কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৪
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৩৪. ইবনুল মুছান্না (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাত্রিতে দশ রাকআত নামায আদায় করতেন এবং এর সাথে আরো এক রাকআত মিলিয়ে ‘বিতর’ পূর্ণ করতেন। অতঃপর তিনি ফজরের দুই রাকআত (সুন্নত) আদায় করতেন। এইরূপে মোট তের রাকআত হত।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حَنْظَلَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ عَشْرَ رَكَعَاتٍ، وَيُوتِرُ بِسَجْدَةٍ، وَيَسْجُدُ سَجْدَتَىِ الْفَجْرِ، فَذَلِكَ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৫
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৩৫. আল-কানবী (রাহঃ) ...... রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর স্ত্রী আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তিনি (নবী (ﷺ)) রাত্রিতে এক রাকআত বিতর সহ মোট এগার রাকআত নামায আদায় করতেন। অতঃপর নামায শেষে তিনি বিশ্রামের জন্য ডানপাশের উপর ভর করে শুয়ে যেতেন।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً، يُوتِرُ مِنْهَا بِوَاحِدَةٍ، فَإِذَا فَرَغَ مِنْهَا اضْطَجَعَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৬
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৩৬. আব্দুর রহমান ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইশার নামাযের পর হতে সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ে এগার রাকআত নামায আদায় করতেন এবং প্রতি দুই রাকআতে তিনি সালাম ফিরাতেন। অতঃপর তিনি শেষ দুই রাকআতের সাথে আরো এক রাকআত মিলিয়ে বিতর পূর্ণ করতেন। তিনি এত দীর্ঘ সময় সিজদাতে অবস্থান করতেন এবং প্রতি দুই রাকআতে তিনি সালাম ফিরাতেন। অতঃপর তিনি শেষ দুই রাকআতের সাথে আরো এক রাকআত মিলিয়ে বিতর পূর্ণ করতেন। তিনি এত দীর্ঘ সময় সিজদাতে অবস্থান করতেন যে, তাঁর মাথা উঠাবার পূর্বে তোমরা যে কেউ পঞ্চাশ আয়াত পরিমাণ পাঠ করতে পারতে। অতঃপর মুয়াযযিন যখন ফজরের আযান শেষ করতেন, তখন তিনি দণ্ডায়মান হয়ে হাল্কাভাবে দুই রাকআত নামায আদায় করতেন। পরে মুয়াজ্জিন পুনরায় আসা পর্যন্ত ডান পাশের উপর ভর করে শুয়ে থাকতেন।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَنَصْرُ بْنُ عَاصِمٍ، - وَهَذَا لَفْظُهُ - قَالاَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، - وَقَالَ نَصْرٌ : عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، وَالأَوْزَاعِيِّ، - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فِيمَا بَيْنَ أَنْ يَفْرُغَ مِنْ صَلاَةِ الْعِشَاءِ إِلَى أَنْ يَنْصَدِعَ الْفَجْرُ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً، يُسَلِّمُ مِنْ كُلِّ ثِنْتَيْنِ وَيُوتِرُ بِوَاحِدَةٍ، وَيَمْكُثُ فِي سُجُودِهِ قَدْرَ مَا يَقْرَأُ أَحَدُكُمْ خَمْسِينَ آيَةً قَبْلَ أَنْ يَرْفَعَ رَأْسَهُ، فَإِذَا سَكَتَ الْمُؤَذِّنُ بِالأُولَى مِنْ صَلاَةِ الْفَجْرِ قَامَ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ، ثُمَّ اضْطَجَعَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ حَتَّى يَأْتِيَهُ الْمُؤَذِّنُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৭
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৩৭. সুলাইমান ইবনে দাউদ (রাহঃ) ..... ইবনে শিহাব (রাহঃ) হতে উপরোক্ত হাদীসের সনদ ও অর্থে বর্ণিত হয়েছে। রাবী বলেনঃ তিনি (নবী (ﷺ)) শেষ দুই রাকআত নামাযের সাথে আরো এক রাকআত মিলিয়ে বিতর পূর্ণ করতেন। তিনি এত দীর্ঘক্ষণ সিজদায় অবস্থান করতেন যে, এই সময় তোমারা যে কেউ পঞ্চাশ আয়াত পরিমাণ তিলওয়াত করতে পারতে। অতঃপর মুয়াযযিন যখন আযান শেষ করতেন এবং আকাশও পরিষ্কার হয়ে যেত ......... পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، وَعَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، وَيُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُمْ بِإِسْنَادِهِ، وَمَعْنَاهُ،، قَالَ : وَيُوتِرُ بِوَاحِدَةٍ، وَيَسْجُدُ سَجْدَةً قَدْرَ مَا يَقْرَأُ أَحَدُكُمْ خَمْسِينَ آيَةً قَبْلَ أَنْ يَرْفَعَ رَأْسَهُ، فَإِذَا سَكَتَ الْمُؤَذِّنُ مِنْ صَلاَةِ الْفَجْرِ وَتَبَيَّنَ لَهُ الْفَجْرُ . وَسَاقَ مَعْنَاهُ . قَالَ : وَبَعْضُهُمْ يَزِيدُ عَلَى بَعْضٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৮
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৩৮. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতে বিতর সহ তের রাকআত নামায আদায় করতেন। বিতর নামাযের পঞ্চম রাকআতে তিনি নামায শেষ করতেন। তিনি নামাযের মধ্যে মাঝখানে না বসে সর্বশেষ রাকআতে বসে সালাম ফিরাতেন।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً يُوتِرُ مِنْهَا بِخَمْسٍ، لاَ يَجْلِسُ فِي شَىْءٍ مِنَ الْخَمْسِ حَتَّى يَجْلِسَ فِي الآخِرَةِ فَيُسَلِّمَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ : رَوَاهُ ابْنُ نُمَيْرٍ عَنْ هِشَامٍ، نَحْوَهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৯
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৩৯. আল-কানবী (রাহঃ) ...... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতে তের রাকআত নামায আদায় করতেন এবং ফজরের আযানের পর হালকাভাবে দুই রাকআত (সুন্নত) আদায় করতেন।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِاللَّيْلِ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً، ثُمَّ يُصَلِّي إِذَا سَمِعَ النِّدَاءَ بِالصُّبْحِ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৪০
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪০
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৪০. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ...... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম (ﷺ) রাতের বেলায় তের রাকআত নামায আদায় করতেন এবং তাঁর আট রাকআত হত তাহাজ্জুদ বা নফল। অতঃপর তিনি বিতরের নামায আদায় করতেন। পরে তিনি ফজরের দুই রাকআত সুন্নত আদায় করতেন।
ইমাম মুসলিম (রাহঃ) বলেনঃ তিনি বিতরের পরে দুই রাকআত নামায বসে আদায় করতেন। অতঃপর ফজরের আযান ও ইকামতের মাঝখানে দুই রাকআত ফজরের সুন্নত নামায আদায় করতেন।
ইমাম মুসলিম (রাহঃ) বলেনঃ তিনি বিতরের পরে দুই রাকআত নামায বসে আদায় করতেন। অতঃপর ফজরের আযান ও ইকামতের মাঝখানে দুই রাকআত ফজরের সুন্নত নামায আদায় করতেন।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، : أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً، وَكَانَ يُصَلِّي ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ، وَيُوتِرُ بِرَكْعَةٍ، ثُمَّ يُصَلِّي - قَالَ مُسْلِمٌ : بَعْدَ الْوِتْرِ، ثُمَّ اتَّفَقَا - رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ قَاعِدٌ، فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ قَامَ فَرَكَعَ، وَيُصَلِّي بَيْنَ أَذَانِ الْفَجْرِ وَالإِقَامَةِ رَكْعَتَيْنِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৪১
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪১
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৪১. আল-কানবী (রাহঃ) ..... আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) হতে বর্ণিত। একদা তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর স্ত্রী আয়িশা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রমযান মাসে কিরূপ নামায আদায় করতেন? তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রমযান মাস ও অন্যান্য সময়েও রাত্রিতে এগার রাকআত নামায আদায় করতেন। প্রথমে তিনি সুদীর্ঘ কিরাআতের দ্বারা সুন্দরভাবে চার রাকআত নামায আদায় করতেন অতঃপর তিনি আরো চার রাকআত আনুরূপভাবে আদায় করতেন এবং সবশেষে তিনি বিতরের তিন রাকআত নামায আদায় করতেন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি বিতর নামায আদায়ের পূর্বে নিদ্রা যান? জবাবে তিনি বলেনঃ হে আয়িশা! আমার চক্ষু তো নিদ্রা যায়, কিন্তু আমার অন্তর জাগ্রত থাকে।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি বিতর নামায আদায়ের পূর্বে নিদ্রা যান? জবাবে তিনি বলেনঃ হে আয়িশা! আমার চক্ষু তো নিদ্রা যায়, কিন্তু আমার অন্তর জাগ্রত থাকে।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ : أَنَّهُ، سَأَلَ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَقَالَتْ : مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً : يُصَلِّي أَرْبَعًا فَلاَ تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعًا فَلاَ تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي ثَلاَثًا، قَالَتْ عَائِشَةُ - رضى الله عنها - فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوتِرَ قَالَ : " يَا عَائِشَةُ إِنَّ عَيْنَىَّ تَنَامَانِ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৪২
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪২
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৪২. হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) .... সা’দ ইবনে হিশাম (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর (বসরা) হতে মদীনায় আমার যে যমীনটি ছিল, তা বিক্রয় করে যুদ্ধাস্ত্র খরিদের উদ্দেশ্যে মদীনায় গমন করি এবং এ কাজে আমার উদ্দেশ্য ছিল (রোমকদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। ঐ সময়ে আমি নবী করীম (ﷺ)-এর সাহাবীদের সাথে সাক্ষাত করি। তখন তাঁরা বলেনঃ আমাদের মধ্যেকার ছয় ব্যক্তিও তোমার ন্যায় স্বীয় স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে যুদ্ধে গমনের ইচ্ছা করেছিল। তখন নবী করীম (ﷺ) তাঁদেরকে এরূপ করতে নিষেধ করেন এবং ইরশাদ করেনঃ “তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের জীবনে উত্তম আদর্শ নিহিত আছে।″
রাবী বলেনঃ অতঃপর আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে তাঁর নিকট নবী করীম (ﷺ)-এর বিতর নামায আদায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেনঃ এ সম্পর্কে যিনি সবচাইতে অভিজ্ঞ আমি তোমাকে তাঁর ঠিকানা প্রদান করছি। কাজেই তুমি এব্যাপারে জানার জন্য আয়িশা (রাযিঃ)-এর নিকট গমন কর। তখন আমি তাঁর নিকট গমনের জন্য ইবনে আফলাহকে অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। এমতাবস্থায় আমি তাঁকে আল্লাহর নামে শপথ প্রদান করে আমার সাথে যেতে অনুরোধ করি। তখন হাকীম ইবনে আফলাহ আমাকে নিয়ে আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে গমন করে সাক্ষাতের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন।
আয়িশা (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করেনঃ কে? জবাবে তিনি বলেনঃ (আমি) হাকীম ইবনে আফলাহ। তখন তিনি বলেনঃ তোমার সঙ্গী কে? আমি বলিঃ সা’দ ইবনে হিশাম। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ ঐ হিশাম না কি, যিনি উহুদের যুদ্ধে মারা যান? তখন হাকিম বলেনঃ হ্যাঁ। আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ হিশাম ইবনে আমের তো অত্যন্ত ভালো লোক ছিল। তখন সাদ বলেনঃ হে উম্মুল মুমেনীন! আপনি আমার নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পুতঃপবিত্র চরিত্র সম্পর্কে কিছু বলুন। তিনি বলেনঃ তুমি কুরআন পাঠ কর না? রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পবিত্র জীবনই ছিল কুরআন।
আমি তাঁকে বলিঃ আপনি তাঁর রাত জাগরন সম্পর্কে কিছু বলুন। তিনি বলেনঃ তুমি কি সূরা মুযযাম্মিল পাঠ কর নাই? জবাবে আমি বলিঃ হ্যাঁ। তিনি (আয়িশা) বলেনঃ এই সূরায় প্রথমাংশ যখন নাযিল হয়, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীগণ দীর্ঘ বারটি মাস সারা রাত এমনভাবে দাঁড়িয়ে (নামাযে) কাটাতেন যে, তাঁদের পা ফুলে যেত। অতঃপর ঐ সূরার শেষাংশ অবতীর্ণ হলে, এই রাত্রির দাঁড়ান (অবস্থা) ফরয হতে নফলে পরিবর্তিত হয়।
অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বিতর নামায পাঠ সম্পর্কে কিছু বলতে বললে তিনি ইরশাদ করেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতে প্রথম নয় রাকআত নামাযের শেষ তিন রাকআত বিতর হিসাবে আদায় করে সালাম ফিরাতেন অতঃপর তিনি বসে দুই রাকআত নামায আদায় করতেন। কাজেই হে প্রিয় বৎস! এটাই তাঁর সর্বমোট এগার রাকআত নামায পাঠের বর্ণনা।
অতঃপর বয়োঃবৃদ্ধির কারণে তিনি সাত রাকআত নামাযের শেষ তিন রাকআত বিতর আদায় করে সালাম ফিরাতেন। অতঃপর বসে দুই রাকআত নামায আদায় করতেন। হে বৎস। এটাই তার নয় রাকআত নামায আদায়ের বর্ণনা। তিনি আরো বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সারা রাত জেগে থেকে কোন সময়ই ইবাদত করেন নাই এবং তিনি এক রাতে কুরআন খতম কোন সময়ই করেন নাই এবং রমযান ব্যতীত অন্য মাসে তিনি সারা মাস রোযা রাখেন নাই এবং যখন তিনি কোন নামায আদায় করা শুরু করতেন, তখন তিনি তা নিয়মিতভাবে আদায় করতেন। আর রাত্রিতে যখন তিনি কোন কারণবশত নিদ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন, তখন তিনি দিনের বেলা ঐ বার রাকআত নামায আদায় করতেন।
রাবী বলেনঃ অতঃপর আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট গমন করে এরূপ বর্ণনা করায় তিনি বলেনঃ আল্লাহর শপথ! এটাই আসল হাদীস। আমি যদি তাঁর (আয়িশা) সাথে আলাপ করতাম তবে এ ব্যাপারে আমি সরাসরি তাঁর সাথে বাক্যবিনিময় করতাম। অতঃপর রাবী বলেনঃ যদি আমি জানতাম যে, আপনি তাঁর সাথে বাক্যালাপ করেন তবে এটা আমি আপনার নিকট বর্ণনা করতাম না।
রাবী বলেনঃ অতঃপর আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে তাঁর নিকট নবী করীম (ﷺ)-এর বিতর নামায আদায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেনঃ এ সম্পর্কে যিনি সবচাইতে অভিজ্ঞ আমি তোমাকে তাঁর ঠিকানা প্রদান করছি। কাজেই তুমি এব্যাপারে জানার জন্য আয়িশা (রাযিঃ)-এর নিকট গমন কর। তখন আমি তাঁর নিকট গমনের জন্য ইবনে আফলাহকে অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। এমতাবস্থায় আমি তাঁকে আল্লাহর নামে শপথ প্রদান করে আমার সাথে যেতে অনুরোধ করি। তখন হাকীম ইবনে আফলাহ আমাকে নিয়ে আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে গমন করে সাক্ষাতের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন।
আয়িশা (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করেনঃ কে? জবাবে তিনি বলেনঃ (আমি) হাকীম ইবনে আফলাহ। তখন তিনি বলেনঃ তোমার সঙ্গী কে? আমি বলিঃ সা’দ ইবনে হিশাম। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ ঐ হিশাম না কি, যিনি উহুদের যুদ্ধে মারা যান? তখন হাকিম বলেনঃ হ্যাঁ। আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ হিশাম ইবনে আমের তো অত্যন্ত ভালো লোক ছিল। তখন সাদ বলেনঃ হে উম্মুল মুমেনীন! আপনি আমার নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পুতঃপবিত্র চরিত্র সম্পর্কে কিছু বলুন। তিনি বলেনঃ তুমি কুরআন পাঠ কর না? রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পবিত্র জীবনই ছিল কুরআন।
আমি তাঁকে বলিঃ আপনি তাঁর রাত জাগরন সম্পর্কে কিছু বলুন। তিনি বলেনঃ তুমি কি সূরা মুযযাম্মিল পাঠ কর নাই? জবাবে আমি বলিঃ হ্যাঁ। তিনি (আয়িশা) বলেনঃ এই সূরায় প্রথমাংশ যখন নাযিল হয়, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীগণ দীর্ঘ বারটি মাস সারা রাত এমনভাবে দাঁড়িয়ে (নামাযে) কাটাতেন যে, তাঁদের পা ফুলে যেত। অতঃপর ঐ সূরার শেষাংশ অবতীর্ণ হলে, এই রাত্রির দাঁড়ান (অবস্থা) ফরয হতে নফলে পরিবর্তিত হয়।
অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বিতর নামায পাঠ সম্পর্কে কিছু বলতে বললে তিনি ইরশাদ করেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতে প্রথম নয় রাকআত নামাযের শেষ তিন রাকআত বিতর হিসাবে আদায় করে সালাম ফিরাতেন অতঃপর তিনি বসে দুই রাকআত নামায আদায় করতেন। কাজেই হে প্রিয় বৎস! এটাই তাঁর সর্বমোট এগার রাকআত নামায পাঠের বর্ণনা।
অতঃপর বয়োঃবৃদ্ধির কারণে তিনি সাত রাকআত নামাযের শেষ তিন রাকআত বিতর আদায় করে সালাম ফিরাতেন। অতঃপর বসে দুই রাকআত নামায আদায় করতেন। হে বৎস। এটাই তার নয় রাকআত নামায আদায়ের বর্ণনা। তিনি আরো বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সারা রাত জেগে থেকে কোন সময়ই ইবাদত করেন নাই এবং তিনি এক রাতে কুরআন খতম কোন সময়ই করেন নাই এবং রমযান ব্যতীত অন্য মাসে তিনি সারা মাস রোযা রাখেন নাই এবং যখন তিনি কোন নামায আদায় করা শুরু করতেন, তখন তিনি তা নিয়মিতভাবে আদায় করতেন। আর রাত্রিতে যখন তিনি কোন কারণবশত নিদ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন, তখন তিনি দিনের বেলা ঐ বার রাকআত নামায আদায় করতেন।
রাবী বলেনঃ অতঃপর আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট গমন করে এরূপ বর্ণনা করায় তিনি বলেনঃ আল্লাহর শপথ! এটাই আসল হাদীস। আমি যদি তাঁর (আয়িশা) সাথে আলাপ করতাম তবে এ ব্যাপারে আমি সরাসরি তাঁর সাথে বাক্যবিনিময় করতাম। অতঃপর রাবী বলেনঃ যদি আমি জানতাম যে, আপনি তাঁর সাথে বাক্যালাপ করেন তবে এটা আমি আপনার নিকট বর্ণনা করতাম না।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، قَالَ : طَلَّقْتُ امْرَأَتِي فَأَتَيْتُ الْمَدِينَةَ لأَبِيعَ عَقَارًا كَانَ لِي بِهَا، فَأَشْتَرِيَ بِهِ السِّلاَحَ وَأَغْزُوَ، فَلَقِيتُ نَفَرًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا : قَدْ أَرَادَ نَفَرٌ مِنَّا سِتَّةٌ أَنْ يَفْعَلُوا ذَلِكَ فَنَهَاهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ : " لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ " . فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَسَأَلْتُهُ عَنْ وِتْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ : أَدُلُّكَ عَلَى أَعْلَمِ النَّاسِ بِوِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأْتِ عَائِشَةَ رضى الله عنها . فَأَتَيْتُهَا فَاسْتَتْبَعْتُ حَكِيمَ بْنَ أَفْلَحَ فَأَبَى فَنَاشَدْتُهُ فَانْطَلَقَ مَعِي، فَاسْتَأْذَنَّا عَلَى عَائِشَةَ، فَقَالَتْ : مَنْ هَذَا قَالَ : حَكِيمُ بْنُ أَفْلَحَ . قَالَتْ : وَمَنْ مَعَكَ قَالَ : سَعْدُ بْنُ هِشَامٍ . قَالَتْ : هِشَامُ بْنُ عَامِرٍ الَّذِي قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ قَالَ قُلْتُ : نَعَمْ . قَالَتْ : نِعْمَ الْمَرْءُ كَانَ عَامِرًا . قَالَ قُلْتُ : يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ حَدِّثِينِي عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَتْ : أَلَسْتَ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ فَإِنَّ خُلُقَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ الْقُرْآنَ . قَالَ قُلْتُ : حَدِّثِينِي عَنْ قِيَامِ اللَّيْلِ قَالَتْ : أَلَسْتَ تَقْرَأُ ( يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ ) قَالَ قُلْتُ : بَلَى . قَالَتْ : فَإِنَّ أَوَّلَ هَذِهِ السُّورَةِ نَزَلَتْ، فَقَامَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى انْتَفَخَتْ أَقْدَامُهُمْ، وَحُبِسَ خَاتِمَتُهَا فِي السَّمَاءِ اثْنَىْ عَشَرَ شَهْرًا، ثُمَّ نَزَلَ آخِرُهَا فَصَارَ قِيَامُ اللَّيْلِ تَطَوُّعًا بَعْدَ فَرِيضَةٍ . قَالَ قُلْتُ : حَدِّثِينِي عَنْ وِتْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَتْ : كَانَ يُوتِرُ بِثَمَانِ رَكَعَاتٍ لاَ يَجْلِسُ إِلاَّ فِي الثَّامِنَةِ، ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي رَكْعَةً أُخْرَى، لاَ يَجْلِسُ إِلاَّ فِي الثَّامِنَةِ وَالتَّاسِعَةِ، وَلاَ يُسَلِّمُ إِلاَّ فِي التَّاسِعَةِ، ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ فَتِلْكَ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يَا بُنَىَّ، فَلَمَّا أَسَنَّ وَأَخَذَ اللَّحْمَ أَوْتَرَ بِسَبْعِ رَكَعَاتٍ لَمْ يَجْلِسْ إِلاَّ فِي السَّادِسَةِ وَالسَّابِعَةِ، وَلَمْ يُسَلِّمْ إِلاَّ فِي السَّابِعَةِ، ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ، فَتِلْكَ هِيَ تِسْعُ رَكَعَاتٍ يَا بُنَىَّ، وَلَمْ يَقُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً يُتِمُّهَا إِلَى الصَّبَاحِ، وَلَمْ يَقْرَإِ الْقُرْآنَ فِي لَيْلَةٍ قَطُّ، وَلَمْ يَصُمْ شَهْرًا يُتِمُّهُ غَيْرَ رَمَضَانَ، وَكَانَ إِذَا صَلَّى صَلاَةً دَاوَمَ عَلَيْهَا، وَكَانَ إِذَا غَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ مِنَ اللَّيْلِ بِنَوْمٍ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً . قَالَ : فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَحَدَّثْتُهُ . فَقَالَ : هَذَا وَاللَّهِ هُوَ الْحَدِيثُ، وَلَوْ كُنْتُ أُكَلِّمُهَا لأَتَيْتُهَا حَتَّى أُشَافِهَهَا بِهِ مُشَافَهَةً . قَالَ قُلْتُ : لَوْ عَلِمْتُ أَنَّكَ لاَ تُكَلِّمُهَا مَا حَدَّثْتُكَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৩
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৪৩. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... আবু কাতাদা (রাযিঃ) হতে উপরোক্ত সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। রাবী বলেনঃ তিনি একই সঙ্গে (বিনা বৈঠকে) আট রাকআত নামায আদায় করে বসতেন এবং পরে আল্লাহর যিক্র ও দুআ পাঠ করে এমনভাবে সালাম ফিরাতেন, যা আমরা শুনতে পেতাম। অতঃপর তিনি বসে দুই রাকআত নাময আদায় করতেন। পরে তিনি এক রাকআত নামায আদায় করতেন। হে বৎস! এটাই তাঁর আদায়কৃত এগার রাকআত নামাযের বর্ণনা। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সপ্তম রাকআতের সময় বিতর সমাপ্ত করতেন। অতঃপর তিনি বসে দুই রাকআত নামায আদায় করতেন।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ قَالَ : يُصَلِّي ثَمَانِ رَكَعَاتٍ لاَ يَجْلِسُ فِيهِنَّ إِلاَّ عِنْدَ الثَّامِنَةِ، فَيَجْلِسُ فَيَذْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، ثُمَّ يَدْعُو، ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمًا يُسْمِعُنَا، ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ، ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَةً، فَتِلْكَ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يَا بُنَىَّ، فَلَمَّا أَسَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخَذَ اللَّحْمَ أَوْتَرَ بِسَبْعٍ، وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ، بِمَعْنَاهُ إِلَى مُشَافَهَةً .
হাদীস নং:১৩৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৪
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৪৪. উছমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ..... সাইদ (রাহঃ) হতে পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তিনি (নবী (ﷺ)) এমনভাবে সালাম ফিরাতেন, যা আমরা শুনতে পেতাম।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ : يُسَلِّمُ تَسْلِيمًا يُسْمِعُنَا كَمَا قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৫
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৪৫. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... সাঈদ (রাহঃ) হতে পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। ইবনে বাশশার ইয়াহহিয়া ইবনে সাঈদ হতে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ ابْنُ بَشَّارٍ بِنَحْوِ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ : وَيُسَلِّمُ تَسْلِيمَةً يُسْمِعُنَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৬
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৪৬. আলী ইবনে হুসায়েন (রাহঃ) .... যুরারাহ ইবনে আওফ (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আয়িশা (রাযিঃ)-কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মধ্যরাত্রির নামায পাঠ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ তিনি ইশার নামায জামাআতে আদায়ের পর গৃহে আসতেন। অতঃপর তিনি চার রাক'আত নামায আদায় করে বিছানায় গমন করে ঘুমিয়ে পড়তেন। এ সময় উযুর পানির বদনা তাঁর শিয়রে ঢাকা অবস্থায় থাকত এবং মিসওয়াকও তাঁর পাশে থাকত। অতঃপর তিনি রাত্রির বিশেষ সময়ে আল্লাহর নির্দেশে জাগ্রত হয়ে মিসওয়াক করত ভালোভাবে উযু করতেন। পরে তিনি জায়নামাযে গমন করে আট রাকআত নামায আদায় করতেন। তিনি এই নামাযের রাক'আতসমুহে সূরা ফাতিহা এবং কুরআনের অন্য সূরা পাঠ করতেন, যা আল্লাহর ইচ্ছা হত এরূপ আরো আয়াত পাঠ করতেন।
তিনি এই আট রাকআত নামায আদায়কালে মাঝখানে না বসে শেষ রাকআতের পরে বসতেন এবং সালাম ফিরাবার পূর্বে দণ্ডায়মান হয়ে নবম রাকআত আদায় করে বসতেন। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী দুআ করতেন এবং তাঁর নিকট প্রার্থনা করতেন এবং তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পরিশেষে তিনি স্বশব্দে সালাম ফিরাতেন যার ফলে গৃহের লোকেরা জাগ্রত হবার উপক্রম হত। অতঃপর তিনি বসে দুই রাকআত নামায আদায় করতেন এবং এখানে সূরা ফাতেহা পাঠের পর বসাবস্থায় রুকূ করতেন, অতঃপর দ্বিতীয় রাকআত রুকূ ও সিজদার সাথে বসে আদায় করতেন। পরে তিনি আল্লাহর মর্জি অনুযায়ী দুআ করতঃ সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করতেন। তাঁর শরীর মোবারক ভারী ও দুর্বল হয়ে পড়লে তিনি নয় রাকআতের স্থলে দুই রাকআত বাদ দিয়ে ছয় এবং তার সাথে এক রাকআত যোগ করে সাত রাকআত আদায় করতেন এবং তাঁর ইন্তিকালের পূর্বে পর্যন্ত এরূপে নামায আদায় করতেন।
তিনি এই আট রাকআত নামায আদায়কালে মাঝখানে না বসে শেষ রাকআতের পরে বসতেন এবং সালাম ফিরাবার পূর্বে দণ্ডায়মান হয়ে নবম রাকআত আদায় করে বসতেন। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী দুআ করতেন এবং তাঁর নিকট প্রার্থনা করতেন এবং তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পরিশেষে তিনি স্বশব্দে সালাম ফিরাতেন যার ফলে গৃহের লোকেরা জাগ্রত হবার উপক্রম হত। অতঃপর তিনি বসে দুই রাকআত নামায আদায় করতেন এবং এখানে সূরা ফাতেহা পাঠের পর বসাবস্থায় রুকূ করতেন, অতঃপর দ্বিতীয় রাকআত রুকূ ও সিজদার সাথে বসে আদায় করতেন। পরে তিনি আল্লাহর মর্জি অনুযায়ী দুআ করতঃ সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করতেন। তাঁর শরীর মোবারক ভারী ও দুর্বল হয়ে পড়লে তিনি নয় রাকআতের স্থলে দুই রাকআত বাদ দিয়ে ছয় এবং তার সাথে এক রাকআত যোগ করে সাত রাকআত আদায় করতেন এবং তাঁর ইন্তিকালের পূর্বে পর্যন্ত এরূপে নামায আদায় করতেন।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ الدِّرْهَمِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا زُرَارَةُ بْنُ أَوْفَى، : أَنَّ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - سُئِلَتْ عَنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي جَوْفِ اللَّيْلِ، فَقَالَتْ : كَانَ يُصَلِّي صَلاَةَ الْعِشَاءِ فِي جَمَاعَةٍ، ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى أَهْلِهِ فَيَرْكَعُ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، ثُمَّ يَأْوِي إِلَى فِرَاشِهِ وَيَنَامُ وَطَهُورُهُ مُغَطًّى عِنْدَ رَأْسِهِ، وَسِوَاكُهُ مَوْضُوعٌ حَتَّى يَبْعَثَهُ اللَّهُ سَاعَتَهُ الَّتِي يَبْعَثُهُ مِنَ اللَّيْلِ، فَيَتَسَوَّكُ وَيُسْبِغُ الْوُضُوءَ، ثُمَّ يَقُومُ إِلَى مُصَلاَّهُ فَيُصَلِّي ثَمَانِ رَكَعَاتٍ يَقْرَأُ فِيهِنَّ بِأُمِّ الْكِتَابِ وَسُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ وَمَا شَاءَ اللَّهُ، وَلاَ يَقْعُدُ فِي شَىْءٍ مِنْهَا حَتَّى يَقْعُدَ فِي الثَّامِنَةِ، وَلاَ يُسَلِّمُ، وَيَقْرَأُ فِي التَّاسِعَةِ، ثُمَّ يَقْعُدُ فَيَدْعُو بِمَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدْعُوَهُ، وَيَسْأَلُهُ وَيَرْغَبُ إِلَيْهِ وَيُسَلِّمُ تَسْلِيمَةً وَاحِدَةً شَدِيدَةً، يَكَادُ يُوقِظُ أَهْلَ الْبَيْتِ مِنْ شِدَّةِ تَسْلِيمِهِ، ثُمَّ يَقْرَأُ وَهُوَ قَاعِدٌ بِأُمِّ الْكِتَابِ، وَيَرْكَعُ وَهُوَ قَاعِدٌ، ثُمَّ يَقْرَأُ الثَّانِيَةَ فَيَرْكَعُ وَيَسْجُدُ وَهُوَ قَاعِدٌ، ثُمَّ يَدْعُو مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدْعُوَ، ثُمَّ يُسَلِّمُ وَيَنْصَرِفُ، فَلَمْ تَزَلْ تِلْكَ صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَّنَ فَنَقَصَ مِنَ التِّسْعِ ثِنْتَيْنِ، فَجَعَلَهَا إِلَى السِّتِّ وَالسَّبْعِ وَرَكْعَتَيْهِ وَهُوَ قَاعِدٌ حَتَّى قُبِضَ عَلَى ذَلِكَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৭
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৪৭. হারূন ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ..... বাহয ইবনে হাকীম (রাহঃ) উপরোক্ত হাদীসের সনদে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ তিনি ইশার নামায শেষে বিছানায় গমন করতেন এবং উক্ত বর্ণনায় তাঁর চার রাকআত নামায আদায় সম্পর্কে কিছু উল্লেখ নাই। তিনি বর্ণনা করেন যে, তিনি আট রাকআত নামায আদায় করবার সময় কিরাআত, রুকূ ও সিজদার মধ্যে সমতা রক্ষা করতেন এবং এই নামাযের কেবলমাত্র শেষ রাকআতে তিনি বসতেন। অতঃপর দণ্ডায়মান হয়ে বিতরের এক রাকআত আদায় করে এমন সশব্দে সালাম ফিরেতেন যে, আমরা জাগ্রত হয়ে যেতাম। অতঃপর পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ অর্থে বর্ণিত হয়েছে।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ، فَذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ بِإِسْنَادِهِ قَالَ : يُصَلِّي الْعِشَاءَ ثُمَّ يَأْوِي إِلَى فِرَاشِهِ، لَمْ يَذْكُرِ الأَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، وَسَاقَ الْحَدِيثَ قَالَ فِيهِ : فَيُصَلِّي ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ يُسَوِّي بَيْنَهُنَّ فِي الْقِرَاءَةِ وَالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ، وَلاَ يَجْلِسُ فِي شَىْءٍ مِنْهُنَّ إِلاَّ فِي الثَّامِنَةِ، فَإِنَّهُ كَانَ يَجْلِسُ ثُمَّ يَقُومُ وَلاَ يُسَلِّمُ، فَيُصَلِّي رَكْعَةً يُوتِرُ بِهَا، ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمَةً يَرْفَعُ بِهَا صَوْتَهُ حَتَّى يُوقِظَنَا، ثُمَّ سَاقَ مَعْنَاهُ .
হাদীস নং:১৩৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৮
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৪৮. আমর ইবনে উছমান (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। একদা তাঁকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ তিনি ইশার নাময জামাআতে আদায়ের পর গৃহে প্রত্যাবর্তন করতেন। অতঃপর তিনি চার রাকআত নামায আদায় করে বিছানায় যেতেন। অতঃপর পূর্ববর্তীর হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে এবং এই বর্ণনায় তিনি যে কিরা’আত, রুকূ ও সিজদার মধ্যে সমতা রক্ষা করতেন, এর উল্লেখ নাই এবং তাঁর সশব্দ সালাম আমাদের যে নিদ্রাভঙ্গ হত, তারও উল্লেখ নেই।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، - يَعْنِي ابْنَ مُعَاوِيَةَ - عَنْ بَهْزٍ، حَدَّثَنَا زُرَارَةُ بْنُ أَوْفَى، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، : أَنَّهَا سُئِلَتْ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ : كَانَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ الْعِشَاءَ، ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى أَهْلِهِ فَيُصَلِّي أَرْبَعًا، ثُمَّ يَأْوِي إِلَى فِرَاشِهِ، ثُمَّ سَاقَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ وَلَمْ يَذْكُرْ : يُسَوِّي بَيْنَهُنَّ فِي الْقِرَاءَةِ وَالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ . وَلَمْ يَذْكُرْ فِي التَّسْلِيمِ : حَتَّى يُوقِظَنَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৯
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৪৯. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) হতে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ - عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - بِهَذَا الْحَدِيثِ وَلَيْسَ فِي تَمَامِ حَدِيثِهِمْ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৫০
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৫০
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৫০. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাত্রিতে তের রাকআত নামায আদায় করতেন এবং তিনি নবম রাকআতে বিতর পাঠ শেষ করতেন অথবা তিনি (আয়িশা) যেরূপ বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি (নবী (ﷺ)) বসাবস্থায় দুই রাকআত নামায আদায় করতেন। তিনি ফজরের দুই রাকআত সুন্নত নামায আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে আদায় করতেন।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا مُوسَى، - يَعْنِي ابْنَ إِسْمَاعِيلَ - حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً يُوتِرُ بِسَبْعٍ أَوْ كَمَا قَالَتْ، وَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ، وَرَكْعَتَىِ الْفَجْرِ بَيْنَ الأَذَانِ وَالإِقَامَةِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৫১
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৫১
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৫১. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবম রাকআতে তিনি বিতর সমাপ্ত করতেন। অতঃপর তিনি তাঁর পরিণত বয়সে সপ্তম রাকআতের সময় বিতর শেষ করতেন এবং এর পর বসে দুই রাকআত নামায আদায় করতেন। তিনি এই দুই রাকআতে রুকুর ইরাদায় দণ্ডায়মান হতেন এবং রুকু ও সিজদা আদায় করতেন।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُوتِرُ بِتِسْعِ رَكَعَاتٍ، ثُمَّ أَوْتَرَ بِسَبْعِ رَكَعَاتٍ، وَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ بَعْدَ الْوِتْرِ يَقْرَأُ فِيهِمَا، فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ قَامَ فَرَكَعَ ثُمَّ سَجَدَ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ : رَوَى هَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْوَاسِطِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو مِثْلَهُ، قَالَ فِيهِ قَالَ عَلْقَمَةُ بْنُ وَقَّاصٍ : يَا أُمَّتَاهُ كَيْفَ كَانَ يُصَلِّي الرَّكْعَتَيْنِ فَذَكَرَ مَعْنَاهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৫২
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৫২
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৫২. ওয়াহাব ইবনে বাকিয়্যা (রাহঃ) .... সা’দ ইবনে হিশাম (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মদীনায় গমনের পর আয়িশা (রাযিঃ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করি আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামায সম্পর্কে কিছু বলুন। তখন তিনি বলেনঃ তিনি ইশার নামায জামাআতে আদায়ের পর বিছানায় গিয়ে ঘুমাতেন। অতঃপর মধ্যরাত্রিতে তিনি গাত্রোত্থান করে পেশাব-পায়খানা করার উদ্দেশ্যে গমন করতেন। অতঃপর পানি দ্বারা উযু করে মসজিদে গমন করতেন এবং সেখানে আট রাকআত নামায আদায় করতেন। সম্ভবতঃ তিনি এই নামাযের কিরাআত, রুকূ ও সিজদা আদায়ের মধ্যে সমতা রক্ষা করতেন। অতঃপর তিনি বিতরের উদ্দেশ্যে আরো এক রাকআত আদায় করতেন এবং পরে বসাবস্থায় দুই রাকআত নামায আদায় করে কাত হয়ে শুয়ে থাকতেন। অতঃপর কখনো কখনো বিলাল (রাযিঃ) এসে তাঁকে নামাযের জন্য আহবান করতেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ প্রথমাবস্থায় আমি তাঁর এরূপ নিদ্রার জন্য শিকায়েত (অভিযোগ) করতাম, যেহেতু নামাযের জন্য পুনরায় তাঁকে ডাকতে হত। তিনি শেষ বয়স পর্যন্ত এরূপে নামায আদায় করেন।
রাবী ইবনে ঈসা বলেনঃ বিতরের নামায আদায়ের পর সুবহে সাদিক হলে বিলাল (রাযিঃ) তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে নামাযের সংবাদ দিতেন। তখন তিনি ফজরের দুই রাকআত সুন্নত আদায় করে মসজিদে গমন করতেন।
অতঃপর দুই রাবী (উছমান ও ঈসা) একমত হয়ে বলেনঃ অতঃপর তিনি বলতেনঃ ইয়া আল্লাহ! আমার কলবে নূর দান করুন, আমার জিহ্বায় নূর দান করুন, আমার কানে নূর দান করুন, আমার উপরে ও নীচে নূর দান করুন, আমার অস্থিতে নূর দান প্রদান করুন।
রাবী ইবনে ঈসা বলেনঃ বিতরের নামায আদায়ের পর সুবহে সাদিক হলে বিলাল (রাযিঃ) তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে নামাযের সংবাদ দিতেন। তখন তিনি ফজরের দুই রাকআত সুন্নত আদায় করে মসজিদে গমন করতেন।
অতঃপর দুই রাবী (উছমান ও ঈসা) একমত হয়ে বলেনঃ অতঃপর তিনি বলতেনঃ ইয়া আল্লাহ! আমার কলবে নূর দান করুন, আমার জিহ্বায় নূর দান করুন, আমার কানে নূর দান করুন, আমার উপরে ও নীচে নূর দান করুন, আমার অস্থিতে নূর দান প্রদান করুন।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ عَنْ خَالِدٍ حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، قَالَ : قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَقُلْتُ : أَخْبِرِينِي عَنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَتْ : إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ صَلاَةَ الْعِشَاءِ، ثُمَّ يَأْوِي إِلَى فِرَاشِهِ فَيَنَامُ، فَإِذَا كَانَ جَوْفُ اللَّيْلِ قَامَ إِلَى حَاجَتِهِ وَإِلَى طَهُورِهِ فَتَوَضَّأَ، ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى ثَمَانِ رَكَعَاتٍ يُخَيَّلُ إِلَىَّ أَنَّهُ يُسَوِّي بَيْنَهُنَّ فِي الْقِرَاءَةِ وَالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ، ثُمَّ يُوتِرُ بِرَكْعَةٍ، ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ، ثُمَّ يَضَعُ جَنْبَهُ، فَرُبَّمَا جَاءَ بِلاَلٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ، ثُمَّ يُغْفِي، وَرُبَّمَا شَكَكْتُ أَغَفَى أَوْ لاَ، حَتَّى يُؤْذِنَهُ بِالصَّلاَةِ، فَكَانَتْ تِلْكَ صَلاَتَهُ حَتَّى أَسَنَّ وَلَحُمَ، فَذَكَرَتْ مِنْ لَحْمِهِ مَا شَاءَ اللَّهُ، وَسَاقَ الْحَدِيثَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৫৩
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৫৩. মুহাম্মাদ ইবনে ঈসা (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে রাত যাপন করেন। অতঃপর তিনি তাঁকে দেখতে পান যে, তিনি রাতে ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক শেষে উযু করে কুরআনের (সূরা আলে ইমরানের) এই আয়াত পাঠ করেছেনঃ নিশ্চয় আসমান ও যমীনের সৃষ্টির মধ্যে ......... সূরার শেষ আয়াত পর্যন্ত। অতঃপর তিনি দণ্ডায়মান হয়ে সুদীর্ঘ কিরা’আত ও রুকূ-সিজদার মাধ্যমে দুই রাক'আত নাময আদায় করে ঘুমিয়ে পড়েন। অতঃপর তিনি এরূপে তিনবার ছয় রাকআত নামায আদায় করেন এবং প্রতি দুই রাকআত নামায আদায়ের পূর্বে তিনি মিসওয়াক করতঃ উযু করার পর এই আয়াতসমূহ পাঠ করেন। অতঃপর তিনি বিতরের নামায আদায় করেন।
রাবী উছমান (রাহঃ) বলেনঃ তিনি বিতরের নামায তিন রাকআত আদায় করতেন। অতঃপর যখন তাঁর নিকট মুয়াযযিন আসতেন তিনি ফজরের নামায আদায়ের জন্য মসজিদে গমন করেন এবং এ দু'আ পাঠ করেনঃ ″হে আল্লাহ! আমার অন্তরে নূর দাও, আমার জবানে নূর দাও, আমার কানে নূর দাও, আমার চোখে নূর দাও, নূর দান করো আমার পিছন ও সম্মুখভাগে এবং আমার উপরে ও নীচে। হে আল্লাহ! আমাকে পর্যাপ্ত নূর দান কর।″
রাবী উছমান (রাহঃ) বলেনঃ তিনি বিতরের নামায তিন রাকআত আদায় করতেন। অতঃপর যখন তাঁর নিকট মুয়াযযিন আসতেন তিনি ফজরের নামায আদায়ের জন্য মসজিদে গমন করেন এবং এ দু'আ পাঠ করেনঃ ″হে আল্লাহ! আমার অন্তরে নূর দাও, আমার জবানে নূর দাও, আমার কানে নূর দাও, আমার চোখে নূর দাও, নূর দান করো আমার পিছন ও সম্মুখভাগে এবং আমার উপরে ও নীচে। হে আল্লাহ! আমাকে পর্যাপ্ত নূর দান কর।″
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُصَيْنٌ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، : أَنَّهُ رَقَدَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَآهُ اسْتَيْقَظَ فَتَسَوَّكَ وَتَوَضَّأَ وَهُوَ يَقُولُ : ( إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ) حَتَّى خَتَمَ السُّورَةَ، ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ أَطَالَ فِيهِمَا الْقِيَامَ وَالرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ، ثُمَّ إِنَّهُ انْصَرَفَ فَنَامَ حَتَّى نَفَخَ، ثُمَّ فَعَلَ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ بِسِتِّ رَكَعَاتٍ، كُلُّ ذَلِكَ يَسْتَاكُ ثُمَّ يَتَوَضَّأُ وَيَقْرَأُ هَؤُلاَءِ الآيَاتِ، ثُمَّ أَوْتَرَ - قَالَ عُثْمَانُ : بِثَلاَثِ رَكَعَاتٍ، فَأَتَاهُ الْمُؤَذِّنُ فَخَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ - وَقَالَ ابْنُ عِيسَى : ثُمَّ أَوْتَرَ فَأَتَاهُ بِلاَلٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ، فَصَلَّى رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ - ثُمَّ اتَّفَقَا - وَهُوَ يَقُولُ : " اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا، وَاجْعَلْ فِي لِسَانِي نُورًا، وَاجْعَلْ فِي سَمْعِي نُورًا، وَاجْعَلْ فِي بَصَرِي نُورًا، وَاجْعَلْ خَلْفِي نُورًا، وَأَمَامِي نُورًا، وَاجْعَلْ مِنْ فَوْقِي نُورًا، وَمِنْ تَحْتِي نُورًا، اللَّهُمَّ وَأَعْظِمْ لِي نُورًا " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান