কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১০৫০
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫০
২১৫. জুমআর নামাযের ফযিলত।
১০৫০. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি উত্তমরূপে উযু করে জুমআর নামায পড়তে আসে এবং চুপ করে (খুতবা) শুনে আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির এক জুমআ হতে অন্য জুমআর মধ্যবর্তী সময়ের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেন এবং আরো তিন দিনের গুনাহও মাফ করে দিয়ে থাকেন। তিনি আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি (খুতবা ও নামাযের সময়) কংকর সরায় সে যেন বেহুদা কর্মে লিপ্ত হল।
باب فَضْلِ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ أَتَى الْجُمُعَةَ فَاسْتَمَعَ وَأَنْصَتَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَ الْجُمُعَةِ إِلَى الْجُمُعَةِ وَزِيَادَةُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ وَمَنْ مَسَّ الْحَصَى فَقَدْ لَغَا " .
হাদীস নং:১০৫১
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫১
২১৫. জুমআর নামাযের ফযিলত।
১০৫১. ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) ..... আতা আল-খুরাসানীর স্ত্রী উম্মে উছমানের আযাদকৃত গোলাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আলী (রাযিঃ)-কে কুফার মসজিদে মিম্বরের উপর বসে বলতে শুনেছিঃ যখন জুমআর দিন আসে, তখন শয়তান স্বীয় ঢালসহ বাজারে (বা লোকদের একত্রিত হওয়ার স্থানে) ঘুরে বেড়ায় আর লোকজন বিভিন্ন প্রয়োজনের বেড়াজালে নিক্ষিপ্ত করে নামায হতে বিরত রাখতে চেষ্টা করে এবং জুমআয় হাযির হতে বিলম্ব ঘটায়। পক্ষান্তরে জুমআর দিন ফিরিশতারা দপ্তরসহ (নথিপত্র) আগমন করেন এবং মসজিদের দরজায় উপবেশন করে এবং প্রত্যেক ব্যক্তির আগমনের সময় লিপিবদ্ধ করেন, এমনকি ইমাম খুতবা দেয়ার জন্য মিম্বরের উপর আরোহণ করা পর্যন্ত তাঁরা একাজে লিপ্ত থাকেন। (অতঃপর ইমাম মিম্বরের উপর বসার সাথে সাথেই তাঁরা খাতা বন্ধ করে দেন)।

ইমাম খুতবা দেয়া শুরু করলে যে ব্যক্তি চুপচাপ বসে শুনে সে দুইটি বিনিময় প্রাপ্ত হয়। আর যে ব্যক্তি এতদূরে বসে যে, ইমামের খুতবা শুনতে পায় না; তবুও সে চুপ করে বসে থাকার জন্য একটি বিনিময় প্রাপ্ত হবে। আর যে ব্যক্তি এমন স্থানে উপবেশন করে যেখান হতে সে ইচ্ছা করলে ইমামের খুতবা শুনতে এবং তাকে দেখতেও পারে, কিন্তু সে এরূপ না করে বেহুদা কথা ও কর্মে লিপ্ত হয়, সে গুনাহগার হবে। অতঃপর যে ব্যক্তি জুমআর দিন ইমামের খুতবা দানের সময় অন্যকে চুপ থাকতে বলে সেও বেহুদা কর্মে লিপ্ত হয়। আর যে ব্যক্তি এরূপ বেহুদা কথা বা কর্মে লিপ্ত হয়, সে জুমআর দিনের কোন ফযীলাত প্রাপ্ত হবে না। অতঃপর আলী (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে এরূপ বলতে শুনেছি।
باب فَضْلِ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عِيسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءٌ الْخُرَاسَانِيُّ، عَنْ مَوْلَى، امْرَأَتِهِ أُمِّ عُثْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا، - رضى الله عنه - عَلَى مِنْبَرِ الْكُوفَةِ يَقُولُ " إِذَا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ غَدَتِ الشَّيَاطِينُ بِرَايَاتِهَا إِلَى الأَسْوَاقِ فَيَرْمُونَ النَّاسَ بِالتَّرَابِيثِ أَوِ الرَّبَائِثِ وَيُثَبِّطُونَهُمْ عَنِ الْجُمُعَةِ وَتَغْدُو الْمَلاَئِكَةُ فَيَجْلِسُونَ عَلَى أَبْوَابِ الْمَسْجِدِ فَيَكْتُبُونَ الرَّجُلَ مِنْ سَاعَةٍ وَالرَّجُلَ مِنْ سَاعَتَيْنِ حَتَّى يَخْرُجَ الإِمَامُ فَإِذَا جَلَسَ الرَّجُلُ مَجْلِسًا يَسْتَمْكِنُ فِيهِ مِنَ الاِسْتِمَاعِ وَالنَّظَرِ فَأَنْصَتَ وَلَمْ يَلْغُ كَانَ لَهُ كِفْلاَنِ مِنْ أَجْرٍ فَإِنْ نَأَى وَجَلَسَ حَيْثُ لاَ يَسْمَعُ فَأَنْصَتَ وَلَمْ يَلْغُ كَانَ لَهُ كِفْلٌ مِنْ أَجْرٍ وَإِنْ جَلَسَ مَجْلِسًا يَسْتَمْكِنُ فِيهِ مِنَ الاِسْتِمَاعِ وَالنَّظَرِ فَلَغَا وَلَمْ يُنْصِتْ كَانَ لَهُ كِفْلٌ مِنْ وِزْرٍ وَمَنْ قَالَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِصَاحِبِهِ صَهْ . فَقَدْ لَغَا وَمَنْ لَغَا فَلَيْسَ لَهُ فِي جُمُعَتِهِ تِلْكَ شَىْءٌ " . ثُمَّ يَقُولُ فِي آخِرِ ذَلِكَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ذَلِكَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنِ ابْنِ جَابِرٍ قَالَ بِالرَّبَائِثِ وَقَالَ مَوْلَى امْرَأَتِهِ أُمِّ عُثْمَانَ بْنِ عَطَاءٍ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান