কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৯. জিহাদের বিধানাবলী - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৭৪২
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৫১
৫৩. সেনাবাহিনীর এক অংশের মাল প্রাপ্তি প্রসঙ্গে।
২৭৪২. কুতায়বা ইবনে সা‘ঈদ (রাহঃ) ..... আমর ইবনে শুআয়ব (রাহঃ) তাঁর পিতা ও দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, সমস্ত মুসলমানের রক্ত সমান। একজন সাধারণ মুসলিমও যে কোন লোককে নিরাপত্তা দিতে পারে। একইরূপে দূরে অবস্থানকারী মুসলমান পানাহ দিতে পারে, যদি তার নিকটে অবস্থানকারী ও মওজুদ থাকে। প্রত্যেক মুসলমান তার প্রতিপক্ষের বিপক্ষে অন্য মুসলমানকে সাহায্য করেবে। যার সবল ও দ্রুতগাম্যী বাহন আছে, তার উচিত হবে দুর্বল ও ধীরগামী বাহণের মালিকের সাথে থাকা। একইভাবে, সেনাবহিনীর কোন বিশেষ অংশ যদি গনিমতের মাল হাসিল করে, তবে তা অন্য যোদ্ধাদের মাঝে বণ্টণ করে দেবে। কোন মুসলমানকে কোন কাফিরের বিনিময়ে হত্যা করা যাবে না এবং কোন যিম্মীকে তার অঙ্গীকার রক্ষাকালে কতল করা যাবে না।
রাবী ইবনে ইসহাক তাঁর বর্ণিত হাদীসে ‘‘কোন মুসলমানকে কোন কাফিরের বিনিময়ে হত্যা করা যাবে না’’ এবং ‘‘সব মুসলমানের রক্ত সমান’’ এ অংশ বর্ণনা করেননি।
রাবী ইবনে ইসহাক তাঁর বর্ণিত হাদীসে ‘‘কোন মুসলমানকে কোন কাফিরের বিনিময়ে হত্যা করা যাবে না’’ এবং ‘‘সব মুসলমানের রক্ত সমান’’ এ অংশ বর্ণনা করেননি।
باب فِي السَّرِيَّةِ تَرُدُّ عَلَى أَهْلِ الْعَسْكَرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، - هُوَ مُحَمَّدٌ - بِبَعْضِ هَذَا ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنِي هُشَيْمٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْمُسْلِمُونَ تَتَكَافَأُ دِمَاؤُهُمْ يَسْعَى بِذِمَّتِهِمْ أَدْنَاهُمْ وَيُجِيرُ عَلَيْهِمْ أَقْصَاهُمْ وَهُمْ يَدٌ عَلَى مَنْ سِوَاهُمْ يَرُدُّ مُشِدُّهُمْ عَلَى مُضْعِفِهِمْ وَمُتَسَرِّعُهُمْ عَلَى قَاعِدِهِمْ لاَ يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ وَلاَ ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ " . وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنُ إِسْحَاقَ الْقَوَدَ وَالتَّكَافُؤَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৭৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৫২
৫৩. সেনাবাহিনীর এক অংশের মাল প্রাপ্তি প্রসঙ্গে।
২৭৪৩. হারূন ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) .... ইয়াস ইবনে সালামা (রাহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আব্দুর রহমান ইবনে উয়াইনা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর উট লুন্ঠণ করে এবং তার রাখালকে হত্যা করে। সে নিজে এবং তার অশ্বারোহী সাথীরা সেগুলোকে হাঁকিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। তখন আমি মদীনার দিকে মুখ ফিরিয়ে তিনবার সাহায্যের জন্য ডেকে বলিঃ ইয়া সাবাহা। অতঃপর আমি তাদের পশ্চাদ্ধাবন করতে থাকি। আমি তাদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করতে থাকি এবং তাদের যখম করতে থাকি।
যখন তাদের থেকে কোন অশ্বারোহী সৈন্য আমার দিকে আসত, তখন আমি গাছের আড়ালে বসে পড়তাম। এভাবে আমি নবী করীম (ﷺ) এর জন্য, আল্লাহর সৃষ্ট বাহনসমূহের সবকে উদ্ধার করে আমার পেছনে ফেলি। এ সময় তারা তাদের বোঝা হালকা করার জন্য তাঁদের ত্রিশটির অধিক বল্লম এবং ত্রিশটির বেশী চাদর ফেলে দেয়। এ সময় উয়াইনা তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে এবং বলেঃ তোমরা কিছু লোক এর মুকাবিলায় দাঁড়াও।
তখন তাদের চার ব্যক্তি আমার দিকে ফিরে দাঁড়ায় এবং পাহাড়ের উপর উঠতে থাকে। পরে যখন তারা আমার আওয়াজ শোনার মত নিকটে আসে, তখন আমি তাদের জিজ্ঞাসা করিঃ তোমরা কি আমাকে চিন? তখন তারা বলেঃ তুমি কে? জবাবে আমি বলিঃ আমি সালামা ইবনে আকওয়া’। ঐ সাত্তার কসম! যিনি মুহাম্মাদ (ﷺ)কে সম্মানিত করেছেন, তোমাদের কেউ যদি আমাকে পাকড়াও করতে চায়, তবে সে কখনো আমাকে ধরতে পারবে না। পক্ষান্তরে আমি যদি তোমাদের কাউকে পাকড়াও করতে চাই, তবে সে কখনো রক্ষা পাবে না।
এর একটু পরেই আমি দেখতে পাই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রেরিত অশ্বারোহী বাহিনী বৃক্ষরাজির পাশ দিয়ে এগিয়ে আসছে, যার আগে ছিলেন আখরাম আসাদী। তিনি যখন আব্দুর রহমান ইবনে উয়াইনার নিকটবর্তী হন, তখন আব্দুর রহমান তাঁর উপর হামলা করে। তখন তারা পাস্পরকে আঘাত করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে আখরাম আব্দুর রহমানের ঘোড়াকে আঘাতের দ্বারা হত্যা করে এবং আব্দুর রহমান আখরামকে বল্লমের আঘাতে হত্যা করে। পরে আব্দুর রহমান আখরামের ঘোড়ার উপর সওয়ার হয়।
তখন আবু কাতাদা (রাযিঃ) আব্দুর রহমানের উপর হামলা চালান এবং তারা উভয়ে ঘোরতর যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে আবু কাতাদা (রাযিঃ) এর ঘোড়া নিহত হয় এবং আবু কাতাদা আব্দুর রহমানকে হত্যা করে ফেলে। অতঃপর আবু কাতাদা আখরাম এর ঘোড়ায় সওয়ার হন। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট হাযির হই। এ সময় তিনি যে পানির ঝিলের নিকট অবস্থান করছিলেন, তার নাম ছিল ‘যু-কারাদ’। সেখান থেকে আমি ডাকাতদের পিছু ধাওয়া করেছিলাম। আমি সেখানে পৌঁছে দেখতে পাই যে, নবী (ﷺ) পাঁচশত লোকসহ সেখানে অবস্থান করছেন। তখন তিনি আমাকে (বীরত্বের জন্য) কজন অশ্বারোহী এবং একজন পদাতিক সৈন্যের সম-পরিমাণ গনিমতের মাল প্রদান করেন।
যখন তাদের থেকে কোন অশ্বারোহী সৈন্য আমার দিকে আসত, তখন আমি গাছের আড়ালে বসে পড়তাম। এভাবে আমি নবী করীম (ﷺ) এর জন্য, আল্লাহর সৃষ্ট বাহনসমূহের সবকে উদ্ধার করে আমার পেছনে ফেলি। এ সময় তারা তাদের বোঝা হালকা করার জন্য তাঁদের ত্রিশটির অধিক বল্লম এবং ত্রিশটির বেশী চাদর ফেলে দেয়। এ সময় উয়াইনা তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে এবং বলেঃ তোমরা কিছু লোক এর মুকাবিলায় দাঁড়াও।
তখন তাদের চার ব্যক্তি আমার দিকে ফিরে দাঁড়ায় এবং পাহাড়ের উপর উঠতে থাকে। পরে যখন তারা আমার আওয়াজ শোনার মত নিকটে আসে, তখন আমি তাদের জিজ্ঞাসা করিঃ তোমরা কি আমাকে চিন? তখন তারা বলেঃ তুমি কে? জবাবে আমি বলিঃ আমি সালামা ইবনে আকওয়া’। ঐ সাত্তার কসম! যিনি মুহাম্মাদ (ﷺ)কে সম্মানিত করেছেন, তোমাদের কেউ যদি আমাকে পাকড়াও করতে চায়, তবে সে কখনো আমাকে ধরতে পারবে না। পক্ষান্তরে আমি যদি তোমাদের কাউকে পাকড়াও করতে চাই, তবে সে কখনো রক্ষা পাবে না।
এর একটু পরেই আমি দেখতে পাই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রেরিত অশ্বারোহী বাহিনী বৃক্ষরাজির পাশ দিয়ে এগিয়ে আসছে, যার আগে ছিলেন আখরাম আসাদী। তিনি যখন আব্দুর রহমান ইবনে উয়াইনার নিকটবর্তী হন, তখন আব্দুর রহমান তাঁর উপর হামলা করে। তখন তারা পাস্পরকে আঘাত করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে আখরাম আব্দুর রহমানের ঘোড়াকে আঘাতের দ্বারা হত্যা করে এবং আব্দুর রহমান আখরামকে বল্লমের আঘাতে হত্যা করে। পরে আব্দুর রহমান আখরামের ঘোড়ার উপর সওয়ার হয়।
তখন আবু কাতাদা (রাযিঃ) আব্দুর রহমানের উপর হামলা চালান এবং তারা উভয়ে ঘোরতর যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে আবু কাতাদা (রাযিঃ) এর ঘোড়া নিহত হয় এবং আবু কাতাদা আব্দুর রহমানকে হত্যা করে ফেলে। অতঃপর আবু কাতাদা আখরাম এর ঘোড়ায় সওয়ার হন। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট হাযির হই। এ সময় তিনি যে পানির ঝিলের নিকট অবস্থান করছিলেন, তার নাম ছিল ‘যু-কারাদ’। সেখান থেকে আমি ডাকাতদের পিছু ধাওয়া করেছিলাম। আমি সেখানে পৌঁছে দেখতে পাই যে, নবী (ﷺ) পাঁচশত লোকসহ সেখানে অবস্থান করছেন। তখন তিনি আমাকে (বীরত্বের জন্য) কজন অশ্বারোহী এবং একজন পদাতিক সৈন্যের সম-পরিমাণ গনিমতের মাল প্রদান করেন।
باب فِي السَّرِيَّةِ تَرُدُّ عَلَى أَهْلِ الْعَسْكَرِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنِي إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَغَارَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُيَيْنَةَ عَلَى إِبِلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَتَلَ رَاعِيَهَا وَخَرَجَ يَطْرُدُهَا هُوَ وَأُنَاسٌ مَعَهُ فِي خَيْلٍ فَجَعَلْتُ وَجْهِي قِبَلَ الْمَدِينَةِ ثُمَّ نَادَيْتُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ يَا صَبَاحَاهُ . ثُمَّ اتَّبَعْتُ الْقَوْمَ فَجَعَلْتُ أَرْمِي وَأَعْقِرُهُمْ فَإِذَا رَجَعَ إِلَىَّ فَارِسٌ جَلَسْتُ فِي أَصْلِ شَجَرَةٍ حَتَّى مَا خَلَقَ اللَّهُ شَيْئًا مِنْ ظَهْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ جَعَلْتُهُ وَرَاءَ ظَهْرِي وَحَتَّى أَلْقَوْا أَكْثَرَ مِنْ ثَلاَثِينَ رُمْحًا وَثَلاَثِينَ بُرْدَةً يَسْتَخِفُّونَ مِنْهَا ثُمَّ أَتَاهُمْ عُيَيْنَةُ مَدَدًا فَقَالَ لِيَقُمْ إِلَيْهِ نَفَرٌ مِنْكُمْ . فَقَامَ إِلَىَّ أَرْبَعَةٌ مِنْهُمْ فَصَعِدُوا الْجَبَلَ فَلَمَّا أَسْمَعْتُهُمْ قُلْتُ أَتَعْرِفُونِي قَالُوا وَمَنْ أَنْتَ قُلْتُ أَنَا ابْنُ الأَكْوَعِ وَالَّذِي كَرَّمَ وَجْهَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم لاَ يَطْلُبُنِي رَجُلٌ مِنْكُمْ فَيُدْرِكُنِي وَلاَ أَطْلُبُهُ فَيَفُوتُنِي . فَمَا بَرِحْتُ حَتَّى نَظَرْتُ إِلَى فَوَارِسِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَخَلَّلُونَ الشَّجَرَ أَوَّلُهُمُ الأَخْرَمُ الأَسَدِيُّ فَيَلْحَقُ بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُيَيْنَةَ وَيَعْطِفُ عَلَيْهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَاخْتَلَفَا طَعْنَتَيْنِ فَعَقَرَ الأَخْرَمُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ وَطَعَنَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقَتَلَهُ فَتَحَوَّلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ عَلَى فَرَسِ الأَخْرَمِ فَيَلْحَقُ أَبُو قَتَادَةَ بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ فَاخْتَلَفَا طَعْنَتَيْنِ فَعَقَرَ بِأَبِي قَتَادَةَ وَقَتَلَهُ أَبُو قَتَادَةَ فَتَحَوَّلَ أَبُو قَتَادَةَ عَلَى فَرَسِ الأَخْرَمِ ثُمَّ جِئْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى الْمَاءِ الَّذِي جَلَّيْتُهُمْ عَنْهُ ذُو قَرَدٍ فَإِذَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي خَمْسِمِائَةٍ فَأَعْطَانِي سَهْمَ الْفَارِسِ وَالرَّاجِلِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: