কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১১৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ১১৬৮
২৬৫. ইসতিসকার নামায আদায়কালে দুই হাত তুলে দু'আ করা।
১১৬৮. মুহাম্মাদ ইবনে সালামা (রাহঃ) ..... উমায়ের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা তিনি নবী করীম (ﷺ)-কে আল-জাওয়া নামক স্থানের নিকটবর্তী আহজারুল যায়েত’ নামক স্থানে দাঁড়িয়ে উভয় হাত মাথা পর্যন্ত উত্তোলন করে ইসতিসকার নামাযের পর দু'আ করেন।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ حَيْوَةَ، وَعُمَرَ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُمَيْرٍ، مَوْلَى بَنِي آبِي اللَّحْمِ أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَسْقِي عِنْدَ أَحْجَارِ الزَّيْتِ قَرِيبًا مِنَ الزَّوْرَاءِ قَائِمًا يَدْعُو يَسْتَسْقِي رَافِعًا يَدَيْهِ قِبَلَ وَجْهِهِ لاَ يُجَاوِزُ بِهِمَا رَأْسَهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১১৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ১১৬৯
২৬৫. ইসতিসকার নামায আদায়কালে দুই হাত তুলে দু'আ করা।
১১৬৯. ইবনে আবু খালাফ (রাহঃ) ..... জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) এর খিদমতে কিছু লোক বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ক্রন্দনরত অবস্থায় আগমন করে (বৃষ্টির জন্য দু'আ করতে বলে)। তখন তিনি (ﷺ) এই দু'আ করেনঃ “ইয়া আল্লাহ! আমাদের জন্য এমন বৃষ্টি বর্ষণ করুন যা আমাদের জনকল্যাণকর এবং মঙ্গলজনক হয়, ফলমূল ও ফসলাদি উৎপাদনে সহায়ক হয়, যা আমাদের জন্য অপকারী না হয়ে উপকারী হয় এবং তা বিলম্বের পরিবর্তে অবিলম্বে দান করুন”। রাবী বলেন এই দু'আর সাথে সাথেই আসমান মেঘাচ্ছন্ন হয়ে বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ يَزِيدَ الْفَقِيرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَوَاكِي فَقَالَ " اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا مَرِيعاً نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ " . قَالَ فَأَطْبَقَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاءُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৭০
আন্তর্জাতিক নং: ১১৭০
২৬৫. ইসতিসকার নামায আদায়কালে দুই হাত তুলে দু'আ করা।
১১৭০. নসর ইবনে আলি (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) ইসতিসকার নামাযে ব্যতীত অন্য কোন নামাযে হাত তুলে দুআ করতেন না। তিনি এই নামাযে হাত এত উপরে উত্তোলন করতেন যে, তাঁর বগলের নীচের সাদা অংশ দেখা যেত।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَىْءٍ مِنَ الدُّعَاءِ إِلاَّ فِي الاِسْتِسْقَاءِ فَإِنَّهُ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُرَى بَيَاضُ إِبْطَيْهِ .
হাদীস নং:১১৭১
আন্তর্জাতিক নং: ১১৭১
২৬৫. ইসতিসকার নামায আদায়কালে দুই হাত তুলে দু'আ করা।
১১৭১. আল হাসান ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) নিজের দুই হাত বেশ উপরে তুলে পানি বর্ষণের জন্য দুআ করেন। তিনি ওই সময় তাঁর হাতের ভিতরের দিক (সামনের অংশ) মাটির দিকে রাখেন, ফলে আমি তাঁর বগলের সাদা অংশ দেখতে পাই।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَسْتَسْقِي هَكَذَا يَعْنِي وَمَدَّ يَدَيْهِ وَجَعَلَ بُطُونَهُمَا مِمَّا يَلِي الأَرْضَ حَتَّى رَأَيْتُ بَيَاضَ إِبْطَيْهِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৭২
আন্তর্জাতিক নং: ১১৭২
২৬৫. ইসতিসকার নামায আদায়কালে দুই হাত তুলে দু'আ করা।
১১৭২. মুসলিম ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ...... মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ″আহজার আয-যায়েত″ নামক স্থানে ইস্তিস্কার নামায আদায় কালে নবী করীম (ﷺ)-কে উপরের দিকে দুই হাত তুলে দুআ করতে যারা দেখেছেন, তাঁরা আমাকে এই হাদীস অবহিত করেছেন।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنِي مَنْ، رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَدْعُو عِنْدَ أَحْجَارِ الزَّيْتِ بَاسِطًا كَفَّيْهِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১১৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ১১৭৩
২৬৫. ইসতিসকার নামায আদায়কালে দুই হাত তুলে দু'আ করা।
১১৭৩. হারুন ইবনে সাইদ আল-আয়লি (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে অনাবৃষ্টির অভিযোগ পেশ করে। তখন তিনি ময়দানে মিম্বর স্থাপনের নির্দেশ দিলে তা স্থাপিত হয়। তিনি দিন ক্ষণ ঠিক করে সকলের নিকট থেকে ময়দানে যাওয়ার ওয়াদা নেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, সেদিন সূর্য উঠা আরম্ভ হতেই নবী করীম (ﷺ) ময়দানে গিয়ে উক্ত মিম্বরে আরোহণ করে সর্বপ্রথম তাকবীর বলেন, অতঃপর মহান আল্লাহর প্রশংসা করেন। অতঃপর তিনি বলেনঃ তোমরা সময়মত বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে দুর্ভিক্ষের অভিযোগ করেছ। অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা দিয়েছেনঃ ″যদি তোমরা তাঁর নিকট দুআ কর, তবে তিনি তা কবুল করবেন″।
অতঃপর তিনি বলেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সমস্ত বিশ্বজগতের রব। তিনি পরম দাতা মেহেরবান, কিয়ামতের দিনের একচ্ছত্র অধিপতি। তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই। তিনি যা ইচ্ছা তাই করেন। ইয়া আল্লাহ! তুমিই আল্লাহ। তুমি ছাড়া আর কেউ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় এবং আমরা ফকির। তুমি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর এবং তার সাহায্যে সবসময় খাদ্যশস্য উৎপাদনের ব্যবস্থা কর। অতঃপর তিনি উভয় হাত এত উপরে উত্তোলন করেন যে, তাঁর বগলের সাদা অংশ দৃষ্টিগোচর হয়।
অতঃপর তিনি লোকদের প্রতি পীঠ ফিরিয়ে স্বীয় চাদর মুবারক উল্টিয়ে দেন এবং ঐ সময়য়ও তাঁর হাত উপরে ছিল। অবশেষে তিনি লোকদের দিকে ফিরে মিম্বর হতে অবতরণের পর দুই রাকআত নামায আদায় করলেন। এই সময় আল্লাহ তাআলা আকাশে মেঘের সঞ্চার করেন এবং তার গর্জন ও ঘনঘটা শুরু হয়ে যায়। অতঃপর আল্লাহর হুকুমে এমন বৃষ্টিপাত হতে থাকে যে, নবী করীম (ﷺ) মসজিদে নববীতে আসার পূর্বে সমস্ত এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে আদ্রতা হতে আত্মরক্ষার জন্য ব্যস্ত-সমস্ত হতে দেখেন, তখন এমন ভাবে হেসে দেন যে, তাঁর সামনের পাটির দাঁত দৃষ্টিগোচর হয়। অতঃপর তিনি বলেনঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তাআলা সব কিছুর উপর অধিক ক্ষমতাবান এবং আমি আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।
অতঃপর তিনি বলেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সমস্ত বিশ্বজগতের রব। তিনি পরম দাতা মেহেরবান, কিয়ামতের দিনের একচ্ছত্র অধিপতি। তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই। তিনি যা ইচ্ছা তাই করেন। ইয়া আল্লাহ! তুমিই আল্লাহ। তুমি ছাড়া আর কেউ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় এবং আমরা ফকির। তুমি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর এবং তার সাহায্যে সবসময় খাদ্যশস্য উৎপাদনের ব্যবস্থা কর। অতঃপর তিনি উভয় হাত এত উপরে উত্তোলন করেন যে, তাঁর বগলের সাদা অংশ দৃষ্টিগোচর হয়।
অতঃপর তিনি লোকদের প্রতি পীঠ ফিরিয়ে স্বীয় চাদর মুবারক উল্টিয়ে দেন এবং ঐ সময়য়ও তাঁর হাত উপরে ছিল। অবশেষে তিনি লোকদের দিকে ফিরে মিম্বর হতে অবতরণের পর দুই রাকআত নামায আদায় করলেন। এই সময় আল্লাহ তাআলা আকাশে মেঘের সঞ্চার করেন এবং তার গর্জন ও ঘনঘটা শুরু হয়ে যায়। অতঃপর আল্লাহর হুকুমে এমন বৃষ্টিপাত হতে থাকে যে, নবী করীম (ﷺ) মসজিদে নববীতে আসার পূর্বে সমস্ত এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে আদ্রতা হতে আত্মরক্ষার জন্য ব্যস্ত-সমস্ত হতে দেখেন, তখন এমন ভাবে হেসে দেন যে, তাঁর সামনের পাটির দাঁত দৃষ্টিগোচর হয়। অতঃপর তিনি বলেনঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তাআলা সব কিছুর উপর অধিক ক্ষমতাবান এবং আমি আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ نِزَارٍ، حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ مَبْرُورٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ شَكَى النَّاسُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُحُوطَ الْمَطَرِ فَأَمَرَ بِمِنْبَرٍ فَوُضِعَ لَهُ فِي الْمُصَلَّى وَوَعَدَ النَّاسَ يَوْمًا يَخْرُجُونَ فِيهِ قَالَتْ عَائِشَةُ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ بَدَا حَاجِبُ الشَّمْسِ فَقَعَدَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَكَبَّرَ صلى الله عليه وسلم وَحَمِدَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ ثُمَّ قَالَ " إِنَّكُمْ شَكَوْتُمْ جَدْبَ دِيَارِكُمْ وَاسْتِئْخَارَ الْمَطَرِ عَنْ إِبَّانِ زَمَانِهِ عَنْكُمْ وَقَدْ أَمَرَكُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَدْعُوهُ وَوَعَدَكُمْ أَنْ يَسْتَجِيبَ لَكُمْ " . ثُمَّ قَالَ " ( الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ * الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ * مَلِكِ يَوْمِ الدِّينِ ) لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ اللَّهُمَّ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الْغَنِيُّ وَنَحْنُ الْفُقَرَاءُ أَنْزِلْ عَلَيْنَا الْغَيْثَ وَاجْعَلْ مَا أَنْزَلْتَ لَنَا قُوَّةً وَبَلاَغًا إِلَى حِينٍ " . ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ فَلَمْ يَزَلْ فِي الرَّفْعِ حَتَّى بَدَا بَيَاضُ إِبْطَيْهِ ثُمَّ حَوَّلَ عَلَى النَّاسِ ظَهْرَهُ وَقَلَّبَ أَوْ حَوَّلَ رِدَاءَهُ وَهُوَ رَافِعٌ يَدَيْهِ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ وَنَزَلَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فَأَنْشَأَ اللَّهُ سَحَابَةً فَرَعَدَتْ وَبَرَقَتْ ثُمَّ أَمْطَرَتْ بِإِذْنِ اللَّهِ فَلَمْ يَأْتِ مَسْجِدَهُ حَتَّى سَالَتِ السُّيُولُ فَلَمَّا رَأَى سُرْعَتَهُمْ إِلَى الْكِنِّ ضَحِكَ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ فَقَالَ " أَشْهَدُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ وَأَنِّي عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِسْنَادُهُ جَيِّدٌ أَهْلُ الْمَدِينَةِ يَقْرَءُونَ ( مَلِكِ يَوْمِ الدِّينِ ) وَإِنَّ هَذَا الْحَدِيثَ حُجَّةٌ لَهُمْ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ১১৭৪
২৬৫. ইসতিসকার নামায আদায়কালে দুই হাত তুলে দু'আ করা।
১১৭৪. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবদ্দশায় একবার মদীনায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ঐ সময় জুমআর নামাযে বক্তৃতা দেয়াকালে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অনাবৃষ্টির জন্য উট বকরী ইত্যাদি প্রায় ধংসোম্মুখ। আপনি আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণের দুআ করুন। অতঃপর তিনি হাত উঠিয়ে দুআ করেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তিনি দুআ করার পূর্বে আকাশ সচ্ছ ও রৌদ্রোজ্জ্বল ছিল (এবং দুআর পর) বাতাস প্রবাহিত হতে শুরু করে এবং মেঘমালা একত্রিত হয়ে অঝোর ধারায় বৃষ্টিপাত হতে থাকে।
রাবী বলেন, অতঃপর আমরা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে আমাদের ঘরে প্রত্যাবর্তন করি এবং একাধারে পরবর্তী জুমআ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে থাকে। সেদিন ঐ ব্যক্তি অথবা অন্য কোন ব্যক্তি দণ্ডায়মান হয়ে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে আমাদের ঘরবাড়ি ধ্বসে যাচ্ছে, আপনি তা বন্ধের জন্য দুআ করুন। তখন তিনি মুচকি হেসে দুআ করেনঃ (ইয়া আল্লাহ) তা (মেঘমালা) আমাদের উপর হতে অন্য দিকে সরিয়ে নাও।
রাবী বলেন, এই সময় আমি আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করে দেখতে পাই যে, পুঞ্জীভূত মেঘমালা মদীনার আকাশ হতে সরে গিয়ে চতুর্দিকে গোলাকার ধারণ করেছে।
রাবী বলেন, অতঃপর আমরা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে আমাদের ঘরে প্রত্যাবর্তন করি এবং একাধারে পরবর্তী জুমআ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে থাকে। সেদিন ঐ ব্যক্তি অথবা অন্য কোন ব্যক্তি দণ্ডায়মান হয়ে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে আমাদের ঘরবাড়ি ধ্বসে যাচ্ছে, আপনি তা বন্ধের জন্য দুআ করুন। তখন তিনি মুচকি হেসে দুআ করেনঃ (ইয়া আল্লাহ) তা (মেঘমালা) আমাদের উপর হতে অন্য দিকে সরিয়ে নাও।
রাবী বলেন, এই সময় আমি আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করে দেখতে পাই যে, পুঞ্জীভূত মেঘমালা মদীনার আকাশ হতে সরে গিয়ে চতুর্দিকে গোলাকার ধারণ করেছে।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَيُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أَصَابَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ قَحْطٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَيْنَمَا هُوَ يَخْطُبُنَا يَوْمَ جُمُعَةٍ إِذْ قَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَ الْكُرَاعُ هَلَكَ الشَّاءُ فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَسْقِيَنَا فَمَدَّ يَدَيْهِ وَدَعَا قَالَ أَنَسٌ وَإِنَّ السَّمَاءَ لَمِثْلُ الزُّجَاجَةِ فَهَاجَتْ رِيحٌ ثُمَّ أَنْشَأَتْ سَحَابَةً ثُمَّ اجْتَمَعَتْ ثُمَّ أَرْسَلَتِ السَّمَاءُ عَزَالِيَهَا فَخَرَجْنَا نَخُوضُ الْمَاءَ حَتَّى أَتَيْنَا مَنَازِلَنَا فَلَمْ يَزَلِ الْمَطَرُ إِلَى الْجُمُعَةِ الأُخْرَى فَقَامَ إِلَيْهِ ذَلِكَ الرَّجُلُ أَوْ غَيْرُهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ تَهَدَّمَتِ الْبُيُوتُ فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَحْبِسَهُ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا " . فَنَظَرْتُ إِلَى السَّحَابِ يَتَصَدَّعُ حَوْلَ الْمَدِينَةِ كَأَنَّهُ إِكْلِيلٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১৭৫
২৬৫. ইসতিসকার নামায আদায়কালে দুই হাত তুলে দু'আ করা।
১১৭৫. ঈসা ইবনে হাম্মাদ (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। অতঃপর রাবী হাদীসটি আব্দুল আযীযের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর হস্তদ্বয় মুখমণ্ডল পর্যন্ত উঠিয়ে বলেনঃ ইয়া আল্লাহ! তুমি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَيْهِ بِحِذَاءِ وَجْهِهِ فَقَالَ " اللَّهُمَّ اسْقِنَا " . وَسَاقَ نَحْوَهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ১১৭৬
২৬৫. ইসতিসকার নামায আদায়কালে দুই হাত তুলে দু'আ করা।
১১৭৬. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা ও সাহল ইবনে সালেহ (রাহঃ) .... আমর ইবনে শুআয়ব (রাহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও দাদা আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইসতিসকার নামাযের সময় বলতেনঃ ইয়া আল্লাহ! তুমি তোমার বান্দা ও পশু পক্ষীদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণ কর। তোমার রহমত বিস্তৃত কর এবং তোমার মৃত ভূমিকে (শুষ্ক জমিনকে) জীবিত (সুজলা সুফলা উর্বর) করে দাও। এটা মালিক বর্ণিত হাদীসের মতন (মূল পাঠ)।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ ح وَحَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ قَادِمٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اسْتَسْقَى قَالَ " اللَّهُمَّ اسْقِ عِبَادَكَ وَبَهَائِمَكَ وَانْشُرْ رَحْمَتَكَ وَأَحْىِ بَلَدَكَ الْمَيِّتَ " . هَذَا لَفْظُ حَدِيثِ مَالِكٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান