কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
১. পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
হাদীস নং: ২৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৪
পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১০৮. রক্ত প্রদরের রোগিণীর বর্ণনা এবং যে ব্যক্তি বলে — এমন স্ত্রীলোক হায়যের সমপরিমাণ সময় নামায ত্যাগ করবে।
২৭৪. আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসলামা .... উম্মুল মু’মিনীন উম্মে সালামা (রাযিঃ) হাত বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যুগে এক মহিলার (হায়য-নিফাসের জন্য নির্ধারিত সময়ের পরেও) রক্ত প্রবাহিত হত। উম্মে সালামা (রাযিঃ) ঐ স্ত্রীলোকের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট বিধান জিজ্ঞাসা করেন। তিনি বলেন, ঐ স্ত্রীলোকটির কর্তব্য হল, ইতিপূর্বে প্রতি মাসের নির্ধারিত যে কয়দিন সে ঋতুবতী থাকত- তা নির্ধারণ করা। অতঃপর সে ততদিন নামায আদায় করা থেকে বিরত থাকবে। পূর্ব নির্ধারিত পরিমাণ সময় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সে গোসল করে লজ্জাস্থানে মজবুত ভাবে কাপড়ের পট্টি বেঁধে নামায আদায় করবে।*
* হায়েয অথবা নিফাসের জন্য নির্ধারিত সময়ের পরেও যে সব স্ত্রীলোকের রক্তস্রাব হয়ে থাকে তাকে ইস্তেহাযা (রক্তপ্রদর) বলে। এরূপ স্ত্রীলোকের জন্য শরীআতের হুকুম এই যে, তারা তাদের হায়েয নিফাসকালীন পূর্ব নির্ধারিত স্বাভাবিক সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার পর গোসল করে নিয়মিতভাবে নামায আদায় করবে এবং প্রত্যেক নামাযের জন্য তাদেরকে উযু করতে হবে। অপরপক্ষে যে সমস্ত মহিলার ঋতুবর্তী হওয়ার প্রথম হতে "ইস্তেহাযা” দেখা দিবে তারা শরীআতের নির্ধারিত সময় (হায়েযের জন্য ১০ দিন এবং নিফাসের জন্য ৪০ দিন সর্বোচ্চ) অতিবাহিত হওয়ার পর গোসল করে নামায আদায় করবে। ইস্তেহাজার সময় স্ত্রীসহবাস বৈধ। – (অনুবাদক)
* হায়েয অথবা নিফাসের জন্য নির্ধারিত সময়ের পরেও যে সব স্ত্রীলোকের রক্তস্রাব হয়ে থাকে তাকে ইস্তেহাযা (রক্তপ্রদর) বলে। এরূপ স্ত্রীলোকের জন্য শরীআতের হুকুম এই যে, তারা তাদের হায়েয নিফাসকালীন পূর্ব নির্ধারিত স্বাভাবিক সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার পর গোসল করে নিয়মিতভাবে নামায আদায় করবে এবং প্রত্যেক নামাযের জন্য তাদেরকে উযু করতে হবে। অপরপক্ষে যে সমস্ত মহিলার ঋতুবর্তী হওয়ার প্রথম হতে "ইস্তেহাযা” দেখা দিবে তারা শরীআতের নির্ধারিত সময় (হায়েযের জন্য ১০ দিন এবং নিফাসের জন্য ৪০ দিন সর্বোচ্চ) অতিবাহিত হওয়ার পর গোসল করে নামায আদায় করবে। ইস্তেহাজার সময় স্ত্রীসহবাস বৈধ। – (অনুবাদক)
كتاب الطهارة
باب فِي الْمَرْأَةِ تُسْتَحَاضُ وَمَنْ قَالَ تَدَعُ الصَّلاَةَ فِي عِدَّةِ الأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ
دَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ امْرَأَةً كَانَتْ تُهَرَاقُ الدِّمَاءَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَفْتَتْ لَهَا أُمُّ سَلَمَةَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لِتَنْظُرْ عِدَّةَ اللَّيَالِي وَالأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُهُنَّ مِنَ الشَّهْرِ قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهَا الَّذِي أَصَابَهَا فَلْتَتْرُكِ الصَّلاَةَ قَدْرَ ذَلِكَ مِنَ الشَّهْرِ فَإِذَا خَلَّفَتْ ذَلِكَ فَلْتَغْتَسِلْ ثُمَّ لْتَسْتَثْفِرْ بِثَوْبٍ ثُمَّ لْتُصَلِّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৫
পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১০৮. রক্ত প্রদরের রোগিণীর বর্ণনা এবং যে ব্যক্তি বলে — এমন স্ত্রীলোক হায়যের সমপরিমাণ সময় নামায ত্যাগ করবে।
২৭৫. কুতায়বা .... উম্মে সালামা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। এক মহিলার সর্বক্ষণ রক্তস্রাব হত .... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তিনি বলেন, যখন কোন মহিলার হায়য-নিফাসকালীন পূর্ব নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হবে- তখন সে গোসল করে নামায আদায় করবে।
كتاب الطهارة
باب فِي الْمَرْأَةِ تُسْتَحَاضُ وَمَنْ قَالَ تَدَعُ الصَّلاَةَ فِي عِدَّةِ الأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَيَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ رَجُلاً، أَخْبَرَهُ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، كَانَتْ تُهَرَاقُ الدَّمَ . فَذَكَرَ مَعْنَاهُ قَالَ " فَإِذَا خَلَّفَتْ ذَلِكَ وَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَلْتَغْتَسِلْ " . بِمَعْنَاهُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৬
পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১০৮. রক্ত প্রদরের রোগিণীর বর্ণনা এবং যে ব্যক্তি বলে — এমন স্ত্রীলোক হায়যের সমপরিমাণ সময় নামায ত্যাগ করবে।
২৭৬. আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসলামা ..... সুলাইমান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে আনসারদের মধ্য হতে এক সাহাবীর সূত্রে বর্ণিত। এক মহিলার সর্বক্ষণ রক্তস্রাব হত ......... অতঃপর রাবী লাইছের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
كتاب الطهارة
باب فِي الْمَرْأَةِ تُسْتَحَاضُ وَمَنْ قَالَ تَدَعُ الصَّلاَةَ فِي عِدَّةِ الأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ، - يَعْنِي ابْنَ عِيَاضٍ - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنَ الأَنْصَارِ أَنَّ امْرَأَةً، كَانَتْ تُهَرَاقُ الدِّمَاءَ فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ اللَّيْثِ قَالَ " فَإِذَا خَلَّفَتْهُنَّ وَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَلْتَغْتَسِلْ " . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَاهُ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭
পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১০৮. রক্ত প্রদরের রোগিণীর বর্ণনা এবং যে ব্যক্তি বলে — এমন স্ত্রীলোক হায়যের সমপরিমাণ সময় নামায ত্যাগ করবে।
২৭৭. ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম .... নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত ......... লাইছের সনদে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। মহানবী (ﷺ) বলেনঃ “সে (হায়যের) সমপরিমাণ সময় নামায ত্যাগ করবে। তারপর থেকে নামাযের ওয়াক্ত উপস্থিত হলে সে গোসল করবে, অতঃপর একটি কাপড়ের সাহায্যে পট্টি বাঁধবে, অতঃপর নামায পড়বে”।
كتاب الطهارة
باب فِي الْمَرْأَةِ تُسْتَحَاضُ وَمَنْ قَالَ تَدَعُ الصَّلاَةَ فِي عِدَّةِ الأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا صَخْرُ بْنُ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ نَافِعٍ، بِإِسْنَادِ اللَّيْثِ وَبِمَعْنَاهُ قَالَ " فَلْتَتْرُكِ الصَّلاَةَ قَدْرَ ذَلِكَ ثُمَّ إِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَلْتَغْتِسِلْ وَلْتَسْتَثْفِرْ بِثَوْبٍ ثُمَّ تُصَلِّي " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৮
পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১০৮. রক্ত প্রদরের রোগিণীর বর্ণনা এবং যে ব্যক্তি বলে — এমন স্ত্রীলোক হায়যের সমপরিমাণ সময় নামায ত্যাগ করবে।
২৭৮. মুসা ইবনে ইসমাঈল .... উম্মে সালামা (রাযিঃ) এর সনদে পূর্বোক্ত ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। এই বর্ণনায় আছে, মহানবী (ﷺ) বলেনঃ সে (হায়যের পরিমাণ সময়) নামায ছেড়ে দেবে, এরপর থেকে গোসল করে কাপড়ের সাহায্যে (লজ্জাস্থানে) পট্টি বেঁধে নামায পড়বে।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসে উল্লেখিত রক্তপ্রদর রোগিণীর নাম, হাম্মাদ (রাহঃ) আইয়ুবের সূত্রে- ফাতিমা বিনতে আবু হুবায়েশ বলে উল্লেখ করেছেন।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসে উল্লেখিত রক্তপ্রদর রোগিণীর নাম, হাম্মাদ (রাহঃ) আইয়ুবের সূত্রে- ফাতিমা বিনতে আবু হুবায়েশ বলে উল্লেখ করেছেন।
كتاب الطهارة
باب فِي الْمَرْأَةِ تُسْتَحَاضُ وَمَنْ قَالَ تَدَعُ الصَّلاَةَ فِي عِدَّةِ الأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ فِيهِ " تَدَعُ الصَّلاَةَ وَتَغْتَسِلُ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ وَتَسْتَثْفِرُ بِثَوْبٍ وَتُصَلِّي " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمَّى الْمَرْأَةَ الَّتِي كَانَتِ اسْتُحِيضَتْ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৯
পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১০৮. রক্ত প্রদরের রোগিণীর বর্ণনা এবং যে ব্যক্তি বলে — এমন স্ত্রীলোক হায়যের সমপরিমাণ সময় নামায ত্যাগ করবে।
২৭৯। কুতায়বা .... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) নবী (ﷺ)কে হায়যের রক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। আযোশা (রাযিঃ) বলেন, আমি তাঁর গোসলের পাত্র রক্তে পূর্ণ দেখেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বলেন, তুমি তোমার হায়যের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে গোসল করবে।
كتاب الطهارة
باب فِي الْمَرْأَةِ تُسْتَحَاضُ وَمَنْ قَالَ تَدَعُ الصَّلاَةَ فِي عِدَّةِ الأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ عِرَاكٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ إِنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ سَأَلَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الدَّمِ - فَقَالَتْ عَائِشَةُ فَرَأَيْتُ مِرْكَنَهَا مَلآنَ دَمًا - فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " امْكُثِي قَدْرَ مَا كَانَتْ تَحْبِسُكِ حَيْضَتُكِ ثُمَّ اغْتَسِلِي " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ قُتَيْبَةُ بَيْنَ أَضْعَافِ حَدِيثِ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ فِي آخِرِهَا وَرَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ وَيُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنِ اللَّيْثِ فَقَالاَ جَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ .
হাদীস নং: ২৮০
আন্তর্জাতিক নং: ২৮০
পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১০৮. রক্ত প্রদরের রোগিণীর বর্ণনা এবং যে ব্যক্তি বলে — এমন স্ত্রীলোক হায়যের সমপরিমাণ সময় নামায ত্যাগ করবে।
২৮০. ঈসা ইবনে হাম্মাদ ..... উরওয়া ইবনুস যুবায়ের (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাযিঃ) তাঁর নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট রক্তস্রাবের অভিযোগ করেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বলেন, তা ইরকের রক্ত (অর্থাৎ তা বিশেষ একটি শিরা হতে প্রবাহিত রক্ত- হায়যের রক্ত নয়)। অতএব তুমি তোমার হায়যের জন্য নির্ধারিত দিনগুলির অপেক্ষা কর এবং ঐ সময় তুমি নামায ছেড়ে দেবে। অতঃপর যখন তোমার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলি অতিবাহিত হবে- তখন তুমি গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করবে। অতএব তুমি তোমার এক হায়যের সময় হতে পরবর্তী হায়য আগমনের মধ্যবর্তী সময়ে যথারীতি নামায আদায় করবে।
كتاب الطهارة
باب فِي الْمَرْأَةِ تُسْتَحَاضُ وَمَنْ قَالَ تَدَعُ الصَّلاَةَ فِي عِدَّةِ الأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الْمُنْذِرِ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ، حَدَّثَتْهُ أَنَّهَا، سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَكَتْ إِلَيْهِ الدَّمَ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا ذَلِكَ عِرْقٌ فَانْظُرِي إِذَا أَتَى قُرْؤُكِ فَلاَ تُصَلِّي فَإِذَا مَرَّ قُرْؤُكِ فَتَطَهَّرِي ثُمَّ صَلِّي مَا بَيْنَ الْقُرْءِ إِلَى الْقُرْءِ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮১
আন্তর্জাতিক নং: ২৮১
পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১০৮. রক্ত প্রদরের রোগিণীর বর্ণনা এবং যে ব্যক্তি বলে — এমন স্ত্রীলোক হায়যের সমপরিমাণ সময় নামায ত্যাগ করবে।
২৮১. ইউসুফ ইবনে মুসা .... উরওয়া ইবনুয-যুবায়ের (রাহঃ) হতে বর্ণিত। ফাতিমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাযিঃ) নিজের সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করার জন্য আসমা (রাযিঃ)-কে অনুরোধ করেন। নবী (ﷺ) বলেন, সে হায়যকালীন সময়ে নামায ত্যাগ করবে, অতঃপর হায়যের সীমা শেষে গোসল করবে।
যয়নাব বিনতেে উম্মে সালামা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) ইস্তেহাযাগ্রস্ত হওয়ার পর মহানবী (ﷺ) তাঁর হায়যের জন্য নির্ধারিত সময়ে নামায ত্যাগ করার নির্দেশ দেন এবং হায়যের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর গোসল করে নামায আদায় করতে বলেন।
আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) ইস্তেহাযাগ্রস্ত হওয়ার পর এ সম্পর্কে নবী (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করেন। নবী (ﷺ) তাকে হায়যের নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে নামায আদায় না করার নির্দেশ দেন।
ইবনে উয়াইনার সনদে বর্ণিত হাদীসে “সে হায়যের সমপরিমাণ সময় নামায ত্যাগ করবে” কথাটার উল্লেখ নাই।
আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, ইস্তেহাযাগ্রস্ত মহিলাগণ তাদের হায়যের জন্য নির্ধারিত সময়ে নামায পরিহার করবে এবং উক্ত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর গোসল করবে। আব্দুর রহমান ইবনুল কাসিম থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ আছে যে, মহানবী (ﷺ) ঐ মহিলাকে হায়যের কয়দিন নামায ত্যাগ করার নির্দেশ দেন।
আদী ইবনে ছাবেত (রাহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেন,ইস্তেহাযাগ্রস্ত মহিলাগণ তাদের জন্য নির্ধারিত হায়যের দিনগুলিতে নামায ত্যাগ করবে; অতঃপর গোসল করে নামায আদায় করবে।
জাফর (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাওদা (রাযিঃ) ইস্তেহাযাগ্রস্ত হওয়ায় নবী (ﷺ) তাকে নির্দেশ দেন যে, তাঁর জন্য হায়যের নির্ধারিত দিনগুলি সমাপ্ত হলে- গোসল করে তাঁকে নামায আদায় করতে হবে।
আলী (রাযিঃ) ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। ইস্তেহাযাগ্রস্ত মহিলাগণ হায়যের জন্য নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় করা হতে বিরত থাকবে।
হাসান, আতা ও অন্যান্যদের মতানুসারে- ইস্তেহাযাগ্রস্ত মহিলাগণ তাদের জন্য নির্ধারিত হায়যের সময়ে নামায পরিহার করবে।
যয়নাব বিনতেে উম্মে সালামা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) ইস্তেহাযাগ্রস্ত হওয়ার পর মহানবী (ﷺ) তাঁর হায়যের জন্য নির্ধারিত সময়ে নামায ত্যাগ করার নির্দেশ দেন এবং হায়যের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর গোসল করে নামায আদায় করতে বলেন।
আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) ইস্তেহাযাগ্রস্ত হওয়ার পর এ সম্পর্কে নবী (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করেন। নবী (ﷺ) তাকে হায়যের নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে নামায আদায় না করার নির্দেশ দেন।
ইবনে উয়াইনার সনদে বর্ণিত হাদীসে “সে হায়যের সমপরিমাণ সময় নামায ত্যাগ করবে” কথাটার উল্লেখ নাই।
আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, ইস্তেহাযাগ্রস্ত মহিলাগণ তাদের হায়যের জন্য নির্ধারিত সময়ে নামায পরিহার করবে এবং উক্ত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর গোসল করবে। আব্দুর রহমান ইবনুল কাসিম থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ আছে যে, মহানবী (ﷺ) ঐ মহিলাকে হায়যের কয়দিন নামায ত্যাগ করার নির্দেশ দেন।
আদী ইবনে ছাবেত (রাহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেন,ইস্তেহাযাগ্রস্ত মহিলাগণ তাদের জন্য নির্ধারিত হায়যের দিনগুলিতে নামায ত্যাগ করবে; অতঃপর গোসল করে নামায আদায় করবে।
জাফর (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাওদা (রাযিঃ) ইস্তেহাযাগ্রস্ত হওয়ায় নবী (ﷺ) তাকে নির্দেশ দেন যে, তাঁর জন্য হায়যের নির্ধারিত দিনগুলি সমাপ্ত হলে- গোসল করে তাঁকে নামায আদায় করতে হবে।
আলী (রাযিঃ) ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। ইস্তেহাযাগ্রস্ত মহিলাগণ হায়যের জন্য নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় করা হতে বিরত থাকবে।
হাসান, আতা ও অন্যান্যদের মতানুসারে- ইস্তেহাযাগ্রস্ত মহিলাগণ তাদের জন্য নির্ধারিত হায়যের সময়ে নামায পরিহার করবে।
كتاب الطهارة
باب فِي الْمَرْأَةِ تُسْتَحَاضُ وَمَنْ قَالَ تَدَعُ الصَّلاَةَ فِي عِدَّةِ الأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ، أَنَّهَا أَمَرَتْ أَسْمَاءَ - أَوْ أَسْمَاءُ حَدَّثَتْنِي أَنَّهَا، أَمَرَتْهَا فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ - أَنْ تَسْأَلَ، رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا أَنْ تَقْعُدَ الأَيَّامَ الَّتِي كَانَتْ تَقْعُدُ ثُمَّ تَغْتَسِلُ
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ قَتَادَةُ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ اسْتُحِيضَتْ فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ تَدَعَ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلَ وَتُصَلِّيَ .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَسْمَعْ قَتَادَةُ مِنْ عُرْوَةَ شَيْئًا .
وَزَادَ ابْنُ عُيَيْنَةَ فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ كَانَتْ تُسْتَحَاضُ فَسَأَلَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا وَهَمٌ مِنَ ابْنِ عُيَيْنَةَ لَيْسَ هَذَا فِي حَدِيثِ الْحُفَّاظِ عَنِ الزُّهْرِيِّ إِلاَّ مَا ذَكَرَ سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ وَقَدْ رَوَى الْحُمَيْدِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ لَمْ يَذْكُرْ فِيهِ " تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا " .
وَرَوَتْ قَمِيرُ بِنْتُ عَمْرٍو زَوْجُ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ الْمُسْتَحَاضَةُ تَتْرُكُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ .
وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهَا أَنْ تَتْرُكَ الصَّلاَةَ قَدْرَ أَقْرَائِهَا .
وَرَوَى أَبُو بِشْرٍ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي وَحْشِيَّةَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ اسْتُحِيضَتْ فَذَكَرَ مِثْلَهُ وَرَوَى شَرِيكٌ عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " الْمُسْتَحَاضَةُ تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتُصَلِّي "
وَرَوَى الْعَلاَءُ بْنُ الْمُسَيَّبِ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ أَنَّ سَوْدَةَ اسْتُحِيضَتْ فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا مَضَتْ أَيَّامُهَا اغْتَسَلَتْ وَصَلَّتْ .1
وَرَوَى سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ عَنْ عَلِيٍّ وَابْنِ عَبَّاسٍ " الْمُسْتَحَاضَةُ تَجْلِسُ أَيَّامَ قُرْئِهَا "
وَكَذَلِكَ رَوَاهُ عَمَّارٌ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ وَطَلْقُ بْنُ حَبِيبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ
وَكَذَلِكَ رَوَاهُ مَعْقِلٌ الْخَثْعَمِيُّ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
وَكَذَلِكَ رَوَى الشَّعْبِيُّ عَنْ قَمِيرَ امْرَأَةِ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ رضى الله عنها .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ قَوْلُ الْحَسَنِ وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَعَطَاءٍ وَمَكْحُولٍ وَإِبْرَاهِيمَ وَسَالِمٍ وَالْقَاسِمِ إِنَّ الْمُسْتَحَاضَةَ تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَسْمَعْ قَتَادَةُ مِنْ عُرْوَةَ شَيْئًا .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ قَتَادَةُ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ اسْتُحِيضَتْ فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ تَدَعَ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلَ وَتُصَلِّيَ .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَسْمَعْ قَتَادَةُ مِنْ عُرْوَةَ شَيْئًا .
وَزَادَ ابْنُ عُيَيْنَةَ فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ كَانَتْ تُسْتَحَاضُ فَسَأَلَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا وَهَمٌ مِنَ ابْنِ عُيَيْنَةَ لَيْسَ هَذَا فِي حَدِيثِ الْحُفَّاظِ عَنِ الزُّهْرِيِّ إِلاَّ مَا ذَكَرَ سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ وَقَدْ رَوَى الْحُمَيْدِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ لَمْ يَذْكُرْ فِيهِ " تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا " .
وَرَوَتْ قَمِيرُ بِنْتُ عَمْرٍو زَوْجُ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ الْمُسْتَحَاضَةُ تَتْرُكُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ .
وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهَا أَنْ تَتْرُكَ الصَّلاَةَ قَدْرَ أَقْرَائِهَا .
وَرَوَى أَبُو بِشْرٍ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي وَحْشِيَّةَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ اسْتُحِيضَتْ فَذَكَرَ مِثْلَهُ وَرَوَى شَرِيكٌ عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " الْمُسْتَحَاضَةُ تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتُصَلِّي "
وَرَوَى الْعَلاَءُ بْنُ الْمُسَيَّبِ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ أَنَّ سَوْدَةَ اسْتُحِيضَتْ فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا مَضَتْ أَيَّامُهَا اغْتَسَلَتْ وَصَلَّتْ .1
وَرَوَى سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ عَنْ عَلِيٍّ وَابْنِ عَبَّاسٍ " الْمُسْتَحَاضَةُ تَجْلِسُ أَيَّامَ قُرْئِهَا "
وَكَذَلِكَ رَوَاهُ عَمَّارٌ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ وَطَلْقُ بْنُ حَبِيبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ
وَكَذَلِكَ رَوَاهُ مَعْقِلٌ الْخَثْعَمِيُّ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
وَكَذَلِكَ رَوَى الشَّعْبِيُّ عَنْ قَمِيرَ امْرَأَةِ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ رضى الله عنها .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ قَوْلُ الْحَسَنِ وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَعَطَاءٍ وَمَكْحُولٍ وَإِبْرَاهِيمَ وَسَالِمٍ وَالْقَاسِمِ إِنَّ الْمُسْتَحَاضَةَ تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَسْمَعْ قَتَادَةُ مِنْ عُرْوَةَ شَيْئًا .
তাহকীক: