কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৮. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৩২৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৩২ - ২৩৩৩
২০২. যদি কোন শহরে অন্যান্য শহরের এক রাত পূর্বে চাঁদ দেখা যায়।
২৩২৬. মুসা ই্ন ইসমাঈল ..... কুরায়ব হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মে ফযল বিনতে আল হারিস তাঁকে মুআবিয়ার নিকট শাম (সিরিয়া) দেশে প্রেরণ করেন। তিনি বলেন, আমি সিরিয়া পৌঁছে, তার প্রয়োজন পূর্ণ করি। আমি সিরিয়া থাকাবস্থায় রমযানের চাঁদ ওঠে এবং আমরা উহা জুমআর রাত্রিতে অবলোকন করি। এরপর আমি রমযানের শেষর দিকে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করি। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) আমাকে সফর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন এবং বিশেষ করে চাঁদ দেখা সম্পর্কে বলেন, তোমরা রমযানের চাঁদ কখন দেখেছিলে? আমি বলি, আমি তা জুমআর রাতে দেখেছি। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন, তুমি নিজেও কি তা দেখেছিলে? আমি বলি, হ্যাঁ এবং অন্যান্য লোকেরাও দেখে এবং তারা রোয়া রাখে, এমনকি মুআবিয়াও রোযা রাখেন। তিনি বলেন, আমরা তো তা শনিবারে দেখেছি। কাজেই আমরা ত্রিশ পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত রোযা রাখব অথবা শাওয়ালের চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোযা রেখে যাবো। আমি জিজ্ঞসা করি, মুআবিয়ার দর্শন ও রোযা রাখা কি এ ব্যাপরে যথেষ্ট নয়? তিনি বলেন, না। আমাদেরকে রাসৃলুল্লাহ্ (ﷺ) এরূপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আল-হাসান (রাহঃ) সূত্রে কোনো এক শহরের অধিবাসী সম্পর্কে বর্ণিত। লোকটি সোমবার সওম পালন করে এবং দুই ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, তারা রবিবার দিবাগত সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছে। তিনি বললেন, ঐ লোক এবং তার অধিবাসীকে সওম কাযা করতে হবে না যতক্ষণ না তারা জানতে পারে যে, ঐ জনপদের লোকেরা রবিবার সওম পালন করেছে। তাহলে তারা সওমের কাযা করবে।
আল-হাসান (রাহঃ) সূত্রে কোনো এক শহরের অধিবাসী সম্পর্কে বর্ণিত। লোকটি সোমবার সওম পালন করে এবং দুই ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, তারা রবিবার দিবাগত সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছে। তিনি বললেন, ঐ লোক এবং তার অধিবাসীকে সওম কাযা করতে হবে না যতক্ষণ না তারা জানতে পারে যে, ঐ জনপদের লোকেরা রবিবার সওম পালন করেছে। তাহলে তারা সওমের কাযা করবে।
باب إِذَا رُؤِيَ الْهِلاَلُ فِي بَلَدٍ قَبْلَ الآخَرِينَ بِلَيْلَةٍ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ، أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ، أَنَّ أُمَّ الْفَضْلِ ابْنَةَ الْحَارِثِ، بَعَثَتْهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ قَالَ فَقَدِمْتُ الشَّامَ فَقَضَيْتُ حَاجَتَهَا فَاسْتُهِلَّ رَمَضَانُ وَأَنَا بِالشَّامِ فَرَأَيْنَا الْهِلاَلَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فِي آخِرِ الشَّهْرِ فَسَأَلَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ ثُمَّ ذَكَرَ الْهِلاَلَ فَقَالَ مَتَى رَأَيْتُمُ الْهِلاَلَ قُلْتُ رَأَيْتُهُ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ . قَالَ أَنْتَ رَأَيْتَهُ قُلْتُ نَعَمْ وَرَآهُ النَّاسُ وَصَامُوا وَصَامَ مُعَاوِيَةُ . قَالَ لَكِنَّا رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ السَّبْتِ فَلاَ نَزَالُ نَصُومُهُ حَتَّى نُكْمِلَ الثَّلاَثِينَ أَوْ نَرَاهُ . فَقُلْتُ أَفَلاَ تَكْتَفِي بِرُؤْيَةِ مُعَاوِيَةَ وَصِيَامِهِ قَالَ لاَ هَكَذَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا الْأَشْعَثُ، عَنِ الْحَسَنِ، فِي رَجُلٍ كَانَ بِمِصْرٍ مِنَ الأَمْصَارِ، فَصَامَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَشَهِدَ رَجُلَانِ أَنَّهُمَا رَأَيَا الْهِلَالَ لَيْلَةَ الْأَحَدِ، فَقَالَ: لَا يَقْضِي ذَلِكَ الْيَوْمَ الرَّجُلُ، وَلَا أَهْلُ مِصْرِهِ، إِلَّا أَنْ يَعْلَمُوا أَنَّ أَهْلَ مِصْرٍ مِنْ أَمْصَارِ الْمُسْلِمِينَ قَدْ صَامُوا يَوْمَ الْأَحَدِ فَيَقْضُوهُ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا الْأَشْعَثُ، عَنِ الْحَسَنِ، فِي رَجُلٍ كَانَ بِمِصْرٍ مِنَ الأَمْصَارِ، فَصَامَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَشَهِدَ رَجُلَانِ أَنَّهُمَا رَأَيَا الْهِلَالَ لَيْلَةَ الْأَحَدِ، فَقَالَ: لَا يَقْضِي ذَلِكَ الْيَوْمَ الرَّجُلُ، وَلَا أَهْلُ مِصْرِهِ، إِلَّا أَنْ يَعْلَمُوا أَنَّ أَهْلَ مِصْرٍ مِنْ أَمْصَارِ الْمُسْلِمِينَ قَدْ صَامُوا يَوْمَ الْأَحَدِ فَيَقْضُوهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান