কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩৯২
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯২
৩৩২. আল-কুরআনকে পারা ও অংশে ভাগ করে পড়া সম্পর্কে।
১৩৯২. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) .... ইবনুল হাদ (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নাফে ইবনে যুবায়ের ইবনে মুতইম আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কুরআন কতটুকু পাঠ করেন? আমি বলিঃ আমি এর নির্ধারিত কিছু অংশ পাঠ করি না।
রাবী বলেনঃ তখন নাফে আমাকে বলেনঃ তুমি এ শব্দটি ব্যবহার করো না। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ আমি কুরআনের জুয (অংশ বিশেষ) পাঠ করেছি।
রাবী বলেনঃ তখন নাফে আমাকে বলেনঃ তুমি এ শব্দটি ব্যবহার করো না। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ আমি কুরআনের জুয (অংশ বিশেষ) পাঠ করেছি।
باب تَحْزِيبِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، قَالَ سَأَلَنِي نَافِعُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ فَقَالَ لِي فِي كَمْ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ فَقُلْتُ مَا أُحَزِّبُهُ . فَقَالَ لِي نَافِعٌ لاَ تَقُلْ مَا أُحَزِّبُهُ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " قَرَأْتُ جُزْءًا مِنَ الْقُرْآنِ " . قَالَ حَسِبْتُ أَنَّهُ ذَكَرَهُ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৩৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯৩
৩৩২. আল-কুরআনকে পারা ও অংশে ভাগ করে পড়া সম্পর্কে।
১৩৯৩. মুসাদ্দাদ এবং আব্দুল্লাহ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ..... আওস ইবনে হুযাইফা (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমরা বনী ছাকীফ, যাদের সাথে চুক্তি হয়েছিল, গোত্রের প্রতিনিধি দলের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হই। তারা মুগীরা ইবনে শোবা (রাযিঃ) এর বাড়িতে উঠেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মালেক গোত্রের লোকদের তাঁর একটি প্রকোষ্ঠে স্থান দেন।
রাবী মুসাদ্দাদের বর্ণনায় আছেঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে বনী ছাকীফের যে প্রতিনিধি দল এসেছিল, তাদের মধ্যে আওস ইবনে হুযাইফাও ছিলেন। রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রত্যহ ইশার নামায আদায়ের পর উক্ত প্রকোষ্ঠে (আবাসস্থানে) গমন করে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে কথাবার্তা বলতেন। রাবী আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেনঃ তিনি তাদেরকে দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে ইরশাদ করার সময় একবার এক পায়ের উপর ভর করতেন এবং পুনরায় অন্য পায়ের উপর এবং তিনি তাঁর বক্তব্যে কুরায়েশদের সাথে সম্পর্কিত ব্যাপার নিয়ে অধিকাংশ সময় আলোচনা করতেন।
অতঃপর তিনি বলতেনঃ মক্কাতে অবস্থানকালে আমরা তাদের সমকক্ষ ছিলাম না, বরং দুর্বল ও অসহায় ছিলাম। অতঃপর মদীনাতে আগমনের পর যুদ্ধে কখনও আমরা বিজয়ী হয়েছি এবং কখনও তারা জয়ী হয়েছে। একদা রজনীতে তিনি আমাদের নিকট আসতে নির্ধারিত সময়ের চাইতে কিছু বিলম্ব করেন। তখন আমরা তাঁকে বলিঃ আজ আপনি বিলম্বে এসেছেন। তিনি বলেনঃ অদ্য কুরআন তিলাওয়াতের সময় তার কিছু অংশ পড়তে বাকি ছিল যা সমাপ্ত না করে আমি আসতে পছন্দ করি নাই।
রাবী আওস বলেনঃ একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীদের জিজ্ঞাসা করিঃ আপনার কুরআন পাঠের জন্য কিরূপে বাছাই করেন? তখন তাঁরা বলেনঃ আমরা প্রথম অংশ তিন সূরা (বাকারা-নিসা), দ্বিতীয় অংশ পাঁচ সূরা (মায়েদা-তওবা), তৃতীয় অংশ সাত সূরা (ইউনুস-নাহল), চতুর্থ অংশ নয় সূরা (ইসরা-ফুরকান), পঞ্চম অংশ এগার সূরা (শুআরা-ইয়াসীন), ষষ্ঠ অংশ তের সূরা (সাফফাত-হুজুরাত) এবং সপ্তম অংশ মুফাসসালের (সূরা কাফ হতে সূরা নাস পর্যন্ত) সূরাগুলি পাঠ করি (অর্থাৎ আমরা সাত দিনে কুরআন খতম করে থাকি)।
রাবী মুসাদ্দাদের বর্ণনায় আছেঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে বনী ছাকীফের যে প্রতিনিধি দল এসেছিল, তাদের মধ্যে আওস ইবনে হুযাইফাও ছিলেন। রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রত্যহ ইশার নামায আদায়ের পর উক্ত প্রকোষ্ঠে (আবাসস্থানে) গমন করে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে কথাবার্তা বলতেন। রাবী আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেনঃ তিনি তাদেরকে দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে ইরশাদ করার সময় একবার এক পায়ের উপর ভর করতেন এবং পুনরায় অন্য পায়ের উপর এবং তিনি তাঁর বক্তব্যে কুরায়েশদের সাথে সম্পর্কিত ব্যাপার নিয়ে অধিকাংশ সময় আলোচনা করতেন।
অতঃপর তিনি বলতেনঃ মক্কাতে অবস্থানকালে আমরা তাদের সমকক্ষ ছিলাম না, বরং দুর্বল ও অসহায় ছিলাম। অতঃপর মদীনাতে আগমনের পর যুদ্ধে কখনও আমরা বিজয়ী হয়েছি এবং কখনও তারা জয়ী হয়েছে। একদা রজনীতে তিনি আমাদের নিকট আসতে নির্ধারিত সময়ের চাইতে কিছু বিলম্ব করেন। তখন আমরা তাঁকে বলিঃ আজ আপনি বিলম্বে এসেছেন। তিনি বলেনঃ অদ্য কুরআন তিলাওয়াতের সময় তার কিছু অংশ পড়তে বাকি ছিল যা সমাপ্ত না করে আমি আসতে পছন্দ করি নাই।
রাবী আওস বলেনঃ একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীদের জিজ্ঞাসা করিঃ আপনার কুরআন পাঠের জন্য কিরূপে বাছাই করেন? তখন তাঁরা বলেনঃ আমরা প্রথম অংশ তিন সূরা (বাকারা-নিসা), দ্বিতীয় অংশ পাঁচ সূরা (মায়েদা-তওবা), তৃতীয় অংশ সাত সূরা (ইউনুস-নাহল), চতুর্থ অংশ নয় সূরা (ইসরা-ফুরকান), পঞ্চম অংশ এগার সূরা (শুআরা-ইয়াসীন), ষষ্ঠ অংশ তের সূরা (সাফফাত-হুজুরাত) এবং সপ্তম অংশ মুফাসসালের (সূরা কাফ হতে সূরা নাস পর্যন্ত) সূরাগুলি পাঠ করি (অর্থাৎ আমরা সাত দিনে কুরআন খতম করে থাকি)।
باب تَحْزِيبِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَخْبَرَنَا قُرَّانُ بْنُ تَمَّامٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو خَالِدٍ، - وَهَذَا لَفْظُهُ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْلَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ جَدِّهِ، - قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ فِي حَدِيثِهِ أَوْسُ بْنُ حُذَيْفَةَ - قَالَ قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ - قَالَ - فَنَزَلَتِ الأَحْلاَفُ عَلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَأَنْزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَنِي مَالِكٍ فِي قُبَّةٍ لَهُ . قَالَ مُسَدَّدٌ وَكَانَ فِي الْوَفْدِ الَّذِينَ قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ ثَقِيفٍ قَالَ كَانَ كُلَّ لَيْلَةٍ يَأْتِينَا بَعْدَ الْعِشَاءِ يُحَدِّثُنَا . قَالَ أَبُو سَعِيدٍ قَائِمًا عَلَى رِجْلَيْهِ حَتَّى يُرَاوِحَ بَيْنَ رِجْلَيْهِ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ وَأَكْثَرُ مَا يُحَدِّثُنَا مَا لَقِيَ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ قُرَيْشٍ ثُمَّ يَقُولُ لاَ سَوَاءً كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ مُسْتَذَلِّينَ - قَالَ مُسَدَّدٌ بِمَكَّةَ - فَلَمَّا خَرَجْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ كَانَتْ سِجَالُ الْحَرْبِ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ نُدَالُ عَلَيْهِمْ وَيُدَالُونَ عَلَيْنَا فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةً أَبْطَأَ عَنِ الْوَقْتِ الَّذِي كَانَ يَأْتِينَا فِيهِ فَقُلْنَا لَقَدْ أَبْطَأْتَ عَنَّا اللَّيْلَةَ . قَالَ إِنَّهُ طَرَأَ عَلَىَّ جُزْئِي مِنَ الْقُرْآنِ فَكَرِهْتُ أَنْ أَجِيءَ حَتَّى أُتِمَّهُ . قَالَ أَوْسٌ سَأَلْتُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ يُحَزِّبُونَ الْقُرْآنَ قَالُوا ثَلاَثٌ وَخَمْسٌ وَسَبْعٌ وَتِسْعٌ وَإِحْدَى عَشْرَةَ وَثَلاَثَ عَشْرَةَ وَحِزْبُ الْمُفَصَّلِ وَحْدَهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ أَتَمُّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৩৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯৪
৩৩২. আল-কুরআনকে পারা ও অংশে ভাগ করে পড়া সম্পর্কে।
১৩৯৪. মুহাম্মাদ ইবনুল মিনহাল (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে আমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি তিন দিনের কম সময়ে কুরআন খতম করে, সে তার কিছুই অনুধাবন করতে সক্ষম হয় না।
باب تَحْزِيبِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، أَخْبَرَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ، يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ عَمْرٍو - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَفْقَهُ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فِي أَقَلَّ مِنْ ثَلاَثٍ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯৫
৩৩২. আল-কুরআনকে পারা ও অংশে ভাগ করে পড়া সম্পর্কে।
১৩৯৫. নূহ ইবনে হাবীব (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি একদা নবী করীম (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করেন যেঃ কুরআন কত দিনে খতম করা উচিত। তিনি বলেনঃ চল্লিশ দিনে, অতঃপর বলেন, এক মাসে। পরে তিনি বলেনঃ বিশ দিনে। অতঃপর তিনি পনের দিন, দশ দিন ও সাত দিনের কথা উল্লেখ করেন এবং সাত দিনের আর কম করেননি।
باب تَحْزِيبِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ حَبِيبٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي كَمْ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ قَالَ " فِي أَرْبَعِينَ يَوْمًا " . ثُمَّ قَالَ " فِي شَهْرٍ " . ثُمَّ قَالَ " فِي عِشْرِينَ " . ثُمَّ قَالَ " فِي خَمْسَ عَشْرَةَ " . ثُمَّ قَالَ " فِي عَشْرٍ " . ثُمَّ قَالَ " فِي سَبْعٍ " . لَمْ يَنْزِلْ مِنْ سَبْعٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯৬
৩৩২. আল-কুরআনকে পারা ও অংশে ভাগ করে পড়া সম্পর্কে।
১৩৯৬. আব্বাদ ইবনে মুসা (রাহঃ) .... আলকামা ও আসওয়াদ (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তাঁরা বলেন, একদা ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর খিদমতে এক ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে বলেন, আমি মুফাসসালের (সূরা হুজুরাত হতে নাস পর্যন্ত) সূরাগুলো নামাযের একই রাকআতে তেলাওয়াত করি। ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেনঃ এটা (অতি দ্রুত তিলাওয়াত) কবিতা পাঠের অনুরূপ অথবা গাছ থেকে শুকনো খেজুর পতিত হওয়ার অনুরূপ। তিনি আরো বলেনঃ অথচ নবী করীম (ﷺ) একই সমান দীর্ঘ দুটি সূরা এক রাকআতে, সূরা ইযা ওকাআত এবং নূন-কে এক রাকআতে, সূরা সাআলা সাইলুন ও আন নাযিআত-কে এক রাকআতে, সূরা ওযাইলুল-লিল মুতাফফিফীন ও আবাসাহ-কে এক রাকআতে, সূরা মুদ্দাছছির ও মুযযাম্মিলকে এক রাকআতে, সূরা হাল আতা এবং লা-উকসিমু বি-ইয়াওমিল কিয়ামাহ্-কে এক রাকআতে, সূরা আম্মা ইয়াতাসাআলূন ও আল-মুরসালাত-কে এক রাকআতে, সূরা দুখান এবং ইযাশ-শামসু কুওবিরাত-কে এক রাকআতে পড়তেন।
باب تَحْزِيبِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، وَالأَسْوَدِ، قَالاَ أَتَى ابْنَ مَسْعُودٍ رَجُلٌ فَقَالَ إِنِّي أَقْرَأُ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ . فَقَالَ أَهَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ وَنَثْرًا كَنَثْرِ الدَّقَلِ لَكِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ النَّظَائِرَ السُّورَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ الرَّحْمَنَ وَالنَّجْمَ فِي رَكْعَةٍ وَاقْتَرَبَتْ وَالْحَاقَّةَ فِي رَكْعَةٍ وَالطُّورَ وَالذَّارِيَاتِ فِي رَكْعَةٍ وَإِذَا وَقَعَتْ وَن فِي رَكْعَةٍ وَسَأَلَ سَائِلٌ وَالنَّازِعَاتِ فِي رَكْعَةٍ وَوَيْلٌ لِلْمُطَفِّفِينَ وَعَبَسَ فِي رَكْعَةٍ وَالْمُدَّثِّرَ وَالْمُزَّمِّلَ فِي رَكْعَةٍ وَهَلْ أَتَى وَلاَ أُقْسِمُ بِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فِي رَكْعَةٍ . وَعَمَّ يَتَسَاءَلُونَ وَالْمُرْسَلاَتِ فِي رَكْعَةٍ وَالدُّخَانَ وَإِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ فِي رَكْعَةٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا تَأْلِيفُ ابْنِ مَسْعُودٍ رَحِمَهُ اللَّهُ .
হাদীস নং:১৩৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯৭
৩৩২. আল-কুরআনকে পারা ও অংশে ভাগ করে পড়া সম্পর্কে।
১৩৯৭. হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আবু মাসউদ (রাযিঃ)-কে বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফকালে কুরআন পাঠ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেনঃ নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাকারার শেষ আয়াত দুটি তিলাওযাত করবে, এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে।
باب تَحْزِيبِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ سَأَلْتُ أَبَا مَسْعُودٍ وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ فَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ الآيَتَيْنِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯৮
৩৩২. আল-কুরআনকে পারা ও অংশে ভাগ করে পড়া সম্পর্কে।
১৩৯৮. আহমাদ ইবনে সালেহ (রাহঃ) ..... আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) এর পুত্র আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতের নামাযে দণ্ডায়মান হয়ে দশ আয়াত পরিমাণ পাঠ করবে, সে গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হবে না। আর যে ব্যক্তি রাতে একশত আয়াত তিলাওয়াত করবে, তার নাম অনুগত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং যে ব্যক্তি এক হাজার আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে অশেষ সাওয়াব প্রাপ্তদের মধ্যে তালিকাভুক্ত করা হবে।
باب تَحْزِيبِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرٌو، أَنَّ أَبَا سَوِيَّةَ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ ابْنَ حُجَيْرَةَ، يُخْبِرُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَامَ بِعَشْرِ آيَاتٍ لَمْ يُكْتَبْ مِنَ الْغَافِلِينَ وَمَنْ قَامَ بِمِائَةِ آيَةٍ كُتِبَ مِنَ الْقَانِتِينَ وَمَنْ قَامَ بِأَلْفِ آيَةٍ كُتِبَ مِنَ الْمُقَنْطَرِينَ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ ابْنُ حُجَيْرَةَ الأَصْغَرُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حُجَيْرَةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯৯
৩৩২. আল-কুরআনকে পারা ও অংশে ভাগ করে পড়া সম্পর্কে।
১৩৯৯. ইয়াহয়া ইবনে মুসা (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে কুরআন পাঠ শিক্ষা দিন। তিনি বলেনঃ তুমি (প্রথমে) ‘রা’ বিশিষ্ট তিনটি সূরা পাঠ করবে (যথা সূরা ইউনুস, হূদ, ইউসুফ ইত্যাদি)। তখন সে ব্যক্তি বললঃ আমি বৃদ্ধ হয়েছি, আমার স্মরণশক্তি লোপ পেয়েছে এবং জিহ্বা ভারী হয়ে গেছে। তখন তিনি বলেনঃ (যদি তুমি এগুলি তিলাওয়াত করতে অক্ষম হও) তবে হা-মিম সম্বলিত তিনটি সূরা তিলাওয়াত করবে। সে ব্যক্তি পূর্বের ন্যায় উক্তি করে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তাহলে তুমি যে সমস্ত সূরার প্রথমে সাব্বাহা বা য়ুসাব্বিহু অনুরূপ শব্দ আছে, সেই সূরাগুলি পাঠ করবে। তখনও ঐ ব্যক্তি পূর্বের ন্যায় উক্তি করে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে এমন একটি সূরা শিক্ষা দিন যা জামেআহ বা স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি তাঁকে সূরা ইযা যুলযিলাতিল আরদু শেষ পর্যন্ত শিক্ষা দেন। তখন সেই লোকটি বলেঃ আল্লাহর শপথ! যিনি আপনাকে সত্য নবী হিসাবে প্রেরণ করেছেন; আমি তার অতিরিক্ত কিছুই করব না। লোকটি চলে গেলে তিনি ইরশাদ করেনঃ সে ব্যক্তিটি কামিয়াব হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তাহলে তুমি যে সমস্ত সূরার প্রথমে সাব্বাহা বা য়ুসাব্বিহু অনুরূপ শব্দ আছে, সেই সূরাগুলি পাঠ করবে। তখনও ঐ ব্যক্তি পূর্বের ন্যায় উক্তি করে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে এমন একটি সূরা শিক্ষা দিন যা জামেআহ বা স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি তাঁকে সূরা ইযা যুলযিলাতিল আরদু শেষ পর্যন্ত শিক্ষা দেন। তখন সেই লোকটি বলেঃ আল্লাহর শপথ! যিনি আপনাকে সত্য নবী হিসাবে প্রেরণ করেছেন; আমি তার অতিরিক্ত কিছুই করব না। লোকটি চলে গেলে তিনি ইরশাদ করেনঃ সে ব্যক্তিটি কামিয়াব হয়েছে।
باب تَحْزِيبِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى الْبَلْخِيُّ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي عَيَّاشُ بْنُ عَبَّاسٍ الْقِتْبَانِيُّ، عَنْ عِيسَى بْنِ هِلاَلٍ الصَّدَفِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ أَتَى رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَقْرِئْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ " اقْرَأْ ثَلاَثًا مِنْ ذَوَاتِ الرَّاءِ " . فَقَالَ كَبِرَتْ سِنِّي وَاشْتَدَّ قَلْبِي وَغَلُظَ لِسَانِي . قَالَ " فَاقْرَأْ ثَلاَثًا مِنْ ذَوَاتِ حم " . فَقَالَ مِثْلَ مَقَالَتِهِ . فَقَالَ " اقْرَأْ ثَلاَثًا مِنَ الْمُسَبِّحَاتِ " . فَقَالَ مِثْلَ مَقَالَتِهِ فَقَالَ الرَّجُلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَقْرِئْنِي سُورَةً جَامِعَةً . فَأَقْرَأَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ( إِذَا زُلْزِلَتِ الأَرْضُ ) حَتَّى فَرَغَ مِنْهَا . فَقَالَ الرَّجُلُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لاَ أَزِيدُ عَلَيْهَا أَبَدًا ثُمَّ أَدْبَرَ الرَّجُلُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَفْلَحَ الرُّوَيْجِلُ " . مَرَّتَيْنِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান