কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৭. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২২৭০
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭৬
১৭৮. সন্তানের অধিক হক্দার কে?
২২৭০. মাহমুদ ইবনে খালিদ আস সালমী ..... আমর ইবনে শুআয়ব তাঁর পিতা হতে, তিনি তার দাদা আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, একদা জনৈক স্ত্রীলোক বলে, হে আল্লাহর রাসুল! এ সন্তানটি আমার গর্ভজাত আর সে আমার স্তনের দুগ্ধ পান করছে এবং আমার কোল-ই তার আশ্রয়স্থল। আর তার পিতা আমাকে তালাক দিয়েছে এবং সে একে আমার নিকট হতে ছিনিয়ে নিতে চাচ্ছে। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বলেন, তুমি যতদিন না পুনরায় বিবাহ করবে, ততদিন তুমি তার অধিক হকদার।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالْوَلَدِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو، - يَعْنِي الأَوْزَاعِيَّ - حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ امْرَأَةً، قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنِي هَذَا كَانَ بَطْنِي لَهُ وِعَاءً وَثَدْيِي لَهُ سِقَاءً وَحِجْرِي لَهُ حِوَاءً وَإِنَّ أَبَاهُ طَلَّقَنِي وَأَرَادَ أَنْ يَنْتَزِعَهُ مِنِّي فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنْتِ أَحَقُّ بِهِ مَا لَمْ تَنْكِحِي " . .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২২৭১
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭৭
১৭৮. সন্তানের অধিক হক্দার কে?
২২৭১. আল্ হাসান ইবনে আলী ..... হিলাল ইবনে উসামা (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু মায়মুনা সালমা যিনি মদীনার কোন এক সত্যবাদী ব্যক্তির আযাদকৃত গোলাম ছিলেন। তিনি বলেন, একদা আমি যখন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, তখন সেখানে পারস্য দেশীয় জনৈক স্ত্রীলোক, তার সাথে একটি পুত্র নিয়ে আগমন করে; যাকে (পুত্র সন্তানকে) সে এবং তার স্বামী, যে তাকে তালাক দিয়েছিল, সন্তান হিসাবে দাবি করতে থাকে। এরপর সে (মহিলা) ফরাসী ভাষায় বলে, হে আবু হুরায়রা! আমার স্বামী আমার পুত্রকে নিয়ে যেতে চায়। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, তোমরা উভয়ে এর (সন্তানের) ব্যাপারে লটারী করো। এরপর তিনি (আবু হুরায়রা) যখন তার নিকট জবাবের প্রত্যাশ্যায় ছিলেন, তখন তার স্বামী সেখানে আগমন করে এবং বলে, আমার পুত্রের ব্যাপারে কে আমার সাথে ঝগড়া করতে চায়?
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, ইয়া আল্লাহ! আমি এ সম্পর্কে যা শুনেছি, তা ব্যতীত অধিক কিছু বলব না। একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উপবিষ্ট থাকাকালে জনৈক মহিলাকে তাঁর নিকট এসে বলতে শুনিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার স্বামী আমার সন্তানকে নিয়ে যেতে চায়। আর অবস্থা এই যে, সে (সন্তান) আমাকে আবু উকবার কূপ হতে এনে পানি পান করায় এবং সে আমার অন্যান্য খিদমতও করে। নবী করীম (ﷺ) বলেন, এদের উভয়ের মধ্যে সন্তানের ব্যাপারে লটারীর ব্যাবস্থা করো। তখন তার স্বামী বলে, আমার থেকে আমার সন্তানকে কে ছিনিয়ে নিতে চায়? তখন নবী করীম (ﷺ) সে সন্তানকে সম্বোধন করে বলেন, এ তোমার পিতা এবং এ তোমার মাতা। তুমি এদের মধ্যে যার হস্ত খুশি ধারণ করো। তখন সে (সন্তান) তা মাতার হস্ত ধারণ করলে তাকে নিয়ে সে (মাতা) চলে যায়।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, ইয়া আল্লাহ! আমি এ সম্পর্কে যা শুনেছি, তা ব্যতীত অধিক কিছু বলব না। একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উপবিষ্ট থাকাকালে জনৈক মহিলাকে তাঁর নিকট এসে বলতে শুনিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার স্বামী আমার সন্তানকে নিয়ে যেতে চায়। আর অবস্থা এই যে, সে (সন্তান) আমাকে আবু উকবার কূপ হতে এনে পানি পান করায় এবং সে আমার অন্যান্য খিদমতও করে। নবী করীম (ﷺ) বলেন, এদের উভয়ের মধ্যে সন্তানের ব্যাপারে লটারীর ব্যাবস্থা করো। তখন তার স্বামী বলে, আমার থেকে আমার সন্তানকে কে ছিনিয়ে নিতে চায়? তখন নবী করীম (ﷺ) সে সন্তানকে সম্বোধন করে বলেন, এ তোমার পিতা এবং এ তোমার মাতা। তুমি এদের মধ্যে যার হস্ত খুশি ধারণ করো। তখন সে (সন্তান) তা মাতার হস্ত ধারণ করলে তাকে নিয়ে সে (মাতা) চলে যায়।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالْوَلَدِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، وَأَبُو عَاصِمٍ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي زِيَادٌ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أُسَامَةَ، أَنَّ أَبَا مَيْمُونَةَ، سَلْمَى - مَوْلًى مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ رَجُلَ صِدْقٍ - قَالَ بَيْنَمَا أَنَا جَالِسٌ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ جَاءَتْهُ امْرَأَةٌ فَارِسِيَّةٌ مَعَهَا ابْنٌ لَهَا فَادَّعَيَاهُ وَقَدْ طَلَّقَهَا زَوْجُهَا فَقَالَتْ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ - وَرَطَنَتْ لَهُ بِالْفَارِسِيَّةِ - زَوْجِي يُرِيدُ أَنْ يَذْهَبَ بِابْنِي فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ اسْتَهِمَا عَلَيْهِ وَرَطَنَ لَهَا بِذَلِكَ فَجَاءَ زَوْجُهَا فَقَالَ مَنْ يُحَاقُّنِي فِي وَلَدِي فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ اللَّهُمَّ إِنِّي لاَ أَقُولُ هَذَا إِلاَّ أَنِّي سَمِعْتُ امْرَأَةً جَاءَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا قَاعِدٌ عِنْدَهُ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ زَوْجِي يُرِيدُ أَنْ يَذْهَبَ بِابْنِي وَقَدْ سَقَانِي مِنْ بِئْرِ أَبِي عِنَبَةَ وَقَدْ نَفَعَنِي . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اسْتَهِمَا عَلَيْهِ " . فَقَالَ زَوْجُهَا مَنْ يُحَاقُّنِي فِي وَلَدِي فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " هَذَا أَبُوكَ وَهَذِهِ أُمُّكَ فَخُذْ بِيَدِ أَيِّهِمَا شِئْتَ " . فَأَخَذَ بِيَدِ أُمِّهِ فَانْطَلَقَتْ بِهِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২২৭২
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭৮
১৭৮. সন্তানের অধিক হক্দার কে?
২২৭২. আল্ আব্বাস ইবনে আব্দুল আযীম ...... আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যায়দ ইবনে হারিস মক্কা অভিমুখে রওয়ানা হন। এরপর তিনি মক্কা হতে হামযার কন্যাকে নিয়ে (মাওকিফের দিকে) রওয়ানা হলে জা‘ফর ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) বলেন, আমি এর (লালন-পালনের) অধিক হকদার, কেননা সে আমার চাচার মেয়ে এবং আমার স্ত্রী হল তার খালা। আর খালা হল মায়ের সমতুল্য। তখন আলী (রাযিঃ) বলেন, আমি এর অধিক হকদার। কেননা সে আমার চাচার মেয়ে। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কন্যা (ফাতিমা) আমার স্ত্রী। আর সেও (ফাতিমা) তার (লালন-পালনের) অধিক হকদার। যায়দ (রাযিঃ) বলেন, আমি এর অধিক হকদার। কেননা, আমি তার-ই জন্য বের হয়েছি এবং সফর শেষে মাওকিফে উপনীত হয়েছি। এমন সময় নবী করীম (ﷺ) বের হলে তাঁর নিকট এ সমস্যা পেশ করা হয়। তখন তিনি সে মেয়ে সম্পর্কে এরূপ ফায়সালা দেন যে, সে জা‘ফরের সাথে অবস্থান করবে। আর এমতাবস্থায় সে তার খালার সাথে অবস্থান করতে পারে। বস্তুত খালা তো মায়েরই মতো।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالْوَلَدِ
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ عُجَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ، - رضى الله عنه - قَالَ خَرَجَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ إِلَى مَكَّةَ فَقَدِمَ بِابْنَةِ حَمْزَةَ فَقَالَ جَعْفَرٌ أَنَا آخُذُهَا أَنَا أَحَقُّ بِهَا ابْنَةُ عَمِّي وَعِنْدِي خَالَتُهَا وَإِنَّمَا الْخَالَةُ أُمٌّ . فَقَالَ عَلِيٌّ أَنَا أَحَقُّ بِهَا ابْنَةُ عَمِّي وَعِنْدِي ابْنَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ أَحَقُّ بِهَا . فَقَالَ زَيْدٌ أَنَا أَحَقُّ بِهَا أَنَا خَرَجْتُ إِلَيْهَا وَسَافَرْتُ وَقَدِمْتُ بِهَا . فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ حَدِيثًا قَالَ " وَأَمَّا الْجَارِيَةُ فَأَقْضِي بِهَا لِجَعْفَرٍ تَكُونُ مَعَ خَالَتِهَا وَإِنَّمَا الْخَالَةُ أُمٌّ " . .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২২৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭৯
১৭৮. সন্তানের অধিক হক্দার কে?
২২৭৩. মুহাম্মাদ ইবনে ঈসা ...... আব্দুর রহমান ইবনে আবু লায়লা (রাহঃ) হতে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু এতে ঘটনার সম্পূর্ণ বর্ণনা নেই। রাবী বলেন, তখন তিনি তাঁর সম্পর্কে এরূপ সিদ্ধান্ত প্রদান করেন যে, সে জা‘ফরের সাথে অবস্থান করবে। কেননা তার খালা তার (জা‘ফরের) নিকটে আছে।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالْوَلَدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي فَرْوَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، بِهَذَا الْخَبَرِ وَلَيْسَ بِتَمَامِهِ قَالَ وَقَضَى بِهَا لِجَعْفَرٍ وَقَالَ " إِنَّ خَالَتَهَا عِنْدَهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২২৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ২২৮০
১৭৮. সন্তানের অধিক হক্দার কে?
২২৭৪. আব্বাস ইবনে মুসা ..... আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমরা মক্কা হতে বের হই, তখন হামযার কন্যা আমাদের অনুসরণ করে এবং বলতে থাকে, হে চাচা! হে চাচা! তখন আলী (রাযিঃ) তাকে, তার হস্ত ধারণপূর্বক গ্রহণ করেন এবং ফাতিমা (রাযিঃ)-কে বলেন, তুমি একে গ্রহণ করো! কেননা, সে তো তোমার চাচার কন্যা। তখন তিনি (ফাতিমা) তার হস্ত ধারণ করেন। এরূপে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। রাবী বলেন, অপর পক্ষে জা‘ফর (রাযিঃ) বলেন, সে তো আমার চাচার মেয়ে এবং তার খালা আমার স্ত্রী। তখন নবী করীম (ﷺ) তাকে (হামযার কন্যাকে) তার খালার (নিকট থাকার) ফায়সালা প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন, খালা মায়ের সমতুল্য।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالْوَلَدِ
حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مُوسَى، أَنَّ إِسْمَاعِيلَ بْنَ جَعْفَرٍ، حَدَّثَهُمْ عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هَانِئٍ، وَهُبَيْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ لَمَّا خَرَجْنَا مِنْ مَكَّةَ تَبِعَتْنَا بِنْتُ حَمْزَةَ تُنَادِي يَا عَمِّ يَا عَمِّ . فَتَنَاوَلَهَا عَلِيٌّ فَأَخَذَ بِيَدِهَا وَقَالَ دُونَكِ بِنْتَ عَمِّكِ . فَحَمَلَتْهَا فَقَصَّ الْخَبَرَ قَالَ وَقَالَ جَعْفَرٌ ابْنَةُ عَمِّي وَخَالَتُهَا تَحْتِي . فَقَضَى بِهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِخَالَتِهَا وَقَالَ " الْخَالَةُ بِمَنْزِلَةِ الأُمِّ " .