কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৫. হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৭৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭৭
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৭৭. আল কা‘নবী (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হজ্জে ইফরাদ[১] আদায় করেন।
[১] হজ্জে ইফরাদ হল : হজ্জের মাসসমূহে কেবল হজ্জের উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধা এবং এর অনুষ্ঠানগুলো সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা।
[১] হজ্জে ইফরাদ হল : হজ্জের মাসসমূহে কেবল হজ্জের উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধা এবং এর অনুষ্ঠানগুলো সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَفْرَدَ الْحَجَّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭৮
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৭৮. সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে যিলহজ্জের নতুন চাঁদ উদয়ের কিছু আগে রওয়ানা হলাম। যুল হুলাইফাতে পৌঁছে তিনি বলেন, যে কেউ হজ্জের ইহরাম বাঁধতে পায়, সে যেন তা বাঁধে আর যদি কেউ উমরার ইহরাম বাঁধতে চায় তবে সে যেন তা-ই করে।
উহাইবের সূত্রে মুসা কতৃৃর্ক বর্ণিত হাদীসে আছে, যদি আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকত, তবে আমি উমরার জন্য ইহরাম বাঁতাম। আর হাম্মাদ ইবনে সালামের বর্ণনায় আছে, আমি (উমরার সাথে) হজ্জের ইহরাম বাঁধলাম। কেনানা আমার সাথে কুরবানীর পশু আছে। এরপর উভয় হাদীসের বর্ণনাকারী একমত হয়ে (হাদীসের বাকী অংশ) বর্ণনা করেন।
এরপর আমি (আয়িশা) ছিলাম উমরার ইহরামধারীর দলভূক্ত। পথিমধ্যে আমার হায়য শুরু হল এবং আমি কাঁদতে লাগলাম। নবী করীম (ﷺ) আমার কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে আমি বলি, যদি আমি এ বছর (হজ্জে) বের না হতাম, তবে ভাল ছিল। তখন তিনি বলেন, তোমার উমরা ত্যাগ কর, তোমার মাথার চুল খুলে ফেল এবং চিরুনি কর, এবং (রাবী মুসার বর্ণনা মতে) হজ্জের ইহরাম বাঁধ। রাবী সুলাইমানের বর্ণনায় আছে এবং মুসলমানেরা তাদের হজ্জে যা করে তুমিও তা-ই কর (তাওয়াফ ব্যতীত)।
এরপর তাওয়াফে যিয়ারতের রাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আব্দুর রহমান (রাযিঃ)-কে (আয়িশার ভাই) নির্দেশ দিলে তিনি তাঁকে তানঈম [১] নামক স্থানে যান। রাবী মুসার বর্ণনায় আরো আছে, এরপর তিনি (আয়িশা) তাঁর পূরববর্তী উমরার পরিবর্তে (নতুন) উমরার জন্য ইহরাম বাঁধেন। এরপর তিনি বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করেন এবং আল্লাহ্ তাঁর হজ্জ ও উমরা পূর্ণ করেন। রাবী হিশামের বর্ণনায় আছে, আর এরূপ করার জন্য তাঁর উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়নি। রাবী মুহাম্মাদ ইবনে সালামার হাদীসে আরও বর্ণনা করেছেন যে, বাতহার (মিনায় অবস্থানের) রাতে তিনি (হায়য থেকে) পবিত্র হন।
[১] যুল-হুলায়ফার সম্মুখ উচ্চভূমি।
উহাইবের সূত্রে মুসা কতৃৃর্ক বর্ণিত হাদীসে আছে, যদি আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকত, তবে আমি উমরার জন্য ইহরাম বাঁতাম। আর হাম্মাদ ইবনে সালামের বর্ণনায় আছে, আমি (উমরার সাথে) হজ্জের ইহরাম বাঁধলাম। কেনানা আমার সাথে কুরবানীর পশু আছে। এরপর উভয় হাদীসের বর্ণনাকারী একমত হয়ে (হাদীসের বাকী অংশ) বর্ণনা করেন।
এরপর আমি (আয়িশা) ছিলাম উমরার ইহরামধারীর দলভূক্ত। পথিমধ্যে আমার হায়য শুরু হল এবং আমি কাঁদতে লাগলাম। নবী করীম (ﷺ) আমার কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে আমি বলি, যদি আমি এ বছর (হজ্জে) বের না হতাম, তবে ভাল ছিল। তখন তিনি বলেন, তোমার উমরা ত্যাগ কর, তোমার মাথার চুল খুলে ফেল এবং চিরুনি কর, এবং (রাবী মুসার বর্ণনা মতে) হজ্জের ইহরাম বাঁধ। রাবী সুলাইমানের বর্ণনায় আছে এবং মুসলমানেরা তাদের হজ্জে যা করে তুমিও তা-ই কর (তাওয়াফ ব্যতীত)।
এরপর তাওয়াফে যিয়ারতের রাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আব্দুর রহমান (রাযিঃ)-কে (আয়িশার ভাই) নির্দেশ দিলে তিনি তাঁকে তানঈম [১] নামক স্থানে যান। রাবী মুসার বর্ণনায় আরো আছে, এরপর তিনি (আয়িশা) তাঁর পূরববর্তী উমরার পরিবর্তে (নতুন) উমরার জন্য ইহরাম বাঁধেন। এরপর তিনি বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করেন এবং আল্লাহ্ তাঁর হজ্জ ও উমরা পূর্ণ করেন। রাবী হিশামের বর্ণনায় আছে, আর এরূপ করার জন্য তাঁর উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়নি। রাবী মুহাম্মাদ ইবনে সালামার হাদীসে আরও বর্ণনা করেছেন যে, বাতহার (মিনায় অবস্থানের) রাতে তিনি (হায়য থেকে) পবিত্র হন।
[১] যুল-হুলায়ফার সম্মুখ উচ্চভূমি।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُوَافِينَ هِلاَلَ ذِي الْحِجَّةِ فَلَمَّا كَانَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ قَالَ " مَنْ شَاءَ أَنْ يُهِلَّ بِحَجٍّ فَلْيُهِلَّ وَمَنْ شَاءَ أَنْ يُهِلَّ بِعُمْرَةٍ فَلْيُهِلَّ بِعُمْرَةٍ " . قَالَ مُوسَى فِي حَدِيثِ وُهَيْبٍ " فَإِنِّي لَوْلاَ أَنِّي أَهْدَيْتُ لأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ " . وَقَالَ فِي حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ " وَأَمَّا أَنَا فَأُهِلُّ بِالْحَجِّ فَإِنَّ مَعِيَ الْهَدْىَ " . ثُمَّ اتَّفَقُوا فَكُنْتُ فِيمَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ حِضْتُ فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ " مَا يُبْكِيكِ " . قُلْتُ وَدِدْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ خَرَجْتُ الْعَامَ . قَالَ " ارْفُضِي عُمْرَتَكِ وَانْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي " . قَالَ مُوسَى " وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ " . وَقَالَ سُلَيْمَانُ " وَاصْنَعِي مَا يَصْنَعُ الْمُسْلِمُونَ فِي حَجِّهِمْ " . فَلَمَّا كَانَ لَيْلَةُ الصَّدَرِ أَمَرَ - يَعْنِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - عَبْدَ الرَّحْمَنِ فَذَهَبَ بِهَا إِلَى التَّنْعِيمِ . زَادَ مُوسَى فَأَهَلَّتْ بِعُمْرَةٍ مَكَانَ عُمْرَتِهَا وَطَافَتْ بِالْبَيْتِ فَقَضَى اللَّهُ عُمْرَتَهَا وَحَجَّهَا . قَالَ هِشَامٌ وَلَمْ يَكُنْ فِي شَىْءٍ مِنْ ذَلِكَ هَدْىٌ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ زَادَ مُوسَى فِي حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْبَطْحَاءِ طَهُرَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭৯
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৭৯. আল কা‘নবী ..... নবী করীম (ﷺ) এর স্ত্রী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা বিদায় হজ্জের বছর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে (মদীনা হতে) রওয়ানা হলাম। আমাদের কেউ উমরার ইহরাম বাঁধে, কেউ হজ্জ ও উমরার একত্রে ইহরাম বাঁধে, কেউ হজ্জের ইহরাম বাঁধে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শুধু হজ্জের ইহরাম বাঁধেন। আর যারা শুধু হজ্জের অথবা একত্রে হজ্জ ও উমরার ইহরাম বাঁধে তারা কুরবানীর দিন পর্যন্ত ইহরাম খুলতে পারে নি।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ، مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ وَأَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ فَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ أَوْ جَمَعَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَلَمْ يَحِلُّوا حَتَّى كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৮০
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮০
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৮০. ইবনুস সারহ ..... আবুল আসওয়াদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে এই বর্ণনায় আরও আছে, যারা উমরার ইহরাম বাঁধেন তাঁরা ইহরাম খুলে ফেলেন।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ، بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ زَادَ فَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ فَأَحَلَّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৭৮১
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮১
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৮১. আল কা‘নবী (রাহঃ) ...... নবী করীম (ﷺ) এর স্ত্রী আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বিদায় হজ্জের সময় আমরা (মদীনা হতে) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাথে রওয়ানা হলাম। আমরা উমরার ইহরাম বাঁধলাম, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যার সাথে কুরবানীর পশু আছে সে যেন হজ্জের সাথে উমরারও ইহরাম বাঁধে এবং ইহরাম খুলবে না, যতক্ষণ হজ্জ ও উমরার যাবতীয় অনুষ্ঠান শেষ না হয়। আমি হায়য অবস্থায় মক্কায় উপস্থিত হই। ফলে আমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ করতে পারিনি। এ সম্পর্কে আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট অভিযোগ করলে তিনি বলেন, তুমি তোমার মাথার চুল খুলে ফেল এবং তাতে চিরুনী কর আর হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধ এবং উমরা ত্যাগ কর।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি তা-ই করলাম। আমি হজ্জের অনুষ্ঠানাদি শেষ করলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে (আমার ভাই) আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকরের সাথে তানঈম (ইহরাম বাঁধার) স্থান (অথবা এটা তোমার পূর্বেকার উমরার কাযা)। রাবী বলেন, যারা কেবল উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন তারা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মধ্যে সা‘ঈ করার পরে ইহরাম খুলে ফেলে। এরপর তারা মিনা থেকে ফিরে এসে তাদের হজ্জের জন্য পুনর্বার বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করে। অপরপক্ষে যারা হজ্জ ও উমরার একত্রে ইহরাম বাঁধে তারা মাত্র একবার তাওয়াফ করে।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি তা-ই করলাম। আমি হজ্জের অনুষ্ঠানাদি শেষ করলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে (আমার ভাই) আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকরের সাথে তানঈম (ইহরাম বাঁধার) স্থান (অথবা এটা তোমার পূর্বেকার উমরার কাযা)। রাবী বলেন, যারা কেবল উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন তারা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মধ্যে সা‘ঈ করার পরে ইহরাম খুলে ফেলে। এরপর তারা মিনা থেকে ফিরে এসে তাদের হজ্জের জন্য পুনর্বার বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করে। অপরপক্ষে যারা হজ্জ ও উমরার একত্রে ইহরাম বাঁধে তারা মাত্র একবার তাওয়াফ করে।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَأَهْلَلْنَا بِعُمْرَةٍ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْىٌ فَلْيُهِلَّ بِالْحَجِّ مَعَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ لاَ يَحِلُّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا " . فَقَدِمْتُ مَكَّةَ وَأَنَا حَائِضٌ وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَلاَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَشَكَوْتُ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " انْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ وَدَعِي الْعُمْرَةَ " . قَالَتْ فَفَعَلْتُ فَلَمَّا قَضَيْنَا الْحَجَّ أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ إِلَى التَّنْعِيمِ فَاعْتَمَرْتُ فَقَالَ " هَذِهِ مَكَانَ عُمْرَتِكِ " . قَالَتْ فَطَافَ الَّذِينَ أَهَلُّوا بِالْعُمْرَةِ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ حَلُّوا ثُمَّ طَافُوا طَوَافًا آخَرَ بَعْدَ أَنْ رَجَعُوا مِنْ مِنًى لِحَجِّهِمْ وَأَمَّا الَّذِينَ كَانُوا جَمَعُوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا وَاحِدًا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮২
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৮২. আবু সালামা (রাহঃ) ...... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা হজ্জের জন্য রওয়ানা হই। সারিফ নামক স্থানে পৌছে আমার হায়য শুরু হয়। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার নিকট উপস্থিত হন, তখন আমি কাঁদছিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, হে আয়িশা! তোমার কান্নার কারণ কী? আমি বলি, আমি ঋতুবতী হয়েছি। হায়! আমি যদি (এ বছর) হজ্জের জন্য না আসতাম (তবে ভাল হতো)। তখন তিনি সুবহানাল্লাহ্ বলেন, (এরপর ইরশাদ করেন) আল্লাহ্ তাআলা এটা (হায়য) আদমের কন্যাদের জন্য বেঁধে দিয়েছেন।
অতঃপর তিনি বলেন, বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ ব্যতীত তুমি অন্যান্য হজ্জের যাবতীয় অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন কর। এরপর আমরা মক্কায় প্রবেশের পর রাসূলু্ল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যারা এটিকে (হজ্জ) উমরায় রূপান্তরিত করতে চায় তারা তা করতে পারে, তবে যাদের সাথে কুরবানীর পশু আছে তারা ছাড়া। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, কুরবানীর দিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ হতে একটি গরু কুুরবাণী করেন। এরপর বাতহার রাতে আয়িশা (রাযিঃ) হায়য হতে পবিত্রতা অর্জন করেন এবং বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার সাথীরা হজ্জ ও উমরা সম্পন্ন করে ফিরে যাবে, আর আমি কি কেবল হজ্জ করে ফিরব? তখন রাসূলু্ল্লাহ্ (ﷺ) আব্দুর রহমান ইবনে বকর (রাযিঃ)-কে নির্দেশ দেন। তখন তিনি তাঁকে সহ তানঈম যান আর তিনি সে স্থান হতে উমরার ইহরাম বাঁধেন।
অতঃপর তিনি বলেন, বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ ব্যতীত তুমি অন্যান্য হজ্জের যাবতীয় অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন কর। এরপর আমরা মক্কায় প্রবেশের পর রাসূলু্ল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যারা এটিকে (হজ্জ) উমরায় রূপান্তরিত করতে চায় তারা তা করতে পারে, তবে যাদের সাথে কুরবানীর পশু আছে তারা ছাড়া। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, কুরবানীর দিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ হতে একটি গরু কুুরবাণী করেন। এরপর বাতহার রাতে আয়িশা (রাযিঃ) হায়য হতে পবিত্রতা অর্জন করেন এবং বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার সাথীরা হজ্জ ও উমরা সম্পন্ন করে ফিরে যাবে, আর আমি কি কেবল হজ্জ করে ফিরব? তখন রাসূলু্ল্লাহ্ (ﷺ) আব্দুর রহমান ইবনে বকর (রাযিঃ)-কে নির্দেশ দেন। তখন তিনি তাঁকে সহ তানঈম যান আর তিনি সে স্থান হতে উমরার ইহরাম বাঁধেন।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ لَبَّيْنَا بِالْحَجِّ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِسَرِفَ حِضْتُ فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ " مَا يُبْكِيكِ يَا عَائِشَةُ " . فَقُلْتُ حِضْتُ لَيْتَنِي لَمْ أَكُنْ حَجَجْتُ . فَقَالَ " سُبْحَانَ اللَّهِ إِنَّمَا ذَلِكَ شَىْءٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ " . فَقَالَ " انْسُكِي الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ " . فَلَمَّا دَخَلْنَا مَكَّةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ شَاءَ أَنْ يَجْعَلَهَا عُمْرَةً فَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً إِلاَّ مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْىُ " . قَالَتْ وَذَبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ نِسَائِهِ الْبَقَرَ يَوْمَ النَّحْرِ فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْبَطْحَاءِ وَطَهُرَتْ عَائِشَةُ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَرْجِعُ صَوَاحِبِي بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ وَأَرْجِعُ أَنَا بِالْحَجِّ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَذَهَبَ بِهَا إِلَى التَّنْعِيمِ فَلَبَّتْ بِالْعُمْرَةِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৩
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৮৩. উসমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (বিদায় হজ্জের সময়) আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাথে রওয়ানা হই। আর এটা ছিল আমাদের জন্য (কেবল) হজ্জ। আমরা যখন মক্কায় উপনীত হই, তখন আমরা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করি। পরে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নির্দেশ দেন, যে ব্যক্তি কুরবানীর পশু সঙ্গে আনেনি, সে যেন ইহরামমুক্ত হয়। অতএব, যারা কুরবানীর পশু সঙ্গে আনেনি, তারা ইহরামমুক্ত হয়।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ نَرَى إِلاَّ أَنَّهُ الْحَجُّ فَلَمَّا قَدِمْنَا تَطَوَّفْنَا بِالْبَيْتِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ لَمْ يَكُنْ سَاقَ الْهَدْىَ أَنْ يُحِلَّ فَأَحَلَّ مَنْ لَمْ يَكُنْ سَاقَ الْهَدْىَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৪
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৮৪. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া ইবনে ফারিস (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, যা আমি পরে জানতে পেরেছি, যদি তা আগে জানতে পাতাম তবে আমার সাথে কুরবানীর পশু আনতাম না।
রাবী মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া বলেন, আমার ধারণা (আমার শায়খ উসমান ইবনে উমর) বলেছেন, যারা উমরা সমাপনের পর হালাল হয়েছে, আমিও তাদের সাথে হালাল হতাম। রাবী মুহাম্মাদ বলেন, এই বক্তব্যের দ্বারা রাসূলু্লাহ্ (ﷺ) সকলের হজ্জের অনুষ্ঠান একরূপ হওয়া কামনা করেছেন।
রাবী মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া বলেন, আমার ধারণা (আমার শায়খ উসমান ইবনে উমর) বলেছেন, যারা উমরা সমাপনের পর হালাল হয়েছে, আমিও তাদের সাথে হালাল হতাম। রাবী মুহাম্মাদ বলেন, এই বক্তব্যের দ্বারা রাসূলু্লাহ্ (ﷺ) সকলের হজ্জের অনুষ্ঠান একরূপ হওয়া কামনা করেছেন।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ لَمَا سُقْتُ الْهَدْىَ " . قَالَ مُحَمَّدٌ أَحْسِبُهُ قَالَ " وَلَحَلَلْتُ مَعَ الَّذِينَ أَحَلُّوا مِنَ الْعُمْرَةِ " . قَالَ أَرَادَ أَنْ يَكُونَ أَمْرُ النَّاسِ وَاحِدًا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৫
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৮৫. কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ইহরাম (বাঁধা) অবস্থায় হজ্জে ইরফাদ আদায়েরর জন্য রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাথে রওয়ানা হই। আর আয়িশা (রাযিঃ) কেবলমাত্র উমরার ইহরাম বাঁধেন। এরপর যখন তিনি সারীফ নামক স্থানে উপনীত হন, তখন তিনি ঋতুবতী হন। আমরা মক্কায় উপস্থিত হয়ে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সাঈ সম্পন্ন করি। আমাদের মধ্যে যাদের সাথে কুরবানীর পশু ছিল না, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদেরকে হালাল হতে নির্দেশ দেন।
রাবী (জাবির) বলেন, আমরা জিজ্ঞাসা করি, এই হালাল হওয়া অর্থ কি? তিনি বলেন, সর্বপ্রকার কাজের জন্য হালাল হওয়া। আমরা আমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করলাম, সুগন্ধি মাখলাম এবং (সেলাই করা) কাপড় পরিধান করলাম আর আমাদের মধ্যে ও আরাফাতের (দিনের) মধ্যে মাত্র চার রাত্রের ব্যবধান ছিল। এরপর আমরা তার অষ্টম দিন (হজ্জের) ইহরাম বাঁধি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে কাঁদতে দেখেন। তিনি তার ক্রন্দনের কারণ জিজ্ঞাসা করলে জবাবে তিনি বলেন, আমি ঋতুবতী হয়েছি। মানুষেরা (উমরার অনুষ্ঠানাদি শেষে) ইহরাম খুলেছে, আর আমি ইহরাম খুলতে পারিনি এবং বায়তুল্লাহর তাওয়াফও করতে পারলাম না। আর লোকেরা এখন হজ্জের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আল্লাহ্ তাআলা এটাকে (হায়য) আদম কন্যাদের জন্য নির্ধারিত করেছেন। তুমি গোসল কর এবং হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধ। অতএব, তিনি তা-ই করলেন এবং অবস্থানের স্থানসমূহে অবস্থান করেন। এরপর তিনি পবিত্রতা হাসিলের পর বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করেন এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ করেন। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, এখন তুমি তোমার হজ্জ হতে হালাল হয়েছ এবং তোমার উমরা হতেও। তিনি (আয়িশা) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার মনে হচ্ছে , হজ্জের সময় আমি বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করিনি। তখন নবী করীম (ﷺ) বলেন, হে আব্দুর রহমান! তুমি তাকে নিয়ে তানঈম নামক স্থানে যাও এবং তাকে উমরা করাও। আর এটা ছিল হাসবার রাত (১৪ যিল-হজ্জের রাত)।
রাবী (জাবির) বলেন, আমরা জিজ্ঞাসা করি, এই হালাল হওয়া অর্থ কি? তিনি বলেন, সর্বপ্রকার কাজের জন্য হালাল হওয়া। আমরা আমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করলাম, সুগন্ধি মাখলাম এবং (সেলাই করা) কাপড় পরিধান করলাম আর আমাদের মধ্যে ও আরাফাতের (দিনের) মধ্যে মাত্র চার রাত্রের ব্যবধান ছিল। এরপর আমরা তার অষ্টম দিন (হজ্জের) ইহরাম বাঁধি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে কাঁদতে দেখেন। তিনি তার ক্রন্দনের কারণ জিজ্ঞাসা করলে জবাবে তিনি বলেন, আমি ঋতুবতী হয়েছি। মানুষেরা (উমরার অনুষ্ঠানাদি শেষে) ইহরাম খুলেছে, আর আমি ইহরাম খুলতে পারিনি এবং বায়তুল্লাহর তাওয়াফও করতে পারলাম না। আর লোকেরা এখন হজ্জের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আল্লাহ্ তাআলা এটাকে (হায়য) আদম কন্যাদের জন্য নির্ধারিত করেছেন। তুমি গোসল কর এবং হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধ। অতএব, তিনি তা-ই করলেন এবং অবস্থানের স্থানসমূহে অবস্থান করেন। এরপর তিনি পবিত্রতা হাসিলের পর বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করেন এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ করেন। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, এখন তুমি তোমার হজ্জ হতে হালাল হয়েছ এবং তোমার উমরা হতেও। তিনি (আয়িশা) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার মনে হচ্ছে , হজ্জের সময় আমি বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করিনি। তখন নবী করীম (ﷺ) বলেন, হে আব্দুর রহমান! তুমি তাকে নিয়ে তানঈম নামক স্থানে যাও এবং তাকে উমরা করাও। আর এটা ছিল হাসবার রাত (১৪ যিল-হজ্জের রাত)।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ أَقْبَلْنَا مُهِلِّينَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ مُفْرَدًا وَأَقْبَلَتْ عَائِشَةُ مُهِلَّةً بِعُمْرَةٍ حَتَّى إِذَا كَانَتْ بِسَرِفَ عَرَكَتْ حَتَّى إِذَا قَدِمْنَا طُفْنَا بِالْكَعْبَةِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُحِلَّ مِنَّا مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْىٌ قَالَ فَقُلْنَا حِلُّ مَاذَا فَقَالَ " الْحِلُّ كُلُّهُ " . فَوَاقَعْنَا النِّسَاءَ وَتَطَيَّبْنَا بِالطِّيبِ وَلَبِسْنَا ثِيَابَنَا وَلَيْسَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلاَّ أَرْبَعُ لَيَالٍ ثُمَّ أَهْلَلْنَا يَوْمَ التَّرْوِيَةِ ثُمَّ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَائِشَةَ فَوَجَدَهَا تَبْكِي فَقَالَ " مَا شَأْنُكِ " . قَالَتْ شَأْنِي أَنِّي قَدْ حِضْتُ وَقَدْ حَلَّ النَّاسُ وَلَمْ أَحْلِلْ وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَالنَّاسُ يَذْهَبُونَ إِلَى الْحَجِّ الآنَ . فَقَالَ " إِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ فَاغْتَسِلِي ثُمَّ أَهِلِّي بِالْحَجِّ " . فَفَعَلَتْ . وَوَقَفَتِ الْمَوَاقِفَ حَتَّى إِذَا طَهُرَتْ طَافَتْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ قَالَ " قَدْ حَلَلْتِ مِنْ حَجِّكِ وَعُمْرَتِكِ جَمِيعًا " . قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَجِدُ فِي نَفْسِي أَنِّي لَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ حِينَ حَجَجْتُ . قَالَ " فَاذْهَبْ بِهَا يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ فَأَعْمِرْهَا مِنَ التَّنْعِيمِ " . وَذَلِكَ لَيْلَةَ الْحَصْبَةِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৬
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৮৬. আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। এই বর্ণনায় আরও আছে, ‘‘তুমি হজ্জের ইহরাম বাঁধ, হজ্জ আদায় কর এবং হজ্জীগণ যা করেন তুমিও তা-ই কর, কিন্তু তুমি বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করবে না এবং নামায পড়বে না।’’
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا، قَالَ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَائِشَةَ بِبَعْضِ هَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ عِنْدَ قَوْلِهِ " وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ " . " ثُمَّ حُجِّي وَاصْنَعِي مَا يَصْنَعُ الْحَاجُّ غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ وَلاَ تُصَلِّي " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৭
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৮৭. আল আব্বাস ইবনে ওয়ালীদ ইবনে মুরীদ (রাহঃ) ....... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাথে কেবল হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। যিলহজ্জের চার রাত অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা মক্কায় উপনীত হই এবং (বায়তুল্লাহ্) তাওয়াফ ও (সাফা- মারওয়ার মধ্যে) সা‘ঈ করি। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদেরকে হালাল হওয়ার নির্দেশ দেন এবং বলেন, যদি আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকত তবে আমিও হালাল হতাম।
তখন সুরাকা ইবনে মালিক (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এ ধরনের ফায়দা গ্রহণের সুযোগ কি কেবল এ বছরের জন্য না চিরকালের জন্য? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, বরং চিরকালের জন্য। রাবী আওয়ায়ী (রাহঃ) বলেন, আমি আতা ইবনে আবু রিবাহকে এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। কিন্তু আমি তা সংরক্ষণ করতে পারিনি। এরপর আমি ইবনে জুরায়জের সাথে সাক্ষাত করলে তিনি তা আমাকে স্মরণ করিয়ে দেন।
তখন সুরাকা ইবনে মালিক (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এ ধরনের ফায়দা গ্রহণের সুযোগ কি কেবল এ বছরের জন্য না চিরকালের জন্য? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, বরং চিরকালের জন্য। রাবী আওয়ায়ী (রাহঃ) বলেন, আমি আতা ইবনে আবু রিবাহকে এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। কিন্তু আমি তা সংরক্ষণ করতে পারিনি। এরপর আমি ইবনে জুরায়জের সাথে সাক্ষাত করলে তিনি তা আমাকে স্মরণ করিয়ে দেন।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ مَزْيَدٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي مَنْ، سَمِعَ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ، حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَهْلَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ خَالِصًا لاَ يُخَالِطُهُ شَىْءٌ فَقَدِمْنَا مَكَّةَ لأَرْبَعِ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَطُفْنَا وَسَعَيْنَا ثُمَّ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَحِلَّ وَقَالَ " لَوْلاَ هَدْيِي لَحَلَلْتُ " . ثُمَّ قَامَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ مُتْعَتَنَا هَذِهِ أَلِعَامِنَا هَذَا أَمْ لِلأَبَدِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بَلْ هِيَ لِلأَبَدِ " . قَالَ الأَوْزَاعِيُّ سَمِعْتُ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ يُحَدِّثُ بِهَذَا فَلَمْ أَحْفَظْهُ حَتَّى لَقِيتُ ابْنَ جُرَيْجٍ فَأَثْبَتَهُ لِي .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৮
