কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৮. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২৩৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৪০২
২৩৩. সফরে রোযা রাখা।
২৩৯৪. সুলাইমান ইবনে হারব .... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হামযা আল আসলামী (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এমন ব্যক্তি যে প্রায়ই রোযা রাখি। কাজেই আমি কি সফরকালে রোযা (রমযানের) রাখব? তিনি বলেন, তুমি ইচ্ছা করলে রোযা রাখতে পারো, কিংবা ইফতারও করতে পার।
باب الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ حَمْزَةَ الأَسْلَمِيَّ، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَجُلٌ أَسْرُدُ الصَّوْمَ أَفَأَصُومُ فِي السَّفَرِ قَالَ " صُمْ إِنْ شِئْتَ وَأَفْطِرْ إِنْ شِئْتَ " .
হাদীস নং:২৩৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৪০৩
২৩৩. সফরে রোযা রাখা।
২৩৯৫. আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুহাম্মাদ আন নুফায়লী ...... হামযা ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে হামযা আল আসলামী (রাহঃ) তাঁর পিতা তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি বলি, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি উটের পিঠের মালিক এবং আমি প্রায়ই সফরে থাকি। এমতাবস্থায় যদি এই রমযান মাস আসে এবং যৌবনের শক্তির কারণে যদি আমি রোযা রাখতে সক্ষম হই, তবে কি আমি রোযা রাখব? ইয়া রাসূলূল্লাহ্! রোযা পরে রাখার (কাযা করার) চাইতে তা আদায় করা আমার জন্য অধিকতর সহজ এবং তা দ্বীনেরও অঙ্গ। ইয়া রাসূলাল্লাহ! অধিক বিনিময় প্রাপ্তির আশায় আমি কি রোযা রাখব, না ইফতার করব? তিনি বলেন, হে হামযা! তোমার যা ইচ্ছা তা-ই করো।
باب الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الْمَدَنِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ حَمْزَةَ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ حَمْزَةَ الأَسْلَمِيَّ، يَذْكُرُ أَنَّ أَبَاهُ، أَخْبَرَهُ عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي صَاحِبُ ظَهْرٍ أُعَالِجُهُ أُسَافِرُ عَلَيْهِ وَأَكْرِيهِ وَإِنَّهُ رُبَّمَا صَادَفَنِي هَذَا الشَّهْرُ - يَعْنِي رَمَضَانَ - وَأَنَا أَجِدُ الْقُوَّةَ وَأَنَا شَابٌّ وَأَجِدُ بِأَنْ أَصُومَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَهْوَنَ عَلَىَّ مِنْ أَنْ أُؤَخِّرَهُ فَيَكُونَ دَيْنًا أَفَأَصُومُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعْظَمُ لأَجْرِي أَوْ أُفْطِرُ قَالَ " أَىُّ ذَلِكَ شِئْتَ يَا حَمْزَةُ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৪০৪
২৩৩. সফরে রোযা রাখা।
২৩৯৬. মুসাদ্দাদ ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী করীম (ﷺ) মদীনা হতে মক্কার উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর তিনি উসফান নামক স্থানে উপনীত হওয়ার পর পানি চান এবং লোকদের দেখানের উদ্দেশ্যে তা মুখে স্থাপন করেন। আর এই ঘটনা রমযানের মধ্যে সংঘটিত হয়। ইবনে আব্বাসা (রাযিঃ) বলতেন, নবী করীম (ﷺ) রোযা রেখে পরে ইফতার করেন। কাজেই যার ইচ্ছা রোযা রাখতে পারে এবং ইফতারও করতে পারে।
باب الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ حَتَّى بَلَغَ عُسْفَانَ ثُمَّ دَعَا بِإِنَاءٍ فَرَفَعَهُ إِلَى فِيهِ لِيُرِيَهُ النَّاسَ وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ . فَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقُولُ قَدْ صَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَفْطَرَ فَمَنْ شَاءَ صَامَ وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ .
হাদীস নং:২৩৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৪০৫
২৩৩. সফরে রোযা রাখা।
২৩৯৭. আহমদ ইবনে ইউসুফ ..... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রমযান মাসে আমরা রাসূুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাথে সফর করি। তখন আমাদের কেউ কেউ রোযা রাখে এবং কেউ কেউ ইফতার করে। কিন্তু ঐ সময় কোন রোযাদার ইফতারকারীকে এবং ইফতারকারী রোযাদারকে দোষারোপ করেননি।
باب الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ سَافَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَصَامَ بَعْضُنَا وَأَفْطَرَ بَعْضُنَا فَلَمْ يَعِبِ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ وَلاَ الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৪০৬
২৩৩. সফরে রোযা রাখা।
২৩৯৮. আহমদ ইবনে সালিহ ..... কাযাআ (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (মদীনাতে) আবু সাঈদ আল্ খুদরী (রাযিঃ) এর নিকট গমন করি। ঐ সময় তিনি প্রচুর জনসমাগমের মধ্যে ফাতওয়া প্রদানে রত ছিলেন। এরপর আমি তাঁর সাথে একান্তে সাক্ষাতের আশায় অপেক্ষা করতে থাকি। পরে তিনি একটু অবসর হলে আমি তাঁকে সফরের মধ্যে রমযানের রোযা রাখা সম্পর্কে প্রশ্ন করি। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের সময় রমযান মাসে আমরা নবী করীম (ﷺ) এর সাথে বের হই। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রোযা রাখলে আমরাও রোযা রাখি। পরে একটি মনযিলে উপনীত হওয়ার পর তিনি ইরশাদ করেনঃ তোমরা তোমাদের শত্রুদের নিকটবর্তী হয়েছ। কাজেই এখন তোমাদের জন্য ইফতার অধিক শক্তি সঞ্চয়ের কারণ হবে।

এমতাবস্থায় আমরা কেউ কেউ রোযা রাখি এবং কেউ কেউ ইফতার করি। রাবী বলেন, আমরা আরো সম্মুখ দিয়ে অগ্রসর হওয়ার পর, তিনি ইরশাদ করেনঃ তোমরা আগামীকাল সকালে তোমাদের শত্রুদের সাথে মুকাবিলায় পৌঁছাবে। কাজেই তোমাদের ইফতার করা, অধিক শক্তি সঞ্চয়ের কারণ হবে। আর তোমরা সকলে ইফতার করো। আর এটা ছির রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর পক্ষ হতে নির্দেশ স্বরূপ। আবু সাঈদ বলেন, এর পূর্বে ও পরে আমি নবী করীম (ﷺ) এর সাথে রোযা রাখি এবং ইফতারও করি।
باب الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، وَوَهْبُ بْنُ بَيَانٍ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ قَزَعَةَ، قَالَ أَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ وَهُوَ يُفْتِي النَّاسَ وَهُمْ مُكِبُّونَ عَلَيْهِ فَانْتَظَرْتُ خَلْوَتَهُ فَلَمَّا خَلاَ سَأَلْتُهُ عَنْ صِيَامِ رَمَضَانَ فِي السَّفَرِ فَقَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ عَامَ الْفَتْحِ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ وَنَصُومُ حَتَّى بَلَغَ مَنْزِلاً مِنَ الْمَنَازِلِ فَقَالَ " إِنَّكُمْ قَدْ دَنَوْتُمْ مِنْ عَدُوِّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ " . فَأَصْبَحْنَا مِنَّا الصَّائِمُ وَمِنَّا الْمُفْطِرُ - قَالَ - ثُمَّ سِرْنَا فَنَزَلْنَا مَنْزِلاً فَقَالَ " إِنَّكُمْ تُصَبِّحُونَ عَدُوَّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ فَأَفْطِرُوا " . فَكَانَتْ عَزِيمَةً مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو سَعِيدٍ ثُمَّ لَقَدْ رَأَيْتُنِي أَصُومُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ ذَلِكَ وَبَعْدَ ذَلِكَ .