কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১২৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ১২৭৩
৩০৩. আসরের ফরয নামাযের পর নামায পড়া সম্পর্কে।
১২৭৩. আহমাদ ইবনে সালেহ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর আযাদকৃত গোলাম কুরায়েব (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ), আব্দুর রহমান ইবনে আযহার (রাযিঃ) এবং মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) তাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর স্ত্রী আয়িশা (রাযিঃ) এর খিদমতে এই সংবাদসহ প্রেরণ করেন যে, তুমি তাঁকে আমাদের সকলের পক্ষ হতে সালাম দিবে অতঃপর আসরের পর দুই রাকআত নামায পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে। তাঁকে এও বলবে যে, আমরা জানতে পেরেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসরের পর নামায পড়তে নিষেধ করেছেন।

কুরায়েব বলেন, আমি আয়িশা (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে সালাম জানিয়ে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি বলেন, তুমি এই সম্পর্কে উম্মে সালামা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা কর। অতএব আমি তাঁদের নিকট ফিরে আসি। অতঃপর তাঁরা আবার আমাকে ঐ বার্তাসহ উম্মে সালামা (রাযিঃ) এর নিকট প্রেরণ করেন, যা নিয়ে তাঁরা আমাকে আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট প্রেরণ করেছিলেন।

আমি উম্মে সালামা (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দুই রাকআত নামায (আসরের পরে) পড়তে নিষেধ করতে শুনেছি এবং আমি তাঁকে ঐ দুই রাকআত নামায পড়তেও দেখেছি। ঐ দুই রাকআত নামায আদায়ের ঘটনা এই যে, একদা তিনি আসরের নামাযের পর ঘরে ফিরে নামাযে দণ্ডায়মান হন। এই সময় আনসারদের বনী হারাম গোত্রের কিছু সংখ্যক মহিলা আমার নিকট উপস্থিত ছিল। আমি তাঁর নিকট জনৈক দাসীকে প্রেরণ করে বলি, তুমি তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বলবে, উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেছেন, ‘‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনাকে এই দুই রাকআত নামায আদায়ের ব্যাপারে নিষেধ করতে শুনেছি এবং আমি এখন তা আপনাকে আদায় করতে দেখছি।’’ তিনি যদি হাত দ্বারা ইশারা করেন, তবে তুমি অপেক্ষা করবে। উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর দাসীটি আমার নির্দেশমত কাজ করলে নবী করীম (ﷺ) ইশারা করলে সে অপেক্ষা করে।

তিনি নামায শেষে বলেনঃ হে আবু উমাইয়ার কন্যা! তুমি আমাকে আসরের পর দুই রাকআত নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছ। প্রকৃত ব্যাপার এই যে, আজ আব্দুল কায়েস গোত্রের কিছু সংখ্যক লোক ইসলামের ব্যাপারে জানবার জন্য আমার নিকট আগমন করে, তাদের সাথে কথাবার্তায় মশগুল থাকায় আমি যোহরের পরের দুই রাকআত নামায আদায় করতে পারিনি, এখন তা আদায় করলাম।
باب الصَّلاَةِ بَعْدَ الْعَصْرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَزْهَرَ، وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، أَرْسَلُوهُ إِلَى عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا اقْرَأْ عَلَيْهَا السَّلاَمَ مِنَّا جَمِيعًا وَسَلْهَا عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ وَقُلْ إِنَّا أُخْبِرْنَا أَنَّكِ تُصَلِّينَهُمَا وَقَدْ بَلَغَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهُمَا . فَدَخَلْتُ عَلَيْهَا فَبَلَّغْتُهَا مَا أَرْسَلُونِي بِهِ فَقَالَتْ سَلْ أُمَّ سَلَمَةَ . فَخَرَجْتُ إِلَيْهِمْ فَأَخْبَرْتُهُمْ بِقَوْلِهَا فَرَدُّونِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ بِمِثْلِ مَا أَرْسَلُونِي بِهِ إِلَى عَائِشَةَ فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْهُمَا ثُمَّ رَأَيْتُهُ يُصَلِّيهِمَا أَمَّا حِينَ صَلاَّهُمَا فَإِنَّهُ صَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ دَخَلَ وَعِنْدِي نِسْوَةٌ مِنْ بَنِي حَرَامٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَصَلاَّهُمَا فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ الْجَارِيَةَ فَقُلْتُ قُومِي بِجَنْبِهِ فَقُولِي لَهُ تَقُولُ أُمُّ سَلَمَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَسْمَعُكَ تَنْهَى عَنْ هَاتَيْنِ الرَّكْعَتَيْنِ وَأَرَاكَ تُصَلِّيهِمَا فَإِنْ أَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخِرِي عَنْهُ . قَالَتْ فَفَعَلَتِ الْجَارِيَةُ فَأَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخَرَتْ عَنْهُ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ " يَا بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ سَأَلْتِ عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ إِنَّهُ أَتَانِي نَاسٌ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ بِالإِسْلاَمِ مِنْ قَوْمِهِمْ فَشَغَلُونِي عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ فَهُمَا هَاتَانِ " .