আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৪৭. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৬০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬০৪
(আল্লাহর) আশ্রয় প্রার্থনা
৩৬০৪. আবু কুরায়ব (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ জাহান্নামের আযাব থেকে আল্লাহর কাছে তোমরা পানাহ চাইবে, কবরের আযাব থেকে তোমরা আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবে, মাসীহ দাজ্জাল থেকে তোমরা আল্লাহর কাছে পানা চাইবে, জীবন ও মরণের ফিতনা থেকে তোমরা আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবে।মুসলিম

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হসান-সহীহ।


ইয়াহয়া ইবনে মুসা (রাহঃ) .... আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে লোক সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে তিনবার বলে, “আল্লাহ তাআলার নিকট আমি তার সম্পূর্ণ কালামের ওয়াসীলায় আশ্রয় প্রার্থনা করি, সে সকল অনিষ্ট হতে, যা তিনি সৃষ্টি করেছেন", ঐ রাতে কোন বিষ তার অনিষ্ট করতে পারবে না। সুহাইল (রাহঃ) বলেন, আমার পরিবারের লোকেরা এই দুআ শিখে তা প্রতি রাতে পড়ত। একদিন তাদের একটি মেয়ে দংশিত হয়, কিন্তু তাতে সে কোন যন্ত্রণা অনুভব করেনি।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। মালিক ইবনু আনাস (রাহঃ) এ হাদীস সুহাইল ইবনু আবী সালিহ হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী (ﷺ) হতে এই সনদে রিওয়ায়াত করেছেন। এ হাদীস উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার প্রমুখ সুহাইল (রাহঃ) হতে রিওয়ায়াত করেছেন, কিন্তু তাতে আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেননি।


ইয়াহয়া ইবনে মুসা (রাহঃ) .... আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হতে একটি দুআ আয়ত্ত করেছি, যা আমি কখনও বাদ দেই না ; “হে আল্লাহ! তুমি আমাকে বেশী পরিমাণে তোমার প্রতি শুকরিয়া প্রকাশকারী, তোমাকে অধিক স্মরণকারী, তোমার নাসিহাতের অনুসারী এবং তোমার ওয়াসিয়াত (নির্দেশ) স্মরণকারী বানাও"।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব।


ইয়াহয়া ইবনে মুসা (রাহঃ) .... আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, মহানবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে কোন ব্যক্তি আল্লাহর নিকট কোন দুআ করলে তার দুআ কবুল হয়। হয়তোবা সে দুনিয়াতেই তার ফল পেয়ে যায় অথবা তা তার আখিরাতের পাথেয় হিসেবে জমা রাখা হয় অথবা তার দুআর সম-পরিমাণ তার গুনাহ মাফ করা হয়, যতক্ষণ না সে পাপ কাজের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার দুআ করে অথবা দুআ কুবুলের জন্য তড়িতাড়ি করে। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাড়াতাড়ি করে কিভাবে? তিনি বলেনঃ সে বলে, আমি আমার আল্লাহর নিকটে দুআ করেছিলাম, কিন্তু আমার দুআ তিনি কবুল করেননি।

আবু ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সূত্রে এ হাদীসটি গারীব।


ইয়াহয়া (রাহঃ) .... আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, মহানবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে সময় কোন বান্দা তার দুই হাত উপরের দিকে উত্তোলন করে, এমনকি তার বগল খুলে আল্লাহর নিকটে কিছু প্রার্থনা করে, তখন তিনি অবশ্যই তাকে তা দেন, যদি সে তাড়াহুড়া না করে। সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তার তাড়াহুড়া কি? তিনি বললেনঃ সে বলে, আমি তো প্রার্থনা করছি, আবারও প্রার্থনা করেছি (অধিকবার প্রার্থনা করছি), কিন্তু আমাকে কিছুই দান করা হয়নি।

এ হাদীসটি যুহরী (রাহঃ) ইবনু আযহারের মুক্তদাস আবু উবাইদ হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী (ﷺ) হতে এই সনদে রিওয়ায়াত করেছেন। নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমাদের যে কারো দুআ কবুল হয়ে থাকে, যতক্ষণ না সে তড়িঘড়ি করে এবং বলে, আমি দুআ করলাম কিন্তু কবুল তো হল না।


ইয়াহয়া ইবনে মুসা (রাহঃ) .... আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা প্রসঙ্গে ভাল উপলব্ধি পোষণও আল্লাহর উত্তম ইবাদাতের অন্তর্ভুক্ত।

আবু ঈসা বলেনঃ উক্ত সনদসূত্রে এ হাদীসটি গারীব।


ইয়াহয়া ইবনে মুসা (রাহঃ) .... আবু সালামা ইবনু আবুদুর রহমান (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের যে কেউ অবশ্যই লক্ষ্য রাখবে যে, সে কি (পাওয়ার) ইচ্ছা করছে। যেহেতু সে জানেনা যে, তার চাওয়ার ভিত্তিতে তার জন্য কি লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে (তাই সর্বদা উত্তম ধারণা ও উত্তম কিছু চাইতে হবে)।

আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান।


ইয়াহয়া ইবনে মুসা (রাহঃ) .... আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমার কর্ণ ও চক্ষুর মাধ্যমে আমাকে উপকৃত কর এবং এ দু’টোকে আমার উত্তরাধিকারী কর (মৃত্যু পর্যন্ত অটুট রাখ), যে লোক আমার উপর অত্যাচার করে তার বিরুদ্ধে আমায় তুমি সহযোগিতা কর এবং তার হতে তুমি আমার প্রতিশোধ গ্রহণ কর"।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উক্ত সনদসূত্রে হাসান গারীব।


আবু দাউদ সুলায়মান ইব্‌ন আশআছ (রাহঃ)...আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকেই যেন তার প্রতিটি অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে তার রবের নিকটে প্রার্থনা করে, এমনকি তার জুতার ফিতা ছিড়ে গেলে তাও যেন তার নিকটে চায়।

আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। একাধিক রাবী এ হাদীস জাফর ইবনু সুলাইমান হতে, তিনি সাবিত আল-বুনানী হতে তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তাতে তারা আনাস (রাঃ)-এর উল্লেখ করেননি।


সালেহ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... সাবিত আল-বুনানী (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমাদের সকলেই যেন তার অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে তার রবের নিকটে প্রার্থনা করে, এমনকি তার লবণের জন্যও, এমনকি তার জুতার ফিতা ছিড়ে গেলে তার জন্যও তার নিকটে প্রার্থনা করে।
باب فِي الاِسْتِعَاذَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ اسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ اسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَاسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى قَالَ: أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ: أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَنْ قَالَ حِينَ يُمْسِي ثَلَاثَ مَرَّاتٍ: أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ، لَمْ يَضُرَّهُ حُمَةٌ تِلْكَ اللَّيْلَةَ " قَالَ سُهَيْلٌ: فَكَانَ أَهْلُنَا تَعَلَّمُوهَا فَكَانُوا يَقُولُونَهَا كُلَّ لَيْلَةٍ فَلُدِغَتْ جَارِيَةٌ مِنْهُمْ فَلَمْ تَجِدْ لَهَا وَجَعًا: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ» وَرَوَى مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، هَذَا الحَدِيثَ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَوَى عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الحَدِيثَ عَنْ سُهَيْلٍ، وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى قَالَ: أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو فَضَالَةَ الفَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْحِمْصِيِّ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: دُعَاءٌ حَفِظْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا أَدَعُهُ: «اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي أُعَظِّمُ شُكْرَكَ، وَأُكْثِرُ ذِكْرَكَ، وَأَتَّبِعُ نَصِيحَتَكَ، وَأَحْفَظُ وَصِيَّتَكَ»: «هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ»

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ قَالَ: أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ هُوَ ابْنُ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ رَجُلٍ يَدْعُو اللَّهَ بِدُعَاءٍ إِلَّا اسْتُجِيبَ لَهُ، فَإِمَّا أَنْ يُعَجَّلَ فِي الدُّنْيَا، وَإِمَّا أَنْ يُدَّخَرَ لَهُ فِي الآخِرَةِ، وَإِمَّا أَنْ يُكَفَّرَ عَنْهُ مِنْ ذُنُوبِهِ بِقَدْرِ مَا دَعَا، مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ أَوْ يَسْتَعْجِلْ». قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ يَسْتَعْجِلُ؟ قَالَ: " يَقُولُ: دَعَوْتُ رَبِّي فَمَا اسْتَجَابَ لِي ": «هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الوَجْهِ»

حَدَّثَنَا يَحْيَى قَالَ: أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ عَبْدٍ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يَبْدُوَ إِبِطُهُ يَسْأَلُ اللَّهَ مَسْأَلَةً، إِلَّا آتَاهَا إِيَّاهُ مَا لَمْ يَعْجَلْ»، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ عَجَلَتُهُ؟ قَالَ: " يَقُولُ: قَدْ سَأَلْتُ وَسَأَلْتُ وَلَمْ أُعْطَ شَيْئًا " وَرَوَى هَذَا الحَدِيثَ الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ مَوْلَى ابْنِ أَزْهَرَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يُسْتَجَابُ لِأَحَدِكُمْ مَا لَمْ يَعْجَلْ، يَقُولُ دَعَوْتُ فَلَمْ يُسْتَجَبْ لِي»

حَدَّثَنَا يَحْيَي بْنُ مُوسَى قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: أَخْبَرَنَا صَدَقَةُ بْنُ مُوسَى قَالَ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ وَاسِعٍ، عَنْ سُمَيْرِ بْنِ نَهَارٍ العَبْدِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ حُسْنَ الظَّنِّ بِاللَّهِ مِنْ حُسْنِ عِبَادَةِ اللَّهِ»: «هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الوَجْهِ»

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى قَالَ: أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لِيَنْظُرَنَّ أَحَدُكُمْ مَا الَّذِي يَتَمَنَّى فَإِنَّهُ لَا يَدْرِي مَا يُكْتَبُ لَهُ مِنْ أُمْنِيَّتِهِ»: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ»

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى قَالَ: أَخْبَرَنَا جَابِرُ بْنُ نُوحٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو فَيَقُولُ: «اللَّهُمَّ مَتِّعْنِي بِسَمْعِي وَبَصَرِي وَاجْعَلْهُمَا الوَارِثَ مِنِّي، وَانْصُرْنِي عَلَى مَنْ يَظْلِمُنِي، وَخُذْ مِنْهُ بِثَأْرِي»: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الوَجْهِ»

حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ سُلَيْمَانُ بْنُ الأَشْعَثِ السِّجْزِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا قَطَنٌ البَصْرِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لِيَسْأَلْ أَحَدُكُمْ رَبَّهُ حَاجَتَهُ كُلَّهَا حَتَّى يَسْأَلَ شِسْعَ نَعْلِهِ إِذَا انْقَطَعَ»: «هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ» وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الحَدِيثَ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ البُنَانِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ أَنَسٍ

حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ البُنَانِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لِيَسْأَلْ أَحَدُكُمْ رَبَّهُ حَاجَتَهُ حَتَّى يَسْأَلَهُ المِلْحَ، وَحَتَّى يَسْأَلَهُ شِسْعَ نَعْلِهِ إِذَا انْقَطَعَ» وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ قَطَنٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান