কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১০৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ১০৪৬
২১৩. জুমআর নামাযের বিভিন্ন বিধান।
১০৪৬. আল্-কানবী (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ যে সব দিনে সূর্যোদয় হয় তার মধ্যে জুমআর দিনই উত্তম। ঐ দিনেই আদম (আলাইহিস সালাম) সৃষ্টি হয়েছিলেন, ঐ দিনই তাঁকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়, ঐ দিনই তাঁর তওবা কবুল হয় এবং ঐ দিন তিনি ইন্তিকাল করেন। ঐ দিনই কিয়ামত কায়েম হবে, এই দিন জীন ও ইনসান ব্যতীত সমস্ত প্রাণীকুল সুবহে সাদেক হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত কিয়ামত অনুষ্ঠিত হওয়ার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত থাকবে। এই দিনের মধ্যে এমন একটি সময় নিহিত আছে, তখন কোন মুসলিম বান্দা নামায আদায়ের পর আল্লাহর নিকট যা প্রার্থনা করবে তাই প্রাপ্ত হবে।
কাব (রাযিঃ) বলেন, এইরূপ দুআ কবুলের সময় সারা বছরের মধ্যে মাত্র এক দিন। রাবী বলেন, আমি তাঁকে বললাম, বছরের একটি দিন নয়, বরং এটা প্রতি জুমআর দিনের মধ্যে নিহিত আছে। রাবী বলেন, অতঃপর কাব (রাযিঃ) তার প্রমাণস্বরূপ তাওরাত পাঠ করে বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) সত্য বলেছেন।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর আমি বিশিষ্ট সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) এর সাথে সাক্ষাত করি (যিনি ইহুদীদের মধ্যে বিজ্ঞ আলিম ছিলেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন) এবং তাঁকে এ ব্যাপারে অবহিত করি। এই সময় কাব (রাযিঃ)-ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বলেন, দুআ কবুলের সেই বিশেষ সময় সম্পর্কে আমি জ্ঞাত আছি। তখন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, আমাকে ঐ সময় সম্পর্কে অবহিত করুন।
আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বলেন, তা হল জুমআর দিনের সর্বশেষ সময়। আমি বললাম, তা জুমআর দিনের সর্বশেষ সময় কিরূপে হবে? অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যে কোন বান্দা নামায আদায়ের পর উক্ত সময়ে দুআ করলে তার দুআ কবুল হবে। অথচ আপনার বর্ণিত সময়ে কোন নামায আদায় করা যায় না। আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি বলেন নি যে, কোন ব্যক্তি নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকলে নামায আদায় না করা পর্যন্ত তাকে নামাযে রত হিসাবে গণ্য করা হয়? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলেনঃ তা ঐ সময়টি।
কাব (রাযিঃ) বলেন, এইরূপ দুআ কবুলের সময় সারা বছরের মধ্যে মাত্র এক দিন। রাবী বলেন, আমি তাঁকে বললাম, বছরের একটি দিন নয়, বরং এটা প্রতি জুমআর দিনের মধ্যে নিহিত আছে। রাবী বলেন, অতঃপর কাব (রাযিঃ) তার প্রমাণস্বরূপ তাওরাত পাঠ করে বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) সত্য বলেছেন।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর আমি বিশিষ্ট সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) এর সাথে সাক্ষাত করি (যিনি ইহুদীদের মধ্যে বিজ্ঞ আলিম ছিলেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন) এবং তাঁকে এ ব্যাপারে অবহিত করি। এই সময় কাব (রাযিঃ)-ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বলেন, দুআ কবুলের সেই বিশেষ সময় সম্পর্কে আমি জ্ঞাত আছি। তখন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, আমাকে ঐ সময় সম্পর্কে অবহিত করুন।
আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বলেন, তা হল জুমআর দিনের সর্বশেষ সময়। আমি বললাম, তা জুমআর দিনের সর্বশেষ সময় কিরূপে হবে? অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যে কোন বান্দা নামায আদায়ের পর উক্ত সময়ে দুআ করলে তার দুআ কবুল হবে। অথচ আপনার বর্ণিত সময়ে কোন নামায আদায় করা যায় না। আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি বলেন নি যে, কোন ব্যক্তি নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকলে নামায আদায় না করা পর্যন্ত তাকে নামাযে রত হিসাবে গণ্য করা হয়? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলেনঃ তা ঐ সময়টি।
باب فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَلَيْلَةِ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ فِيهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ أُهْبِطَ وَفِيهِ تِيبَ عَلَيْهِ وَفِيهِ مَاتَ وَفِيهِ تَقُومُ السَّاعَةُ وَمَا مِنْ دَابَّةٍ إِلاَّ وَهِيَ مُسِيخَةٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مِنْ حِينَ تُصْبِحُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ شَفَقًا مِنَ السَّاعَةِ إِلاَّ الْجِنَّ وَالإِنْسَ وَفِيهِ سَاعَةٌ لاَ يُصَادِفُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ يُصَلِّي يَسْأَلُ اللَّهَ حَاجَةً إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهَا " . قَالَ كَعْبٌ ذَلِكَ فِي كُلِّ سَنَةٍ يَوْمٌ . فَقُلْتُ بَلْ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ . قَالَ فَقَرَأَ كَعْبٌ التَّوْرَاةَ فَقَالَ صَدَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ثُمَّ لَقِيتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَلاَمٍ فَحَدَّثْتُهُ بِمَجْلِسِي مَعَ كَعْبٍ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ قَدْ عَلِمْتُ أَيَّةَ سَاعَةٍ هِيَ . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقُلْتُ لَهُ فَأَخْبِرْنِي بِهَا . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ هِيَ آخِرُ سَاعَةٍ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ . فَقُلْتُ كَيْفَ هِيَ آخِرُ سَاعَةٍ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يُصَادِفُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ يُصَلِّي " . وَتِلْكَ السَّاعَةُ لاَ يُصَلَّى فِيهَا . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ جَلَسَ مَجْلِسًا يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ فَهُوَ فِي صَلاَةٍ حَتَّى يُصَلِّيَ " . قَالَ فَقُلْتُ بَلَى . قَالَ هُوَ ذَاكَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ১০৪৭
২১৩. জুমআর নামাযের বিভিন্ন বিধান।
১০৪৭. হারূন ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ..... আওস ইবনে আওস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ দিনসমূহের মধ্যে জুমআর দিনই সর্বোৎকৃষ্ট। এই দিনই আদম (আলাইহিস সালাম)-কে সৃষ্টি করা হয় এবং এই দিন তিনি ইন্তিকাল করেন। ঐ দিনে শিংগায় ফুঁ দেয়া হবে। ঐ দিন সমস্ত সৃষ্টিকুল বেহুশ হবে। অতএব তোমরা ঐ দিন আমার উপর অধিক দরূদ পাঠ করবে, কেননা তোমাদের দরূদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার দেহ তো গলে যাবে। এমতাবস্থায় আমাদের দুরূদ কিরূপে আপনার সম্মুখে পেশ করা হবে? তিনি বলেনঃ আল্লাহ জাল্লা জালালুহু আম্বিয়ায় কিরামের দেহসমূহ মাটির জন্য (বিনষ্ট করা হতে) হারাম করে দিয়েছেন।
باب فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَلَيْلَةِ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ أَوْسِ بْنِ أَوْسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ قُبِضَ وَفِيهِ النَّفْخَةُ وَفِيهِ الصَّعْقَةُ فَأَكْثِرُوا عَلَىَّ مِنَ الصَّلاَةِ فِيهِ فَإِنَّ صَلاَتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَىَّ " . قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ تُعْرَضُ صَلاَتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرِمْتَ يَقُولُونَ بَلِيتَ . فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ حَرَّمَ عَلَى الأَرْضِ أَجْسَادَ الأَنْبِيَاءِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: