কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৩. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৬৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫৭
৩২. সম্পত্তি সংক্রান্ত অধিকার।
১৬৫৭. কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে (الماعون) (দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিস) বলতে বালতি ও রান্নার সরঞ্জামকে গণ্য করতাম।
باب فِي حُقُوقِ الْمَالِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا نَعُدُّ الْمَاعُونَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَارِيَةَ الدَّلْوِ وَالْقِدْرِ .
হাদীস নং:১৬৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫৮
৩২. সম্পত্তি সংক্রান্ত অধিকার।
১৬৫৮. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি সঞ্চিত সম্পদের (সোনা-রূপার) মালিক হওয়া সত্ত্বেও তার যাকাত প্রদান করে না, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার হুকুমে তা দোযখের আগুনে উত্তপ্ত করে তা দ্বারা তার কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে সেক দেওয়া হবে যতক্ষণ না আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন বান্দাদের মাঝে ফয়সালা দেবেন - যে দিনের পরিমাণ হবে তোমাদের গণনা অনুসারে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমতুল্য। অতপর সে হয় বেহেশতের দিকে অথবা দোযখের দিকে তার পথ দেখবে।

যে মেষপালে মালিক তার মেষের যাকাত আদায় করে না, কিয়ামতের দিন তার মেষপাল আসবে অত্যধিক শক্তিশালী হয়ে এবং অধিক সংখ্যায়, একটি নরম বালুকাময় প্রশস্ত সমতল ভূমি তাদের জন্য বিস্তার করা হবে, এগুলো (সেখানে) তাকে শিং দিয়ে গুতা মারবে, ক্ষুরাঘাতে পদদলিত করতে থাকবে। এর কোন একটি বাঁকা শিং বিশিষ্ট বা শিংবিহীন হবে না। যখন এদের সর্বশেষটি তাকে দলিত-মথিত করে অতিক্রম করবে তখন আবার প্রথমটিকে তার নিকট ফিরিয়ে আনা হবে (আর অব্যহতভাবে এইরূপ শাস্তি চলতে থাকবে) যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁর বান্দাদের বিচারকার্য সম্পন্ন করেন, এমন দিনে যার পরিমাণ তোমাদের গণনা অনুসারে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান হবে। অতঃপর সে হয় জান্নাতের দিকে অথবা জাহান্নামের দিকে তার পথ দেখবে।

আর যে উটের মালিক তার উটের যাকাত প্রদান করে না, কিয়ামতের দিন তার উটপাল অত্যন্ত হৃষ্টপুষ্ট অবস্থায় আগমন করবে, একটি নরম বালুকাময় সমতলভূমি এদের জন্য বিস্তার করা হবে, অতপর তা তাকে পদতলে নিস্পেষিত করতে থাকবে, যখন তার সর্বশেষটি অতিক্রম করবে তখন প্রথমটিকে পুনরায় তার নিকট ফিরিয়ে আনা হবে (আর এইরূপ শাস্তি অব্যাহতভাবে চলতে থাকবে), যতক্ষণ না আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের বিচারকার্য সমাপ্ত করেন এমন দিনে, যার পরিমাণ হবে তোমাদের হিসাব অনুযায়ী পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। অতঃপর উক্ত ব্যক্তি হয় জান্নাতের দিকে অথবা জাহান্নামের দিকে নিজের পথ দেখবে।
باب فِي حُقُوقِ الْمَالِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا مِنْ صَاحِبِ كَنْزٍ لاَ يُؤَدِّي حَقَّهُ إِلاَّ جَعَلَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُحْمَى عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَى بِهَا جَبْهَتُهُ وَجَنْبُهُ وَظَهْرُهُ حَتَّى يَقْضِيَ اللَّهُ تَعَالَى بَيْنَ عِبَادِهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ ثُمَّ يُرَى سَبِيلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ وَمَا مِنْ صَاحِبِ غَنَمٍ لاَ يُؤَدِّي حَقَّهَا إِلاَّ جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَوْفَرَ مَا كَانَتْ فَيُبْطَحُ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ فَتَنْطَحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِأَظْلاَفِهَا لَيْسَ فِيهَا عَقْصَاءُ وَلاَ جَلْحَاءُ كُلَّمَا مَضَتْ أُخْرَاهَا رُدَّتْ عَلَيْهِ أُولاَهَا حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَ عِبَادِهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ ثُمَّ يُرَى سَبِيلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ وَمَا مِنْ صَاحِبِ إِبِلٍ لاَ يُؤَدِّي حَقَّهَا إِلاَّ جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَوْفَرَ مَا كَانَتْ فَيُبْطَحُ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ فَتَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا كُلَّمَا مَضَتْ عَلَيْهِ أُخْرَاهَا رُدَّتْ عَلَيْهِ أُولاَهَا حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ تَعَالَى بَيْنَ عِبَادِهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ ثُمَّ يُرَى سَبِيلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫৯
৩২. সম্পত্তি সংক্রান্ত অধিকার।
১৬৫৯. জাফর ইবনে মুসাফির (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে এই সনদসূত্রে নবী করিম (ﷺ)-এর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তিনি (যায়দ ইবনে আসলাম) উটের সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন যে, ″যার হক আদায় করা হয় নাই″। রাবী বলেনঃ এর হক হল এর দুধ যা পানি পান করানোর দিন দোহন করা হয়।
باب فِي حُقُوقِ الْمَالِ
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . قَالَ فِي قِصَّةِ الإِبِلِ بَعْدَ قَوْلِهِ " لاَ يُؤَدِّي حَقَّهَا " . قَالَ " وَمِنْ حَقِّهَا حَلْبُهَا يَوْمَ وِرْدِهَا " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৬০
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৬০
৩২. সম্পত্তি সংক্রান্ত অধিকার।
১৬৬০. আল-হাসান ইবনে আলী (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছিঃ পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। অতঃপর রাবী আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেন, উটের হক কি? তিনি বলেন, উত্তম উট (আল্লাহর রাস্তায়) দান করা, অধিক দুগ্ধবতী উট দান করা, আরোহণের জন্য উট ধার দেওয়া, প্রজননের উদ্দেশ্যে পারিশ্রমিক ছাড়াই উট ধার দেওয়া এবং উটের দুধ (অভাবগ্রস্তকে) পান করতে দেওয়া।
باب فِي حُقُوقِ الْمَالِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي عُمَرَ الْغُدَانِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذِهِ الْقِصَّةِ فَقَالَ لَهُ - يَعْنِي لأَبِي هُرَيْرَةَ - فَمَا حَقُّ الإِبِلِ قَالَ تُعْطِي الْكَرِيمَةَ وَتَمْنَحُ الْغَزِيرَةَ وَتُفْقِرُ الظَّهْرَ وَتُطْرِقُ الْفَحْلَ وَتَسْقِي اللَّبَنَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৬১
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৬১
৩২. সম্পত্তি সংক্রান্ত অধিকার।
১৬৬১. ইয়াহয়া ইবনে খালাফ (রাহঃ) ..... উবাইেদ ইবনে উমায়র (রাযিঃ) বলেন, জনৈক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! উটের হক কি? ......... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। এই বর্ণনায় আরও আছে, ″এর দুধের পালান ধার দেওয়া″
باب فِي حُقُوقِ الْمَالِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ الإِبِلِ فَذَكَرَ نَحْوَهُ زَادَ " وَإِعَارَةُ دَلْوِهَا " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৬২
৩২. সম্পত্তি সংক্রান্ত অধিকার।
১৬৬২. আব্দুল আযীয ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ..... জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। নবী করীম (ﷺ) নির্দেশ দিয়েছেন যে, যে ব্যক্তি দশ ওসক (পরিমাণ) খেজুর কাটবে সে যেন মিসকীনদের জন্য মসজিদে এক গুচ্ছ খেজুর ঝুলিয়ে রাখে।
باب فِي حُقُوقِ الْمَالِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ عَمِّهِ، وَاسِعِ بْنِ حَبَّانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ مِنْ كُلِّ جَادِّ عَشَرَةِ أَوْسُقٍ مِنَ التَّمْرِ بِقِنْوٍ يُعَلَّقُ فِي الْمَسْجِدِ لِلْمَسَاكِينِ .
হাদীস নং:১৬৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৬৩
৩২. সম্পত্তি সংক্রান্ত অধিকার।
১৬৬৩. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ...... আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে এক সফরে ছিলাম। ইত্যবসরে এক ব্যক্তি নিজ উটে আরোহণ করে তাঁর নিকট আগমন করে এবং ডান এবং বাম দিকে তাকাতে থাকে (অন্য উট পাবার আশায়, কেননা তার উট দুর্বল ছিল)।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যার নিকট (বাহনযোগ্য) অতিরিক্ত উট আছে সে যেন তা অন্যকে দান করে যার কোন বাহন নাই। আর যার নিকট অতিরিক্ত পাথেয় আছে সে যেন তা তার সামনে পেশ করে যার কোন পাথেয় নাই। এর ফলে আমাদের ধারণা হয় যে, আমাদের কারো অতিরিক্ত কোন জিনিস রাখার অধিকার নাই।
باب فِي حُقُوقِ الْمَالِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخُزَاعِيُّ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَشْهَبِ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ عَلَى نَاقَةٍ لَهُ فَجَعَلَ يَصْرِفُهَا يَمِينًا وَشِمَالاً فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَ عِنْدَهُ فَضْلُ ظَهْرٍ فَلْيَعُدْ بِهِ عَلَى مَنْ لاَ ظَهْرَ لَهُ وَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ فَضْلُ زَادٍ فَلْيَعُدْ بِهِ عَلَى مَنْ لاَ زَادَ لَهُ " . حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ لاَ حَقَّ لأَحَدٍ مِنَّا فِي الْفَضْلِ .
হাদীস নং:১৬৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৬৪
৩২. সম্পত্তি সংক্রান্ত অধিকার।
১৬৬৪. উছমান ইবনে আবু শয়বা (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এই আয়াত নাযিল হয়, ″যারা সোনা ও রূপা পুঞ্জীভুত করে ...″, রাবী বলেন, তখন মুসলমানদের নিকট তা খুবই গুরতর মনে হল। উমর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি তোমাদের এই উদ্বেগ দূরীভূত করব। অতপর তিনি গিয়ে বলেনঃ ইয়া নবীআল্লাহ! এই আয়াত আপনার সাহাবীদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ তাআলা তোমাদের অবশিষ্ট ধন-সম্পদ পবিত্র করতে যাকাত ফরয করেছেন। আর তিনি মীরাছ এইজন্য ফরয করেছেন, যাতে পরিত্যক্ত মাল তোমাদের পরবর্তী বংশধরেরা পেতে পারে।

তখন উমর (রাযিঃ) ″আল্লাহু আকবার″ ধ্বনি দেন। অতঃপর তিনি উমর (রাযিঃ)-কে বলেনঃ আমি কি তোমাকে লোকদের পুঞ্জীভুত মালের চেয়ে উত্তম মাল সর্ম্পকে অবহিত করব না? তা হল পূন্যবতী নারী যখন সে (স্বামী) তার দিকে দৃষ্টিপাত করে তখন সে সন্তুষ্ট হয়। আর যখন সে (স্বামী) তাকে কিছু করার নির্দেশ দেয়, তখন সে তা পালন করে। আর যখন সে (স্বামী) তার নিকট হতে অনুপস্থিত থাকে তখন সে তার (ইজ্জত ও মালের) হেফাযত করে।
باب فِي حُقُوقِ الْمَالِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى الْمُحَارِبِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا غَيْلاَنُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ إِيَاسٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ( وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ ) قَالَ كَبُرَ ذَلِكَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ فَقَالَ عُمَرُ - رضى الله عنه أَنَا أُفَرِّجُ عَنْكُمْ . فَانْطَلَقَ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّهُ كَبُرَ عَلَى أَصْحَابِكَ هَذِهِ الآيَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَفْرِضِ الزَّكَاةَ إِلاَّ لِيُطَيِّبَ مَا بَقِيَ مِنْ أَمْوَالِكُمْ وَإِنَّمَا فَرَضَ الْمَوَارِيثَ لِتَكُونَ لِمَنْ بَعْدَكُمْ " . فَكَبَّرَ عُمَرُ ثُمَّ قَالَ لَهُ " أَلاَ أُخْبِرُكَ بِخَيْرِ مَا يَكْنِزُ الْمَرْءُ الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ إِذَا نَظَرَ إِلَيْهَا سَرَّتْهُ وَإِذَا أَمَرَهَا أَطَاعَتْهُ وَإِذَا غَابَ عَنْهَا حَفِظَتْهُ " .