আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৩০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩০৫
সূরা আল-মুমতাহিনা
৩৩০৫. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ..... উবাইদুল্লাহ ইবনে আবু রাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমি আলী ইবনে আবু তালিবকে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে এবং যুবাইর ও মিকদাদ ইবনে আসওয়াদকে এক অভিযানে প্রেরণ করেন। তিনি বললেন তোমরা ″রওযা এ খাখ″ নামক স্থানে যবে। সেখানে এক উষ্ট্রারহীনী মহীলা পাবে। তার কাছে একটি (গোপন) পত্র আছে। তা তার কাছ থেকে সংগ্রহ করে আমার নিকট নিয়ে আসবে। আমরা বের হয়ে পড়লাম। এবং আমাদের ঘোড়া দ্রুত ছুটিয়ে রাওযা-এ-খাখে এসে সেখানে এক উষ্ট্রারহীনী মহিলা পেলাম। আমরা বললাম পত্রটি বের কর।
সে বলল আমার সাথে কোন চিঠি নেই। আমরা বললামঃ পত্রটি বের কর নয়তো কাপড় খুলে ফেলা হবে।
আলী (রাযিঃ) বলেনঃ সে তার চুলের বেণীর ভিতর থেকে পত্রটি বের করে দিল। আমরা সেটি নিয়ে রাসুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এলাম। দেখা গেল যে হাতিব ইবনে আবু বালতা’আ এর পক্ষ থেকে মক্কার কতিপয় মুশরিকের কাছে এটি লেখা হয়েছে এবং এতে নবী (ﷺ) এর কিছু বিশেষ বিষয় (মক্কা অভিযান) সম্পর্কে তাদের অবহিত করা হয়েছে। নবী (ﷺ) তখন বললেন হে হাতিব! এটা কি?
হাতিব বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার ক্ষেত্রে (ফায়সালা দিতে) ত্বরা করবেন না। আমি মূলত কুরাইশী নই। তাদের সঙ্গে সংযুক্ত এক ব্যক্তি মাত্র। আপনার সঙ্গে যে সকল মুহাজির রয়েছেন, তাদের সবারই কুরাইশদের নিকট আত্মিয়তার সম্পর্ক আছে। এ কারণে কুরাইশরা তাদের মক্কাস্থিত পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদের হেফাজত করে থাকে। আমি চাইলাম তাদের সঙ্গে উক্ত সম্পর্ক না থাকায় যখন ঐ সুযোগ আমার নেই, তখন তাদের উপর একটা ইহসান ও দয়ার ব্যবহার করে রাখি যাতে আমার আত্মীয়-পরিজনদের তারা হেফাযত করে। এ কাজটি আমি কুফরী এবং আমার ধর্মচ্যুতি কিংবা কুফরীর প্রতি সন্তুষ্টির কারণে করিনি।
নবী (ﷺ) বললেনঃ সে সত্য কথা বলেছে। উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বললেন আমাকে ছেড়ে (অনুমতি) দিন ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই মুনাফিকটির গর্দান উড়িয়ে দেই।
নবী (ﷺ) বললেনঃ এ (হাতিব) তো বদরে হাযির ছিল। তোমার কি জানা আছে সম্ভবত আল্লাহ তাআলা বদরীদেও প্রতি নজর দিবেন এবং বলে দিবেন তোমরা যা ইচ্ছা করতে পার; তোমাদের আমি মাফ করে দিলাম। এ প্রসঙ্গে এ সূরাটি নাযিল হয়ঃ
يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ
হে মুমিনগণ! আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে না। (সূরা মুমতাহানা ৬০ঃ ১) বর্ণনানাকারী আমর (রাহঃ) বলেনঃ আমি ইবনে আবু রাফি’ (রাহঃ)-কে দেখেছি। তিনি ছিলেন আলী (রাযিঃ) এর লিপিকার।
সে বলল আমার সাথে কোন চিঠি নেই। আমরা বললামঃ পত্রটি বের কর নয়তো কাপড় খুলে ফেলা হবে।
আলী (রাযিঃ) বলেনঃ সে তার চুলের বেণীর ভিতর থেকে পত্রটি বের করে দিল। আমরা সেটি নিয়ে রাসুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এলাম। দেখা গেল যে হাতিব ইবনে আবু বালতা’আ এর পক্ষ থেকে মক্কার কতিপয় মুশরিকের কাছে এটি লেখা হয়েছে এবং এতে নবী (ﷺ) এর কিছু বিশেষ বিষয় (মক্কা অভিযান) সম্পর্কে তাদের অবহিত করা হয়েছে। নবী (ﷺ) তখন বললেন হে হাতিব! এটা কি?
হাতিব বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার ক্ষেত্রে (ফায়সালা দিতে) ত্বরা করবেন না। আমি মূলত কুরাইশী নই। তাদের সঙ্গে সংযুক্ত এক ব্যক্তি মাত্র। আপনার সঙ্গে যে সকল মুহাজির রয়েছেন, তাদের সবারই কুরাইশদের নিকট আত্মিয়তার সম্পর্ক আছে। এ কারণে কুরাইশরা তাদের মক্কাস্থিত পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদের হেফাজত করে থাকে। আমি চাইলাম তাদের সঙ্গে উক্ত সম্পর্ক না থাকায় যখন ঐ সুযোগ আমার নেই, তখন তাদের উপর একটা ইহসান ও দয়ার ব্যবহার করে রাখি যাতে আমার আত্মীয়-পরিজনদের তারা হেফাযত করে। এ কাজটি আমি কুফরী এবং আমার ধর্মচ্যুতি কিংবা কুফরীর প্রতি সন্তুষ্টির কারণে করিনি।
নবী (ﷺ) বললেনঃ সে সত্য কথা বলেছে। উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বললেন আমাকে ছেড়ে (অনুমতি) দিন ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই মুনাফিকটির গর্দান উড়িয়ে দেই।
নবী (ﷺ) বললেনঃ এ (হাতিব) তো বদরে হাযির ছিল। তোমার কি জানা আছে সম্ভবত আল্লাহ তাআলা বদরীদেও প্রতি নজর দিবেন এবং বলে দিবেন তোমরা যা ইচ্ছা করতে পার; তোমাদের আমি মাফ করে দিলাম। এ প্রসঙ্গে এ সূরাটি নাযিল হয়ঃ
يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ
হে মুমিনগণ! আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে না। (সূরা মুমতাহানা ৬০ঃ ১) বর্ণনানাকারী আমর (রাহঃ) বলেনঃ আমি ইবনে আবু রাফি’ (রাহঃ)-কে দেখেছি। তিনি ছিলেন আলী (রাযিঃ) এর লিপিকার।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمُمْتَحِنَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدٍ، هُوَ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، يَقُولُ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَالزُّبَيْرَ وَالْمِقْدَادَ بْنَ الأَسْوَدِ فَقَالَ " انْطَلِقُوا حَتَّى تَأْتُوا رَوْضَةَ خَاخٍ فَإِنَّ بِهَا ظَعِينَةً مَعَهَا كِتَابٌ فَخُذُوهُ مِنْهَا فَائْتُونِي بِهِ " . فَخَرَجْنَا تَتَعَادَى بِنَا خَيْلُنَا حَتَّى أَتَيْنَا الرَّوْضَةَ فَإِذَا نَحْنُ بِالظَّعِينَةِ فَقُلْنَا أَخْرِجِي الْكِتَابَ . فَقَالَتْ مَا مَعِي مِنْ كِتَابٍ . فَقُلْنَا لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَتُلْقِيَنَّ الثِّيَابَ . قَالَ فَأَخْرَجَتْهُ مِنْ عِقَاصِهَا . قَالَ فَأَتَيْنَا بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ مِنْ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ إِلَى نَاسٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ بِمَكَّةَ يُخْبِرُهُمْ بِبَعْضِ أَمْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا هَذَا يَا حَاطِبُ " . قَالَ لاَ تَعْجَلْ عَلَىَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ امْرَأً مُلْصَقًا فِي قُرَيْشٍ وَلَمْ أَكُنْ مِنْ أَنْفُسِهَا وَكَانَ مَنْ مَعَكَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ لَهُمْ قَرَابَاتٌ يَحْمُونَ بِهَا أَهْلِيهِمْ وَأَمْوَالَهُمْ بِمَكَّةَ فَأَحْبَبْتُ إِذْ فَاتَنِي ذَلِكَ مِنْ نَسَبٍ فِيهِمْ أَنْ أَتَّخِذَ فِيهِمْ يَدًا يَحْمُونَ بِهَا قَرَابَتِي وَمَا فَعَلْتُ ذَلِكَ كُفْرًا وَلاَ ارْتِدَادًا عَنْ دِينِي وَلاَ رِضًا بِالْكُفْرِ بَعْدَ الإِسْلاَمِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " صَدَقَ " . فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رضى الله عنه دَعْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ أَضْرِبْ عُنُقَ هَذَا الْمُنَافِقِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّهُ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا فَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ " . قَالَ وَفِيهِ أُنْزِلَتْ هَذِهِ السُّورَةُ : (يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ ) السُّورَةَ . قَالَ عَمْرُو وَقَدْ رَأَيْتُ ابْنَ أَبِي رَافِعٍ وَكَانَ كَاتِبًا لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِيهِ عَنْ عُمَرَ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ . وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ هَذَا الْحَدِيثَ نَحْوَ هَذَا وَذَكَرُوا هَذَا الْحَرْفَ فَقَالُوا لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَتُلْقِيَنَّ الثِّيَابَ . وَقَدْ رُوِيَ أَيْضًا عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ عَنْ عَلِيٍّ نَحْوُ هَذَا الْحَدِيثِ . وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ فِيهِ فَقَالَ لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَنُجَرِّدَنَّكِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৩০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩০৬
সূরা আল-মুমতাহিনা
৩৩০৬. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ (إذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ) যখন মুমিন নারীগণ আপনার কাছে বায়আত হতে আসে (সূরা মুমতাহানা ৬০ঃ ১২) আয়াতের বক্তব্যানুসারেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পরীক্ষা করতেন।
মা’মার (রাহঃ) বলেনঃ আমাকে ইবনে তাউস তার পিতা তাউস (রাহঃ) এর বারাতে আবহিত করেছেন যে, নিজ কর্তৃত্বাধীন মহিলাদের ছাড়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাত অন্য কোন মহিলার হাত স্পর্শ করে নি।
মা’মার (রাহঃ) বলেনঃ আমাকে ইবনে তাউস তার পিতা তাউস (রাহঃ) এর বারাতে আবহিত করেছেন যে, নিজ কর্তৃত্বাধীন মহিলাদের ছাড়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাত অন্য কোন মহিলার হাত স্পর্শ করে নি।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمُمْتَحِنَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْتَحِنُ إِلاَّ بِالآيَةِ الَّتِي قَالَ اللَّهُ : (إذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ ) الآيَةَ .
قَالَ مَعْمَرٌ فَأَخْبَرَنِي ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَا مَسَّتْ يَدُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَ امْرَأَةٍ إِلاَّ امْرَأَةً يَمْلِكُهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
قَالَ مَعْمَرٌ فَأَخْبَرَنِي ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَا مَسَّتْ يَدُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَ امْرَأَةٍ إِلاَّ امْرَأَةً يَمْلِكُهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৩০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩০৭
সূরা আল-মুমতাহিনা
৩৩০৭. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) .... উম্মে সালামা আনসারীয়্যা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ জনৈকা মহিলা বললঃ আমাদের নাফরমানী করা উচিত নয় বলে যে সৎকাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সেই সৎকাজটি কি? নবীজী বললেনঃ তোমরা (মৃতের জন্য) বিলাপ করবে না।
আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল! উমুক গোত্রের মেয়েরা আমার চাচার (বিলাপের) ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করেছিল। আমাকেও তো তাদের এ কাজের বদলা দিতে হবে। কিন্তু নবীজী আমাকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করলেন। আমি বার বার তাকে অনুরোধ করতে থাকলে শেষে তিনি আমাকে এর বদলা দিতে অনুমতি দেন। সেই ব্যক্তির বদলা হয়ে যাওয়ার পর থেকে এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমি কারো জন্য আর বিলাপ করিনি। ঐ মহিলাদের মধ্যে আমি ছাড়া এমন কেউ ছিল না যে বিলাপ করেনি।
আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল! উমুক গোত্রের মেয়েরা আমার চাচার (বিলাপের) ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করেছিল। আমাকেও তো তাদের এ কাজের বদলা দিতে হবে। কিন্তু নবীজী আমাকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করলেন। আমি বার বার তাকে অনুরোধ করতে থাকলে শেষে তিনি আমাকে এর বদলা দিতে অনুমতি দেন। সেই ব্যক্তির বদলা হয়ে যাওয়ার পর থেকে এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমি কারো জন্য আর বিলাপ করিনি। ঐ মহিলাদের মধ্যে আমি ছাড়া এমন কেউ ছিল না যে বিলাপ করেনি।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمُمْتَحِنَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الشَّيْبَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ شَهْرَ بْنَ حَوْشَبٍ، قَالَ حَدَّثَتْنَا أُمُّ سَلَمَةَ الأَنْصَارِيَّةُ، قَالَتْ قَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ النِّسْوَةِ مَا هَذَا الْمَعْرُوفُ الَّذِي لاَ يَنْبَغِي لَنَا أَنْ نَعْصِيَكَ فِيهِ قَالَ " لاَ تَنُحْنَ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ بَنِي فُلاَنٍ قَدْ أَسْعَدُونِي عَلَى عَمِّي وَلاَ بُدَّ لِي مِنْ قَضَائِهِنَّ فَأَبَى عَلَىَّ فَعَاتَبْتُهُ مِرَارًا فَأَذِنَ لِي فِي قَضَائِهِنَّ فَلَمْ أَنُحْ بَعْدُ عَلَى قَضَائِهِنَّ وَلاَ غَيْرِهِ حَتَّى السَّاعَةِ وَلَمْ يَبْقَ مِنَ النِّسْوَةِ امْرَأَةٌ إِلاَّ وَقَدْ نَاحَتْ غَيْرِي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَفِيهِ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ رضى الله عنها . قَالَ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ أُمُّ سَلَمَةَ الأَنْصَارِيَّةُ هِيَ أَسْمَاءُ بِنْتُ يَزِيدَ بْنِ السَّكَنِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৩০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩০৮
সূরা আল-মুমতাহিনা
৩৩০৮. সালামা ইবনে শাবীর (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) আল্লাহ তাআলার বাণীঃ (إذَا جَاءَكُمُ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ فَامْتَحِنُوهُنَّ) - প্রসঙ্গে বলেনঃ ইসলাম গ্রহণের উদ্দেশ্যে যে সকল মহিলা নবী (ﷺ) এর নিকট আসতেন, তিনি তাদের আল্লাহর নামে শপথ করাতেন যে, আমি আমার স্বামীর প্রতি বিদ্বেষবশতঃ বের হইনি। আমি আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ভালবাসা ব্যতীত আর কোন উদ্দেশ্যে বের হইনি।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمُمْتَحِنَةِ
حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ الْفِرْيَابِيُّ، حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنِ الأَغَرِّ بْنِ الصَّبَّاحِ، عَنْ خَلِيفَةَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي نَصْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ تَعَالَى : ( إذَا جَاءَكُمُ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ فَامْتَحِنُوهُنَّ ) قَالَ كَانَتِ الْمَرْأَةُ إِذَا جَاءَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لِتُسْلِمَ حَلَّفَهَا بِاللَّهِ مَا خَرَجْتُ مِنْ بُغْضِ زَوْجِي مَا خَرَجْتُ إِلاَّ حُبًّا لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান