কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৫. হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৭৭০
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭০
১৯. ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট সময়।
১৭৭০. মুহাম্মাদ ইবনে মনসুর ...... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে বলি, হে আবুল আব্বাস! আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাহাবীদের মধ্যে মতানৈক্য দেখে আশ্চর্যান্বিত হই যে, নবী করীম (ﷺ) হজ্জের জন্য কখন ইহরাম বাঁধতেন।
তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে সকলের চেয়ে অধিক জানি। তা এই যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মাত্র একবারই হজ্জ করেছেন। আর এ কারণেই লোকেরা মতানৈক্য করছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (মদীনা হতে) হজ্জে রওয়ানা হন। তিনি পথিমধ্যে যুল হুলাইফা নামক স্থানে অবতরণ করে সেখানকার মসজিদে (ইহরামের জন্য) দুই রাকআত নামায আদায় করেন। এই দুই রাকআত নামায শেষে তিনি হজ্জের ইহরাম বাঁধেন। এ সময় কিছু লোক তাঁর তালবিয়া পাঠ শোনেন এবং তারা এটা তাঁর নিকট হতে সংরক্ষণ করেন।
অতঃপর তিনি তাঁর উটে সওয়ার হন। তারা যখন নবী করীম (ﷺ)কে নিয়ে চলতে শুরু করে তখন তিনি জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ করতে থাকেন। কিছু লোক তাঁর নিকট হতে এটা শুনে সংরক্ষণ করেন। আর এ ব্যাপারটি (অর্থাৎ তালবিয়া শুরু) সম্পর্কে মতানৈক্যের কারণ এই যে, লোকেরা এ সময় বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে তাঁর নিকট আসা-যাওয়া করতো। এমতাবস্থায় তারা তাঁকে উটের উপর বসে চলমান অবস্থায় তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছিলেন। সে কারণে তাদের ধারণা হল যে, তিনি তখন হতেই তালবিয়া পাঠ শুরু করেন যখন তাঁর উট তাঁকে নিয়ে চলতে শুরু করে। (বস্তুত তারা জানত না যে, তিনি ইতিপূর্বেই তালবিয়া পাঠ শুরু করেছেন।)
এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সম্মুখে অগ্রসর হন। তিনি যখন বায়দার উচ্চভূমিতে ওঠেন, তখন সেখানেও তালবিয়া পাঠ করেন। এখানে কিছু সংখ্যক ব্যক্তি তা শুনতে পেয়ে বলেন, তিনি বায়দার উচ্চভূমিতে তালবিয়া পাঠ শুরু করেন। আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নামায আদায়ের পরই ইহরাম বাঁধেন এবং জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ শুরু করেন, যখন তিনি উটের পৃষ্ঠে সওয়ার হন। বায়দার উচ্চভূমিতেও তিনি জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ করেন।
রাবী সাঈদ বলেন, যে ব্যক্তি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর বর্ণনানুযায়ী কাজ করে, সে যেন দু রাকআত নামায আদায়ের পর ইহরাম বাঁধেন এবং তালবিয়া পাঠ শুরু করেন।
তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে সকলের চেয়ে অধিক জানি। তা এই যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মাত্র একবারই হজ্জ করেছেন। আর এ কারণেই লোকেরা মতানৈক্য করছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (মদীনা হতে) হজ্জে রওয়ানা হন। তিনি পথিমধ্যে যুল হুলাইফা নামক স্থানে অবতরণ করে সেখানকার মসজিদে (ইহরামের জন্য) দুই রাকআত নামায আদায় করেন। এই দুই রাকআত নামায শেষে তিনি হজ্জের ইহরাম বাঁধেন। এ সময় কিছু লোক তাঁর তালবিয়া পাঠ শোনেন এবং তারা এটা তাঁর নিকট হতে সংরক্ষণ করেন।
অতঃপর তিনি তাঁর উটে সওয়ার হন। তারা যখন নবী করীম (ﷺ)কে নিয়ে চলতে শুরু করে তখন তিনি জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ করতে থাকেন। কিছু লোক তাঁর নিকট হতে এটা শুনে সংরক্ষণ করেন। আর এ ব্যাপারটি (অর্থাৎ তালবিয়া শুরু) সম্পর্কে মতানৈক্যের কারণ এই যে, লোকেরা এ সময় বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে তাঁর নিকট আসা-যাওয়া করতো। এমতাবস্থায় তারা তাঁকে উটের উপর বসে চলমান অবস্থায় তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছিলেন। সে কারণে তাদের ধারণা হল যে, তিনি তখন হতেই তালবিয়া পাঠ শুরু করেন যখন তাঁর উট তাঁকে নিয়ে চলতে শুরু করে। (বস্তুত তারা জানত না যে, তিনি ইতিপূর্বেই তালবিয়া পাঠ শুরু করেছেন।)
এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সম্মুখে অগ্রসর হন। তিনি যখন বায়দার উচ্চভূমিতে ওঠেন, তখন সেখানেও তালবিয়া পাঠ করেন। এখানে কিছু সংখ্যক ব্যক্তি তা শুনতে পেয়ে বলেন, তিনি বায়দার উচ্চভূমিতে তালবিয়া পাঠ শুরু করেন। আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নামায আদায়ের পরই ইহরাম বাঁধেন এবং জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ শুরু করেন, যখন তিনি উটের পৃষ্ঠে সওয়ার হন। বায়দার উচ্চভূমিতেও তিনি জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ করেন।
রাবী সাঈদ বলেন, যে ব্যক্তি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর বর্ণনানুযায়ী কাজ করে, সে যেন দু রাকআত নামায আদায়ের পর ইহরাম বাঁধেন এবং তালবিয়া পাঠ শুরু করেন।
باب فِي وَقْتِ الإِحْرَامِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - يَعْنِي ابْنَ إِبْرَاهِيمَ - حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي خُصَيْفُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجَزَرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ يَا أَبَا الْعَبَّاسِ عَجِبْتُ لاِخْتِلاَفِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي إِهْلاَلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ أَوْجَبَ . فَقَالَ إِنِّي لأَعْلَمُ النَّاسِ بِذَلِكَ إِنَّهَا إِنَّمَا كَانَتْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَجَّةٌ وَاحِدَةٌ فَمِنْ هُنَاكَ اخْتَلَفُوا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَاجًّا فَلَمَّا صَلَّى فِي مَسْجِدِهِ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْهِ أَوْجَبَ فِي مَجْلِسِهِ فَأَهَلَّ بِالْحَجِّ حِينَ فَرَغَ مِنْ رَكْعَتَيْهِ فَسَمِعَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ فَحَفِظْتُهُ عَنْهُ ثُمَّ رَكِبَ فَلَمَّا اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ أَهَلَّ وَأَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ وَذَلِكَ أَنَّ النَّاسَ إِنَّمَا كَانُوا يَأْتُونَ أَرْسَالاً فَسَمِعُوهُ حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ يُهِلُّ فَقَالُوا إِنَّمَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا عَلاَ عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ وَأَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ فَقَالُوا إِنَّمَا أَهَلَّ حِينَ عَلاَ عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ وَايْمُ اللَّهِ لَقَدْ أَوْجَبَ فِي مُصَلاَّهُ وَأَهَلَّ حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ وَأَهَلَّ حِينَ عَلاَ عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ . قَالَ سَعِيدٌ فَمَنْ أَخَذَ بِقَوْلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَهَلَّ فِي مُصَلاَّهُ إِذَا فَرَغَ مِنْ رَكْعَتَيْهِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৭১
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭১
১৯. ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট সময়।
১৭৭১. আল কা‘নবী (রাহঃ) .... সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) থেকে তাঁর পিতা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদেরএ বায়দার উচ্চভূমি- যদ্দরুন তোমরা (অজ্ঞতাবশত) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর মিথ্যা দোষারোপ কর। প্রকৃত ব্যাপার এই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদ হতে অর্থাৎ যুল হুলাইফার মসজিদ হতে (দুই রাকআত নামায আদায়ের পর) ইহরাম বাঁধেন এবং তালবিয়া পাঠ শুরু করেন।
باب فِي وَقْتِ الإِحْرَامِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ بَيْدَاؤُكُمْ هَذِهِ الَّتِي تَكْذِبُونَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهَا مَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ يَعْنِي مَسْجِدَ ذِي الْحُلَيْفَةِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৭২
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭২
১৯. ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট সময়।
১৭৭২. আল কা‘নবী (রাহঃ) .... উবাইদ ইবনে জুরাইজ (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে বলেন, হে আবু আব্দুর রহমান! আমি আপনাকে চারটি কাজে লিপ্ত দেখি, যা আপনার সঙ্গীদের কাউকে করতে দেখি না। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, হে ইবনে জুরাইজ, তা কী?
তিনি বলেন, আমি আপনাকে কখনও দুই রুকনে ইয়ামানী [১] ব্যতীত অন্য রুকনগুলো স্পর্শ করতে দেখিনি। আর আমি আপনাকে এমন জুতা পরিধান করতে দেখি, যার চামড়ায় পশম নেই। আমি আপনাকে (কাপড় বা মাথা) হলুদ রং-এ রঞ্জিত করতে দেখি। আর আরো দেখি যে, যখন আপনি মক্কায় অবস্থান করেন আর সেখানকার অধিবাসীরা নতুন চাঁদ দেখার সাথে সাথেই ইহরাম বাঁধে, কিন্তু আপনি তালবিয়ার দিন[২] (৮ই যিলহজ্জ ) না আসা পর্যন্ত ইহরাম বাঁধেন না।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, রুকনগুলো (খানায়ে কা‘বার কোনাগুলো) স্পর্শ করা সম্পর্কে আমার বক্তব্য এই যে, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে উভয় রুকনে ইয়ামানী ব্যতীত আর কোনো কোনা (রুকন) স্পর্শ করতে দেখিনি। আর পশমবিহীন জুতা সম্পর্কে আমার বক্তব্য হল, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে এমন জুতা পরিধান করতে দেখেছি যাতে পশম ছিল না। তিনি উযু করেও তা পরিধান করতেন। কাজেই আমিও তা পরিধান করতে ভালবাসি। আর হলুদ রং এর ব্যাপারে হল, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে হলুদ রং দ্বারা রঞ্জিত হতে দেখেছি। তাই আমিও তা দ্বারা রঞ্জিত হতে ভালবাসি। আর ইহরাম বাঁধা (এ বিষয়ে) আমার বক্তব্য হল, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে ঐ সময় পর্যন্ত ইহরাম বাঁধতে দেখিনি, যতক্ষণ তিনি তাঁর বাহনে সওয়ার না হতেন।
[১] খানায়ে কা'বার যে কোনায় হাজরে আস্ওয়াদ স্থাপিত তাকে রুকনে ইয়ামানী বলে।
[২] নবী করীম (ﷺ) মক্কায় অবস্থানকালে সাধারণত ৮ই যিল-হজ্জের আগে হজ্জের বা উমরার জন্য ইহরাম বাঁধতেন না এবং তালবিয়া ও পাঠ করতেন না।
তিনি বলেন, আমি আপনাকে কখনও দুই রুকনে ইয়ামানী [১] ব্যতীত অন্য রুকনগুলো স্পর্শ করতে দেখিনি। আর আমি আপনাকে এমন জুতা পরিধান করতে দেখি, যার চামড়ায় পশম নেই। আমি আপনাকে (কাপড় বা মাথা) হলুদ রং-এ রঞ্জিত করতে দেখি। আর আরো দেখি যে, যখন আপনি মক্কায় অবস্থান করেন আর সেখানকার অধিবাসীরা নতুন চাঁদ দেখার সাথে সাথেই ইহরাম বাঁধে, কিন্তু আপনি তালবিয়ার দিন[২] (৮ই যিলহজ্জ ) না আসা পর্যন্ত ইহরাম বাঁধেন না।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, রুকনগুলো (খানায়ে কা‘বার কোনাগুলো) স্পর্শ করা সম্পর্কে আমার বক্তব্য এই যে, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে উভয় রুকনে ইয়ামানী ব্যতীত আর কোনো কোনা (রুকন) স্পর্শ করতে দেখিনি। আর পশমবিহীন জুতা সম্পর্কে আমার বক্তব্য হল, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে এমন জুতা পরিধান করতে দেখেছি যাতে পশম ছিল না। তিনি উযু করেও তা পরিধান করতেন। কাজেই আমিও তা পরিধান করতে ভালবাসি। আর হলুদ রং এর ব্যাপারে হল, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে হলুদ রং দ্বারা রঞ্জিত হতে দেখেছি। তাই আমিও তা দ্বারা রঞ্জিত হতে ভালবাসি। আর ইহরাম বাঁধা (এ বিষয়ে) আমার বক্তব্য হল, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে ঐ সময় পর্যন্ত ইহরাম বাঁধতে দেখিনি, যতক্ষণ তিনি তাঁর বাহনে সওয়ার না হতেন।
[১] খানায়ে কা'বার যে কোনায় হাজরে আস্ওয়াদ স্থাপিত তাকে রুকনে ইয়ামানী বলে।
[২] নবী করীম (ﷺ) মক্কায় অবস্থানকালে সাধারণত ৮ই যিল-হজ্জের আগে হজ্জের বা উমরার জন্য ইহরাম বাঁধতেন না এবং তালবিয়া ও পাঠ করতেন না।
باب فِي وَقْتِ الإِحْرَامِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ، أَنَّهُ قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ رَأَيْتُكَ تَصْنَعُ أَرْبَعًا لَمْ أَرَ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِكَ يَصْنَعُهَا . قَالَ مَا هُنَّ يَا ابْنَ جُرَيْجٍ قَالَ رَأَيْتُكَ لاَ تَمَسُّ مِنَ الأَرْكَانِ إِلاَّ الْيَمَانِيَيْنِ وَرَأَيْتُكَ تَلْبَسُ النِّعَالَ السِّبْتِيَّةَ وَرَأَيْتُكَ تَصْبُغُ بِالصُّفْرَةِ وَرَأَيْتُكَ إِذَا كُنْتَ بِمَكَّةَ أَهَلَّ النَّاسُ إِذَا رَأَوُا الْهِلاَلَ وَلَمْ تُهِلَّ أَنْتَ حَتَّى كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ أَمَّا الأَرْكَانُ فَإِنِّي لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمَسُّ إِلاَّ الْيَمَانِيَيْنِ وَأَمَّا النِّعَالُ السِّبْتِيَّةُ فِإِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَلْبَسُ النِّعَالَ الَّتِي لَيْسَ فِيهَا شَعْرٌ وَيَتَوَضَّأُ فِيهَا فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَلْبَسَهَا وَأَمَّا الصُّفْرَةُ فَإِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْبُغُ بِهَا فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَصْبُغَ بِهَا وَأَمَّا الإِهْلاَلُ فَإِنِّي لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُهِلُّ حَتَّى تَنْبَعِثَ بِهِ رَاحِلَتُهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭৩
১৯. ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট সময়।
১৭৭৩. আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মদীনায় চার রাকআত যোহরের নামায আদায় করেন এবং যুল হুলাইফাতে উপনীত হয়ে দুই রাকআত আসরের নামায আদায় করেন। তিনি ভোর পর্যন্ত এখানে রাত যাপন করেন। তিনি সেখান থেকে (যোহরের নামায আদায়ের পর) স্বীয় বাহনে সওয়ার হন এবং বায়দা নামক স্থানে উপনীত হয়ে তালবিয়া পাঠ শুরু করেন।
باب فِي وَقْتِ الإِحْرَامِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا وَصَلَّى الْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ بَاتَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ حَتَّى أَصْبَحَ فَلَمَّا رَكِبَ رَاحِلَتَهُ وَاسْتَوَتْ بِهِ أَهَلَّ .
হাদীস নং:১৭৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭৪
১৯. ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট সময়।
১৭৭৪. আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) যোহরের নামায (যুল- হুলায়ফাতে) আদায় করেন। অতঃপর তিনি স্বীয় বাহনে আরোহণ করে যখন বায়দার উচ্চভূমিতে উপনীত হন তখন তালবিয়া পাঠ শুরু করেন।
باب فِي وَقْتِ الإِحْرَامِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ فَلَمَّا عَلاَ عَلَى جَبَلِ الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭৫
১৯. ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট সময়।
১৭৭৫. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... আয়িশা বিতন সা‘দ আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা‘দ (রাযিঃ) বলেছেন, নবী করীম (ﷺ) যখন (হজ্জের উদ্দেশে) আল ফুরাআ নামক স্থানের দিকে যেতেন তখন সাওারির পিঠে চড়া মাত্রই তালবিয়া পড়তেন। তিনি যখন উহুদের পথে রওয়ানা হতেন, তখন আল বায়দা পর্বতে উঠার সময় তালবিয়া পড়তেন (ইহরাম বাঁধতেন )।
باب فِي وَقْتِ الإِحْرَامِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، - يَعْنِي ابْنَ جَرِيرٍ - قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَتْ قَالَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ كَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَخَذَ طَرِيقَ الْفُرْعِ أَهَلَّ إِذَا اسْتَقَلَّتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ وَإِذَا أَخَذَ طَرِيقَ أُحُدٍ أَهَلَّ إِذَا أَشْرَفَ عَلَى جَبَلِ الْبَيْدَاءِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান