কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৭. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২২৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ২২৮৪
১৮২. তালাকে বায়েনপ্রাপ্তা মহিলার খোরপোষ।
২২৭৮. আল্ কা‘নবী ..... ফাতিমা বিনতে কায়স (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আবু আমর ইবনে হাফস তাকে তিন তালাক বায়েন প্রদান করেন এমতাবস্থায় যে, তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর তিনি তার উকিল মারফত তার (ফাতিমার) নিকট কিছু আটা প্রেরণ করেন, যাতে তিনি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আল্লার শপথ! এর অধিক তোমার কিছুই আমার নিকট পাওনা নেই। তিনি রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে এ সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, তার নিকট তোমার কিছুই পাওনা নেই। এরপর তিনি তাকে উম্মে শুরায়কের ঘরে অবস্থানপূর্বক তার ইদ্দত পূর্ণ করার নির্দেশ দেন।

এরপর তিনি বলেন, এ স্ত্রীলোকটি তার অধিক খরচের দ্বারা আমার সাহাবীকে ঢেকে ফেলেছে। তুমি উম্মে মাকতুমের ঘরে অবস্থান কর, আর সে হল একজন অন্ধ লোক, কাজেই সে তোমাকে দেখবে না। এরপর তুমি যখন তোমার ইদ্দত পূর্ণ করবে, তখন আমাকে এ সম্পর্কে খবর দিবে। তিনি বলেন, এরপর আমি আমার ইদ্দত পূর্ণ করে তাঁকে এ সম্পর্কে অবহিত করি এবং বলি যে, মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান ও আবু জাহাম উভয়ে আমার নিকট আমাকে বিবাহের উদ্দেশ্যে পয়গাম পাঠিয়েছে।

রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, আবু জাহাম তো তার কাঁধ হতে লাঠি সরায় না (অর্থাৎ অধিক মারধরকারী)। আর মুআবিয়া সে তো ফকীর এবং তার কোন মাল নেই। তুমি বরং উসামা ইবনে যায়দকে বিবাহ করো। তিনি বলেন, তা আমার নিকট অপছন্দনীয় মনে হয়। তিনি পুনরায় বলেন, তুমি উসামা ইবনে যায়দকে বিবাহ করো। এরপর তিনি তাকে বিবাহ করেন। এরপর আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য এতে এত মঙ্গল প্রদান করেন, যা অন্যের জন্য ঈর্ষার বস্তুত পরিনত হয়।
باب فِي نَفَقَةِ الْمَبْتُوتَةِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، مَوْلَى الأَسْوَدِ بْنِ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، أَنَّ أَبَا عَمْرِو بْنَ حَفْصٍ، طَلَّقَهَا الْبَتَّةَ وَهُوَ غَائِبٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا وَكِيلَهُ بِشَعِيرٍ فَتَسَخَّطَتْهُ فَقَالَ وَاللَّهِ مَا لَكِ عَلَيْنَا مِنْ شَىْءٍ . فَجَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ لَهَا " لَيْسَ لَكِ عَلَيْهِ نَفَقَةٌ " . وَأَمَرَهَا أَنْ تَعْتَدَّ فِي بَيْتِ أُمِّ شَرِيكٍ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ تِلْكَ امْرَأَةٌ يَغْشَاهَا أَصْحَابِي اعْتَدِّي فِي بَيْتِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَإِنَّهُ رَجُلٌ أَعْمَى تَضَعِينَ ثِيَابَكِ وَإِذَا حَلَلْتِ فَآذِنِينِي " . قَالَتْ فَلَمَّا حَلَلْتُ ذَكَرْتُ لَهُ أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ وَأَبَا جَهْمٍ خَطَبَانِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَّا أَبُو جَهْمٍ فَلاَ يَضَعُ عَصَاهُ عَنْ عَاتِقِهِ وَأَمَّا مُعَاوِيَةُ فَصُعْلُوكٌ لاَ مَالَ لَهُ انْكِحِي أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ " . قَالَتْ فَكَرِهْتُهُ ثُمَّ قَالَ " انْكِحِي أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ . فَنَكَحْتُهُ فَجَعَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِيهِ خَيْرًا كَثِيرًا وَاغْتَبَطْتُ بِهِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২২৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ২২৮৫
১৮২. তালাকে বায়েনপ্রাপ্তা মহিলার খোরপোষ।
২২৭৯. মুসা ইবনে ইসমাঈল ..... আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) বলেন, ফাতিমা বিনতে কায়স তাকে বলেছেন যে, আবু হাফস ইবনে মুগীরা (তার স্বামী) তাকে তিন তালাক (বায়েন) প্রদান করেন। এরপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তখন খালিদ ইবনে ওয়ালীদ এবং বনু মাখযূম গোত্রের কিছু লোক নবী করীম (ﷺ) এর নিকট আসে এবং বলে, হে আ্ল্লাহর নবী! নিশ্চয়ই আবু হাফস ইবনে মুগীরা তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছে এবং তার জন্য সামান্য খোরপোষ দিয়েছে। এতদশ্রবণে তিনি বলেন, তার জন্য কোন খোরপোষ নেই। এরপর হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তবে (ইয়াহয়া হতে বর্ণিত) রাবী মালিকের হাদীস অধিক সম্পূর্ণ।
باب فِي نَفَقَةِ الْمَبْتُوتَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ قَيْسٍ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ أَبَا حَفْصِ بْنَ الْمُغِيرَةِ طَلَّقَهَا ثَلاَثًا وَسَاقَ الْحَدِيثَ فِيهِ وَأَنَّ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ وَنَفَرًا مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ أَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ أَبَا حَفْصِ بْنَ الْمُغِيرَةِ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلاَثًا وَإِنَّهُ تَرَكَ لَهَا نَفَقَةً يَسِيرَةً فَقَالَ " لاَ نَفَقَةَ لَهَا " . وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَحَدِيثُ مَالِكٍ أَتَمُّ .
হাদীস নং:২২৮০
আন্তর্জাতিক নং: ২২৮৬
১৮২. তালাকে বায়েনপ্রাপ্তা মহিলার খোরপোষ।
২২৮০. মাহমুদ ইবনে খালিদ ..... ইয়াহয়া (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি আবু সালামা হতে, তিনি ফাতিমা বিনতে কায়স হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আবু আমর ইবনে হাফস আল্ মাখযূমী (রাযিঃ) তাকে তিন তাক দেন। এরপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তবে খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ আছে যে, রাবী বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলেন, তার (ফাতিমার) নিকট এই খবর প্রেরণ করেন যে, সে যেন আমার সাথে পরামর্শের পূর্বে কারও সাথে বিবাহ বন্ধনে আব্দ্ধ না হয়।
باب فِي نَفَقَةِ الْمَبْتُوتَةِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو، عَنْ يَحْيَى، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ، أَنَّ أَبَا عَمْرِو بْنَ حَفْصٍ الْمَخْزُومِيَّ، طَلَّقَهَا ثَلاَثًا وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَخَبَرَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ قَالَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَتْ لَهَا نَفَقَةٌ وَلاَ مَسْكَنٌ " . قَالَ فِيهِ وَأَرْسَلَ إِلَيْهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ لاَ تَسْبِقِينِي بِنَفْسِكِ .
হাদীস নং:২২৮১
আন্তর্জাতিক নং: ২২৮৭
১৮২. তালাকে বায়েনপ্রাপ্তা মহিলার খোরপোষ।
২২৮১. কুতায়বা ইবনে সাঈদ ..... ফাতিমা বিনতে কায়স (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বনী মাখযূম গোত্রের জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী ছিলাম। তবে সেখানে এরূপ উল্লেখ আছে যে, সে যেন কারও নিকট বিবাহের পয়গাম প্রেরণ না করে।
باب فِي نَفَقَةِ الْمَبْتُوتَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّ إِسْمَاعِيلَ بْنَ جَعْفَرٍ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، قَالَتْ كُنْتُ عِنْدَ رَجُلٍ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ فَطَلَّقَنِي الْبَتَّةَ ثُمَّ سَاقَ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ قَالَ فِيهِ " وَلاَ تَفُوتِينِي بِنَفْسِكِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الشَّعْبِيُّ وَالْبَهِيُّ وَعَطَاءٌ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَاصِمٍ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الْجَهْمِ كُلُّهُمْ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ أَنَّ زَوْجَهَا طَلَّقَهَا ثَلاَثًا .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২২৮২
আন্তর্জাতিক নং: ২২৮৮
১৮২. তালাকে বায়েনপ্রাপ্তা মহিলার খোরপোষ।
২২৮২. মুহাম্মাদ ইবনে কাসীর ...... ফাতিমা বিনতে কায়স (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তার স্বামী তাকে তিন তালাক প্রদান করেন। তখন নবী করীম (ﷺ) তার থাকার ও খোরপোষের জন্য কিছুই নির্ধারিত করেননি।
باب فِي نَفَقَةِ الْمَبْتُوتَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، أَنَّ زَوْجَهَا، طَلَّقَهَا ثَلاَثًا فَلَمْ يَجْعَلْ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم نَفَقَةً وَلاَ سُكْنَى .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২২৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ২২৮৯
১৮২. তালাকে বায়েনপ্রাপ্তা মহিলার খোরপোষ।
২২৮৩. ইয়াযীদ ইবনে খালিদ ..... ফাতিমা বিনতে কায়স (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি আবু হাফস ইবনে আল-মুগীরার স্ত্রী ছিলেন। এরপর আবু হাফস ইবনে আল-মুগীরা তাকে তিন তালাক (বায়েন) দেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে তার ঘর হতে বহির্গত হওয়া সম্পর্কে ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করেন। তিনি তাকে ইবনে উম্মে মাকতুমের ঘরে (যিনি অন্ধ ছিলেন) গিয়ে থাকার নির্দেশ দেন। রাবী মারওয়ান ইবনে হাকাম, তালকপ্রাপ্তা মহিলার জন্য তার ঘর হতে বহিষ্কার সম্পর্কিত ফাতিমা বর্ণিত হাদীসটিকে সত্য বলে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। রাবী উরওয়া বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) ও ফাতিমা বিনতে কায়সের হাদীসকে অস্বীকার করেছেন।
باب فِي نَفَقَةِ الْمَبْتُوتَةِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا، كَانَتْ عِنْدَ أَبِي حَفْصِ بْنِ الْمُغِيرَةِ وَأَنَّ أَبَا حَفْصِ بْنَ الْمُغِيرَةِ طَلَّقَهَا آخِرَ ثَلاَثِ تَطْلِيقَاتٍ فَزَعَمَتْ أَنَّهَا جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَفْتَتْهُ فِي خُرُوجِهَا مِنْ بَيْتِهَا فَأَمَرَهَا أَنْ تَنْتَقِلَ إِلَى ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ الأَعْمَى فَأَبَى مَرْوَانُ أَنْ يُصَدِّقَ حَدِيثَ فَاطِمَةَ فِي خُرُوجِ الْمُطَلَّقَةِ مِنْ بَيْتِهَا . قَالَ عُرْوَةُ وَأَنْكَرَتْ عَائِشَةُ - رضى الله عنها - عَلَى فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ وَابْنُ جُرَيْجٍ وَشُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَشُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ وَاسْمُ أَبِي حَمْزَةَ دِينَارٌ وَهُوَ مَوْلَى زِيَادٍ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২২৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ২২৯০
১৮২. তালাকে বায়েনপ্রাপ্তা মহিলার খোরপোষ।
২২৮৪. মুখাল্লাদ ইবনে খালিদ ..... ইমাম যুহরী (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি আব্দুল্লাহ্ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মারওয়ান ফাতিমার নিকট কিছু জিজ্ঞাসা করার জন্য প্রেরিত হন। তিনি তাকে অবহিত করেন যে, তিনি আবু হাফসের স্ত্রী ছিলেন। নবী করীম (ﷺ) আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ)-কে ইয়ামানের কোন এক অঞ্চলের আমীর হিসাবে প্রেরণ করেন। আর এ সময় তার (ফাতিমার) স্বামী (আবু হাফস)ও তাঁর সাথে সেখানে গমন করে। এরপর সে তাকে (তৃতীয়) তালাক প্রদান করে, যা (তিন তালাকের মধ্যে) অবশিষ্ট ছিল। এরপর সে আয়্যাশ ইবনে আবু রাবীআ এবং হারিস ইবনে হিশামকে তার খোরপোষ প্রদানের জন্য অনুরোধ করে। তারা বলে, আল্লাহর শপথ! সে গর্ভবতী না হলে, তার জন্য কোন খোরপোষ নেই। সে তাঁর নিকট হতে তার স্বামীর ঘর হতে বের হওয়ার জন্য অনুমতি চাইলে তিনি তাকে অনুমতি প্রদান করেন।

এরপর সে জিজ্ঞাসা করে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি কোথায় যাব? রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, তুমি ইবনে উম্মে মাকতুমের ঘরে গমন করো, কেননা সে অন্ধ। কাজেই তুমি যদি তার নিকট তোমার কাপড় খুলেও রাখ, তবুও সে খেদতে পাবে না (অর্থাৎ সে তোমার ব্যাপারে কিছুই জানতে পারবে না)। এরপর সে তার নিকট অবস্থানকালে তার ইদ্দত অতিক্রান্ত হয়। অবশেষে নবী করীম (ﷺ) তাকে উসামার সাথে বিবাহ দেন। কাবীসা মারওয়ানের নিকট প্রত্যাবর্তন করে এ সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।

মারওয়ান বলেন, আমি এ হাদীসটি মাত্র একজন মহিলা ব্যতীত আর কারো হতে শ্রবণ করিনি। কাজেই তার পবিত্রতা সম্পর্কে যারা জানে তাদের নিকট হতে খোঁজ-খবর সংগ্রহ করবো। ফাতিমা তার (মারওয়ানের) এ বক্তব্য শ্রবণের পর বলেন, আমার ও তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কিতাব আছে। ‘‘তোমরা তাদেরকে, তাদের ইদ্দতের (অতিক্রান্ত হওয়ার) জন্য তালাক প্রদান করো। এমনকি তোমরা অবহিত নও যে, এরপর আল্লাহ্ কোনো কিছুর সৃষ্টি করবেন। ফাতিমা বলেন, তিনি হায়য অতিক্রান্ত হওয়ার পর আর কী সৃষ্টি হতে পারে? (অর্থাৎ সন্তান-সম্ভবা হওয়ার কোন কারণই থাকে না।)।
باب فِي نَفَقَةِ الْمَبْتُوتَةِ
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَرْسَلَ مَرْوَانُ إِلَى فَاطِمَةَ فَسَأَلَهَا فَأَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا كَانَتْ عِنْدَ أَبِي حَفْصٍ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَمَّرَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ - يَعْنِي عَلَى بَعْضِ الْيَمَنِ - فَخَرَجَ مَعَهُ زَوْجُهَا فَبَعَثَ إِلَيْهَا بِتَطْلِيقَةٍ كَانَتْ بَقِيَتْ لَهَا وَأَمَرَ عَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ وَالْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ أَنْ يُنْفِقَا عَلَيْهَا فَقَالاَ وَاللَّهِ مَا لَهَا نَفَقَةٌ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ حَامِلاً . فَأَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لاَ نَفَقَةَ لَكِ إِلاَّ أَنْ تَكُونِي حَامِلاً " . وَاسْتَأْذَنَتْهُ فِي الاِنْتِقَالِ فَأَذِنَ لَهَا فَقَالَتْ أَيْنَ أَنْتَقِلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " عِنْدَ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ " . وَكَانَ أَعْمَى تَضَعُ ثِيَابَهَا عِنْدَهُ وَلاَ يُبْصِرُهَا فَلَمْ تَزَلْ هُنَاكَ حَتَّى مَضَتْ عِدَّتُهَا فَأَنْكَحَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أُسَامَةَ فَرَجَعَ قَبِيصَةُ إِلَى مَرْوَانَ فَأَخْبَرَهُ بِذَلِكَ فَقَالَ مَرْوَانُ لَمْ نَسْمَعْ هَذَا الْحَدِيثَ إِلاَّ مِنَ امْرَأَةٍ فَسَنَأْخُذُ بِالْعِصْمَةِ الَّتِي وَجَدْنَا النَّاسَ عَلَيْهَا فَقَالَتْ فَاطِمَةُ حِينَ بَلَغَهَا ذَلِكَ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ كِتَابُ اللَّهِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى ( فَطَلِّقُوهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ ) حَتَّى ( لاَ تَدْرِي لَعَلَّ اللَّهَ يُحْدِثُ بَعْدَ ذَلِكَ أَمْرًا ) قَالَتْ فَأَىُّ أَمْرٍ يَحْدُثُ بَعْدَ الثَّلاَثِ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ يُونُسُ عَنِ الزُّهْرِيِّ وَأَمَّا الزُّبَيْدِيُّ فَرَوَى الْحَدِيثَيْنِ جَمِيعًا حَدِيثَ عُبَيْدِ اللَّهِ بِمَعْنَى مَعْمَرٍ وَحَدِيثَ أَبِي سَلَمَةَ بِمَعْنَى عُقَيْلٍ وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ قَبِيصَةَ بْنَ ذُؤَيْبٍ حَدَّثَهُ بِمَعْنًى دَلَّ عَلَى خَبَرِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ حِينَ قَالَ فَرَجَعَ قَبِيصَةُ إِلَى مَرْوَانَ فَأَخْبَرَهُ بِذَلِكَ .