কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৮. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২৩০৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৩১৩
১৯৪. রোযা ফরয হওয়া।
২৩০৭. আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে শাবওয়া ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। (আল্লাহ বাণীঃ) (অর্থ) ‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন তা পূর্বববতীদের জন্য ফরয করা হয়েছিল।’’ নবী করীম (ﷺ) এর যুগে লোকেরা যখন এশার নামায আদায় করতো, তখন তাদের জন্য পানাহার ও স্ত্রী সহবাস হারাম হয়ে যেত এবং তারা পরবর্তী রাত পর্যন্ত রোযা রাখত। তখন এক ব্যক্তি নিজের নফসের প্রতি খিয়ানত করে স্বীয় স্ত্রীর সাথে সহবাস করে। অথচ সে এশার নামায আদায় করেছিল, কিন্তু ইফতার করেনি, (অর্থাৎ সন্ধ্যার পর কোন খাদ্য গ্রহণ করেনি)। এরপর আল্লাহ্ তাআলা এ নির্দেশ অন্যদের জন্য সহজ, স্বেচ্ছাধীন ও উপকারী করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ (অর্থ) ‘আল্লাহ্ জানেন, তোমরা তোমাদের নফসের প্রতি (পানাহার ও সহবাসের দ্বারা) খিয়ানত করেছিলে।’’ আর এ নির্দেশ দ্বারা আল্লাহ্ মানুষের উপকার করেছেন এবং এটা তাদের জন্য সহজ ও স্বেচ্ছাধীন করেছেন।
باب مَبْدَإِ فَرْضِ الصِّيَامِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ شَبُّويَةَ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ ) فَكَانَ النَّاسُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّوُا الْعَتَمَةَ حَرُمَ عَلَيْهِمُ الطَّعَامُ وَالشَّرَابُ وَالنِّسَاءُ وَصَامُوا إِلَى الْقَابِلَةِ فَاخْتَانَ رَجُلٌ نَفْسَهُ فَجَامَعَ امْرَأَتَهُ وَقَدْ صَلَّى الْعِشَاءَ وَلَمْ يُفْطِرْ فَأَرَادَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يَجْعَلَ ذَلِكَ يُسْرًا لِمَنْ بَقِيَ وَرُخْصَةً وَمَنْفَعَةً فَقَالَ سُبْحَانَهُ ( عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنْتُمْ تَخْتَانُونَ أَنْفُسَكُمْ ) . وَكَانَ هَذَا مِمَّا نَفَعَ اللَّهُ بِهِ النَّاسَ وَرَخَّصَ لَهُمْ وَيَسَّرَ .
হাদীস নং:২৩০৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৩১৪
১৯৪. রোযা ফরয হওয়া।
২৩০৮. নসর ইবনে আলী ..... আল-বারাআ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা যখন রোযা রাখত তখন যদি কেউ না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ত তবে তাকে পরবর্তী রাত পর্যন্ত না খেয়ে থাকতে হতো। একদা সূরামা ইবনে কায়স সারাদিন রোযা রাখার পর রাতে তার স্ত্রীর নিকট আগমন করে তাকে বলে, তোমার নিকট কোন খাদ্য আছে কি? সে বলে, না। তবে আমি যাই, তোমার জন্য খাদ্যের যোগাড় করে আনি। সে (স্ত্রী) যাওয়ার পর, সে (স্বামী) গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এরপর খাদ্য নিয়ে ফেরার পর তাকে নিদ্রিত দেখে সে বলে, তোমার জন্য বঞ্চিত থাকা ব্যতীত আর কিছুই নেই। পরের দিন সে যখন তার যমীনে কর্মরত ছিল, তখন দ্বিপ্রহর হয়ে পড়ে। এরপর নবী করীম (ﷺ) এর নিকট যখন তা উল্লেখ করা হয়, তখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ (অর্থ) ‘‘তোমাদের জন্য রমযানের রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস হালাল করা হল ......... (হতে) সকাল পর্যন্ত’’ পূর্ণ আয়াত।
باب مَبْدَإِ فَرْضِ الصِّيَامِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ نَصْرٍ الْجَهْضَمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَدَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ كَانَ الرَّجُلُ إِذَا صَامَ فَنَامَ لَمْ يَأْكُلْ إِلَى مِثْلِهَا وَإِنَّ صِرْمَةَ بْنَ قَيْسٍ الأَنْصَارِيَّ أَتَى امْرَأَتَهُ وَكَانَ صَائِمًا فَقَالَ عِنْدَكِ شَىْءٌ قَالَتْ لاَ لَعَلِّي أَذْهَبُ فَأَطْلُبُ لَكَ شَيْئًا . فَذَهَبَتْ وَغَلَبَتْهُ عَيْنُهُ فَجَاءَتْ فَقَالَتْ خَيْبَةً لَكَ . فَلَمْ يَنْتَصِفِ النَّهَارُ حَتَّى غُشِيَ عَلَيْهِ وَكَانَ يَعْمَلُ يَوْمَهُ فِي أَرْضِهِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَتْ ( أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ ) قَرَأَ إِلَى قَوْلِهِ ( مِنَ الْفَجْرِ ) .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান