কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩৭১
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৭১
৩২৩. রমযান মাসের রাত্রিকালীন নামায।
১৩৭১. আল-হাসান ইবনে আলী (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবীদেরকে রমযান মাসের (রাতে) নামায আদায়ের ব্যপারে উৎসাহিত করতেন; তবে তিনি তা আদায়ের ব্যাপারে অধিক গুরুত্ব (ফরয-ওয়াজিবের ন্যায়) আরোপ করতেন না। তিনি বলতেনঃ যে ব্যক্তি রমযান মাস ঈমানের সাথে এবং মর্যাদা লাভের আশায় দণ্ডায়মান হয়ে তারাবীহ নামায আদায় করে, আল্লাহ তাআলা তাঁর জীবনের পূর্ববর্তী সমস্ত (সগীরা) গুনাহ মাফ করে দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ইন্তিকালের পরেও এই নামাযের বিধান একইরূপ থাকে। অতঃপর আবু বকর (রাযিঃ) এর খিলাফতকালেও তদ্রূপ থাকে এবং উমর (রাযিঃ) এর খিলাফতের প্রথম দিকেও ঐরূপ ছিল।
باب فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، - قَالَ الْحَسَنُ فِي حَدِيثِهِ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُرَغِّبُ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِعَزِيمَةٍ ثُمَّ يَقُولُ " مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " . فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ كَانَ الأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ فِي خِلاَفَةِ أَبِي بَكْرٍ - رضى الله عنه - وَصَدْرًا مِنْ خِلاَفَةِ عُمَرَ رضى الله عنه . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَا رَوَاهُ عُقَيْلٌ وَيُونُسُ وَأَبُو أُوَيْسٍ " مَنْ قَامَ رَمَضَانَ " . وَرَوَى عُقَيْلٌ " مَنْ صَامَ رَمَضَانَ وَقَامَهُ " .
হাদীস নং:১৩৭২
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৭২
৩২৩. রমযান মাসের রাত্রিকালীন নামায।
১৩৭২. মাখলাদ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এই হাদীসের সনদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেন। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং মর্যাদা লাভের আশায় রমযান মাসের রোযা রাখে, তার পূর্ববর্তী জীবনের সমস্ত (সগীরা) গুনাহ মার্জিত হবে। আর যে ব্যক্তি “লায়লাতুল কদরে” ঈমানের সাথে এবং আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের জন্য নামায আদায় করবে, তার পূর্ববর্তী জীবনের সমুদয় (সগীরা) গুনাহ মার্জিত হবে।
باب فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، وَابْنُ أَبِي خَلَفٍ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَا رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ .
হাদীস নং:১৩৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৭৩
৩২৩. রমযান মাসের রাত্রিকালীন নামায।
১৩৭৩. আল্-কানবী (রাহঃ) ..... নবী করীম (ﷺ) এর স্ত্রী আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে (তারাবীহ) নামায আদায় করেন। ঐ সময় তাঁর সাথে অন্যান্য লোকেরাও নামায আদায় করেন। পরবর্তীতে রাতে উক্ত নামায আদায় করাকালে অনেক লোকের সমাগম হয়। অতঃপর তৃতীয় রাতেও লোকেরা উক্ত নামায (তারাবীহ) আদায় করার জন্য জমায়েত হলে সেদিন তিনি মসজিদে গমন করেন নাই।
অতঃপর প্রত্যুষে তিনি সকলকে লক্ষ্য করে বলেনঃ তোমরা যা করেছ তা আমি অবলোকন করেছি। আমি একারণেই নামায জামাআতের সাথে আদায় করার জন্য আসি নাই যে, আমার ভয় হচ্ছিল তোমাদের উপর তা ফরয করা হয় কি না (তবে কষ্টকর বোঝা হয়ে দাঁড়াবে)। এটা রমযান মাসের (তারাবীহ নামায আদায়ের) ঘটনা।
অতঃপর প্রত্যুষে তিনি সকলকে লক্ষ্য করে বলেনঃ তোমরা যা করেছ তা আমি অবলোকন করেছি। আমি একারণেই নামায জামাআতের সাথে আদায় করার জন্য আসি নাই যে, আমার ভয় হচ্ছিল তোমাদের উপর তা ফরয করা হয় কি না (তবে কষ্টকর বোঝা হয়ে দাঁড়াবে)। এটা রমযান মাসের (তারাবীহ নামায আদায়ের) ঘটনা।
باب فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي الْمَسْجِدِ فَصَلَّى بِصَلاَتِهِ نَاسٌ ثُمَّ صَلَّى مِنَ الْقَابِلَةِ فَكَثُرَ النَّاسُ ثُمَّ اجْتَمَعُوا مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ " قَدْ رَأَيْتُ الَّذِي صَنَعْتُمْ فَلَمْ يَمْنَعْنِي مِنَ الْخُرُوجِ إِلَيْكُمْ إِلاَّ أَنِّي خَشِيتُ أَنْ يُفْرَضَ عَلَيْكُمْ " . وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৭৪
৩২৩. রমযান মাসের রাত্রিকালীন নামায।
১৩৭৪. হান্নাদ (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা রমযান মাসে মসজিদে বিচ্ছিন্নভাবে নামায আদায় করত। ঐ সময় নবী করীম (ﷺ) একদা আমাকে মসজিদে মাদুর বিছিয়ে দিতে বলেন এবং তিনি তার উপর নামায আদায় করেন। অতঃপর রাবী পূর্ণ ঘটনা বিবৃত করতে দিয়ে বলেন, নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ হে জনগণ! আলহামদুলিল্লাহ! অদ্য রজনীতে আমি আল্লাহর ইবাদাত করতে গাফেল হই নাই এবং আমার নিকট তোমাদের অবস্থা সম্পর্কে কিছুই গোপন নাই।
باب فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّاسُ يُصَلُّونَ فِي الْمَسْجِدِ فِي رَمَضَانَ أَوْزَاعًا فَأَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَضَرَبْتُ لَهُ حَصِيرًا فَصَلَّى عَلَيْهِ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَتْ فِيهِ قَالَ - تَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم - " أَيُّهَا النَّاسُ أَمَا وَاللَّهِ مَا بِتُّ لَيْلَتِي هَذِهِ بِحَمْدِ اللَّهِ غَافِلاً وَلاَ خَفِيَ عَلَىَّ مَكَانُكُمْ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৭৫
৩২৩. রমযান মাসের রাত্রিকালীন নামায।
১৩৭৫. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... আবু যর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে রমযান মাসে রোযাব্রত পালন করেছি। তিনি রমযান মাসের প্রথম দিকে (তারাবীহ নামায) আমাদের সাথে আদায় করেন নাই। অতঃপর উক্ত মাসের মাত্র সাতটি রাত অবশিষ্ট থাকতে তিনি আমাদের নিয়ে নামায (তারাবীহ) আদায় করেন; এভাবে রাতের এক-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হয়। অতঃপর তিনি ষষ্ঠ রাতে (অর্থাৎ পরের রাত) আমাদের সাথে (তারাবীহ) নামায আদায় করেন নাই। পরে পঞ্চম রাতে তিনি আমাদের সাথে নামায আদায় করাকালে রাতের অর্ধাংশ অতিবাহিত করেন।
রাবী বলেনঃ ঐ সময় আমি তাঁকে বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! অদ্য রজনীতে আপনি যদি আমাদের সাথে সারা রাত নামায আদায় করতেন, তবে কত উত্তম হত। তখন তিনি বলেনঃ কেউ জামাআতের সাথে (ইশার নামায) আদায় করে ঘরে প্রত্যাবর্তন করলে তাকে সারা রাতের জন্য নামাযী হিসাবে গণ্য করা হয়। রাবী বলেনঃ তিনি চতুর্থ রাতে (২৭শে রমযান) মসজিদে আসেন নাই (তারাবীর নামায আদায়ের জন্য)।
অতঃপর তৃতীয় রাতে তিনি তাঁর স্ত্রী ও পরিবার-পরিজনদেরকে এবং অন্যান্য লোকদেরকে একত্রিত করে জামাআতের সাথে (তারাবীর) নামায আদায় করেন (এবং তার সময় এত দীর্ঘ হয় যে,) আমাদের আশঙ্কা হচ্ছিল যে, হয়ত আমারা “ফালাহ্”-র সুযোগ হারিয়ে ফেলব। রাবী বলেন, আমি তখন জিজ্ঞাসা করিঃ ‘ফালাহ’ কি? তিনি বলেনঃ সাহরী খাওয়া। অতঃপর তিনি উক্ত মাসের বাকী দিনগুলিতে (২৯ ও ৩০) আমাদের সাথে জামাআতে আর তারাবীহ আদায় করেন নাই।
রাবী বলেনঃ ঐ সময় আমি তাঁকে বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! অদ্য রজনীতে আপনি যদি আমাদের সাথে সারা রাত নামায আদায় করতেন, তবে কত উত্তম হত। তখন তিনি বলেনঃ কেউ জামাআতের সাথে (ইশার নামায) আদায় করে ঘরে প্রত্যাবর্তন করলে তাকে সারা রাতের জন্য নামাযী হিসাবে গণ্য করা হয়। রাবী বলেনঃ তিনি চতুর্থ রাতে (২৭শে রমযান) মসজিদে আসেন নাই (তারাবীর নামায আদায়ের জন্য)।
অতঃপর তৃতীয় রাতে তিনি তাঁর স্ত্রী ও পরিবার-পরিজনদেরকে এবং অন্যান্য লোকদেরকে একত্রিত করে জামাআতের সাথে (তারাবীর) নামায আদায় করেন (এবং তার সময় এত দীর্ঘ হয় যে,) আমাদের আশঙ্কা হচ্ছিল যে, হয়ত আমারা “ফালাহ্”-র সুযোগ হারিয়ে ফেলব। রাবী বলেন, আমি তখন জিজ্ঞাসা করিঃ ‘ফালাহ’ কি? তিনি বলেনঃ সাহরী খাওয়া। অতঃপর তিনি উক্ত মাসের বাকী দিনগুলিতে (২৯ ও ৩০) আমাদের সাথে জামাআতে আর তারাবীহ আদায় করেন নাই।
باب فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، أَخْبَرَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ صُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَمَضَانَ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا شَيْئًا مِنَ الشَّهْرِ حَتَّى بَقِيَ سَبْعٌ فَقَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ فَلَمَّا كَانَتِ السَّادِسَةُ لَمْ يَقُمْ بِنَا فَلَمَّا كَانَتِ الْخَامِسَةُ قَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ شَطْرُ اللَّيْلِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ نَفَّلْتَنَا قِيَامَ هَذِهِ اللَّيْلَةِ . قَالَ فَقَالَ " إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا صَلَّى مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ حُسِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَةٍ " . قَالَ فَلَمَّا كَانَتِ الرَّابِعَةُ لَمْ يَقُمْ فَلَمَّا كَانَتِ الثَّالِثَةُ جَمَعَ أَهْلَهُ وَنِسَاءَهُ وَالنَّاسَ فَقَامَ بِنَا حَتَّى خَشِينَا أَنْ يَفُوتَنَا الْفَلاَحُ . قَالَ قُلْتُ مَا الْفَلاَحُ قَالَ السُّحُورُ ثُمَّ لَمْ يَقُمْ بِنَا بَقِيَّةَ الشَّهْرِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৩৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৭৬
৩২৩. রমযান মাসের রাত্রিকালীন নামায।
১৩৭৬. নসর ইবনে আলী (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রমযান মাসের (শেষ) দশ দিনে নবী করীম (ﷺ) সারা রাত জাগ্রত থাকতেন, স্ত্রীদের নিকট হতে দূরে অবস্থান করতেন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনদেরকে জাগিয়ে দিতেন (ইবাদাতের জন্য)।
باب فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَدَاوُدُ بْنُ أُمَيَّةَ، أَنَّ سُفْيَانَ، أَخْبَرَهُمْ عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ، - وَقَالَ دَاوُدُ عَنِ ابْنِ عُبَيْدِ بْنِ نِسْطَاسٍ، - عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ أَحْيَا اللَّيْلَ وَشَدَّ الْمِئْزَرَ وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَأَبُو يَعْفُورٍ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ نِسْطَاسٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৭৭
৩২৩. রমযান মাসের রাত্রিকালীন নামায।
১৩৭৭. আহমাদ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রমযানের রাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বীয় গৃহ হতে বের হয়ে দেখতে পান যে, মসজিদের এক পাশে কিছু লোক নামায আদায় করছে। তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ এরা কি করছে? তাঁকে বলা হয়ঃ এদের কুরআন মুখস্ত না থাকায় তাঁরা উবাই ইবনে কা’বের (রাযিঃ) পিছনে (মুক্তাদী হিসাবে) তারাবীর নামায আদায় করছে। নবী করীম (ﷺ) বলেনঃ তারা ঠিকই করছে।
باب فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا أُنَاسٌ فِي رَمَضَانَ يُصَلُّونَ فِي نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ " مَا هَؤُلاَءِ " . فَقِيلَ هَؤُلاَءِ نَاسٌ لَيْسَ مَعَهُمْ قُرْآنٌ وَأُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ يُصَلِّي وَهُمْ يُصَلُّونَ بِصَلاَتِهِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَصَابُوا وَنِعْمَ مَا صَنَعُوا " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَيْسَ هَذَا الْحَدِيثُ بِالْقَوِيِّ مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ ضَعِيفٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান