কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১১৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ১১৭৮
২৬৭. (কুসুফের নামাযের) দুই রাকআতে চারটি রুকু সম্পর্কে।
১১৭৮. আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) ..... জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে তাঁর প্রিয় পুত্র ইবরাহীমের মৃত্যুর দিন সূর্যগ্রহণ হলে লোকেরা বলাবলি করতে থাকে যে, ইবরাহীমের ইন্তিকালের ফলে সূর্যগ্রহণ হয়েছে। নবী করীম (ﷺ) লোকদের নিয়ে ছয়টি রুকু ও চারটি সিজদাহ সহকারে দুই রাকআত নামায আদায় করেন। তিনি ″আল্লাহু আকবার″ বলে তাহরিমা বাঁধার পর দীর্ঘক্ষণব্যাপী কিরাত পাঠের পর রুকুতে গিয়ে অনুরূপ সময় অতিবাহিত করেন। অতঃপর তিনি মাথা তলার পর পূর্বের কিরাতের চেয়ে ছোট কিরাত পাঠ করে পুনরায় রুকুতে যান এবং দাঁড়ানোর সমপরিমাণ সময় রুকুতে থাকার পর পুনরায় মাথা উঠিয়ে দ্বিতীয় বারের চেয়ে আরও ছোট সূরা তিলাওয়াত করেন। অতঃপর তিনি রুকুতে গিয়ে দাঁড়ানোর সমপরিমাণ সময় অতিবাহিত করে মাথা তোলেন এবং পরে সিজদায় যান।
তিনি দুইটি সিজদা করার পর দ্বিতীয় রাকআতের জন্য দণ্ডায়মান হন এবং এখানেও তিনি সিজদায় যাওয়ার পূর্বে তিনটি রুকু করেন। তাঁর দ্বিতীয় রাকআতের (দাঁড়ানোর) সময়ও দীর্ঘ ছিল, কিন্তু তার পরিমাণ প্রথম কিয়ামের চেয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিয়ামের সময় যথাক্রমে কম ছিল এবং তাঁর রুকুতে অবস্থানের সময় কিয়ামের সমপরিমাণ ছিল। অতঃপর তিনি তাঁর দাঁড়ানোর স্থান হতে পেছনে সরে আসেন, যার ফলে মুসল্লীদের কাতার কিছুটা পিছনের দিকে সরে যায়। পুনরায় তিনি সস্থানে আসেন, এবং মুসল্লীগণও স্ব স্ব স্থানে ফিরে আসেন। এবং এইরূপে নামায শেষ করার মুহূর্তে সূর্যগ্রহণ শেষ হয়ে যায়। এ সময় তিনি ইরশাদ করেনঃ হে লোকগণ! নিশ্চয়ই চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহ তাআলার মহান নিদর্শনাবলির অন্যতম। এরা কোন ব্যক্তির মৃত্যুতে রাহুগ্রস্ত হয় না। অতএব যখন তোমরা গ্রহণ হতে দেখবে, তখন তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত নামাযে রত থাকবে। এইরূপে হাদীসের বাকি অংশ বর্ণিত হয়েছে।
তিনি দুইটি সিজদা করার পর দ্বিতীয় রাকআতের জন্য দণ্ডায়মান হন এবং এখানেও তিনি সিজদায় যাওয়ার পূর্বে তিনটি রুকু করেন। তাঁর দ্বিতীয় রাকআতের (দাঁড়ানোর) সময়ও দীর্ঘ ছিল, কিন্তু তার পরিমাণ প্রথম কিয়ামের চেয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিয়ামের সময় যথাক্রমে কম ছিল এবং তাঁর রুকুতে অবস্থানের সময় কিয়ামের সমপরিমাণ ছিল। অতঃপর তিনি তাঁর দাঁড়ানোর স্থান হতে পেছনে সরে আসেন, যার ফলে মুসল্লীদের কাতার কিছুটা পিছনের দিকে সরে যায়। পুনরায় তিনি সস্থানে আসেন, এবং মুসল্লীগণও স্ব স্ব স্থানে ফিরে আসেন। এবং এইরূপে নামায শেষ করার মুহূর্তে সূর্যগ্রহণ শেষ হয়ে যায়। এ সময় তিনি ইরশাদ করেনঃ হে লোকগণ! নিশ্চয়ই চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহ তাআলার মহান নিদর্শনাবলির অন্যতম। এরা কোন ব্যক্তির মৃত্যুতে রাহুগ্রস্ত হয় না। অতএব যখন তোমরা গ্রহণ হতে দেখবে, তখন তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত নামাযে রত থাকবে। এইরূপে হাদীসের বাকি অংশ বর্ণিত হয়েছে।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، حَدَّثَنِي عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُسِفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ ذَلِكَ فِي الْيَوْمِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّاسُ إِنَّمَا كُسِفَتْ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ ابْنِهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِالنَّاسِ سِتَّ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ كَبَّرَ ثُمَّ قَرَأَ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَرَأَ دُونَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَرَأَ الْقِرَاءَةَ الثَّالِثَةَ دُونَ الْقِرَاءَةِ الثَّانِيَةِ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَانْحَدَرَ لِلسُّجُودِ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ ثَلاَثَ رَكَعَاتٍ قَبْلَ أَنْ يَسْجُدَ لَيْسَ فِيهَا رَكْعَةٌ إِلاَّ الَّتِي قَبْلَهَا أَطْوَلُ مِنَ الَّتِي بَعْدَهَا إِلاَّ أَنَّ رُكُوعَهُ نَحْوٌ مِنْ قِيَامِهِ قَالَ ثُمَّ تَأَخَّرَ فِي صَلاَتِهِ فَتَأَخَّرَتِ الصُّفُوفُ مَعَهُ ثُمَّ تَقَدَّمَ فَقَامَ فِي مَقَامِهِ وَتَقَدَّمَتِ الصُّفُوفُ فَقَضَى الصَّلاَةَ وَقَدْ طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ بَشَرٍ فَإِذَا رَأَيْتُمْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَصَلُّوا حَتَّى تَنْجَلِيَ " . وَسَاقَ بَقِيَّةَ الْحَدِيثِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ১১৭৯
২৬৭. (কুসুফের নামাযের) দুই রাকআতে চারটি রুকু সম্পর্কে।
১১৭৯. মুয়াম্মাল ইবনে হিশাম (রাহঃ) ..... জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে সূর্যগ্রহণ হলে তিনি সাহাবীদের নিয়ে নামায শুরু করেন। তিনি এত দীর্ঘ সময় নামাযে দণ্ডায়মান থাকেন যে কিছু লোক বেহুঁশ হয়ে পড়ে। অতঃপর তিনি রুকুতে গিয়ে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন, অতঃপর রুকু হতে উঠে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকেন। অতঃপর রুকুতে গিয়েও দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন। অতঃপর মাথা তুলে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকেন। অতঃপর তিনি সিজদায় গিয়ে দুটি সিজদাহ করার পর দ্বিতীয় রাকআতের জন্য দণ্ডায়মান হন এবং তাতেও প্রথম রাকআতের অনুরূপ রুকু সিজদা করেন। তিনি এই দুই রাকআত নামায চারটি রুকু ও চারটি সিজদা সহকারে আদায় করেন। এইরূপে পূর্ণ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُسِفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمٍ شَدِيدِ الْحَرِّ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَصْحَابِهِ فَأَطَالَ الْقِيَامَ حَتَّى جَعَلُوا يَخِرُّونَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَصَنَعَ نَحْوًا مِنْ ذَلِكَ فَكَانَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৮০
আন্তর্জাতিক নং: ১১৮০
২৬৭. (কুসুফের নামাযের) দুই রাকআতে চারটি রুকু সম্পর্কে।
১১৮০. ইবনুস সারহ (রাহঃ) .... নবী করীম (ﷺ) এর স্ত্রী আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবদ্দশায় সূর্যগ্রহণ হলে তিনি মসজিদে যান। অতঃপর তিনি দণ্ডায়মান হয়ে আল্লাহু আকবার বলে নামায শুরু করেন। এ সময় লোকেরা তাঁর পিছনে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। তিনি দীর্ঘ কিরাত পাঠের পর আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যান এবং বহুক্ষণ রুকুতে অতিবাহিত করার পর ″সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ, রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ″ বলে রুকু হতে সোজা হয়ে দাঁড়ান।
এসময় তিনি দীর্ঘ কিরাত পাঠ করেন কিন্তু তাঁর পরিমাণ প্রথম বারের কিরাত হতে সংক্ষিপ্ত ছিল। অতঃপর তিনি আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে গিয়ে সেখানে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন। কিন্তু তাঁর পরিমাণ প্রথম বারের রুকু হতে কম ছিল। অতঃপর তিনি ″সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ, রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ″ বলে দণ্ডায়মান হন (এবং পরে দুইটি সিজদা আদায় করেন)। এইরূপে তিনি দ্বিতীয় রাকআতও আদায় করেন। তিনি দুই রাকআত নামায চারটি রুকু ও চারটি সিজদা সহকারে আদায় করেন এবং নামায শেষ করে ফেরার পূর্বেই সূর্য রাহুমুক্ত হয়ে যায়।
এসময় তিনি দীর্ঘ কিরাত পাঠ করেন কিন্তু তাঁর পরিমাণ প্রথম বারের কিরাত হতে সংক্ষিপ্ত ছিল। অতঃপর তিনি আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে গিয়ে সেখানে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন। কিন্তু তাঁর পরিমাণ প্রথম বারের রুকু হতে কম ছিল। অতঃপর তিনি ″সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ, রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ″ বলে দণ্ডায়মান হন (এবং পরে দুইটি সিজদা আদায় করেন)। এইরূপে তিনি দ্বিতীয় রাকআতও আদায় করেন। তিনি দুই রাকআত নামায চারটি রুকু ও চারটি সিজদা সহকারে আদায় করেন এবং নামায শেষ করে ফেরার পূর্বেই সূর্য রাহুমুক্ত হয়ে যায়।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ خُسِفَتِ الشَّمْسُ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَسْجِدِ فَقَامَ فَكَبَّرَ وَصَفَّ النَّاسُ وَرَاءَهُ فَاقْتَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِرَاءَةً طَوِيلَةً ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ قَامَ فَاقْتَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً هُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ فَاسْتَكْمَلَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৮১
আন্তর্জাতিক নং: ১১৮১
২৬৭. (কুসুফের নামাযের) দুই রাকআতে চারটি রুকু সম্পর্কে।
১১৮১. আহমাদ ইবনে সালেহ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূর্যগ্রহণ কালে নামায আদায় করেছেন। অতঃপর রাবী আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি আরো বলেন, তিনি দুই রাকআত কুসূফের নামাযের প্রতি রাকআতে দুইটি করে রুকূ করেছেন।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ كَانَ كَثِيرُ بْنُ عَبَّاسٍ يُحَدِّثُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ مِثْلَ حَدِيثِ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ رَكْعَتَيْنِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১১৮২
২৬৭. (কুসুফের নামাযের) দুই রাকআতে চারটি রুকু সম্পর্কে।
১১৮২. আহমাদ ইবনুল ফুরাত (রাহঃ) ..... উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সময় সূর্যগ্রহণ হলে তিনি সাহাবীগণকে নিয়ে নামায আদায় করেন। তিনি এই নামাযে সুদীর্ঘ সূরা পাঠ করেন। তিনি প্রথম রাকআতে পাঁচটি রুকু ও দুইটি সিজদা করেন এবং দ্বিতীয় রাকআতের জন্য দণ্ডায়মান হয়ে দীর্ঘ সূরা পাঠ করেন এবং পাঁচটি রুকু ও দুইটি সিজদা করেন। অতঃপর তিনি কিবলামুখী হয়ে বসে দুআ করতে করতে সূর্য রাহুমুক্ত হয়।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْفُرَاتِ بْنِ خَالِدٍ أَبُو مَسْعُودٍ الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحُدِّثْتُ عَنْ عُمَرَ بْنِ شَقِيقٍ، حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ، - وَهَذَا لَفْظُهُ وَهُوَ أَتَمُّ - عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِهِمْ فَقَرَأَ بِسُورَةٍ مِنَ الطُّوَلِ وَرَكَعَ خَمْسَ رَكَعَاتٍ وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ الثَّانِيَةَ فَقَرَأَ سُورَةً مِنَ الطُّوَلِ وَرَكَعَ خَمْسَ رَكَعَاتٍ وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ جَلَسَ كَمَا هُوَ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ يَدْعُو حَتَّى انْجَلَى كُسُوفُهَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১১৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ১১৮৩
২৬৭. (কুসুফের নামাযের) দুই রাকআতে চারটি রুকু সম্পর্কে।
১১৮৩. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (ﷺ) কুসুফের নামায আদায়কালে দণ্ডায়মান হয়ে কিরাত পাঠের পর রুকুতে যান, অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে কিরাত পাঠের পর রুকু করেন। পরে তিনি দাঁড়িয়ে কিরাত পাঠের পর রুকুতে যান, অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে কিরাত পাঠের পর রুকুতে যান এবং শেষে সিজদা করেন। অতঃপর তিনি সিজদা শেষে দ্বিতীয় রাকআত অনুরূপভাবে আদায় করেন।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ فَقَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ سَجَدَ وَالأُخْرَى مِثْلُهَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ১১৮৪
২৬৭. (কুসুফের নামাযের) দুই রাকআতে চারটি রুকু সম্পর্কে।
১১৮৪. আহমাদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) ..... বসরার অধিবাসী সালাবা ইবনে আব্বাদ আল-আব্দি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি একদিন সামুরা ইবনে জুন্দুব (রাযিঃ) এর ভাষণ শুনেছিলেন। তিনি বলেন, সামুরা ইবনে জুন্দুব (রাযিঃ) বলেন, আমি এবং একজন আনসার যুবক নির্ধারিত স্থানে তীর চালনা করছিলাম। এসময় সূর্য যখন দুই তিন তীর পরিমাণ উপরে উঠেছিল, তখন তা দর্শকের চোখে তানুমা ঘাসের ন্যায় বিবর্ণ হয়ে যায়। তখন আমরা পরস্পরকে বলি, চল আমরা মসজিদে যাই। আল্লাহর শপথ! সূর্যের এই কাল হওয়াটা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উম্মতের উপর কোন বিপদ সংগঠিত হতে যাচ্ছে।
রাবী বলেন, আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখতে পাই যে, তিনি বের হয়ে আসছেন। তিনি ইমামতির স্থানে দাঁড়িয়ে নামায শুরু করেন এবং আমরাও তাঁর সাথে শরীক হই। তিনি উক্ত নামাযে এত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন যে, ইতিপূর্বে কোন নামাযে এত দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকেন নি। আমরা তাঁর কিরাত পাঠের কোন শব্দ শুনি নাই। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি রুকুতেও এত দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন যে ইতিপূর্বে কখনও এরূপ করেন নি। এসময়ও আমরা কোন শব্দ শুনি নাই। অতঃপর তিনি সিজদায় গিয়ে এত দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন যা ইতিপূর্বের কোন সিজদায় করেন নি এবং এসময়ও আমরা তাঁর কোন শব্দ শুনি নাই। অতঃপর তিনি নামাযের দ্বিতীয় রাকআতও অনুরূপ ভাবে আদায় করেন।
রাবী বলেন, তিনি দ্বিতীয় রাকআতের বৈঠকে থাকাকালীন সূর্য রাহুমক্ত হয়। অতঃপর তিনি সালাম ফিরিয়ে দণ্ডায়মান হয়ে আল্লাহর প্রশংসায় বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি তাঁর বান্দা ও রাসুল। অতঃপর আহমাদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) মহানবী (ﷺ) এর ভাষণের বর্ণনা দেন।
রাবী বলেন, আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখতে পাই যে, তিনি বের হয়ে আসছেন। তিনি ইমামতির স্থানে দাঁড়িয়ে নামায শুরু করেন এবং আমরাও তাঁর সাথে শরীক হই। তিনি উক্ত নামাযে এত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন যে, ইতিপূর্বে কোন নামাযে এত দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকেন নি। আমরা তাঁর কিরাত পাঠের কোন শব্দ শুনি নাই। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি রুকুতেও এত দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন যে ইতিপূর্বে কখনও এরূপ করেন নি। এসময়ও আমরা কোন শব্দ শুনি নাই। অতঃপর তিনি সিজদায় গিয়ে এত দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন যা ইতিপূর্বের কোন সিজদায় করেন নি এবং এসময়ও আমরা তাঁর কোন শব্দ শুনি নাই। অতঃপর তিনি নামাযের দ্বিতীয় রাকআতও অনুরূপ ভাবে আদায় করেন।
রাবী বলেন, তিনি দ্বিতীয় রাকআতের বৈঠকে থাকাকালীন সূর্য রাহুমক্ত হয়। অতঃপর তিনি সালাম ফিরিয়ে দণ্ডায়মান হয়ে আল্লাহর প্রশংসায় বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি তাঁর বান্দা ও রাসুল। অতঃপর আহমাদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) মহানবী (ﷺ) এর ভাষণের বর্ণনা দেন।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ قَيْسٍ، حَدَّثَنِي ثَعْلَبَةُ بْنُ عِبَادٍ الْعَبْدِيُّ، مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ أَنَّهُ شَهِدَ خُطْبَةً يَوْمًا لِسَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ قَالَ قَالَ سَمُرَةُ بَيْنَمَا أَنَا وَغُلاَمٌ مِنَ الأَنْصَارِ نَرْمِي غَرَضَيْنِ لَنَا حَتَّى إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ قِيدَ رُمْحَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةٍ فِي عَيْنِ النَّاظِرِ مِنَ الأُفُقِ اسْوَدَّتْ حَتَّى آضَتْ كَأَنَّهَا تَنُّومَةٌ فَقَالَ أَحَدُنَا لِصَاحِبِهِ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى الْمَسْجِدِ فَوَاللَّهِ لَيُحْدِثَنَّ شَأْنُ هَذِهِ الشَّمْسِ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي أُمَّتِهِ حَدَثًا قَالَ فَدَفَعْنَا فَإِذَا هُوَ بَارِزٌ فَاسْتَقْدَمَ فَصَلَّى فَقَامَ بِنَا كَأَطْوَلِ مَا قَامَ بِنَا فِي صَلاَةٍ قَطُّ لاَ نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا قَالَ ثُمَّ رَكَعَ بِنَا كَأَطْوَلِ مَا رَكَعَ بِنَا فِي صَلاَةٍ قَطُّ لاَ نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا ثُمَّ سَجَدَ بِنَا كَأَطْوَلِ مَا سَجَدَ بِنَا فِي صَلاَةٍ قَطُّ لاَ نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا . ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ قَالَ فَوَافَقَ تَجَلِّي الشَّمْسِ جُلُوسَهُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ قَالَ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ قَامَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَشَهِدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَشَهِدَ أَنَّهُ عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ثُمَّ سَاقَ أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ خُطْبَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১৮৫
২৬৭. (কুসুফের নামাযের) দুই রাকআতে চারটি রুকু সম্পর্কে।
১১৮৫. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... কাবীসা আল হিলালি (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সময়ে একদা সূর্যগ্রহণ হয়। এ সময় তিনি অত্যন্ত ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে এত দ্রুত বের হয়ে আসেন যে, তাঁর চাদর মাটিতে হেঁচড়াচ্ছিল এবং এ সময় মদীনাতে আমি তাঁর সাথে ছিলাম। অতঃপর তিনি দুই রাকআত নামায আদায় করেন, যাতে তিনি দীর্ঘ কিয়াম করেন। তাঁর নামায শেষ করার সময় সূর্যগ্রহণও শেষ হয়। তখন তিনি বলেন, এটা আল্লাহ তাআলার অন্যতম নিদর্শন, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর বান্দাদের সতর্ক করে থাকেন। যখন তোমরা এরূপ হতে দেখবে তখন দ্রুত তোমাদের সর্বশেষ ফরয নামাযের ন্যায় নামায আদায় করবে।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ قَبِيصَةَ الْهِلاَلِيِّ، قَالَ كُسِفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ فَزِعًا يَجُرُّ ثَوْبَهُ وَأَنَا مَعَهُ يَوْمَئِذٍ بِالْمَدِينَةِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فَأَطَالَ فِيهِمَا الْقِيَامَ ثُمَّ انْصَرَفَ وَانْجَلَتْ فَقَالَ " إِنَّمَا هَذِهِ الآيَاتُ يُخَوِّفُ اللَّهُ بِهَا فَإِذَا رَأَيْتُمُوهَا فَصَلُّوا كَأَحْدَثِ صَلاَةٍ صَلَّيْتُمُوهَا مِنَ الْمَكْتُوبَةِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১১৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ১১৮৬
২৬৭. (কুসুফের নামাযের) দুই রাকআতে চারটি রুকু সম্পর্কে।
১১৮৬. আহমাদ ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ..... হিলাল ইবনে আমের (রাহঃ) হতে বর্ণিত। কাবিসা আল হিলালি (রাযিঃ) তাঁকে বলেন, একদা সূর্যগ্রহণ হলে ......... অতঃপর মুসা ইবনে ইবরাহীমের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এই বর্ণনায় আরও আছে যে, সে সময় এমনভাবে সূর্যগ্রহণ হয় যার ফলে আকাশের নক্ষত্রমণ্ডলী দৃষ্টিগোচর হতে থাকে।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا رَيْحَانُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّ قَبِيصَةَ الْهِلاَلِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّ الشَّمْسَ كُسِفَتْ بِمَعْنَى حَدِيثِ مُوسَى قَالَ حَتَّى بَدَتِ النُّجُومُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: