কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৬. বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২০৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ২০৮৯
১১৭. আল্লাহর বাণী : তোমাদের জন্য এটা হালাল নয় যে, তোমরা জোরপূরবক কোন মহিলার মালিক হবে। আর তোমরা তাদের অন্যের সাথে বিবাহে বাধা দিবে না।
২০৮৫. আহমাদ ইবনে মানী’ .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এই আয়াত সম্পর্কে ‘‘তোমাদের জন্য হালাল নয় যে, তোমরা জোরপূর্বক কোন মহিলার মালিক হবে। আর তোমরা তাদের বাধা দিবে না’’ বলেছেন, (জাহিলীয়াতের যুগে) যখন কোন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করতো, তখন তার অভিভাবকগণ তার স্ত্রীর ব্যাপারে স্ত্রীর অভিভাবকদের চাইতে অধিক হকদার ছিল। কাজেই তাদের কেউ যদি তাকে বিবাহ করতে ইচ্ছা করতো, তবে সে তা করতো; আর যদি তাকে বিবাহ করতে অনীহা প্রকাশ করতো, তবে তাকে আটকে রাখত এবং অন্যের সাথে বিবাহ করতে দিত না। তখন আল্লাহ্ তাআলা এতদসম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা জারী করে এই আয়াত নাযিল করেন। (এতে নারীর অধিকারে হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ করা হয়)।
باب قَوْلِهِ تَعَالَى { لاَ يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَرِثُوا النِّسَاءَ كَرْهًا وَلاَ تَعْضُلُوهُنَّ }
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، - قَالَ الشَّيْبَانِيُّ وَذَكَرَهُ عَطَاءٌ أَبُو الْحَسَنِ السُّوَائِيُّ وَلاَ أَظُنُّهُ إِلاَّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، - فِي هَذِهِ الآيَةِ ( لاَ يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَرِثُوا النِّسَاءَ كَرْهًا وَلاَ تَعْضُلُوهُنَّ ) قَالَ كَانَ الرَّجُلُ إِذَا مَاتَ كَانَ أَوْلِيَاؤُهُ أَحَقَّ بِامْرَأَتِهِ مِنْ وَلِيِّ نَفْسِهَا إِنْ شَاءَ بَعْضُهُمْ زَوَّجَهَا أَوْ زَوَّجُوهَا وَإِنْ شَاءُوا لَمْ يُزَوِّجُوهَا فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِي ذَلِكَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ২০৯০
১১৭. আল্লাহর বাণী : তোমাদের জন্য এটা হালাল নয় যে, তোমরা জোরপূরবক কোন মহিলার মালিক হবে। আর তোমরা তাদের অন্যের সাথে বিবাহে বাধা দিবে না।
২০৮৬. আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে সাবিত আল মারওয়াযী .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘‘তোমাদের জন্য এটা বৈধ নয় যে, তোমরা জোরপূর্বক কোন মহিলার মালিক হবে। আর তোমরা তাদের অন্যের সাথে বিবাহ প্রদান করবে না এই আশঙ্কায় যে, তোমরা তাদেরকে যা প্রদান করেছ, তা চলে যাবে। তবে তারা যদি প্রকাশ্যে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তবে সে আলাদা ব্যাপার।’’ আর এই আয়াতটি নাযিলের কারণ হল, (অন্ধকার যুগে) পুরুষেরা তাদের নিকটাত্মীয়দের মৃত্যুর পর, তদের স্ত্রীদেরও মালিক হত এবং মৃত্যুবরণ না করা পর্যন্ত তাকে অন্যের সাথে বিবাহ মানা করত অথবা সে (স্ত্রীলোক) তার প্রাপ্য মোহর ঐ ব্যক্তিকে প্রদান করত। আল্লাহ্ তাআলা উক্ত আয়াতে এরূপ করতে নিষেধ করেছেন।
باب قَوْلِهِ تَعَالَى { لاَ يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَرِثُوا النِّسَاءَ كَرْهًا وَلاَ تَعْضُلُوهُنَّ }
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ ( لاَ يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَرِثُوا النِّسَاءَ كَرْهًا وَلاَ تَعْضُلُوهُنَّ لِتَذْهَبُوا بِبَعْضِ مَا آتَيْتُمُوهُنَّ إِلاَّ أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ ) وَذَلِكَ أَنَّ الرَّجُلَ كَانَ يَرِثُ امْرَأَةَ ذِي قَرَابَتِهِ فَيَعْضُلُهَا حَتَّى تَمُوتَ أَوْ تَرُدَّ إِلَيْهِ صَدَاقَهَا فَأَحْكَمَ اللَّهُ عَنْ ذَلِكَ وَنَهَى عَنْ ذَلِكَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ২০৯১
১১৭. আল্লাহর বাণী : তোমাদের জন্য এটা হালাল নয় যে, তোমরা জোরপূরবক কোন মহিলার মালিক হবে। আর তোমরা তাদের অন্যের সাথে বিবাহে বাধা দিবে না।
২০৮৭. আহমদ ..... যিহাক (রাযিঃ) হতে পূর্বোক্ত হাদীসের অর্থে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। রাবী বলেন, অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা এতদসম্পর্কে নসীহত প্রদান করেছেন।
باب قَوْلِهِ تَعَالَى { لاَ يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَرِثُوا النِّسَاءَ كَرْهًا وَلاَ تَعْضُلُوهُنَّ }
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ شَبُّويَةَ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ عِيسَى بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، مَوْلَى عُمَرَ عَنِ الضَّحَّاكِ، بِمَعْنَاهُ قَالَ فَوَعَظَ اللَّهُ ذَلِكَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: