কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

১. পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৮
৭৯. রক্ত বের হলে উযু করা সম্পর্কে।
১৯৮. আবু তাওবা .... জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে যাতুর-রিকা নামক যুদ্ধে গমন করি। মুসলিম বাহিনীর এক ব্যক্তি মুশরিকদের এক ব্যক্তির স্ত্রীকে বন্দী অথবা হত্যা করে। তখন সে ব্যক্তি এরূপ শপথ করে যে, আমি ততক্ষণ ক্ষান্ত হব না, যতক্ষণ না মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর কোন একজন সাহাবীর রক্ত প্রবাহিত করি। তখন সে নবী (ﷺ) এর অনুসরণ করতে লাগল।

অতঃপর নবী (ﷺ) রাতে বিশ্রামের জন্য এক স্থানে অবতরণ করেন এবং বলেনঃ কে আছ যে আমাদের পাহারা দিবে? তখন মুহাজিরদের মধ্য হতে একজন এবং আনসারদের মধ্য হতে একজন সাড়া দেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা দুইজন গিরিপথের চূড়ায় বসে পাহারা দিবে।

অতঃপর উক্ত ব্যক্তিদ্বয় সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর মুহাজির সাহাবী বিশ্রামের জন্য শুইয়ে পড়েন এবং আনসার সাহাবী নামাযে রত হন। তখন শক্র পক্ষের ঐ ব্যক্তি (স্ত্রী লোকটির স্বামী) সেখানে আগমন করে এবং মুসলিম বাহিনীর একজন গোয়েন্দা মনে করে তার প্রতি তীর নিক্ষেপ করে এবং তা আনসার সাহাবীর শরীরে বিদ্ধ হয়। তিনি তা দেহ থেকে বের করে ফেলেন। মুশরিক ব্যক্তি এভাবে পরপর তিনটি তীর নিক্ষেপ করে। অতঃপর তিনি রুকু সিজদা করে (নামায শেষ করার পর) তাঁর সাথীকে জাগ্রত করেন।

অতঃপর সে ব্যক্তি সেখানে অনেক লোক আছে এবং তারা সতর্ক হয়ে গেছে মনে করে পালিয়ে যায়। পরে মুহাজির সাহাবী আনসার সাহাবীর রক্তাক্ত অবস্থা দেখে আশ্চর্যান্বিত হয়ে বলেন, সুবহানাল্লাহ! শক্র পক্ষের প্রথম তীর নিক্ষেপের সময় কেন আপনি আমাকে সতর্ক করেননি? জবাবে তিনি বলেন, আমি নামাযের মধ্যে (তন্ময়তার সাথে) এমন একটি সূরা পাঠ করছিলাম যা শেষ না করে পরিত্যাগ করা পচ্ছন্দ করিনি।
باب الْوُضُوءِ مِنَ الدَّمِ
حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي صَدَقَةُ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ عَقِيلِ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - يَعْنِي فِي غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ - فَأَصَابَ رَجُلٌ امْرَأَةَ رَجُلٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَحَلَفَ أَنْ لاَ أَنْتَهِي حَتَّى أُهَرِيقَ دَمًا فِي أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ فَخَرَجَ يَتْبَعُ أَثَرَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْزِلاً فَقَالَ مَنْ رَجُلٌ يَكْلَؤُنَا فَانْتَدَبَ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَرَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ " كُونَا بِفَمِ الشِّعْبِ " . قَالَ فَلَمَّا خَرَجَ الرَّجُلاَنِ إِلَى فَمِ الشِّعْبِ اضْطَجَعَ الْمُهَاجِرِيُّ وَقَامَ الأَنْصَارِيُّ يُصَلِّي وَأَتَى الرَّجُلُ فَلَمَّا رَأَى شَخْصَهُ عَرَفَ أَنَّهُ رَبِيئَةٌ لِلْقَوْمِ فَرَمَاهُ بِسَهْمٍ فَوَضَعَهُ فِيهِ فَنَزَعَهُ حَتَّى رَمَاهُ بِثَلاَثَةِ أَسْهُمٍ ثُمَّ رَكَعَ وَسَجَدَ ثُمَّ انْتَبَهَ صَاحِبُهُ فَلَمَّا عَرَفَ أَنَّهُمْ قَدْ نَذِرُوا بِهِ هَرَبَ وَلَمَّا رَأَى الْمُهَاجِرِيُّ مَا بِالأَنْصَارِيِّ مِنَ الدَّمِ قَالَ سَبْحَانَ اللَّهِ أَلاَ أَنْبَهْتَنِي أَوَّلَ مَا رَمَى قَالَ كُنْتُ فِي سُورَةٍ أَقْرَأُهَا فَلَمْ أُحِبَّ أَنْ أَقْطَعَهَا .