কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৯. জিহাদের বিধানাবলী - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৭৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭৩
৬৭. সুসংবাদ বহনকারীকে পুরস্কৃত করা প্রসঙ্গে।
২৭৬৪. ইবনে সারহা (রাহঃ) .... কা‘ব ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম (ﷺ) যখন কোন সফর হতে প্রত্যাবর্তন করতেন, তখন তিনি প্রথমে মসজিদে গিয়ে সেখানে দু‘রাকাআত নামায আদায় করতেন। পরে তিনি লোকদের মাঝে উপবেশন করতেন। অবশেষে রাবী ইবনুস সারহা পূর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করেন।
রাবী [কা‘ব (রাযিঃ)] বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সকল মুসলমানকে আমাদের তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করে দেন। (কেননা কা‘ব, হিলাল ইবনে উমাইয়্যা এবং মারারা ইবনে রাবী’ এই তিনজন সাহাবী কোন কারণ ছাড়াই তাবুকের যুদ্ধে যাননি; অথচ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সকল সক্ষম ব্যক্তিদের এ যুদ্ধে শরীক হওয়ার নির্দেশ দেন।)।
এমতাবস্থায় যখন দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলো, তখন আমি আবু কাতাদা (রাযিঃ) এর বাগানে দেওয়াল টপকিয়ে তার ভেতরে গেলাম এবং তিনি ছিলেন আমার চাচাত ভাই। আমি তাকে সালাম করলাম। কিন্তু আল্লাহর শপথ! তিনি আমার সালামের জবাব দিলেন না। এভাবে পঞ্চাশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর একদিন সকালে আমি আমার ঘরের ছাদের উপর দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলাম। তখন আমি একজন আহবানকারীর এরূপ আওয়ায শুনতে পাই যে, ‘‘হে কা‘ব ইবনে মালিক! তোমার জন্য সুসংবাদ।
পরে যখন সে ব্যক্তি আমার নিকটবর্তী হয়, যার সুসংবাদদাতা আমি শুনেছিলাম, তখন আমি আমার গায়ের দু‘খানি কাপড় তাকে দিয়ে দিলাম এবং সে দু‘খানি তাকে পরিয়ে দিলাম। অতঃপর আমি মসজিদে হাযির হয়ে দেখতে পাই যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সেখানে বসে আছেন। তখন আমাকে দেখে তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ্ দৌড়ে আমার কাছে আসেন এবং আমার সাথে মুসাফাহা করে আমাকে মুবারকবাদ জানান।
রাবী [কা‘ব (রাযিঃ)] বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সকল মুসলমানকে আমাদের তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করে দেন। (কেননা কা‘ব, হিলাল ইবনে উমাইয়্যা এবং মারারা ইবনে রাবী’ এই তিনজন সাহাবী কোন কারণ ছাড়াই তাবুকের যুদ্ধে যাননি; অথচ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সকল সক্ষম ব্যক্তিদের এ যুদ্ধে শরীক হওয়ার নির্দেশ দেন।)।
এমতাবস্থায় যখন দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলো, তখন আমি আবু কাতাদা (রাযিঃ) এর বাগানে দেওয়াল টপকিয়ে তার ভেতরে গেলাম এবং তিনি ছিলেন আমার চাচাত ভাই। আমি তাকে সালাম করলাম। কিন্তু আল্লাহর শপথ! তিনি আমার সালামের জবাব দিলেন না। এভাবে পঞ্চাশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর একদিন সকালে আমি আমার ঘরের ছাদের উপর দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলাম। তখন আমি একজন আহবানকারীর এরূপ আওয়ায শুনতে পাই যে, ‘‘হে কা‘ব ইবনে মালিক! তোমার জন্য সুসংবাদ।
পরে যখন সে ব্যক্তি আমার নিকটবর্তী হয়, যার সুসংবাদদাতা আমি শুনেছিলাম, তখন আমি আমার গায়ের দু‘খানি কাপড় তাকে দিয়ে দিলাম এবং সে দু‘খানি তাকে পরিয়ে দিলাম। অতঃপর আমি মসজিদে হাযির হয়ে দেখতে পাই যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সেখানে বসে আছেন। তখন আমাকে দেখে তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ্ দৌড়ে আমার কাছে আসেন এবং আমার সাথে মুসাফাহা করে আমাকে মুবারকবাদ জানান।
باب فِي إِعْطَاءِ الْبَشِيرِ
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ بَدَأَ بِالْمَسْجِدِ فَرَكَعَ فِيهِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ جَلَسَ لِلنَّاسِ . وَقَصَّ ابْنُ السَّرْحِ الْحَدِيثَ قَالَ وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُسْلِمِينَ عَنْ كَلاَمِنَا أَيُّهَا الثَّلاَثَةُ حَتَّى إِذَا طَالَ عَلَىَّ تَسَوَّرْتُ جِدَارَ حَائِطِ أَبِي قَتَادَةَ وَهُوَ ابْنُ عَمِّي فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَوَاللَّهِ مَا رَدَّ عَلَىَّ السَّلاَمَ ثُمَّ صَلَّيْتُ الصُّبْحَ صَبَاحَ خَمْسِينَ لَيْلَةً عَلَى ظَهْرِ بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِنَا فَسَمِعْتُ صَارِخًا يَا كَعْبُ بْنَ مَالِكٍ أَبْشِرْ . فَلَمَّا جَاءَنِي الَّذِي سَمِعْتُ صَوْتَهُ يُبَشِّرُنِي نَزَعْتُ لَهُ ثَوْبَىَّ فَكَسَوْتُهُمَا إِيَّاهُ فَانْطَلَقْتُ حَتَّى إِذَا دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ فَقَامَ إِلَىَّ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ يُهَرْوِلُ حَتَّى صَافَحَنِي وَهَنَّأَنِي .