেই আমি কি আমার সম্পদের তিনভাগের দুই ভাগ সাদ্কা করতে পারি? তখন তিনি বলেনঃ না। তখন তিনি আবার জিজ্ঞাসা করেনঃ আমি অর্ধেক সম্পদ সাদ্কা দান করতে পারি? তখনও তিনি বলেনঃ না।
পুনরায় তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ আমি তিন ভাগের এক ভাগ কি সাদ্কা করতে পারি? তখন তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, তিন ভাগের এক ভাগ দান করতে পার এবং সাদ্কার জন্য এক-তৃতীয়াংশই যথেষ্ট। অবশ্য তোমার জন্য তোমার উত্তরাধিকারদের মালদার অবস্থায় পরিত্যাগ করা উত্তম হবে, তাদের গরিবি হালে কাঙাল করে রেখে যাওয়ার চাইতে, যার ফলে তারা লোকের দু'আরে ভিক্ষা মাঙতে থাকবে। (আর যে মাল তুমি তোমার পরিবারের জন্য) খরচ করছ, তুমি অবশ্যই তার সাওয়াব পাবে। এমন কি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে গ্রাস তুলে দাও, তার সাওয়াবও তুমি পাবে।
আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি কি আমার হিজরতের সাওয়াব হতে পিছনে পড়ে থাকব? তিনি বললেনঃ আমার হিজরতের পর যদি তুমি মক্কায় থেকেই যাও এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য নেক আমল করতে থাক, তবে এতেও তোমার মর্তবা বুলন্দ হবে। আর সম্ভবত এখানে তোমার অবস্থানের ফলে কিছু লোকের উপকার হবে এবং কিছু লোকের ক্ষতি হবে। অতঃপর তিনি এরূপ দুআ করেনঃ হে আল্লাহ্! আমার সাথীদের হিজরত পূর্ণ করে দিন এবং তাদেরকে তাদের পিছনের দিকে ফিরাবেন না। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থ হলেন সাঈদ ইবনে খাওলা (রাযিঃ), যার জন্য রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দুঃখ প্রকাশ করতেন, তিনি মক্কাতে ইনতিকাল করেন।
পুনরায় তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ আমি তিন ভাগের এক ভাগ কি সাদ্কা করতে পারি? তখন তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, তিন ভাগের এক ভাগ দান করতে পার এবং সাদ্কার জন্য এক-তৃতীয়াংশই যথেষ্ট। অবশ্য তোমার জন্য তোমার উত্তরাধিকারদের মালদার অবস্থায় পরিত্যাগ করা উত্তম হবে, তাদের গরিবি হালে কাঙাল করে রেখে যাওয়ার চাইতে, যার ফলে তারা লোকের দু'আরে ভিক্ষা মাঙতে থাকবে। (আর যে মাল তুমি তোমার পরিবারের জন্য) খরচ করছ, তুমি অবশ্যই তার সাওয়াব পাবে। এমন কি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে গ্রাস তুলে দাও, তার সাওয়াবও তুমি পাবে।
আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি কি আমার হিজরতের সাওয়াব হতে পিছনে পড়ে থাকব? তিনি বললেনঃ আমার হিজরতের পর যদি তুমি মক্কায় থেকেই যাও এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য নেক আমল করতে থাক, তবে এতেও তোমার মর্তবা বুলন্দ হবে। আর সম্ভবত এখানে তোমার অবস্থানের ফলে কিছু লোকের উপকার হবে এবং কিছু লোকের ক্ষতি হবে। অতঃপর তিনি এরূপ দুআ করেনঃ হে আল্লাহ্! আমার সাথীদের হিজরত পূর্ণ করে দিন এবং তাদেরকে তাদের পিছনের দিকে ফিরাবেন না। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থ হলেন সাঈদ ইবনে খাওলা (রাযিঃ), যার জন্য রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দুঃখ প্রকাশ করতেন, তিনি মক্কাতে ইনতিকাল করেন।
باب مَا جَاءَ فِيمَا لاَ يَجُوزُ لِلْمُوصِي فِي مَالِهِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ أَبِي خَلَفٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَرِضَ مَرَضًا - قَالَ ابْنُ أَبِي خَلَفٍ - بِمَكَّةَ - ثُمَّ اتَّفَقَا - أَشْفَى فِيهِ فَعَادَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي مَالاً كَثِيرًا وَلَيْسَ يَرِثُنِي إِلاَّ ابْنَتِي أَفَأَتَصَدَّقُ بِالثُّلُثَيْنِ قَالَ " لاَ " . قَالَ فَبِالشَّطْرِ قَالَ " لاَ " . قَالَ فَبِالثُّلُثِ قَالَ " الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ إِنَّكَ أَنْ تَتْرُكَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَدَعَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ وَإِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً إِلاَّ أُجِرْتَ بِهَا حَتَّى اللُّقْمَةَ تَرْفَعُهَا إِلَى فِي امْرَأَتِكَ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَخَلَّفُ عَنْ هِجْرَتِي قَالَ " إِنَّكَ إِنْ تُخَلَّفْ بَعْدِي فَتَعْمَلْ عَمَلاً صَالِحًا تُرِيدُ بِهِ وَجْهَ اللَّهِ لاَ تَزْدَادُ بِهِ إِلاَّ رِفْعَةً وَدَرَجَةً لَعَلَّكَ أَنْ تُخَلَّفَ حَتَّى يَنْتَفِعَ بِكَ أَقْوَامٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ " . ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ أَمْضِ لأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ وَلاَ تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ لَكِنِ الْبَائِسُ سَعْدُ ابْنُ خَوْلَةَ يَرْثِي لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ مَاتَ بِمَكَّةَ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