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৮৮. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীগণ যিলহজ্জের চার রাত অতিবাহিত হওয়ার পর মক্কায় প্রবেশ করেন। অতঃপর তাঁরা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মধ্যে সা-ঈ সম্পন্ন করেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, তোমরা (তাওয়াফ ও সা-ঈ) উমরা হিসেব গণ্য কর, অবশ্য যার সাথে কুরবানীর পশু আছে সে যেন এরূপ না করে। এরপর তারবিয়ার রাতে তারা হজ্জের ইহরাম বাঁধেন। এরপর নাহরের দিন সমাগম হলে তারা (মক্কায়) এসে (বায়তুল্লাহ্) তাওয়াফ করেন এবং সাফা ও মারওয়ার মধ্যে তাওয়াফ (সা‘ঈ) পরিহার করেন।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ لأَرْبَعِ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَلَمَّا طَافُوا بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اجْعَلُوهَا عُمْرَةً إِلاَّ مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْىُ " . فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ أَهَلُّوا بِالْحَجِّ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ قَدِمُوا فَطَافُوا بِالْبَيْتِ وَلَمْ يَطُوفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৯
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৮৯. আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) ..... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীগণ হজ্জের ইহরাম বাঁধেন। কিন্তু তখন নবী করীম (ﷺ) ও তালহা (রাযিঃ) ব্যতীত আর কারো সাথে কুরবানীর পশু ছিল না। আর এ সময় আলী (রাযিঃ) ইয়ামান হতে আগমন করেন এবং তার সাথেও কুরবানীর পশু ছিল। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যেরূপ ইহরাম বেঁধেছেন আমিও সেরূপ ইহরাম বাঁধলাম।
নবী করীম (ﷺ) তাঁর সাথীদের নির্দেশ দেন যে, তারা যেন এটাকে উমরায় পরিণত করে এবং বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করে এবং মস্তক মুণ্ডনের (বা চুল ছোট করে কর্তনের) পর হালাল হয়। অবশ্য যাদের সাথে কুরবানীর পশু আছে তারা ব্যতীত। তারা বলেন, আমরা মিনার দিকে এমন অবস্থায় যাই যে আমরা স্ত্রী সহবাস করেছি। এই কথা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট পৌঁছলে তিনি বলেন, আমি যা পরে অবহিত হয়েছি যদি তা পূর্বে অবগত হতে পারতাম তবে আমি সাথে করে কুরবানীর পশু আনতাম না। আর আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকলে আমি অবশ্যই ইহরাম খুলে ফেলতাম।
নবী করীম (ﷺ) তাঁর সাথীদের নির্দেশ দেন যে, তারা যেন এটাকে উমরায় পরিণত করে এবং বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করে এবং মস্তক মুণ্ডনের (বা চুল ছোট করে কর্তনের) পর হালাল হয়। অবশ্য যাদের সাথে কুরবানীর পশু আছে তারা ব্যতীত। তারা বলেন, আমরা মিনার দিকে এমন অবস্থায় যাই যে আমরা স্ত্রী সহবাস করেছি। এই কথা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট পৌঁছলে তিনি বলেন, আমি যা পরে অবহিত হয়েছি যদি তা পূর্বে অবগত হতে পারতাম তবে আমি সাথে করে কুরবানীর পশু আনতাম না। আর আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকলে আমি অবশ্যই ইহরাম খুলে ফেলতাম।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا حَبِيبٌ، - يَعْنِي الْمُعَلِّمَ - عَنْ عَطَاءٍ، حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَهَلَّ هُوَ وَأَصْحَابُهُ بِالْحَجِّ وَلَيْسَ مَعَ أَحَدٍ مِنْهُمْ يَوْمَئِذٍ هَدْىٌ إِلاَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَطَلْحَةَ وَكَانَ عَلِيٌّ - رضى الله عنه - قَدِمَ مِنَ الْيَمَنِ وَمَعَهُ الْهَدْىُ فَقَالَ أَهْلَلْتُ بِمَا أَهَلَّ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً يَطُوفُوا ثُمَّ يُقَصِّرُوا وَيَحِلُّوا إِلاَّ مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْىُ فَقَالُوا أَنَنْطَلِقُ إِلَى مِنًى وَذُكُورُنَا تَقْطُرُ فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لَوْ أَنِّي اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا أَهْدَيْتُ وَلَوْلاَ أَنَّ مَعِيَ الْهَدْىَ لأَحْلَلْتُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৯০
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯০
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৯০. উসমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (ﷺ) বলেন, এ সে উমরা যার মাধ্যমে আমরা উপকৃত হয়েছি। যার সাথে কুরবানীর পশু নেই সে যেন পুরোপুরি হালাল হয়। আর উমরা কিয়ামত পর্যন্ত হজ্জের মধ্যে প্রবেশ করেছে।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ جَعْفَرٍ، حَدَّثَهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " هَذِهِ عُمْرَةٌ اسْتَمْتَعْنَا بِهَا فَمَنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ هَدْىٌ فَلْيَحِلَّ الْحِلَّ كُلَّهُ وَقَدْ دَخَلَتِ الْعُمْرَةُ فِي الْحَجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا مُنْكَرٌ إِنَّمَا هُوَ قَوْلُ ابْنِ عَبَّاسٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৯১
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯১
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৯১. উবাইহল্লাহ্ ইবনে মুআয (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (ﷺ) বলেন, যখন কোন লোক হজ্জের ইহরাম বাঁধে এবং মক্কায় উপনীত হয়ে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মধ্যে সা-ঈ সম্পন্ন করে, অতঃপর সে হালাল হয় তা (তার) উমরা।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا النَّهَّاسُ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَهَلَّ الرَّجُلُ بِالْحَجِّ ثُمَّ قَدِمَ مَكَّةَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَقَدْ حَلَّ وَهِيَ عُمْرَةٌ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ رَجُلٍ عَنْ عَطَاءٍ دَخَلَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ خَالِصًا فَجَعَلَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عُمْرَةً .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৯২
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯২
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৯২. আল হাসান ইবনে শাওকার ও আহমেদ ইবনে মুনি (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন নবী (ﷺ) হজ্বের উদ্দেশ্যে ইহরাম বাধেঁন। অতঃপর তিনি মক্কায় উপনীত হয়ে (বায়তুল্লাহ) তাওয়াফ ও (সাফা-মারওয়ার) মধ্যে সাঈ সম্পন্ন করেন। রাবী ইবনে শাওকার বলেন, কুরবানীর পশু সঙ্গে আনাতে নবী করীম (ﷺ) মাথার চুল খাটো করেননি ও হালালও হননি। আর যারা নিজেদের সঙ্গে কুরবানীর পশু আনেননি, তিনি তাদেরকে (উমরার জন্য) তাওয়াফ ও সাঈ সম্পন্ন করার পর চুল খাটো করা ও হালাল হওয়ার নির্দেশ দেন।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ شَوْكَرٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، - قَالَ ابْنُ مَنِيعٍ أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ الْمَعْنَى، - عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَهَلَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ فَلَمَّا قَدِمَ طَافَ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ - وَقَالَ ابْنُ شَوْكَرٍ وَلَمْ يُقَصِّرْ ثُمَّ اتَّفَقَا - وَلَمْ يَحِلَّ مِنْ أَجْلِ الْهَدْىِ وَأَمَرَ مَنْ لَمْ يَكُنْ سَاقَ الْهَدْىَ أَنْ يَطُوفَ وَأَنْ يَسْعَى وَيُقَصِّرَ ثُمَّ يَحِلَّ . زَادَ ابْنُ مَنِيعٍ فِي حَدِيثِهِ أَوْ يَحْلِقَ ثُمَّ يَحِلَّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯৩
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৯৩. আহমাদ ইবনে সালিহ সাঈদ ..... ইবনুল মুসাইয়াব (রাহঃ) হতে বর্ণিত। নবী করীম (ﷺ) এর একজন সাহাবী উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে তাঁর মৃত্যুকালীন রোগে আক্রান্ত থাকা অবস্থায় হজ্জের পূর্বে উমরা করা নিষধ করতে শুনেছি।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي حَيْوَةُ، أَخْبَرَنِي أَبُو عِيسَى الْخُرَاسَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - فَشَهِدَ عِنْدَهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَرَضِهِ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ يَنْهَى عَنِ الْعُمْرَةِ قَبْلَ الْحَجِّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৭৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯৪
২১. হজ্জে ইফরাদ।
১৭৯৪. মুসা আবু সালামা (রাহঃ) ..... মুআবিআ ইবনে আবু সুফিয়ান (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ) এর সাহাবীদের জিজ্ঞাসা করেন, আপনারা কি অবগত আছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অমুক, অমুক জিনিস ও চিতাবাঘের চামড়ার উপর সওয়ার হতে নিষেধ করেছেন? তাঁরা বলেন, হ্যাঁ। তিনি বলেন, আপনারা কি অবহিত আছেন যে, তিনি হজ্জ ও উমরা একত্রে করতে নিষেধ করেছেন? তাঁরা বলেন, এ সম্পর্কে আমরা কিছুই অবগত নই। তিনি আরও বলেন, এটাও ঐ সমস্ত নিষিদ্ধ বস্তুর অন্তর্গত; কিন্তু আপনারা তা ভুলে গেছেন।
باب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا مُوسَى أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي شَيْخٍ الْهُنَائِيِّ، خَيْوَانَ بْنِ خَلْدَةَ مِمَّنْ قَرَأَ عَلَى أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ قَالَ لأَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ كَذَا وَكَذَا وَعَنْ رُكُوبِ جُلُودِ النُّمُورِ قَالُوا نَعَمْ . قَالَ فَتَعْلَمُونَ أَنَّهُ نَهَى أَنْ يُقْرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَقَالُوا أَمَّا هَذَا فَلاَ . فَقَالَ أَمَا إِنَّهَا مَعَهُنَّ وَلَكِنَّكُمْ نَسِيتُمْ .