আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৭. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৩৩৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৭৮
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
যে সম্প্রদায় কোন এক স্থানে বসে এবং আল্লাহর যিক্র করে, তাদের ফযীলত
৩৩৭৮. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তারা সাক্ষ্য দিয়ে বলেন যে নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে সম্প্রদায় আল্লাহর যিক্র করে অবশ্যই ফিরিশতারা তাদের বেষ্টন করে নেন, রহমত তাদের আবৃত করে আর তাদের উপর সাকীনা (প্রশান্তি) নাযিল হয় এবং আল্লাহ্ তাআলা তার নিকটস্থ ফিরিশতাগণের কাছে তাদের বিষয়ে আলোচনা করেন।
ইবনে মাজাহ, মুসলিম,
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান- সহীহ।
ইবনে মাজাহ, মুসলিম,
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান- সহীহ।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي الْقَوْمِ يَجْلِسُونَ فَيَذْكُرُونَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ مَا لَهُمْ مِنَ الْفَضْلِ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَغَرِّ أَبِي مُسْلِمٍ، أَنَّهُ شَهِدَ عَلَى أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُمَا شَهِدَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَا مِنْ قَوْمٍ يَذْكُرُونَ اللَّهَ إِلاَّ حَفَّتْ بِهِمُ الْمَلاَئِكَةُ وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ وَنَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السَّكِينَةُ وَذَكَرَهُمُ اللَّهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হাদীস নং: ৩৩৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৭৯
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
যে সম্প্রদায় কোন এক স্থানে বসে এবং আল্লাহর যিক্র করে, তাদের ফযীলত
৩৩৭৯. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার ...... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ মুআবিয়া (রাযিঃ) এক দিন বের হয়ে মসজিদে এসে বললেনঃ তোমরা কি উদ্দেশ্যে বসে আছ?
লোকেরা বললঃ আমরা বসে আল্লাহর যিক্র করছি। তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! তোমরা কি এ উদ্দেশ্যেই বসেছ? তারা বললঃ আল্লাহর কসম! আমরা এ উদ্দেশ্যেই এখানে বসেছি। তিনি বললেনঃ তোমাদের প্রতি সন্দেহবশত আমি তোমাদের কসম দেইনি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে আমার যে স্থান ছিল সেই শ্রেণীর সাহাবীদের মধ্যে আমার চেয়ে কম হাদীস বর্ণনাকারী আর কেউ নেই।
শোন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার সাহাবীদের এক হালকায় (গোল হয়ে উপবিষ্ট লোকদের দলে) বের হয়ে এলেন। বললেনঃ তোমরা কি উদ্দেশ্যে বসেছ? তারা বললঃ আমরা বসে আল্লাহর যিক্র করছি। তার প্রশংসা করছি। কেননা তিনিই আমাদের ইসলামের হিদায়াত দান করেছেন এবং এই নিআমত দ্বারা আমাদের অনুগৃহীত করেছেন।
তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! এ ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে এখানে বসনি? তারা বললঃ আল্লাহর কসম! এছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে এখানে বসিনি। তিনি বললেনঃ শোন, তোমাদের প্রতি কোনরূপ সন্দেহবশত আমি তোমাদের কসম দেইনি। আমার কাছে জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) এসেছিলেন এবং আমাকে জানিয়ে গেছেন যে আল্লাহ তাআলা ফিরিশতাদের কাছে তোমাদের মর্যাদা বর্ণনা করছেন।
মুসলিম
হাদীসটি হাসান- গারীব। এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আবু না’আমা সা’দী (রাহঃ) এর নাম হল আমর ইবনে ঈসা এবং আবু উছমান নাহদী (রাহঃ) এর নাম হল আব্দুর রহমান ইবনে মাল্ল।
লোকেরা বললঃ আমরা বসে আল্লাহর যিক্র করছি। তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! তোমরা কি এ উদ্দেশ্যেই বসেছ? তারা বললঃ আল্লাহর কসম! আমরা এ উদ্দেশ্যেই এখানে বসেছি। তিনি বললেনঃ তোমাদের প্রতি সন্দেহবশত আমি তোমাদের কসম দেইনি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে আমার যে স্থান ছিল সেই শ্রেণীর সাহাবীদের মধ্যে আমার চেয়ে কম হাদীস বর্ণনাকারী আর কেউ নেই।
শোন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার সাহাবীদের এক হালকায় (গোল হয়ে উপবিষ্ট লোকদের দলে) বের হয়ে এলেন। বললেনঃ তোমরা কি উদ্দেশ্যে বসেছ? তারা বললঃ আমরা বসে আল্লাহর যিক্র করছি। তার প্রশংসা করছি। কেননা তিনিই আমাদের ইসলামের হিদায়াত দান করেছেন এবং এই নিআমত দ্বারা আমাদের অনুগৃহীত করেছেন।
তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! এ ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে এখানে বসনি? তারা বললঃ আল্লাহর কসম! এছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে এখানে বসিনি। তিনি বললেনঃ শোন, তোমাদের প্রতি কোনরূপ সন্দেহবশত আমি তোমাদের কসম দেইনি। আমার কাছে জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) এসেছিলেন এবং আমাকে জানিয়ে গেছেন যে আল্লাহ তাআলা ফিরিশতাদের কাছে তোমাদের মর্যাদা বর্ণনা করছেন।
মুসলিম
হাদীসটি হাসান- গারীব। এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আবু না’আমা সা’দী (রাহঃ) এর নাম হল আমর ইবনে ঈসা এবং আবু উছমান নাহদী (রাহঃ) এর নাম হল আব্দুর রহমান ইবনে মাল্ল।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي الْقَوْمِ يَجْلِسُونَ فَيَذْكُرُونَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ مَا لَهُمْ مِنَ الْفَضْلِ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا أَبُو نَعَامَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ خَرَجَ مُعَاوِيَةُ إِلَى الْمَسْجِدِ فَقَالَ مَا يُجْلِسُكُمْ قَالُوا جَلَسْنَا نَذْكُرُ اللَّهَ قَالَ آللَّهِ مَا أَجْلَسَكُمْ إِلاَّ ذَاكَ قَالُوا وَاللَّهِ مَا أَجْلَسَنَا إِلاَّ ذَاكَ . قَالَ أَمَا إِنِّي مَا أَسْتَحْلِفُكُمْ تُهْمَةً لَكُمْ وَمَا كَانَ أَحَدٌ بِمَنْزِلَتِي مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقَلَّ حَدِيثًا عَنْهُ مِنِّي إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَلَى حَلْقَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ " مَا يُجْلِسُكُمْ " . قَالُوا جَلَسْنَا نَذْكُرُ اللَّهَ وَنَحْمَدُهُ لِمَا هَدَانَا لِلإِسْلاَمِ وَمَنَّ عَلَيْنَا بِهِ . فَقَالَ " آللَّهِ مَا أَجْلَسَكُمْ إِلاَّ ذَاكَ " . قَالُوا آللَّهِ مَا أَجْلَسَنَا إِلاَّ ذَاكَ . قَالَ " أَمَا إِنِّي لَمْ أَسْتَحْلِفْكُمْ لِتُهْمَةٍ لَكُمْ إِنَّهُ أَتَانِي جِبْرِيلُ فَأَخْبَرَنِي أَنَّ اللَّهَ يُبَاهِي بِكُمُ الْمَلاَئِكَةَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَأَبُو نَعَامَةَ السَّعْدِيُّ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ عِيسَى وَأَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَلٍّ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: