কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৮১৮
১৪২. কোন ব্যক্তি নামাযে (সূরা ফাতিহা অথবা) কিরাত পাঠ ত্যাগ করলে।
৮১৮. আবুল ওয়ালীদ ..... আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, আমরা যেন নামাযের মধ্যে সূরা ফাতিহা এবং তার সাথে আল-কুরআনের সহজপাঠ্য কোন আয়াত পাঠ করি।
باب مَنْ تَرَكَ الْقِرَاءَةَ فِي صَلاَتِهِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ أُمِرْنَا أَنْ نَقْرَأَ، بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَمَا تَيَسَّرَ .
হাদীস নং:৮১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৮১৯
১৪২. কোন ব্যক্তি নামাযে (সূরা ফাতিহা অথবা) কিরাত পাঠ ত্যাগ করলে।
৮১৯. ইবরাহীম ইবনে মুসা .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। বলেন, নবী (ﷺ) আমাকে নির্দেশ দেনঃ তুমি মদীনার রাস্তায় বের হয়ে ঘোষণা দাও যে, কুরআন পাঠ ব্যতীত নামাযই শুদ্ধ হয় না; অন্তত সূরা ফাতিহা এবং তার সাথে সংক্ষিপ্ত কোন সূরা বা আায়াত অবশ্যই মিলাতে হবে।
باب مَنْ تَرَكَ الْقِرَاءَةَ فِي صَلاَتِهِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مَيْمُونٍ الْبَصْرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اخْرُجْ فَنَادِ فِي الْمَدِينَةِ أَنَّهُ لاَ صَلاَةَ إِلاَّ بِقُرْآنٍ وَلَوْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَمَا زَادَ " .
হাদীস নং:৮২০
আন্তর্জাতিক নং: ৮২০
১৪২. কোন ব্যক্তি নামাযে (সূরা ফাতিহা অথবা) কিরাত পাঠ ত্যাগ করলে।
৮২০. ইবনে বাশশার .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি যেন ঘোষণা করে দেই যে, সূরা ফাতিহা এবং তার সাথে আল-কুরআনের কিছু অংশ (সূরা বা আয়াত) না মিলালে কিছুতেই নামায বিশুদ্ধ হবে না।
باب مَنْ تَرَكَ الْقِرَاءَةَ فِي صَلاَتِهِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ
حَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أُنَادِيَ أَنَّهُ لاَ صَلاَةَ إِلاَّ بِقِرَاءَةِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَمَا زَادَ .
হাদীস নং:৮২১
আন্তর্জাতিক নং: ৮২১
১৪২. কোন ব্যক্তি নামাযে (সূরা ফাতিহা অথবা) কিরাত পাঠ ত্যাগ করলে।
৮২১. আল-কানবী ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করে না তার নামায ক্রটিপূর্ণ, তার নামায ক্রটিপুর্ণ, তার নামায ক্রটিপূর্ণ, অসম্পূর্ণ। রাবী বলেন, পরবর্তীকালে আমি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি যে, আমি যখন ইমামের পিছনে থাকি, তখন সূরা ফাতিহা পাঠ করব কি? তিনি আমার বাহু চাপ দিয়ে বলেন, হে ফারসী! তখন তুমি তোমার মনে মনে তা পাঠ করবে। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি মহান আল্লাহ বলেন, আমি নামাযকে (অর্থাৎ সূরা ফাতিহাকে) আমার ও আমার বান্দার মধ্যে বিভক্ত করেছি। এর অর্ধেক আমার জন্য এবং বাকী অর্ধেক আমার বান্দার জন্য এবং আমার বান্দা আমার নিকট যা কামনা করে, তাই তাকে দেয়া হয়।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা সূরা ফাতিহা পাঠ কর। আল্লাহ্ তাআলা বলেন, যখন আমার বান্দা বলেঃ আলহামদু লিল্লাহি রবিল আলামিন, তখন আল্লাহ্ বলেনঃ আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। অতঃপর বান্দা যখন বলেঃ আর-রহমানির রাহীম, তখন আল্লাহ্ বলেনঃ আমার বান্দা আমার গুণগান করেছে। বান্দা যখন বলেঃ মালিকি ইয়াওমিদ্দীন, তখন আল্লাহ্ বলেনঃ আমার বান্দা আমার সম্মান প্রদর্শন করেছে। অতঃপর যখন বান্দা বলেঃ ইয়াকা’নাবুদু ওয়া ইয়াকা’নাস্তাইন, তখন আল্লাহ্ বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মধ্যে সীমিত এবং আমার বান্দা যা প্রার্থনা করল, তাই তাকে দেয়া হয়। অতঃপর বান্দা যখনই “ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকীম, সীরাতাল্লাযীনা আনআমতা আলাইহিম, গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দাল্লীন” বলে তখন আল্লাহ্ বলেন, এ সমস্তই আমার বান্দার জন্য এবং আমার বান্দা যা কিছু প্রার্থনা করেছে- তাও প্রাপ্ত হবে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা সূরা ফাতিহা পাঠ কর। আল্লাহ্ তাআলা বলেন, যখন আমার বান্দা বলেঃ আলহামদু লিল্লাহি রবিল আলামিন, তখন আল্লাহ্ বলেনঃ আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। অতঃপর বান্দা যখন বলেঃ আর-রহমানির রাহীম, তখন আল্লাহ্ বলেনঃ আমার বান্দা আমার গুণগান করেছে। বান্দা যখন বলেঃ মালিকি ইয়াওমিদ্দীন, তখন আল্লাহ্ বলেনঃ আমার বান্দা আমার সম্মান প্রদর্শন করেছে। অতঃপর যখন বান্দা বলেঃ ইয়াকা’নাবুদু ওয়া ইয়াকা’নাস্তাইন, তখন আল্লাহ্ বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মধ্যে সীমিত এবং আমার বান্দা যা প্রার্থনা করল, তাই তাকে দেয়া হয়। অতঃপর বান্দা যখনই “ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকীম, সীরাতাল্লাযীনা আনআমতা আলাইহিম, গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দাল্লীন” বলে তখন আল্লাহ্ বলেন, এ সমস্তই আমার বান্দার জন্য এবং আমার বান্দা যা কিছু প্রার্থনা করেছে- তাও প্রাপ্ত হবে।
باب مَنْ تَرَكَ الْقِرَاءَةَ فِي صَلاَتِهِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا السَّائِبِ، مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهِيَ خِدَاجٌ فَهِيَ خِدَاجٌ فَهِيَ خِدَاجٌ غَيْرُ تَمَامٍ " . قَالَ فَقُلْتُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ إِنِّي أَكُونُ أَحْيَانًا وَرَاءَ الإِمَامِ . قَالَ فَغَمَزَ ذِرَاعِي وَقَالَ اقْرَأْ بِهَا يَا فَارِسِيُّ فِي نَفْسِكَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " قَالَ اللَّهُ تَعَالَى قَسَمْتُ الصَّلاَةَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي نِصْفَيْنِ فَنِصْفُهَا لِي وَنِصْفُهَا لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ " . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اقْرَءُوا يَقُولُ الْعَبْدُ ( الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ) يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ حَمِدَنِي عَبْدِي يَقُولُ الْعَبْدُ ( الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ) يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَثْنَى عَلَىَّ عَبْدِي يَقُولُ الْعَبْدُ ( مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ ) يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مَجَّدَنِي عَبْدِي يَقُولُ الْعَبْدُ ( إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ) يَقُولُ اللَّهُ وَهَذِهِ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ يَقُولُ الْعَبْدُ ( اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ * صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ ) يَقُولُ اللَّهُ فَهَؤُلاَءِ لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ " .
হাদীস নং:৮২২
আন্তর্জাতিক নং: ৮২২
১৪২. কোন ব্যক্তি নামাযে (সূরা ফাতিহা অথবা) কিরাত পাঠ ত্যাগ করলে।
৮২২. কুতায়বা ইবনে সাঈদ ..... উবাদা ইবনুস-সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। এই হাদীসের সনদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পর্যন্ত পৌছেছে। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা এবং তার সাথে অতিরিক্ত কিছু পাঠ না করবে, তার নামায পূর্ণাঙ্গ হবে না।
রাবী বলেন, এই নির্দেশ কেবলমাত্র একাকী নামায পাঠকারীর বেলায় প্রযোজ্য।
রাবী বলেন, এই নির্দেশ কেবলমাত্র একাকী নামায পাঠকারীর বেলায় প্রযোজ্য।
باب مَنْ تَرَكَ الْقِرَاءَةَ فِي صَلاَتِهِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ السَّرْحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَصَاعِدًا " . قَالَ سُفْيَانُ لِمَنْ يُصَلِّي وَحْدَهُ .
হাদীস নং:৮২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৩
১৪২. কোন ব্যক্তি নামাযে (সূরা ফাতিহা অথবা) কিরাত পাঠ ত্যাগ করলে।
৮২৩. আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুহাম্মাদ .... উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে ফজরের নামাযের জামাআতে শরীক ছিলাম। নামাযে কুরআন পাঠের সময় তার পাঠ তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। নামায শেষে তিনি বলেন, সম্ভবতঃ তোমরা ইমামের পিছনে কিরাআত পাঠ করেছ। আমরা বলি, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন তিনি বলেন, তোমরা সূরা ফাতিহা ব্যতীত অন্য কিছু পাঠ করবে না। কেননা যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পড়বে না, তার নামায হবে না।
باب مَنْ تَرَكَ الْقِرَاءَةَ فِي صَلاَتِهِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ كُنَّا خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ فَقَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَثَقُلَتْ عَلَيْهِ الْقِرَاءَةُ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ " لَعَلَّكُمْ تَقْرَءُونَ خَلْفَ إِمَامِكُمْ " . قُلْنَا نَعَمْ هَذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " لاَ تَفْعَلُوا إِلاَّ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَإِنَّهُ لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِهَا " .
হাদীস নং:৮২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৪
১৪২. কোন ব্যক্তি নামাযে (সূরা ফাতিহা অথবা) কিরাত পাঠ ত্যাগ করলে।
৮২৪. আর-রবী ইবনে সুলাইমান ..... নাফে ইবনে মাহমুদ হতে বর্ণিত। নাফে বলেন, একদা উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) বিলম্বে ফজরের নামাযের জামাআতে উপস্থিত হন। এমতাবস্থায় মুয়াযযিন আবু নুআয়েম (রাহঃ) তাকবীর বলে লোকদের নামায আরম্ভ করেন। তখন আমি এবং উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) উপস্থিত হয়ে আবু নুআয়েমের পিছনে ইক্তিদা করি। এই সময় আবু নুআয়েম উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করছিলেন এবং উবাদা (রাযিঃ) সূরা ফাতিহা পাঠ করেন। নামাযান্তে আমি উবাদা (রাযিঃ)-কে বলিঃ ইমাম আবু নুআয়েম যখন উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করছিলেন, তখন আমি আপনাকেও সূরা ফাতিহা পড়তে শুনি, এর হেতু কি? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, আমি পাঠ করেছি।
একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কোন এক ওয়াক্তের নামাযে আমাদের ইমামতি করেন, যার মধ্যে উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করতে হয়। রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কিরাআত পাঠের সময় আটকে যান। অতঃপর নামাযান্তে সমবেত মুসল্লীদের লক্ষ্য করে বলেনঃ আমি যখন উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করছিলাম। তখন তোমরাও কি কিরাআত পাঠ করেছ? জবাবে আমাদের কেউ বলেন, হ্যাঁ আমরাও কিরাআত পাঠ করেছি। তখন তিনি বলেন, এইরূপ আর কখনও করবে না। তিনি আরো বলেন, কিরাআত পাঠের সময় যখন আমি আটকে যাই তখন আমি এইরূপ চিন্তা করি যে, আমার কুরআন পাঠে কিসে বা কে বাধার সৃষ্টি করছে? অতএব আমি নামাযের মধ্যে উচ্চস্বরে যখন কিরা’আত পাঠ করি, তখন তোমরা সূরা ফাতিহা ব্যতীত অন্য কিছু পাঠ করবে না।
একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কোন এক ওয়াক্তের নামাযে আমাদের ইমামতি করেন, যার মধ্যে উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করতে হয়। রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কিরাআত পাঠের সময় আটকে যান। অতঃপর নামাযান্তে সমবেত মুসল্লীদের লক্ষ্য করে বলেনঃ আমি যখন উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করছিলাম। তখন তোমরাও কি কিরাআত পাঠ করেছ? জবাবে আমাদের কেউ বলেন, হ্যাঁ আমরাও কিরাআত পাঠ করেছি। তখন তিনি বলেন, এইরূপ আর কখনও করবে না। তিনি আরো বলেন, কিরাআত পাঠের সময় যখন আমি আটকে যাই তখন আমি এইরূপ চিন্তা করি যে, আমার কুরআন পাঠে কিসে বা কে বাধার সৃষ্টি করছে? অতএব আমি নামাযের মধ্যে উচ্চস্বরে যখন কিরা’আত পাঠ করি, তখন তোমরা সূরা ফাতিহা ব্যতীত অন্য কিছু পাঠ করবে না।
باب مَنْ تَرَكَ الْقِرَاءَةَ فِي صَلاَتِهِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ نَافِعِ بْنِ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ نَافِعٌ أَبْطَأَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ عَنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ، فَأَقَامَ أَبُو نُعَيْمٍ الْمُؤَذِّنُ الصَّلاَةَ فَصَلَّى أَبُو نُعَيْمٍ بِالنَّاسِ وَأَقْبَلَ عُبَادَةُ وَأَنَا مَعَهُ، حَتَّى صَفَفْنَا خَلْفَ أَبِي نُعَيْمٍ وَأَبُو نُعَيْمٍ يَجْهَرُ بِالْقِرَاءَةِ فَجَعَلَ عُبَادَةُ يَقْرَأُ بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَلَمَّا انْصَرَفَ قُلْتُ لِعُبَادَةَ سَمِعْتُكَ تَقْرَأُ بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَأَبُو نُعَيْمٍ يَجْهَرُ قَالَ أَجَلْ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْضَ الصَّلَوَاتِ الَّتِي يَجْهَرُ فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ قَالَ فَالْتَبَسَتْ عَلَيْهِ الْقِرَاءَةُ فَلَمَّا انْصَرَفَ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ وَقَالَ " هَلْ تَقْرَءُونَ إِذَا جَهَرْتُ بِالْقِرَاءَةِ " . فَقَالَ بَعْضُنَا إِنَّا نَصْنَعُ ذَلِكَ . قَالَ " فَلاَ وَأَنَا أَقُولُ مَا لِي يُنَازَعُنِي الْقُرْآنُ فَلاَ تَقْرَءُوا بِشَىْءٍ مِنَ الْقُرْآنِ إِذَا جَهَرْتُ إِلاَّ بِأُمِّ الْقُرْآنِ " .
হাদীস নং:৮২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৫
১৪২. কোন ব্যক্তি নামাযে (সূরা ফাতিহা অথবা) কিরাত পাঠ ত্যাগ করলে।
৮২৫. আলী ইবনে সাহল আর-রামলী ......... ইবনে জাবের, সাঈদ ইবনে আব্দুল আযীয এবং আব্দুল্লাহ্ ইবনুল আলা হতে বর্ণিত। তারা মাকহূল হতে, তিনি উবাদা (রাযিঃ) হতে আর-রবী ইবনে সুলাইমানের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাঁরা বলেন, মাকহূল মাগরিব, এশা ও ফজরের নামাযে (ইমামের পিছনে নীরবে প্রত্যেক রাকআতেই সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন।
মাকহূল (রাহঃ) বলেনঃ ইমাম যে নামাযের মধ্যে উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করেন এবং থামেন তখন নিঃশব্দে সূরা ফাতিহা পাঠ কর। অপরপক্ষে ইমাম যদি কিরাআত পাঠ করেন, এমতাবস্থায় তুমি হয় ইমামের আগে, পরে বা সাথে সূরা ফাতিহা পাঠ কর এবং তা পাঠ করা কখনও ত্যাগ কর না।
মাকহূল (রাহঃ) বলেনঃ ইমাম যে নামাযের মধ্যে উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করেন এবং থামেন তখন নিঃশব্দে সূরা ফাতিহা পাঠ কর। অপরপক্ষে ইমাম যদি কিরাআত পাঠ করেন, এমতাবস্থায় তুমি হয় ইমামের আগে, পরে বা সাথে সূরা ফাতিহা পাঠ কর এবং তা পাঠ করা কখনও ত্যাগ কর না।
باب مَنْ تَرَكَ الْقِرَاءَةَ فِي صَلاَتِهِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَهْلٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ ابْنِ جَابِرٍ، وَسَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْعَلاَءِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ عُبَادَةَ، نَحْوَ حَدِيثِ الرَّبِيعِ بْنِ سُلَيْمَانَ قَالُوا فَكَانَ مَكْحُولٌ يَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ وَالصُّبْحِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ سِرًّا . قَالَ مَكْحُولٌ اقْرَأْ بِهَا فِيمَا جَهَرَ بِهِ الإِمَامُ إِذَا قَرَأَ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسَكَتَ سِرًّا فَإِنْ لَمْ يَسْكُتِ اقْرَأْ بِهَا قَبْلَهُ وَمَعَهُ وَبَعْدَهُ لاَ تَتْرُكْهَا عَلَى حَالٍ .