আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৮. নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
হাদীস নং: ৩৬২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬২৬
নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
পরিচ্ছেদ
৩৬২৬।আব্বাদ ইবন ইয়াকূব কূফী (রাহঃ)...আলী ইবন আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমি নবী-এর সঙ্গে মক্কায় মুকাররামায় ছিলাম। একবার এর কোন এক পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আমরা বের হলাম। এ সময় যে কোন পাহাড় ও বৃক্ষ তাঁর সামনে পড়ছিল, সেটিই তাঁকে লক্ষ্য করে বলছিল : আসসালামু আলায়কা ইয়া রাসূলাল্লাহ!
أبواب المناقب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ
3626 - حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ يَعْقُوبَ الكُوفِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا الوَلِيدُ بْنُ أَبِي ثَوْرٍ، عَنْ السُّدِّيِّ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ: " كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ فَخَرَجْنَا فِي بَعْضِ نَوَاحِيهَا فَمَا اسْتَقْبَلَهُ جَبَلٌ وَلَا شَجَرٌ إِلَّا وَهُوَ يَقُولُ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ": «هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ» وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الوَلِيدِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ، وَقَالَ: عَنْ عَبَّادِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، مِنْهُمْ فَرْوَةُ بْنُ أَبِي المَغْرَاءِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬২৭
নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
পরিচ্ছেদ
৩৬২৭। মাহমুদ ইবন গায়লান(রাহঃ)... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ খেজুর বৃক্ষের কাণ্ডের পাশে খুতবা দিতেন। পরে তাঁর জন্য সাহাবীগন মিম্বর তৈরী করেন। তখন এর উপর দাড়িয়ে তিনি খুতবা দেন। তখন কাণ্ডটি উটনীর ন্যায় গোঙাতে থাকে। তিনি নেমে এলে সেটির উপর হাত বুলিয়ে দেন, তখন সেটি শান্ত হয়। এই বিষয়ে উবাই, জাবির ইবন উমর, সাহল ইবন সা'দ, ইবন আব্বাস ও উন্মু সালামা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
أبواب المناقب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب
3627 - حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ إِلَى لِزْقِ جِذْعٍ وَاتَّخَذُوا لَهُ مِنْبَرًا، فَخَطَبَ عَلَيْهِ فَحَنَّ الجِذْعُ حَنِينَ النَّاقَةِ، فَنَزَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَسَّهُ فَسَكَتَ» وَفِي البَابِ عَنْ أُبَيٍّ، وَجَابِرٍ، وَابْنِ عُمَرَ، وَسَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَأُمِّ سَلَمَةَ. حَدِيثُ أَنَسٍ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬২৮
নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
পরিচ্ছেদ
৩৬২৮। মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল (রাহঃ)... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন জনৈক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এসে বলল আমি কেমন করে জানব যে আপনি একজন সত্য নবী? তিনি বললেন : আমি এই খেজুর ছড়াটিকে ডাকছি। সেটি সাক্ষী দিবে যে আমি আল্লাহর রাসূল। এরপর তিনি এটিকে ডাকেন।খেজুর ছড়াটি খেজুর গাছ থেকে নামতে শুরু করে। এমন কি নবী -এর কাছে এসে পড়ে যায়।
এরপর তিনি এটিকে ফিরে যেতে বলেন। ফলে সেটি পূর্বস্থানে ফিরে যায়। (তা দেখে) বেদুঈন লোকটি ইসলাম গ্রহণ করেন।
এরপর তিনি এটিকে ফিরে যেতে বলেন। ফলে সেটি পূর্বস্থানে ফিরে যায়। (তা দেখে) বেদুঈন লোকটি ইসলাম গ্রহণ করেন।
أبواب المناقب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ
3628 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ بِمَ أَعْرِفُ أَنَّكَ نَبِيٌّ؟ قَالَ: «إِنْ دَعَوْتُ هَذَا العِذْقَ مِنْ هَذِهِ النَّخْلَةِ تَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟» فَدَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ يَنْزِلُ مِنَ النَّخْلَةِ حَتَّى سَقَطَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: «ارْجِعْ فَعَادَ»، فَأَسْلَمَ الأَعْرَابِيُّ: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬২৯
নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
পরিচ্ছেদ
৩৬২৯। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ)... আবু যায়দ ইবনে আখতাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর হাত মুবারক আমার চেহারায় বুলিয়ে দেন এবং আমার জন্য দু'আ করেন। আযরা (রাহঃ) বলেন ঃ আবু যায়দ (রাযিঃ) একশ বিশ বছর বেঁচেছিলেন। তাঁর মাথায় সামান্য কটি চুল ব্যতীত কিছুই পাকে নি।
أبواب المناقب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ
3629 - حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَزْرَةُ بْنُ ثَابِتٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَلْبَاءُ بْنُ أَحْمَرَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو زَيْدِ بْنُ أَخْطَبَ، قَالَ: «مَسَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ عَلَى وَجْهِي وَدَعَا لِي» قَالَ عَزْرَةُ: إِنَّهُ عَاشَ مِائَةً وَعِشْرِينَ سَنَةً وَلَيْسَ فِي رَأْسِهِ إِلَّا شُعَيْرَاتٌ بِيضٌ: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ» وَأَبُو زَيْدٍ اسْمُهُ: عَمْرُو بْنُ أَخْطَبَ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৩০
নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
পরিচ্ছেদ
৩৬৩০। ইসহাক ইব্ন মুসা আনসারী (রাহঃ)... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন ঃ আবু তালহা (রাযিঃ) (তাঁর স্ত্রী; আনাস-এর মা) একদিন উম্মু সুলায়ম (রাযিঃ)-কে বললেনঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর স্বর খুব ক্ষীণ শুনতে পেলাম। এতে বুঝলাম যে, তিনি খুব ক্ষুধার্ত। তোমার কাছে কিছু আছে কি?
তিনি বললেন : হ্যাঁ। এরপর তিনি যবের কয়েকটি রুটি বের করলেন এবং তাঁর একটি উড়নী বের করে এর কিয়দংশে রুটিগুলো জড়ালেন এবং সেটি আমার হাতের মুঠোয় দিয়ে দিলেন আর উড়নীটির বাকী অংশ দিয়ে আমার গা পেচিয়ে দিলেন। পরে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে আমাকে পাঠালেন। [আবু তালহা এগুলি আনাস (রাযিঃ)-এর হাতে দিলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন : আমি এগুলো নিয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে গেলাম এবং তাঁকে মসজিদে উপবিষ্ট পেলাম। তাঁর সঙ্গে তখন আরো লোক ছিল। আমি তাঁদের কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন রাসূলূল্লাহ বললেন : তোমাকে কি আবু তালহা পাঠিয়েছে?
আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন খাদ্যসহ! আমি বললাম হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ ﷺর সঙ্গের সাহাবীদের বললেন: তোমরা উঠ। আনাস (রাযিঃ) বলেন : সকলেই উঠে চললেন। আমি তাঁদের সামনে এগিয়ে আবু তালহার কাছে (আগেই) চলে এলাম এবং তাঁকে বিষয়টি অবহিত করলাম। আবু তালহা (রাযিঃ) বললেন: হে উম্মু সুলায়ম! রাসূলুল্লাহ ﷺ লোকদের নিয়ে চলে এসেছেন অথচ তাঁদের খাওয়ানোর মত কিছু আমাদের কাছে নেই।
উম্মু সুলায়ম (রাযিঃ) বললেন : আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। আবু তালহা (রাযিঃ) এগিয়ে গিয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সঙ্গে সাক্ষাত করলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ আবু তালহাসহ সামনে এগুলেন। উভয়ে ঘরে এসে প্রবেশ করলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন : হে উম্মু সুলায়ম। তোমার কাছে যা আছে নিয়ে এস। উন্মু সুলায়ম সেই রুটি তাঁর সামনে পেশ করলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর নির্দেশে রুটিগুলো টুকরো টুকরো করা হল। উন্মু সুলায়ম তাঁর ঘিয়ের পাত্রটি চিপে যা আছে বের করলেন এবং তরকারী হিসাবে তাই দিলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ ﷺ আল্লাহ্ তা'আলার অভিপ্রায় অনুসারে যে দু'আ পাঠ করার, তাতে সেই দু'আ পাঠ করলেন। পরে বললেন দশজনকে আসতে অনুমতি দাও। তখন দশজনকে অনুমতি দেওয়া হল। তাঁরা পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করলেন এবং বের হয়ে গেলেন। এরপর নবী (ﷺ) বললেনঃ দশজনকে আসতে অনুমতি দাও। দশজনকে অনুমতি দেওয়া হল। তাঁরাও পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করে বের হয়ে গেলেন। তারপর নবী (ﷺ) বললেন আরও দশজনকে আসতে অনুমতি দাও। তাঁদেরকে অনুমতি দেওয়া হল। তাঁরাও পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করে বের হয়ে গেলেন। এইভাবে সকলেই পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করলেন। তাঁরা সংখ্যায় ছিলেন সত্তরজন অথবা আশিজন।
তিনি বললেন : হ্যাঁ। এরপর তিনি যবের কয়েকটি রুটি বের করলেন এবং তাঁর একটি উড়নী বের করে এর কিয়দংশে রুটিগুলো জড়ালেন এবং সেটি আমার হাতের মুঠোয় দিয়ে দিলেন আর উড়নীটির বাকী অংশ দিয়ে আমার গা পেচিয়ে দিলেন। পরে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে আমাকে পাঠালেন। [আবু তালহা এগুলি আনাস (রাযিঃ)-এর হাতে দিলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন : আমি এগুলো নিয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে গেলাম এবং তাঁকে মসজিদে উপবিষ্ট পেলাম। তাঁর সঙ্গে তখন আরো লোক ছিল। আমি তাঁদের কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন রাসূলূল্লাহ বললেন : তোমাকে কি আবু তালহা পাঠিয়েছে?
আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন খাদ্যসহ! আমি বললাম হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ ﷺর সঙ্গের সাহাবীদের বললেন: তোমরা উঠ। আনাস (রাযিঃ) বলেন : সকলেই উঠে চললেন। আমি তাঁদের সামনে এগিয়ে আবু তালহার কাছে (আগেই) চলে এলাম এবং তাঁকে বিষয়টি অবহিত করলাম। আবু তালহা (রাযিঃ) বললেন: হে উম্মু সুলায়ম! রাসূলুল্লাহ ﷺ লোকদের নিয়ে চলে এসেছেন অথচ তাঁদের খাওয়ানোর মত কিছু আমাদের কাছে নেই।
উম্মু সুলায়ম (রাযিঃ) বললেন : আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। আবু তালহা (রাযিঃ) এগিয়ে গিয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সঙ্গে সাক্ষাত করলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ আবু তালহাসহ সামনে এগুলেন। উভয়ে ঘরে এসে প্রবেশ করলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন : হে উম্মু সুলায়ম। তোমার কাছে যা আছে নিয়ে এস। উন্মু সুলায়ম সেই রুটি তাঁর সামনে পেশ করলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর নির্দেশে রুটিগুলো টুকরো টুকরো করা হল। উন্মু সুলায়ম তাঁর ঘিয়ের পাত্রটি চিপে যা আছে বের করলেন এবং তরকারী হিসাবে তাই দিলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ ﷺ আল্লাহ্ তা'আলার অভিপ্রায় অনুসারে যে দু'আ পাঠ করার, তাতে সেই দু'আ পাঠ করলেন। পরে বললেন দশজনকে আসতে অনুমতি দাও। তখন দশজনকে অনুমতি দেওয়া হল। তাঁরা পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করলেন এবং বের হয়ে গেলেন। এরপর নবী (ﷺ) বললেনঃ দশজনকে আসতে অনুমতি দাও। দশজনকে অনুমতি দেওয়া হল। তাঁরাও পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করে বের হয়ে গেলেন। তারপর নবী (ﷺ) বললেন আরও দশজনকে আসতে অনুমতি দাও। তাঁদেরকে অনুমতি দেওয়া হল। তাঁরাও পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করে বের হয়ে গেলেন। এইভাবে সকলেই পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করলেন। তাঁরা সংখ্যায় ছিলেন সত্তরজন অথবা আশিজন।
أبواب المناقب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ
3630 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْنٌ، قَالَ: عَرَضْتُ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ: قَالَ أَبُو طَلْحَةَ لِأُمِّ سُلَيْمٍ: لَقَدْ سَمِعْتُ صَوْتَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ضَعِيفًا - أَعْرِفُ فِيهِ الجُوعَ فَهَلْ عِنْدَكِ مِنْ شَيْءٍ؟ فَقَالَتْ: نَعَمْ، فَأَخْرَجَتْ أَقْرَاصًا مِنْ شَعِيرٍ، ثُمَّ أَخْرَجَتْ خِمَارًا لَهَا فَلَفَّتِ الخُبْزَ بِبَعْضِهِ، ثُمَّ دَسَّتْهُ فِي يَدِي وَرَدَّتْنِي بِبَعْضِهِ، ثُمَّ أَرْسَلَتْنِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَذَهَبْتُ بِهِ إِلَيْهِ فَوَجَدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسًا فِي المَسْجِدِ وَمَعَهُ النَّاسُ، قَالَ: فَقُمْتُ عَلَيْهِمْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَرْسَلَكَ أَبُو طَلْحَةَ؟» فَقُلْتُ نَعَمْ. قَالَ: «بِطَعَامٍ؟» فَقُلْتُ نَعَمْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَنْ مَعَهُ: «قُومُوا»، قَالَ: فَانْطَلَقُوا، فَانْطَلَقْتُ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ حَتَّى جِئْتُ أَبَا طَلْحَةَ فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ: يَا أُمَّ سُلَيْمٍ قَدْ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسُ مَعَهُ وَلَيْسَ عِنْدَنَا مَا نُطْعِمُهُمْ. قَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: فَانْطَلَقَ أَبُو طَلْحَةَ حَتَّى لَقِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو طَلْحَةَ مَعَهُ حَتَّى دَخَلَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلُمِّي يَا أُمَّ سُلَيْمٍ مَا عِنْدَكِ؟» فَأَتَتْهُ بِذَلِكَ الخُبْزِ، فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَفُتَّ وَعَصَرَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ بِعُكَّةٍ لَهَا فَأَدَمَتْهُ، ثُمَّ قَالَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ، ثُمَّ قَالَ: «ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ»، فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا، ثُمَّ خَرَجُوا، ثُمَّ قَالَ: «ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ»، فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا، ثُمَّ خَرَجُوا، فَأَكَلَ القَوْمُ كُلُّهُمْ وَشَبِعُوا وَالقَوْمُ سَبْعُونَ أَوْ ثَمَانُونَ رَجُلًا: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ»
হাদীস নং: ৩৬৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৩১
নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
পরিচ্ছেদ
৩৬৩১। ইসহাক ইব্ন মুসা আনসারী (রাহঃ)... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে দেখতে পেলাম, তখন আসরের ওয়াক্ত ঘনিয়ে আসছে। মানুষ উযূর পানি তালাশ করে তা কোথাও পেল না। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সামনে কিছু উযূর পানি আনা হল। তিনি ঐ পানির পাত্রটিতে তাঁর হাত রাখলেন এবং লোকদেরকে তা থেকে উযূ করতে নির্দেশ দিলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ আমি দেখলাম তাঁর আঙ্গুলের নীচ থেকে পানি উথলে বেরুচ্ছে। লোকেরা তা দিয়ে উযূ করল। এমন কি তাদের শেষ ব্যক্তিটি পর্যন্তও উযু সম্পাদন করল।
أبواب المناقب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ
3631 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْنٌ قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحَانَتْ صَلَاةُ العَصْرِ وَالتَمَسَ النَّاسُ الوَضُوءَ فَلَمْ يَجِدُوا، فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَضُوءٍ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ فِي ذَلِكَ الإِنَاءِ وَأَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَتَوَضَّئُوا مِنْهُ» قَالَ: «فَرَأَيْتُ المَاءَ يَنْبُعُ مِنْ تَحْتِ أَصَابِعِهِ، فَتَوَضَّأَ النَّاسُ حَتَّى تَوَضَّئُوا مِنْ عِنْدِ آخِرِهِمْ» وَفِي البَابِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، وَابْنِ مَسْعُودٍ، وَجَابِرٍ. «وَحَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ»
হাদীস নং: ৩৬৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৩২
নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
পরিচ্ছেদ
৩৬৩২। ইসহাক ইবন মুসা আনসারী (রাহঃ)... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন ঃ আল্লাহ্ তা'আলা যখন নবুওয়াতের দ্বারা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে সম্মানিত করতে এবং বান্দাদের প্রতি রহমত দান করতে চাইলেন তখন এর প্রথম সূচনা এরূপ হয় যে, নবী (ﷺ) স্বপ্নে যা দেখতেন ভোরের আলোর ন্যায় তা স্পষ্টভাবে বাস্তবায়িত হত। আল্লাহ্ যতদিন তাঁকে এ অবস্থায় রাখতে চাইলেন তিনি ততদিন এই অবস্থায়ই রইলেন। সে সময় প্রিয় হয়ে পড়ল তাঁর কাছে নির্জনতা। নির্জনতার চেয়ে অন্য কিছুই তাঁর নিকট অধিক পছন্দনীয় ছিল না।
أبواب المناقب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ
3632 - حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى قَالَ: حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ قَالَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: «أَوَّلُ مَا ابْتُدِئَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ النُّبُوَّةِ حِينَ أَرَادَ اللَّهُ كَرَامَتَهُ وَرَحْمَةَ العِبَادِ بِهِ أَنْ لَا يَرَى شَيْئًا إِلَّا جَاءَتْ كَفَلَقِ الصُّبْحِ، فَمَكَثَ عَلَى ذَلِكَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَمْكُثَ، وَحُبِّبَ إِلَيْهِ الخَلْوَةُ فَلَمْ يَكُنْ شَيْءٌ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَخْلُوَ»: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৩৩
নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
পরিচ্ছেদ
৩৬৩৩। মুহাম্মাদ ইবন বাশ্শার (রাহঃ)... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন তোমরা তো অলৌকিক নিদর্শনসমূহকে আযাব বলে মনে কর কিন্তু আমরা এগুলোকে (অনেকগুলোকে) রাসূলুল্ল -এর যুগে বরকত বলে মনে করতাম। আমরা নবী (ﷺ)-এর সঙ্গে খাদ্যদ্রব্য আহার করতাম আর খাদ্যদ্রব্যের তাসবীহ পাঠ আমরা শুনতে পেতাম।
তিনি আরো বলেন নবী (ﷺ) এর কাছে একটি পাত্র আনা হল। তিনি তাতে তাঁর হাত রাখলেন, তখন তাঁর আঙ্গুলের মধ্য দিয়ে ফোয়ারার মত পানি বের হতে লাগল। নবী (ﷺ) বললেন বরকতময় এই উযূর পানির দিকে তোমরা শীঘ্র আস। আকাশ থেকে নেমেছে এই বরকত। শেষ পর্যন্ত আমরা সবাই তা দিয়ে উযূ সম্পন্ন করলাম।
তিনি আরো বলেন নবী (ﷺ) এর কাছে একটি পাত্র আনা হল। তিনি তাতে তাঁর হাত রাখলেন, তখন তাঁর আঙ্গুলের মধ্য দিয়ে ফোয়ারার মত পানি বের হতে লাগল। নবী (ﷺ) বললেন বরকতময় এই উযূর পানির দিকে তোমরা শীঘ্র আস। আকাশ থেকে নেমেছে এই বরকত। শেষ পর্যন্ত আমরা সবাই তা দিয়ে উযূ সম্পন্ন করলাম।
أبواب المناقب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ
3633 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: إِنَّكُمْ تَعُدُّونَ الآيَاتِ عَذَابًا وَإِنَّا كُنَّا نَعُدُّهَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَرَكَةً، لَقَدْ كُنَّا نَأْكُلُ الطَّعَامَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ نَسْمَعُ تَسْبِيحَ الطَّعَامِ. قَالَ: وَأُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِنَاءٍ فَوَضَعَ يَدَهُ فِيهِ فَجَعَلَ المَاءُ يَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حَيَّ عَلَى الوَضُوءِ المُبَارَكِ وَالبَرَكَةُ مِنَ السَّمَاءِ» حَتَّى تَوَضَّأْنَا كُلُّنَا: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৪৯
নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ)-এর গুণাবলী
৩৬৪৯। কুতায়বা (রাহঃ)... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমার কাছে নবীগণকে পেশ করা হল। মুসা (আ)-কে দেখলাম মেদহীন লোকদের মত, যেন শানুআ গোত্রের একজন পুরুষ। ঈসা ইবন মারয়াম (আ)-কেও দেখলাম। আমি তাঁর সঙ্গে যাদের সাদৃশ্যপূর্ণ দেখি, তাদের মাঝে উরওয়া ইবন মাসউদ হল সনিকটবর্তী। আমি ইবরাহীম (আ)-কে দেখেছি। তার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ যাদের দেখি, তাদের মধ্যে তোমাদের এই সঙ্গী (অর্থাৎ তিনি নিজে) হলেন সর্বাধিক নিকটবর্তী। আমি জিবরীল (আ)-কেও দেখেছি। যাদের আমি তাঁর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ দেখি, তাদের মধ্যে দিহইয়া ইবন খালীফাতুল কালবী হল সর্বাধিক নিকটবর্তী।
أبواب المناقب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب في صفة النبي صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «عُرِضَ عَلَيَّ الأَنْبِيَاءُ، فَإِذَا مُوسَى ضَرْبٌ مِنَ الرِّجَالِ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ، وَرَأَيْتُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، فَإِذَا أَقْرَبُ النَّاسِ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ، وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا صَاحِبُكُمْ يَعْنِي نَفْسَهُ، وَرَأَيْتُ جِبْرِيلَ فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا دِحْيَةُ». «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ»
তাহকীক: