কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১২৪০
আন্তর্জাতিক নং: ১২৪০
২৮৯. এক দল বিশেষজ্ঞ আলেম বলেন, শংকাকালীন নামায পড়া কালে সকলকে এক সঙ্গে তাকবীর তাহরীমা বলতে হবে, যদি এক দলের কিবলা তাঁদের পশ্চাতে পড়ে। অতঃপর যারা ইমামের নিকটবর্তী থাকবে তিনি তাঁদের সাথে এক রাকআত আদায় করবেন। পড়ে অপর দল এসে নিজ নিজ এক রাকআত আদায় করার পর ইমাম তাদেরকে নিয়ে দ্বিতীয় রাকআত আদায় করে বসে থাকবেন। তখন প্রথম রাকআত ইমামের সাথে আদায়কারীগণ ফিরে এসে স্ব স্ব দ্বিতীয় রাকআত আদায় করবে। অতঃপর ইমাম তাঁদের সাথে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবে।
১২৪০. আল হাসান ইবনে আলী (রাহঃ) ..... মারওান ইবনুল-হাকাম হতে বর্ণিত। তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি কখনও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে ভয় ভীতির সময় নামায আদায় করেছেন? আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, হ্যাঁ। মারওান পুনরায় জিজ্ঞাসা করেন, কখন? তিনি বলেন, যাতুর-রিকার যুদ্ধের সময়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসরের নামায আদায়ের জন্য দাঁড়ালে একদল তাঁর সাথে নামাযে দাঁড়ায় এবং অপর দল কিবলার দিকে পিঠ ফিরিয়ে শত্রুর মুকাবিলায় নিয়োজিত থাকে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহু আকবার বললে যারা তাঁর সাথে ছিলেন এবং যারা শত্রুর মুকাবিলায় নিয়োজিত ছিলেন সকলে তাকবীর বলেন।
তিনি তাঁর নিকটবর্তী লোকদের সঙ্গে নিয়ে প্রথম রাকআতের সিজদাহ করেন এবং অপর দল শত্রুর মুকাবিলায় নিয়োজিত থাকে। অতঃপর তিনি দ্বিতীয় রাকআতের জন্য দাঁড়ান এবং তাঁর সাথীগণ দুশমনের মুকাবিলায় যান এবং যারা ঐ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তাঁরা এসে একাকী প্রথম রাকআতের রুকু ও সিজদা করে দ্বিতীয় রাকআতের জন্য তাঁর পশ্চাতে দণ্ডায়মান হন। তখন তিনি তাঁদের সাথে একত্রে দ্বিতীয় রাকআতের রুকু সিজদা করে বসে থাকেন। এই সময়ে যারা দুশমনের মুকাবিলায় নিয়োজিত ছিল তাঁরা ফিরে এসে নিজ নিজ রুকু সিজদা করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পিছনে বসেন। অতঃপর তিনি সকলকে নিয়ে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করেন। রাবী বলেন, এই সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর দুই রাকআত নামাযই জামাআতের সাথে আদায় করেন, কিন্তু তাঁর সাহাবীদের (প্রতিটি দলের) নামায জামাআতের সাথে এক রাকআত করে আদায় হয়েছে।
তিনি তাঁর নিকটবর্তী লোকদের সঙ্গে নিয়ে প্রথম রাকআতের সিজদাহ করেন এবং অপর দল শত্রুর মুকাবিলায় নিয়োজিত থাকে। অতঃপর তিনি দ্বিতীয় রাকআতের জন্য দাঁড়ান এবং তাঁর সাথীগণ দুশমনের মুকাবিলায় যান এবং যারা ঐ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তাঁরা এসে একাকী প্রথম রাকআতের রুকু ও সিজদা করে দ্বিতীয় রাকআতের জন্য তাঁর পশ্চাতে দণ্ডায়মান হন। তখন তিনি তাঁদের সাথে একত্রে দ্বিতীয় রাকআতের রুকু সিজদা করে বসে থাকেন। এই সময়ে যারা দুশমনের মুকাবিলায় নিয়োজিত ছিল তাঁরা ফিরে এসে নিজ নিজ রুকু সিজদা করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পিছনে বসেন। অতঃপর তিনি সকলকে নিয়ে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করেন। রাবী বলেন, এই সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর দুই রাকআত নামাযই জামাআতের সাথে আদায় করেন, কিন্তু তাঁর সাহাবীদের (প্রতিটি দলের) নামায জামাআতের সাথে এক রাকআত করে আদায় হয়েছে।
باب مَنْ قَالَ يُكَبِّرُونَ جَمِيعًا وَإِنْ كَانُوا مُسْتَدْبِرِي الْقِبْلَةِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، وَابْنُ، لَهِيعَةَ قَالاَ أَخْبَرَنَا أَبُو الأَسْوَدِ، أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، يُحَدِّثُ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا هُرَيْرَةَ هَلْ صَلَّيْتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَعَمْ . قَالَ مَرْوَانُ مَتَى فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَامَ غَزْوَةِ نَجْدٍ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى صَلاَةِ الْعَصْرِ فَقَامَتْ مَعَهُ طَائِفَةٌ وَطَائِفَةٌ أُخْرَى مُقَابِلَ الْعَدُوِّ ظُهُورُهُمْ إِلَى الْقِبْلَةِ فَكَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَبَّرُوا جَمِيعًا الَّذِينَ مَعَهُ وَالَّذِينَ مُقَابِلِي الْعَدُوِّ ثُمَّ رَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَةً وَاحِدَةً وَرَكَعَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي مَعَهُ ثُمَّ سَجَدَ فَسَجَدَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي تَلِيهِ وَالآخَرُونَ قِيَامٌ مُقَابِلِي الْعَدُوِّ ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَامَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي مَعَهُ فَذَهَبُوا إِلَى الْعَدُوِّ فَقَابَلُوهُمْ وَأَقْبَلَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي كَانَتْ مُقَابِلِي الْعَدُوِّ فَرَكَعُوا وَسَجَدُوا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ كَمَا هُوَ ثُمَّ قَامُوا فَرَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَةً أُخْرَى وَرَكَعُوا مَعَهُ وَسَجَدَ وَسَجَدُوا مَعَهُ ثُمَّ أَقْبَلَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي كَانَتْ مُقَابِلِي الْعَدُوِّ فَرَكَعُوا وَسَجَدُوا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاعِدٌ وَمَنْ مَعَهُ ثُمَّ كَانَ السَّلاَمُ فَسَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَلَّمُوا جَمِيعًا فَكَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَانِ وَلِكُلِّ رَجُلٍ مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ رَكْعَةٌ رَكْعَةٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২৪১
আন্তর্জাতিক নং: ১২৪১
২৮৯. এক দল বিশেষজ্ঞ আলেম বলেন, শংকাকালীন নামায পড়া কালে সকলকে এক সঙ্গে তাকবীর তাহরীমা বলতে হবে, যদি এক দলের কিবলা তাঁদের পশ্চাতে পড়ে। অতঃপর যারা ইমামের নিকটবর্তী থাকবে তিনি তাঁদের সাথে এক রাকআত আদায় করবেন। পড়ে অপর দল এসে নিজ নিজ এক রাকআত আদায় করার পর ইমাম তাদেরকে নিয়ে দ্বিতীয় রাকআত আদায় করে বসে থাকবেন। তখন প্রথম রাকআত ইমামের সাথে আদায়কারীগণ ফিরে এসে স্ব স্ব দ্বিতীয় রাকআত আদায় করবে। অতঃপর ইমাম তাঁদের সাথে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবে।
১২৪১. মুহাম্মাদ ইবনে আমর (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে নজদে গমন করি। ঐ সময় আমরা যাতুর-রিকা নামক স্থানের একটি খেজুর বাগানে অবস্থান করি। তখন গাতাফান গোত্রের সাথে আমাদের যুদ্ধ হয়। অতঃপর তিনি পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ অর্থ জ্ঞাপক হাদীস বর্ণনা করেন, যদিও কিছু শাব্দিক পার্থক্য রয়েছে।
রাবী ইবনে ইসহাকের বর্ণনায় আছে, ‘যখন তাঁর সাথীগণ রুকু সিজদা করেন’। রাবী আরও বলেন, রাকআত শেষে তাঁরা কিবলার দিকে মুখ রেখে পশ্চাদপসারন করে যারা শত্রুর মুকাবিলায় নিয়োজিত ছিল, তাঁদের স্থানে গিয়ে দণ্ডায়মান হন। উক্ত বর্ণনায় কিবলার দিকে পৃষ্ঠ প্রদর্শনের কথা উল্লেখ নাই।
রাবী ইবনে ইসহাকের বর্ণনায় আছে, ‘যখন তাঁর সাথীগণ রুকু সিজদা করেন’। রাবী আরও বলেন, রাকআত শেষে তাঁরা কিবলার দিকে মুখ রেখে পশ্চাদপসারন করে যারা শত্রুর মুকাবিলায় নিয়োজিত ছিল, তাঁদের স্থানে গিয়ে দণ্ডায়মান হন। উক্ত বর্ণনায় কিবলার দিকে পৃষ্ঠ প্রদর্শনের কথা উল্লেখ নাই।
باب مَنْ قَالَ يُكَبِّرُونَ جَمِيعًا وَإِنْ كَانُوا مُسْتَدْبِرِي الْقِبْلَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَمُحَمَّدِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى نَجْدٍ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِذَاتِ الرِّقَاعِ مِنْ نَخْلٍ لَقِيَ جَمْعًا مِنْ غَطَفَانَ فَذَكَرَ مَعْنَاهُ وَلَفْظُهُ عَلَى غَيْرِ لَفْظِ حَيْوَةَ وَقَالَ فِيهِ حِينَ رَكَعَ بِمَنْ مَعَهُ وَسَجَدَ قَالَ فَلَمَّا قَامُوا مَشَوُا الْقَهْقَرَى إِلَى مَصَافِّ أَصْحَابِهِمْ وَلَمْ يَذْكُرِ اسْتِدْبَارَ الْقِبْلَةِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২৪২
আন্তর্জাতিক নং: ১২৪২
২৮৯. এক দল বিশেষজ্ঞ আলেম বলেন, শংকাকালীন নামায পড়া কালে সকলকে এক সঙ্গে তাকবীর তাহরীমা বলতে হবে, যদি এক দলের কিবলা তাঁদের পশ্চাতে পড়ে। অতঃপর যারা ইমামের নিকটবর্তী থাকবে তিনি তাঁদের সাথে এক রাকআত আদায় করবেন। পড়ে অপর দল এসে নিজ নিজ এক রাকআত আদায় করার পর ইমাম তাদেরকে নিয়ে দ্বিতীয় রাকআত আদায় করে বসে থাকবেন। তখন প্রথম রাকআত ইমামের সাথে আদায়কারীগণ ফিরে এসে স্ব স্ব দ্বিতীয় রাকআত আদায় করবে। অতঃপর ইমাম তাঁদের সাথে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবে।
১২৪২. আবু দাউদ (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) হতে ঘটনাটি এভাবে বিবৃত হয়েছেঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর তাকবীরের সাথে সাথেই তাঁর নিকটবর্তী কাতারের লোকেরা তাকবীর বলেন এবং তাঁর সাথে প্রথম রাকআতের রুকু ও সিজদা করেন। অতঃপর তিনি প্রথম সিজদা হতে মাথা উঠাবার সাথে সাথে তারাও মাথা উঠান। প্রথম সিজদা করার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসে থাকেন। এ সময় মুক্তাদিগণ নিজেরাই দ্বিতীয় সিজদা করে শত্রুর মুকাবিলা করার জন্য গমন করে। তখন দ্বিতীয় দল এসে নিজেরা তাকবীর বলে রুকু আদায় করে এবং পরে নবী করীম (ﷺ) এর সাথে সিজদা করে।
অতঃপর তিনি একাকী দণ্ডায়মান হন। তখন মুক্তাদিগণ স্ব-স্ব দ্বিতীয় সিজদা আদায় করে দণ্ডায়মান হয়। অতঃপর উভয় দল একত্রিত হয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে রুকু সিজদা করে পূর্ববর্তী সিজদাটি (যা সকলে বিচ্ছিন্ন ভাবে আদায় করে) জামাআতের সাথে আদায় করেন এবং তা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করেন। অতঃপর তিনি এবং তাঁর সাহাবীগণ সালাম ফিরান। এমনিভাবে সকলে জামাআতের অর্ধেক অংশে শরীক হয়ে নামায সম্পন্ন করেন।
অতঃপর তিনি একাকী দণ্ডায়মান হন। তখন মুক্তাদিগণ স্ব-স্ব দ্বিতীয় সিজদা আদায় করে দণ্ডায়মান হয়। অতঃপর উভয় দল একত্রিত হয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে রুকু সিজদা করে পূর্ববর্তী সিজদাটি (যা সকলে বিচ্ছিন্ন ভাবে আদায় করে) জামাআতের সাথে আদায় করেন এবং তা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করেন। অতঃপর তিনি এবং তাঁর সাহাবীগণ সালাম ফিরান। এমনিভাবে সকলে জামাআতের অর্ধেক অংশে শরীক হয়ে নামায সম্পন্ন করেন।
باب مَنْ قَالَ يُكَبِّرُونَ جَمِيعًا وَإِنْ كَانُوا مُسْتَدْبِرِي الْقِبْلَةِ
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَأَمَّا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدٍ فَحَدَّثَنَا قَالَ حَدَّثَنِي عَمِّي، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهُ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ، قَالَتْ كَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَبَّرَتِ الطَّائِفَةُ الَّذِينَ صُفُّوا مَعَهُ ثُمَّ رَكَعَ فَرَكَعُوا ثُمَّ سَجَدَ فَسَجَدُوا ثُمَّ رَفَعَ فَرَفَعُوا ثُمَّ مَكَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسًا ثُمَّ سَجَدُوا هُمْ لأَنْفُسِهِمُ الثَّانِيَةَ ثُمَّ قَامُوا فَنَكَصُوا عَلَى أَعْقَابِهِمْ يَمْشُونَ الْقَهْقَرَى حَتَّى قَامُوا مِنْ وَرَائِهِمْ وَجَاءَتِ الطَّائِفَةُ الأُخْرَى فَقَامُوا فَكَبَّرُوا ثُمَّ رَكَعُوا لأَنْفُسِهِمْ ثُمَّ سَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَجَدُوا مَعَهُ ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَجَدُوا لأَنْفُسِهِمُ الثَّانِيَةَ ثُمَّ قَامَتِ الطَّائِفَتَانِ جَمِيعًا فَصَلُّوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَكَعَ فَرَكَعُوا ثُمَّ سَجَدَ فَسَجَدُوا جَمِيعًا ثُمَّ عَادَ فَسَجَدَ الثَّانِيَةَ وَسَجَدُوا مَعَهُ سَرِيعًا كَأَسْرَعِ الإِسْرَاعِ جَاهِدًا لاَ يَأْلُونَ سِرَاعًا ثُمَّ سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَلَّمُوا فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ شَارَكَهُ النَّاسُ فِي الصَّلاَةِ كُلِّهَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান