কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৭. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২২৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭২
১৭৬. জাহিলীয়াতের যুগে বিভিন্ন ধরণের বিবাহ।
২২৬৬. আহমদ ইবনে সালিহ্ .... উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) এর স্ত্রী আয়িশা (রাযিঃ) তাঁকে বলেছেন, জাহিলীয়াতের যুগে চার বিবাহ চালু ছিল। এর মধ্যে এক ধরণের বিবাহ এরূপ ছিল, যেমন আজকালের বিবাহ। বিবাহ ইচ্ছুক পুরুষ পাত্রীর পুরুষ অভিভাবকের নিকট বিবাহের প্রস্তাব করতো। এপর সে এর মোহর নির্ধারণ করতো এবং পরে তাকে (স্ত্রীলোককে) মোহর দিয়ে বিবাহ করতো।
আর দ্বিতীয় প্রকারের বিবাহ ছিল, যখন কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে বলত, যখন তুমি তোমার হায়য হতে পবিত্র হবে, তখন তুমি অমুক ব্যক্তির নিকট গমন করে তার সাথে সহবাস করবে। এ সময় তার স্বামী তার নিকট হতে দূরে সরে থাকত, যতক্ষণ না সে ঐ ব্যক্তির সাথে সহবাসের ফলে সন্তান-সম্ভবা হতো, ততক্ষণ সে তার সাথে সহবাস করতো না। আর যখন সে গর্ভবতী হতো, তখন স্বামী তার সাথে ইচ্ছা হলে সহবাস করতো। আর এরূপ করা হতো সন্তানের বিশেষ বৈশিষ্ট নিরূপনের জন্য। এ বিবাহকে নিকাহে ইস্তিবযা বলা হতো।
আর তৃতীয় প্রকারের বিবাহ ছিল, অনধিক দশজন পুরূষ একজন স্ত্রীলোককে বিবাহ করতো আর তারা সকলেই পর্যায়করমে তার সাথে সহবাস করতো। এরপর সে গর্ভবতী হয়ে সন্তান প্রসবের পর কিছুদিন অতিবাহিত হলে, সে সকলকে তার নিকট আসার জন্য পত্র প্রেরণ করতো, যা প্রাপ্তির পর তারা সকলেই সেখানে আসতে বাধ্য হতো। এরপর তারা সকলে সমবেত হলে, সে নারী বলতো, তোমরা তোমাদের কর্ম সম্পর্কে অবশ্যই অবগত আছ, যার ফলে আমি এ সন্তান প্রসব করেছি। তখন সে তাদের মধ্য হতে তার পছন্দমত একজনের নাম ধরে সম্বোধন করে বলতো, হে অমুক! এ তোমার সন্তান। তখন সে তার সাথে ঐ সন্তানকে সম্পর্কিত করতো।
আর চতুর্থ প্রকারের বিবাহ ছিল, বহু লোক একত্রিত হয়ে পর্যায়করমে একটি মহিলার নিকট গমন করতো। আর যে কেউ তার নিকট সহবাসের উদ্দেশ্যে গমন করতো, সে কাউকে বাধা প্রদান করতো না। আর এ ধরণের মহিলারা ছিল বেশ্যা। এরা তাদের স্ব-স্ব গৃহের দরজার উপর নিশান লাগিয়ে রাখত, যা তাদের জন্য নিদর্শন স্বরূপ ছিল। যে কেউ তাদের নিকট গমন করে তাদের সাথে সহবাসে করতে পারত। এরপর সে গর্ভবতী হওয়ার পর, সন্তান প্রসবের পরে তাদের সকলকে তাদের নিকট একত্রিত করতো এবং তাদের নিকট হতে সাযুজ্যতা দাবি করতো। এরপর সে তার সন্তানকে ঐ ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত করতো, যার সাথে সন্তানের সামঞ্জস্যতা পরিদৃষ্ট হতো। আর তাকে তার সন্তান হিসাবে ডাকা হতো এবং সে ব্যক্তি এতে নিষেধ করতো না। এরপর আল্লাহ্ তাআলা যখন মুহাম্মাদ (ﷺ)কে রাসূল হিসাবে প্রেরণ করেন, তখন তিনি জাহিলীয়াতের যুগে প্রচলিত ঐসব বিবাহ প্রথাকে বাতিল ঘোষণা করেন। আর বর্তমানে ইসলামের অনুসারীদের জন্য যে বিবাহ পদ্ধতি চালু আছে, তিনি তা বলবৎ করেন।
আর দ্বিতীয় প্রকারের বিবাহ ছিল, যখন কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে বলত, যখন তুমি তোমার হায়য হতে পবিত্র হবে, তখন তুমি অমুক ব্যক্তির নিকট গমন করে তার সাথে সহবাস করবে। এ সময় তার স্বামী তার নিকট হতে দূরে সরে থাকত, যতক্ষণ না সে ঐ ব্যক্তির সাথে সহবাসের ফলে সন্তান-সম্ভবা হতো, ততক্ষণ সে তার সাথে সহবাস করতো না। আর যখন সে গর্ভবতী হতো, তখন স্বামী তার সাথে ইচ্ছা হলে সহবাস করতো। আর এরূপ করা হতো সন্তানের বিশেষ বৈশিষ্ট নিরূপনের জন্য। এ বিবাহকে নিকাহে ইস্তিবযা বলা হতো।
আর তৃতীয় প্রকারের বিবাহ ছিল, অনধিক দশজন পুরূষ একজন স্ত্রীলোককে বিবাহ করতো আর তারা সকলেই পর্যায়করমে তার সাথে সহবাস করতো। এরপর সে গর্ভবতী হয়ে সন্তান প্রসবের পর কিছুদিন অতিবাহিত হলে, সে সকলকে তার নিকট আসার জন্য পত্র প্রেরণ করতো, যা প্রাপ্তির পর তারা সকলেই সেখানে আসতে বাধ্য হতো। এরপর তারা সকলে সমবেত হলে, সে নারী বলতো, তোমরা তোমাদের কর্ম সম্পর্কে অবশ্যই অবগত আছ, যার ফলে আমি এ সন্তান প্রসব করেছি। তখন সে তাদের মধ্য হতে তার পছন্দমত একজনের নাম ধরে সম্বোধন করে বলতো, হে অমুক! এ তোমার সন্তান। তখন সে তার সাথে ঐ সন্তানকে সম্পর্কিত করতো।
আর চতুর্থ প্রকারের বিবাহ ছিল, বহু লোক একত্রিত হয়ে পর্যায়করমে একটি মহিলার নিকট গমন করতো। আর যে কেউ তার নিকট সহবাসের উদ্দেশ্যে গমন করতো, সে কাউকে বাধা প্রদান করতো না। আর এ ধরণের মহিলারা ছিল বেশ্যা। এরা তাদের স্ব-স্ব গৃহের দরজার উপর নিশান লাগিয়ে রাখত, যা তাদের জন্য নিদর্শন স্বরূপ ছিল। যে কেউ তাদের নিকট গমন করে তাদের সাথে সহবাসে করতে পারত। এরপর সে গর্ভবতী হওয়ার পর, সন্তান প্রসবের পরে তাদের সকলকে তাদের নিকট একত্রিত করতো এবং তাদের নিকট হতে সাযুজ্যতা দাবি করতো। এরপর সে তার সন্তানকে ঐ ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত করতো, যার সাথে সন্তানের সামঞ্জস্যতা পরিদৃষ্ট হতো। আর তাকে তার সন্তান হিসাবে ডাকা হতো এবং সে ব্যক্তি এতে নিষেধ করতো না। এরপর আল্লাহ্ তাআলা যখন মুহাম্মাদ (ﷺ)কে রাসূল হিসাবে প্রেরণ করেন, তখন তিনি জাহিলীয়াতের যুগে প্রচলিত ঐসব বিবাহ প্রথাকে বাতিল ঘোষণা করেন। আর বর্তমানে ইসলামের অনুসারীদের জন্য যে বিবাহ পদ্ধতি চালু আছে, তিনি তা বলবৎ করেন।
باب فِي وُجُوهِ النِّكَاحِ الَّتِي كَانَ يَتَنَاكَحُ بِهَا أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّ النِّكَاحَ كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ عَلَى أَرْبَعَةِ أَنْحَاءٍ فَنِكَاحٌ مِنْهَا نِكَاحُ النَّاسِ الْيَوْمَ يَخْطُبُ الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ وَلِيَّتَهُ فَيُصْدِقُهَا ثُمَّ يَنْكِحُهَا وَنِكَاحٌ آخَرُ كَانَ الرَّجُلُ يَقُولُ لاِمْرَأَتِهِ إِذَا طَهُرَتْ مِنْ طَمْثِهَا أَرْسِلِي إِلَى فُلاَنٍ فَاسْتَبْضِعِي مِنْهُ وَيَعْتَزِلُهَا زَوْجُهَا وَلاَ يَمَسُّهَا أَبَدًا حَتَّى يَتَبَيَّنَ حَمْلُهَا مِنْ ذَلِكَ الرَّجُلِ الَّذِي تَسْتَبْضِعُ مِنْهُ فَإِذَا تَبَيَّنَ حَمْلُهَا أَصَابَهَا زَوْجُهَا إِنْ أَحَبَّ وَإِنَّمَا يَفْعَلُ ذَلِكَ رَغْبَةً فِي نَجَابَةِ الْوَلَدِ فَكَانَ هَذَا النِّكَاحُ يُسَمَّى نِكَاحَ الاِسْتِبْضَاعِ وَنِكَاحٌ آخَرُ يَجْتَمِعُ الرَّهْطُ دُونَ الْعَشَرَةِ فَيَدْخُلُونَ عَلَى الْمَرْأَةِ كُلُّهُمْ يُصِيبُهَا فَإِذَا حَمَلَتْ وَوَضَعَتْ وَمَرَّ لَيَالٍ بَعْدَ أَنْ تَضَعَ حَمْلَهَا أَرْسَلَتْ إِلَيْهِمْ فَلَمْ يَسْتَطِعْ رَجُلٌ مِنْهُمْ أَنْ يَمْتَنِعَ حَتَّى يَجْتَمِعُوا عِنْدَهَا فَتَقُولُ لَهُمْ قَدْ عَرَفْتُمُ الَّذِي كَانَ مِنْ أَمْرِكُمْ وَقَدْ وَلَدْتُ وَهُوَ ابْنُكَ يَا فُلاَنُ فَتُسَمِّي مَنْ أَحَبَّتْ مِنْهُمْ بِاسْمِهِ فَيُلْحَقُ بِهِ وَلَدُهَا وَنِكَاحٌ رَابِعٌ يَجْتَمِعُ النَّاسُ الْكَثِيرُ فَيَدْخُلُونَ عَلَى الْمَرْأَةِ لاَ تَمْتَنِعُ مِمَّنْ جَاءَهَا وَهُنَّ الْبَغَايَا كُنَّ يَنْصِبْنَ عَلَى أَبْوَابِهِنَّ رَايَاتٍ يَكُنَّ عَلَمًا لِمَنْ أَرَادَهُنَّ دَخَلَ عَلَيْهِنَّ فَإِذَا حَمَلَتْ فَوَضَعَتْ حَمْلَهَا جُمِعُوا لَهَا وَدَعَوْا لَهُمُ الْقَافَةَ ثُمَّ أَلْحَقُوا وَلَدَهَا بِالَّذِي يَرَوْنَ فَالْتَاطَهُ وَدُعِيَ ابْنَهُ لاَ يَمْتَنِعُ مِنْ ذَلِكَ فَلَمَّا بَعَثَ اللَّهُ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم هَدَمَ نِكَاحَ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ كُلَّهُ إِلاَّ نِكَاحَ أَهْلِ الإِسْلاَمِ الْيَوْمَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: