কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৩. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৬২৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৬
যাকাতের অধ্যায়
২৩. যাকাত কাকে দিতে হবে এবং কাকে ধনী বলা যায়।
১৬২৬. আল-হাসান ইবনে আলী (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি ভিক্ষা চায় অথচ তার নিকট যা আছে তা তার জন্য যথেষ্ট, সে কিয়ামতের দিন স্বীয় চেহারায় অসংখ্য জখম, নখের আঁচড় ও ক্ষত সহ আগমন করবে। জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ধনী কে? তিনি বলেনঃ পঞ্চাশ দিরহাম অথবা পঞ্চাশ দিরহাম মূল্যের পরিমাণ স্বর্ণ (যার কাছে থাকবে সে ভিক্ষা করতে পারবে না)।

ইয়াহয়া (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উছমান (রাহঃ) সুফিয়ানকে বলেন, আমার স্মরণ আছে যে, শোবা (রাহঃ) হাকীমের সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেন না। সুফিয়ান বলেন, যুবায়দ (রাহঃ) মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে ইয়াযীদের সূত্রে তা আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন।
كتاب الزكاة
باب مَنْ يُعْطَى مِنَ الصَّدَقَةِ وَحَدِّ الْغِنَى
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَأَلَ وَلَهُ مَا يُغْنِيهِ جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ خُمُوشٌ - أَوْ خُدُوشٌ - أَوْ كُدُوحٌ - فِي وَجْهِهِ " . فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الْغِنَى قَالَ " خَمْسُونَ دِرْهَمًا أَوْ قِيمَتُهَا مِنَ الذَّهَبِ " . قَالَ يَحْيَى فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ لِسُفْيَانَ حِفْظِي أَنَّ شُعْبَةَ لاَ يَرْوِي عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ فَقَالَ سُفْيَانُ فَقَدْ حَدَّثَنَاهُ زُبَيْدٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ .
হাদীস নং: ১৬২৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৭
যাকাতের অধ্যায়
২৩. যাকাত কাকে দিতে হবে এবং কাকে ধনী বলা যায়।
১৬২৭. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ..... আতা ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) বনী আসাদ গোত্রের এক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একদা আমি এবং আমার পরিবার-পরিজন (মদীনার নিকটবর্তী) বাকী আল-গারকাদে গিয়ে অবতরণ করি। তখন আমার স্ত্রী আমাকে বলে, আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট যান এবং তাঁর নিকট কিছু প্রার্থনা করুন যা আমরা আহার করতে পারি। আর আমার পরিবারের লোকেরাও তাদের প্রয়োজনের কথা বর্ণনা করতে থাকে। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট পৌঁছে দেখতে পাই যে, জনৈক ব্যক্তি তাঁর নিকট কিছু প্রার্থনা করছে আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলছেনঃ আমার নিকট এমন কিছু নাই যা আমি তোমাকে দিতে পারি।

অতঃপর সে তাঁর নিকট হতে অসন্তুষ্ট হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় বলতে থাকেঃ আমার জীবনের শপথ! নিশ্চয় আপনি আপনার পছন্দসই লোককে দিয়ে থাকেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ লোকটি আমার উপর অসন্তুষ্ট হলো, কিন্তু আমার নিকট দেয়ার মত কিছুই নাই। অতঃপর তিনি আরো বলেনঃ তোমাদের মধ্যে যারা ভিক্ষা চায়, আর সে এক উকিয়া* বা তার সমপরিমাণ মুল্যের মালের মালিক সে অবশ্যই উত্যক্ত করার জন্য ভিক্ষা চায়।

আসাদী বলেন, তখন আমি (মনে মনে) বলি, আমাদের উট উকিয়া হতে উত্তম। আর উকিয়া হল চল্লিশ দিরহামের সমান। রাবী বলেন, আমি তাঁর নিকট কিছুই না চেয়ে ফিরে আসি। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে কিছু গম ও কিসমিস এলে তিনি তার অংশবিশেষ আমাদেরও দান করেন, অথবা (রাবীর সন্দেহ) যেমন তিনি বলেছেন, এমনকি আল্লাহ তাআলা এর বদৌলতে আমাদেরকে মালদার বানিয়ে দেন।

* উকিয়া হলঃ রৌপ্যের ওজন, যার পরিমাণ হল এক তোলা সাত মাশা। অন্য বর্ণনায় উকিয়া হলঃ চল্লিশ দিরহামের সমান।
كتاب الزكاة
باب مَنْ يُعْطَى مِنَ الصَّدَقَةِ وَحَدِّ الْغِنَى
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي أَسَدٍ أَنَّهُ قَالَ نَزَلْتُ أَنَا وَأَهْلِي، بِبَقِيعِ الْغَرْقَدِ فَقَالَ لِي أَهْلِي اذْهَبْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلْهُ لَنَا شَيْئًا نَأْكُلُهُ فَجَعَلُوا يَذْكُرُونَ مِنْ حَاجَتِهِمْ فَذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدْتُ عِنْدَهُ رَجُلاً يَسْأَلُهُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ أَجِدُ مَا أُعْطِيكَ " . فَتَوَلَّى الرَّجُلُ عَنْهُ وَهُوَ مُغْضَبٌ وَهُوَ يَقُولُ لَعَمْرِي إِنَّكَ لَتُعْطِي مَنْ شِئْتَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَغْضَبُ عَلَىَّ أَنْ لاَ أَجِدَ مَا أُعْطِيهِ مَنْ سَأَلَ مِنْكُمْ وَلَهُ أُوقِيَّةٌ أَوْ عَدْلُهَا فَقَدْ سَأَلَ إِلْحَافًا " . قَالَ الأَسَدِيُّ فَقُلْتُ لَلَقِحَةٌ لَنَا خَيْرٌ مِنْ أُوقِيَّةٍ وَالأُوقِيَّةُ أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا . قَالَ فَرَجَعْتُ وَلَمْ أَسْأَلْهُ فَقَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ شَعِيرٌ أَوْ زَبِيبٌ فَقَسَمَ لَنَا مِنْهُ - أَوْ كَمَا قَالَ - حَتَّى أَغْنَانَا اللَّهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَكَذَا رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ كَمَا قَالَ مَالِكٌ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬২৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৮
যাকাতের অধ্যায়
২৩. যাকাত কাকে দিতে হবে এবং কাকে ধনী বলা যায়।
১৬২৮. কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি ভিক্ষা চায়, আর তার নিকট এক উকিয়া পরিমাণ মূল্যের বস্ত থাকে সে অসংগতভাবে ভিক্ষা চায়। অতঃপর আমি (মনে মনে) বলি, আমার ইয়াকূত নাম্নী উট তো এক উকিয়ার চাইতেও উত্তম। রাবী হিশাম বলেন, চল্লিশ দিরহাম হতেও উত্তম। অতপঃর আমি তার নিকট কিছু প্রার্থনা না করে প্রত্যাবর্তন করি। হিশাম তাঁর হাদীসে আরও বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে এক উকিয়া চল্লিশ দিরহামের সমপরিমাণ মূল্যের ছিল।
كتاب الزكاة
باب مَنْ يُعْطَى مِنَ الصَّدَقَةِ وَحَدِّ الْغِنَى
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَهِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الرِّجَالِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ " مَنْ سَأَلَ وَلَهُ قِيمَةُ أُوقِيَّةٍ فَقَدْ أَلْحَفَ " . فَقُلْتُ نَاقَتِي الْيَاقُوتَةُ هِيَ خَيْرٌ مِنْ أُوقِيَّةٍ . قَالَ هِشَامٌ خَيْرٌ مِنْ أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا فَرَجَعْتُ فَلَمْ أَسْأَلْهُ شَيْئًا زَادَ هِشَامٌ فِي حَدِيثِهِ وَكَانَتِ الأُوقِيَّةُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا .
হাদীস নং: ১৬২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৯
যাকাতের অধ্যায়
২৩. যাকাত কাকে দিতে হবে এবং কাকে ধনী বলা যায়।
১৬২৯. আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ..... সাহল ইবনুর-রাবী আল-হানযালীয়া (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে উয়াইনা ইবনে হিসন ও আল-আকরা ইবনে হাবিস আগমন করে। তারা উভয়ে তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করলে তিনি তাদের প্রার্থনার অনুরূপ মাল প্রদানের নির্দেশ দেন এবং মুআবিয়া (রাযিঃ)-কে তাদের অনুকূলে একটি দলীল লিখে দিতে নির্দেশ দেন। তখন মুআবিয়া (রাযিঃ) তাদের উভয়ের চাহিদা অনুযায়ী তা লিখে দেন। অতঃপর আকরা এই নির্দেশনামা নিয়ে তা ভাঁজ করে তার পাগড়ীর মধ্যে লুকিয়ে চলে যায়। কিন্তু উয়াইনা নিজের নির্দেশনামা গ্রহণ করে তা নিয়ে নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট এসে বলেঃ ইয়া মুহাম্মাদ! আপনি কি চান যে, আমি আমার কওমের নিকট এমন একটি পত্র বহন করে নিয়ে যাই যার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমি অজ্ঞ (সহীফাতুল মুতালাম্মেসের)* মত।

মুআবিয়া (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে তার কথা অবহিত করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি ধনী (অমুখাপেক্ষী) হওয়া সত্ত্বেও সম্পদ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে অন্যের নিকট কিছু চায়, সে অধিক দোজখের আগুন চায়। রাবী নুফায়লীর অন্য বর্ণনায় আছেঃ জাহান্নামের জ্বলন্ত অঙ্গার চায়। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! ধনী (বা মুখাপেক্ষী) হওয়ার সীমা কি? রাবী নুফায়লীর অন্য বর্ণনায় উল্লেখ করেনঃ অমুখাপেক্ষীতার সীমা কি, যার কারণে অন্যের নিকট কিছু চাওয়া অনুচিত হয়? তিনি বলেন, কারো নিকট এমন সম্পদ থাকা, যা তার সকাল ও সন্ধ্যার প্রয়োজনের জন্য যথেষ্ট। রাবী নুফায়লীর অন্য বর্ণনায় আছেঃ যে ব্যক্তির নিকট এমন পরিমাণ সম্পদ হবে, যা তার রাত-দিন বা দিন-রাতের জন্য যথেষ্ট। ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ আমি এখানে যে হাদীস উল্লেখ করলাম তা নুফায়লী আমাদের নিকট সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন।

* মুতালাম্মেসের দলীল, ইনি প্রাচীন আরবের একজন কবি ছিলেন। কোন এক বাদশাহের বিরুদ্ধে বিদ্রুপাত্মক কবিতা রচনা করায় তিনি রুষ্ট হন এবং তাঁর এক গভর্নরের নিকট একটি একটি পত্রসহ তাঁকে পাঠান। কবি মনে করেন, নিশ্চয় বাদ্শাহ তাঁকে পুরস্কৃত করার জন্য লিখেছেন। পথিমধ্যে সন্দেহ বশে তিনি পত্র খুলে দেখতে পান যে, তন্মধ্যে তাঁর মৃত্যুদন্ড দেওয়ার নিদের্শ আছে। অতঃপর তিনি সেই গভর্নরের নিকট উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকেন এবং বেঁচে যান। এমতাবস্থায় তা একটি আরবীয় প্রবাদবাক্যে পরিণত হয়েছে।
كتاب الزكاة
باب مَنْ يُعْطَى مِنَ الصَّدَقَةِ وَحَدِّ الْغِنَى
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مِسْكِينٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ السَّلُولِيِّ، حَدَّثَنَا سَهْلُ ابْنُ الْحَنْظَلِيَّةِ، قَالَ قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنٍ وَالأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ فَسَأَلاَهُ فَأَمَرَ لَهُمَا بِمَا سَأَلاَ وَأَمَرَ مُعَاوِيَةَ فَكَتَبَ لَهُمَا بِمَا سَأَلاَ فَأَمَّا الأَقْرَعُ فَأَخَذَ كِتَابَهُ فَلَفَّهُ فِي عِمَامَتِهِ وَانْطَلَقَ وَأَمَّا عُيَيْنَةُ فَأَخَذَ كِتَابَهُ وَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَكَانَهُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَتَرَانِي حَامِلاً إِلَى قَوْمِي كِتَابًا لاَ أَدْرِي مَا فِيهِ كَصَحِيفَةِ الْمُتَلَمِّسِ . فَأَخْبَرَ مُعَاوِيَةُ بِقَوْلِهِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَأَلَ وَعِنْدَهُ مَا يُغْنِيهِ فَإِنَّمَا يَسْتَكْثِرُ مِنَ النَّارِ " . وَقَالَ النُّفَيْلِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ " مِنْ جَمْرِ جَهَنَّمَ " . فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا يُغْنِيهِ وَقَالَ النُّفَيْلِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ وَمَا الْغِنَى الَّذِي لاَ تَنْبَغِي مَعَهُ الْمَسْأَلَةُ قَالَ " قَدْرُ مَا يُغَدِّيهِ وَيُعَشِّيهِ " . وَقَالَ النُّفَيْلِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ " أَنْ يَكُونَ لَهُ شِبَعُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ أَوْ لَيْلَةٍ وَيَوْمٍ " . وَكَانَ حَدَّثَنَا بِهِ مُخْتَصِرًا عَلَى هَذِهِ الأَلْفَاظِ الَّتِي ذُكِرَتْ .
হাদীস নং: ১৬৩০
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৩০
যাকাতের অধ্যায়
২৩. যাকাত কাকে দিতে হবে এবং কাকে ধনী বলা যায়।
১৬৩০. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) .... যিয়াদ ইবনে হারিছ আস-সুদাঈ (রাযিঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে হাজির হয়ে তাঁর নিকট বায়আত গ্রহণ করি। অতঃপর তিনি একটি দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেন, অতপর বলেন, তাঁর নিকট এক ব্যক্তি এসে বলে, আমাকে কিছু যাকাতের মাল দান করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বলেনঃ আল্লাহ তাআলা সাদকার (মাল খরচের ব্যাপারে) তাঁর নবী ও অন্যের নির্দেশের উপর সন্তুষ্ট হননি, বরং তিনি এ ব্যাপারে স্বয়ং নির্দেশ প্রদান করেছেন এবং তা আট শ্রেনীর লোকের মধ্যে বিভক্ত করেছেন। যদি তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত হও তবে আমি অবশ্যই তোমাকে তোমার হক প্রদান করব।
كتاب الزكاة
باب مَنْ يُعْطَى مِنَ الصَّدَقَةِ وَحَدِّ الْغِنَى
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ عُمَرَ بْنِ غَانِمٍ - عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادٍ، أَنَّهُ سَمِعَ زِيَادَ بْنَ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيَّ، أَنَّهُ سَمِعَ زِيَادَ بْنَ الْحَارِثِ الصُّدَائِيَّ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَايَعْتُهُ فَذَكَرَ حَدِيثًا طَوِيلاً قَالَ فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ أَعْطِنِي مِنَ الصَّدَقَةِ . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَمْ يَرْضَ بِحُكْمِ نَبِيٍّ وَلاَ غَيْرِهِ فِي الصَّدَقَاتِ حَتَّى حَكَمَ فِيهَا هُوَ فَجَزَّأَهَا ثَمَانِيَةَ أَجْزَاءٍ فَإِنْ كُنْتَ مِنْ تِلْكَ الأَجْزَاءِ أَعْطَيْتُكَ حَقَّكَ " .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৩১
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৩১
যাকাতের অধ্যায়
২৩. যাকাত কাকে দিতে হবে এবং কাকে ধনী বলা যায়।
১৬৩১. উছমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ ঐ ব্যক্তি মিসকীন নয়, যাকে তুমি একটি এবং দুটি খেজুর, কিংবা এক বা দুই লোকমা খাদ্য দান কর। বরং প্রকৃত মিসকীন তারাই, যারা (অভাবী হওয়া সত্ত্বেও) মানুষের নিকট চায় না, যার ফলে মানুষেরা তাদের অভাব সম্পর্কে অবহিতও হতে পারে না যে, তাদের দান-খয়রাত করবে।
كتاب الزكاة
باب مَنْ يُعْطَى مِنَ الصَّدَقَةِ وَحَدِّ الْغِنَى
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ الْمِسْكِينُ الَّذِي تَرُدُّهُ التَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ وَالأُكْلَةُ وَالأُكْلَتَانِ وَلَكِنَّ الْمِسْكِينَ الَّذِي لاَ يَسْأَلُ النَّاسَ شَيْئًا وَلاَ يَفْطِنُونَ بِهِ فَيُعْطُونَهُ " .
হাদীস নং: ১৬৩২
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৩২
যাকাতের অধ্যায়
২৩. যাকাত কাকে দিতে হবে এবং কাকে ধনী বলা যায়।
১৬৩২. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ ......... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। মুসাদ্দাদের বর্ণনায় আছে, মিসকীন ঐ ব্যক্তি, যে অভাবী হওয়া সত্ত্বেও অন্যের নিকট নিজের প্রয়োজনের কথা ব্যক্ত করে না এবং তার অভাবও বুঝা যায় না যে, তাকে দান-খয়রাত দেয়া যেতে পারে, তাকে বঞ্চিত বলা যায়। আর মুসাদ্দাদের বর্ণনায় ″তাদেরকে ’মুতাআফফিফ" (যারা কিছুই চায় না) কথাটুকু উল্লেখ নাই।
كتاب الزكاة
باب مَنْ يُعْطَى مِنَ الصَّدَقَةِ وَحَدِّ الْغِنَى
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَأَبُو كَامِلٍ - الْمَعْنَى - قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ قَالَ " وَلَكِنَّ الْمِسْكِينَ الْمُتَعَفِّفُ " . زَادَ مُسَدَّدٌ فِي حَدِيثِهِ " لَيْسَ لَهُ مَا يَسْتَغْنِي بِهِ الَّذِي لاَ يَسْأَلُ وَلاَ يُعْلَمُ بِحَاجَتِهِ فَيُتَصَدَّقُ عَلَيْهِ فَذَاكَ الْمَحْرُومُ " . وَلَمْ يَذْكُرْ مُسَدَّدٌ " الْمُتَعَفِّفُ الَّذِي لاَ يَسْأَلُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى هَذَا مُحَمَّدُ بْنُ ثَوْرٍ وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ جَعَلاَ الْمَحْرُومَ مِنْ كَلاَمِ الزُّهْرِيِّ وَهَذَا أَصَحُّ .
হাদীস নং: ১৬৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৩৩
যাকাতের অধ্যায়
২৩. যাকাত কাকে দিতে হবে এবং কাকে ধনী বলা যায়।
১৬৩৩. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... উবাইদুল্লাহ ইবনে আদী ইবনুল খিয়ার (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে (অপরিচিত) দুই ব্যক্তি এই খবর দেন যে, তাঁরা বিদায় হজ্জের সময় নবী করীম রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির হন। তখন তিনি যাকাতের মাল বন্টনে রত ছিলেন। ঐ দুই ব্যক্তি কিছু মালের জন্য প্রার্থনা করেন। তিনি আমাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করে পুনরায় দৃষ্টি অবনত করেন। তিনি আমাদের উভয়কে শক্ত সবল ও হৃষ্টপুষ্ট দেখতে পেলেন। তিনি বলেন, যদি তোমরা চাও তবে আমি তোমাদের দুই জনকে দান করব। (কিন্তু জেনে রাখ!) এই মালে ধনী, কর্মক্ষম ও শক্ত সবলদের কোন অধিকার নাই।
كتاب الزكاة
باب مَنْ يُعْطَى مِنَ الصَّدَقَةِ وَحَدِّ الْغِنَى
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ، قَالَ أَخْبَرَنِي رَجُلاَنِ، أَنَّهُمَا أَتَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَهُوَ يَقْسِمُ الصَّدَقَةَ فَسَأَلاَهُ مِنْهَا فَرَفَعَ فِينَا الْبَصَرَ وَخَفَضَهُ فَرَآنَا جَلْدَيْنِ فَقَالَ " إِنْ شِئْتُمَا أَعْطَيْتُكُمَا وَلاَ حَظَّ فِيهَا لِغَنِيٍّ وَلاَ لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ " .
হাদীস নং: ১৬৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৩৪
যাকাতের অধ্যায়
২৩. যাকাত কাকে দিতে হবে এবং কাকে ধনী বলা যায়।
১৬৩৪. আব্বাদ ইবনে মুসা (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। মহানবী (ﷺ) বলেনঃ ধনী ব্যক্তি ও সুঠাম দেহের অধিকারী কর্মক্ষম ব্যক্তির জন্য যাকাত গ্রহণ (বা তাদের যাকাত প্রদান) বৈধ নয়।
كتاب الزكاة
باب مَنْ يُعْطَى مِنَ الصَّدَقَةِ وَحَدِّ الْغِنَى
حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مُوسَى الأَنْبَارِيُّ الْخُتَّلِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، - يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ - قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ رَيْحَانَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِغَنِيٍّ وَلاَ لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ سُفْيَانُ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ كَمَا قَالَ إِبْرَاهِيمُ وَرَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ سَعْدٍ قَالَ " لِذِي مِرَّةٍ قَوِيٍّ " . وَالأَحَادِيثُ الأُخَرُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بَعْضُهَا " لِذِي مِرَّةٍ قَوِيٍّ " . وَبَعْضُهَا " لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ " . وَقَالَ عَطَاءُ بْنُ زُهَيْرٍ إِنَّهُ لَقِيَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو فَقَالَ إِنَّ الصَّدَقَةَ لاَ تَحِلُّ لِقَوِيٍّ وَلاَ لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ .