কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১২৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১২৩৬
২৮৬. শঙ্কাকালীন নামায।

ভয় ভীতির সময় যুদ্ধক্ষেত্রে নামায পড়ার পদ্ধতি এই যে, ইমাম মুসল্লীদেরকে দুই ভাগে (কাতারে) বিভক্ত করবেন এবং সকলে মিলে একত্রে তাকবীর পাঠের পর নামায আরম্ভ করবেন, অতঃপর সকলে একত্রে রুকূও করবে। অতঃপর ইমাম তাঁর নিকটবর্তী কাতারের লোকদের নিয়ে (প্রথম রাকআতের জন্য) দুইটি সিজদা করবেন। তখন পিছন কাতারের লোকজন পাহারায় মোতায়েন থাকবে। অতঃপর প্রথম কাতারের মুসল্লীরা সিজদা হতে দাঁড়াবে, তখন দ্বিতীয় কাতারের লোকজন নিজেরাই (প্রথম রাকআতের জন্য) দুইটি সিজদা করে নিবে।

অতঃপর ইমামের নিকটবর্তী মুসল্লীরা (প্রথম কাতারের) পিছনে সরে যাবে এবং পিছনের কাতারের (দ্বিতীয় সারির) লোকজন তাদের স্থানে এসে দণ্ডায়মান হবে। এই সময় ইমাম সকলকে নিয়ে রুকু করবে এবং পরে তাঁর নিকটবর্তী মুসল্লীদের নিয়ে সিজদা করবে। এসময় পিছনের কাতারের লোকেরা পাহারায় মোতায়েন থাকে। অতঃপর ইমাম যখন প্রথম সারির লোকদের সাথে বসবে তখন দ্বিতীয় সারির লোকেরা (দ্বিতীয় রাকআতের জন্য) সিজদা করবে। অতঃপর সকলে একত্রে বসে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবে।
১২৩৬. সাইদ ইবনে মানসুর (রাহঃ) ..... আবু আয়্যাশ আয-যুরাকি (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে উসফান নামক স্থানে (জুহফা ও মক্কার মধ্যে) ছিলাম। ঐ সময় খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাযিঃ) মুশরিকদের দলভুক্ত ছিলেন। অতঃপর আমরা যখন যোহরের নামায জামাআতে আদায় করি, তখন মুশরিকরা বলাবলি করতে থাকেঃ আমরা ধোঁকা ও গাফলতের মধ্যে আছি। যদি আমরা তাদেরকে (মুসলমান) তাদের নামাযের অবস্থায় হামলা করতাম (তবে খুবই উত্তম হত)। এসময় যোহর ও আসরের মধ্যবর্তী সময়ে কসরের আয়াত নাযিল হয়। অতঃপর আসরের নামাযের সময় হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিবলা মুখী হয়ে মুশরিকদের মুখোমুখি অবস্থায় দাঁড়ান। এ সময় নামাযের উদ্দেশ্যে তাঁর পিছনে পর পর দুইটি সফ (কাতার) বেঁধে (সকলে দণ্ডায়মান হলে তিনি নামায শুরু করে) সকলকে নিয়ে এক সঙ্গে রুকূতে যান।

অতঃপর (প্রথম রাকআতের) সিজদার সময় কেবলমাত্র প্রথম কাতারের লোকজন (তাঁর সাথে) সিজদায় যায় এবং দ্বিতীয় কাতারের লোকজন তাঁদের পাহারায় মোতায়েন থাকে। অতপর প্রথম কাতারের লোকেরা সিজদা শেষে দণ্ডায়মান হলে দ্বিতীয় কাতারের লোকজন নিজেরাই (প্রথম রাকআতের) স্ব-স্ব সিজদা আদায় করেন। অতঃপর প্রথম কাতারের লোকজন পিছনে সরে এলে তথায় দ্বিতীয় কাতারের লোকজন এসে দাঁড়ায়। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে সকলে একসঙ্গে দ্বিতীয় রাকআতের রুকু আদায় করার পর তিনি তাঁর নিকটবর্তী কাতারের লোকদের নিয়ে (দ্বিতীয় রাকআতের) সিজদায় যান। এই সময় পিছনের কাতারের লোকেরা তাঁদের পাহারায় নিযুক্ত থাকে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর নিকটবর্তী লোকদের নিয়ে (সিজদা শেষে) যখন বসেন তখন পিছনের কাতারের লোকেরা স্ব স্ব সিজদা আদায় করে বসে পড়েন। তখন তিনি তাঁদের সাথে একত্রে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করেন। একইভাবে তিনি উসফান ও সুলায়ম গোত্রের বিরুদ্ধে অভিযান কালে নামায আদায় করেন।
باب صَلاَةِ الْخَوْفِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي عَيَّاشٍ الزُّرَقِيِّ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعُسْفَانَ وَعَلَى الْمُشْرِكِينَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَصَلَّيْنَا الظُّهْرَ فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ لَقَدْ أَصَبْنَا غِرَّةً لَقَدْ أَصَبْنَا غَفْلَةً لَوْ كُنَّا حَمَلْنَا عَلَيْهِمْ وَهُمْ فِي الصَّلاَةِ فَنَزَلَتْ آيَةُ الْقَصْرِ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فَلَمَّا حَضَرَتِ الْعَصْرُ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ وَالْمُشْرِكُونَ أَمَامَهُ فَصَفَّ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَفٌّ وَصَفَّ بَعْدَ ذَلِكَ الصَّفِّ صَفٌّ آخَرُ فَرَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَكَعُوا جَمِيعًا ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَ الصَّفُّ الَّذِينَ يَلُونَهُ وَقَامَ الآخَرُونَ يَحْرُسُونَهُمْ فَلَمَّا صَلَّى هَؤُلاَءِ السَّجْدَتَيْنِ وَقَامُوا سَجَدَ الآخَرُونَ الَّذِينَ كَانُوا خَلْفَهُمْ ثُمَّ تَأَخَّرَ الصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ إِلَى مَقَامِ الآخَرِينَ وَتَقَدَّمَ الصَّفُّ الأَخِيرُ إِلَى مَقَامِ الصَّفِّ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَكَعُوا جَمِيعًا ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَ الصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ وَقَامَ الآخَرُونَ يَحْرُسُونَهُمْ فَلَمَّا جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ سَجَدَ الآخَرُونَ ثُمَّ جَلَسُوا جَمِيعًا فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ جَمِيعًا فَصَلاَّهَا بِعُسْفَانَ وَصَلاَّهَا يَوْمَ بَنِي سُلَيْمٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى أَيُّوبُ وَهِشَامٌ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ هَذَا الْمَعْنَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَذَلِكَ رَوَاهُ دَاوُدُ بْنُ حُصَيْنٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَكَذَلِكَ عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرٍ وَكَذَلِكَ قَتَادَةُ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ حِطَّانَ عَنْ أَبِي مُوسَى فِعْلَهُ وَكَذَلِكَ عِكْرِمَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَذَلِكَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী: