আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
হাদীস নং: ৩২৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৭৬
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আন-নাজম
৩২৭৬. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ...... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (মি’রাজের সময়) সিদরাতুল মুন্তাহায় গিয়ে পৌছলে তাঁকে আল্লাহ্ তাআলা সেখানে এমন তিনটি জিনিস দান করলেন যা তাঁর পূর্বের আর কোন নবীকে তিনি দেননি। সিদরাতুল মুন্তাহা হল এমন একটি স্থান যেখানে পৃথিবীর যা কিছু আছে তা সেখানে উত্থিত হয় আর উর্ধলোকে যা আছে তা অবতারিত হয় সে তিনটি জিনিস হলঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হল, সূরা বাকারার শেষ আয়াতগুলো দেওয়া হল তাঁকে আর আল্লাহর সঙ্গে শিরক না করা পর্যন্ত তাঁর উম্মতের বড় বড় গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হল। ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) (إذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى) - যখন বৃক্ষটি যদ্ধারা আচ্ছদিত হওয়ার তদ্বারা ছিল আচ্ছাদিত ( সূরা নাজম ৫৩ঃ ১৬) প্রসঙ্গে বলেনঃ সিদরা বৃক্ষটি হল ষষ্ঠ আকাশে।
সুফিয়ান (রাহঃ) তাঁর হাত দিয়ে ইশারা করে তা নাড়িয়ে বললেনঃ (বৃক্ষটিকে আচ্ছাদিত করে আছে) স্বর্ণ পতঙ্গ। রাবী মালিক ইবনে মিগওয়াল (রাহঃ) ব্যতীত অন্যান্যরা বলেনঃ সিদরা পর্যন্ত গিয়েই শেষ হয়ে যায় সৃষ্টির জ্ঞান। এর উর্ধলোকের জ্ঞান তাদের নেই।
সুফিয়ান (রাহঃ) তাঁর হাত দিয়ে ইশারা করে তা নাড়িয়ে বললেনঃ (বৃক্ষটিকে আচ্ছাদিত করে আছে) স্বর্ণ পতঙ্গ। রাবী মালিক ইবনে মিগওয়াল (রাহঃ) ব্যতীত অন্যান্যরা বলেনঃ সিদরা পর্যন্ত গিয়েই শেষ হয়ে যায় সৃষ্টির জ্ঞান। এর উর্ধলোকের জ্ঞান তাদের নেই।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ وَالنَّجْمِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمَّا بَلَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سِدْرَةَ الْمُنْتَهَى قَالَ " انْتَهَى إِلَيْهَا مَا يَعْرُجُ مِنَ الأَرْضِ وَمَا يَنْزِلُ مِنْ فَوْقَ . قَالَ فَأَعْطَاهُ اللَّهُ عِنْدَهَا ثَلاَثًا لَمْ يُعْطِهِنَّ نَبِيًّا كَانَ قَبْلَهُ فُرِضَتْ عَلَيْهِ الصَّلاَةُ خَمْسًا وَأُعْطِيَ خَوَاتِمَ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَغُفِرَ لأُمَّتِهِ الْمُقْحِمَاتُ مَا لَمْ يُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا " . قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ : ( إذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى ) قَالَ السِّدْرَةُ فِي السَّمَاءِ السَّادِسَةِ . قَالَ سُفْيَانُ فَرَاشٌ مِنْ ذَهَبٍ وَأَشَارَ سُفْيَانُ بِيَدِهِ فَأَرْعَدَهَا وَقَالَ غَيْرُ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ إِلَيْهَا يَنْتَهِي عِلْمُ الْخَلْقِ لاَ عِلْمَ لَهُمْ بِمَا فَوْقَ ذَلِكَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৭৭
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আন-নাজম
৩২৭৭. আহমদ ইবনে মানী’ (রাহঃ) ..... শায়বানী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (فكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى) - তাদের মাঝে দুই ধনুকের ব্যবধান রইল বা আরো কম (সূরা নাজম ৫৩ঃ ৮) আয়াতটি প্রসঙ্গে যিরর ইবনে হুবায়শ (রাহঃ)-কে জিজ্ঞসা করেছিলাম। তিনি বললেনঃ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) আমাকে অবহিত করেছেন যে, নবী (ﷺ) জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)-কে দেখেছিলেন। তাঁর পাখা হল ছয়শ’।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ وَالنَّجْمِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، حَدَّثَنَا الشَّيْبَانِيُّ، قَالَ سَأَلْتُ زِرَّ بْنَ حُبَيْشٍ عَنْ قَوْلِهِ : (فكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى ) فَقَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ مَسْعُودٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى جِبْرِيلَ وَلَهُ سِتُّمِائَةِ جَنَاحٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৭৮
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আন-নাজম
৩২৭৮. ইবনে আবু উমর (রাহঃ)..... শাবী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। আরাফায় ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর সঙ্গে কা’ব আহবার (রাযিঃ)-এর সাক্ষাত হয়। তিনি কা’বকে একটি বিষয়ে প্রশ্ন করলে কা’ব (এত জোরে) তাকবীর ধ্বনি দেন যে, পাহাড়ে পাহাড়ে তা প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেনঃ আমরা বনু হাশিম।
কা’ব (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহ্ তাআলা তাঁর দর্শন ও কথন মুহাম্মাদ (ﷺ) ও মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর মাঝে বন্টন করে দিয়েছেন। মুসা (আলাইহিস সালাম) তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন দু’বার আর মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁকে দেখেছেন দু’বার।
মাসরূক (রাহঃ) বলেনঃ আমি পরে আয়িশা (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। মুহাম্মাদ (ﷺ) কি তাঁর রবকে দেখেছেন?
তিনি বললেনঃ তুমি এমন এক কথা উচ্চারণ করেছ যে ভয়ে আমার লোম খাড়া হয়ে গেছে। আমি বললামঃ একটু ধীরে আম্মাজান। এরপর আমি পাঠ করলামঃ (لقَدْ رَأَى مِنْ آيَاتِ رَبِّهِ الْكُبْرَى) তিনি তো তাঁর রবের মহান নিদর্শনাবলী দেখেছেন (সূরা আন-নাজম ৫৩ঃ ১৮)। তিনি বললেনঃ (আসল মর্ম ফেলে) কোথায় নিয়ে চলল তোমাকে? (তিনি যাঁকে দেখেছেন) ইনি তো হলেন জিবরাঈল। মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর রবকে দেখেছেন বা তাঁকে যে সব বিষয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সে সবের কোন কিছু গোপন করে রেখেছেন বা (إنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ) আল্লাহর কাছেই রয়েছে কিয়ামতের জ্ঞান (সূরা লুকমান ৩১ঃ ৩৪)। আয়াতে যে পাঁচটি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে সে পাঁচটি বিষয় তিনি জানেন বলে কেউ যদি তোমাকে খবর দেয় তবে সে আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দিল। আসলে তিনি জিবরাঈলকে দেখেছেন। কেবল মাত্র দু’বারই তিনি তাঁকে তাঁর আসল আকৃতিতে দেখেছিলেন। একবার সিদরাতুল মুন্তাহার কাছে। আরেকবার (মক্কার) জিয়াদ উপত্যকায়। ছয় শ, পাখা আছে তাঁর। দিগন্ত ভরাট হয়ে গিয়েছিল তখন।
কা’ব (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহ্ তাআলা তাঁর দর্শন ও কথন মুহাম্মাদ (ﷺ) ও মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর মাঝে বন্টন করে দিয়েছেন। মুসা (আলাইহিস সালাম) তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন দু’বার আর মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁকে দেখেছেন দু’বার।
মাসরূক (রাহঃ) বলেনঃ আমি পরে আয়িশা (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। মুহাম্মাদ (ﷺ) কি তাঁর রবকে দেখেছেন?
তিনি বললেনঃ তুমি এমন এক কথা উচ্চারণ করেছ যে ভয়ে আমার লোম খাড়া হয়ে গেছে। আমি বললামঃ একটু ধীরে আম্মাজান। এরপর আমি পাঠ করলামঃ (لقَدْ رَأَى مِنْ آيَاتِ رَبِّهِ الْكُبْرَى) তিনি তো তাঁর রবের মহান নিদর্শনাবলী দেখেছেন (সূরা আন-নাজম ৫৩ঃ ১৮)। তিনি বললেনঃ (আসল মর্ম ফেলে) কোথায় নিয়ে চলল তোমাকে? (তিনি যাঁকে দেখেছেন) ইনি তো হলেন জিবরাঈল। মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর রবকে দেখেছেন বা তাঁকে যে সব বিষয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সে সবের কোন কিছু গোপন করে রেখেছেন বা (إنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ) আল্লাহর কাছেই রয়েছে কিয়ামতের জ্ঞান (সূরা লুকমান ৩১ঃ ৩৪)। আয়াতে যে পাঁচটি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে সে পাঁচটি বিষয় তিনি জানেন বলে কেউ যদি তোমাকে খবর দেয় তবে সে আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দিল। আসলে তিনি জিবরাঈলকে দেখেছেন। কেবল মাত্র দু’বারই তিনি তাঁকে তাঁর আসল আকৃতিতে দেখেছিলেন। একবার সিদরাতুল মুন্তাহার কাছে। আরেকবার (মক্কার) জিয়াদ উপত্যকায়। ছয় শ, পাখা আছে তাঁর। দিগন্ত ভরাট হয়ে গিয়েছিল তখন।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ وَالنَّجْمِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ لَقِيَ ابْنُ عَبَّاسٍ كَعْبًا بِعَرَفَةَ فَسَأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ، فَكَبَّرَ حَتَّى جَاوَبَتْهُ الْجِبَالُ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّا بَنُو هَاشِمٍ . فَقَالَ كَعْبٌ إِنَّ اللَّهَ قَسَمَ رُؤْيَتَهُ وَكَلاَمَهُ بَيْنَ مُحَمَّدٍ وَمُوسَى فَكَلَّمَ مُوسَى مَرَّتَيْنِ وَرَآهُ مُحَمَّدٌ مَرَّتَيْنِ . قَالَ مَسْرُوقٌ فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَقُلْتُ هَلْ رَأَى مُحَمَّدٌ رَبَّهُ فَقَالَتْ لَقَدْ تَكَلَّمْتَ بِشَيْءٍ قَفَّ لَهُ شَعْرِي قُلْتُ رُوَيْدًا ثُمَّ قَرَأْتُ : (لقَدْ رَأَى مِنْ آيَاتِ رَبِّهِ الْكُبْرَى ) قَالَتْ أَيْنَ يُذْهَبُ بِكَ إِنَّمَا هُوَ جِبْرِيلُ مَنْ أَخْبَرَكَ أَنَّ مُحَمَّدًا رَأَى رَبَّهُ أَوْ كَتَمَ شَيْئًا مِمَّا أُمِرَ بِهِ أَوْ يَعْلَمُ الْخَمْسَ الَّتِي قَالَ اللَّهُ تَعَالَى : ( إنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ ) فَقَدْ أَعْظَمَ الْفِرْيَةَ وَلَكِنَّهُ رَأَى جِبْرِيلَ لَمْ يَرَهُ فِي صُورَتِهِ إِلاَّ مَرَّتَيْنِ مَرَّةً عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى وَمَرَّةً فِي جِيَادٍ لَهُ سِتُّمِائَةِ جَنَاحٍ قَدْ سَدَّ الأُفُقَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ وَحَدِيثُ دَاوُدَ أَقْصَرُ مِنْ حَدِيثِ مُجَالِدٍ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩২৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৭৯
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আন-নাজম
৩২৭৯. মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে নাবহান ইবনে সাফওয়ান ছাকাফী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর রবকে দেখেছেন। আমি বললামঃ আল্লাহ্ তাআলা কি বলেন নি যে, (لا تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الأَبْصَارَ) তিনি দৃষ্টির অধিগম্য নন কিন্তু দৃষ্টিশক্তি তার অধিগত(সূরা আনআম ৬ঃ ১০৩)। তিনি বললেনঃ বিনাশ হোক, এ অবস্থা হল তো তখন যখন তিনি তাঁর আসল নূরে তাজাল্লী করেন। মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর রবকে দু’বার দেখেছেন।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ وَالنَّجْمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نَبْهَانَ بْنِ صَفْوَانَ الْبَصْرِيُّ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ كَثِيرٍ الْعَنْبَرِيُّ أَبُو غَسَّانَ، حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ رَأَى مُحَمَّدٌ رَبَّهُ . قُلْتُ أَلَيْسَ اللَّهُ يَقُولُ : ( لا تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الأَبْصَارَ ) قَالَ وَيْحَكَ ذَاكَ إِذَا تَجَلَّى بِنُورِهِ الَّذِي هُوَ نُورُهُ وَقَدْ رَأَى مُحَمَّدٌ رَبَّهُ مَرَّتَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৮০
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আন-নাজম
৩২৮০. সাঈদ ইবনে ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ উমাবী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে,
ولَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً * أُخْرَى عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى ** فأوْحَى إِلَى عَبْدِهِ مَا أَوْحَى ** فكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى
নিশ্চিয় তিনি তাঁকে আরেকবার দেখেছিলেন। প্রান্তবর্তী বদরী বৃক্ষের নিকট (সূরা নাজম ৫৩ঃ ১৩-১৪)। এবং ফলে তাদের মধ্যে ব্যবধান রইল দুই ধনুকের বা আরো কম। তখন আল্লাহ্ তার বান্দার প্রতি যা ওহী করার তা ওহী করলেন (সূরা নাজম ৫৩ঃ ৯-১০) সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ নবী (ﷺ) তাঁকে (আল্লাহকে) অবশ্যই দেখেছেন।
ولَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً * أُخْرَى عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى ** فأوْحَى إِلَى عَبْدِهِ مَا أَوْحَى ** فكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى
নিশ্চিয় তিনি তাঁকে আরেকবার দেখেছিলেন। প্রান্তবর্তী বদরী বৃক্ষের নিকট (সূরা নাজম ৫৩ঃ ১৩-১৪)। এবং ফলে তাদের মধ্যে ব্যবধান রইল দুই ধনুকের বা আরো কম। তখন আল্লাহ্ তার বান্দার প্রতি যা ওহী করার তা ওহী করলেন (সূরা নাজম ৫৩ঃ ৯-১০) সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ নবী (ﷺ) তাঁকে (আল্লাহকে) অবশ্যই দেখেছেন।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ وَالنَّجْمِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِ اللَّهِ ( ولَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً * أُخْرَى عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى ) ( فأوْحَى إِلَى عَبْدِهِ مَا أَوْحَى ) (فكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى ) . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَدْ رَآهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৮১
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আন-নাজম
৩২৮১. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, (ما كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى) যা তিনি দেখেছেন তাঁর অন্তঃকরণ তা অস্বীকার করেনি (সূরা নাজম ৫৩ঃ ১১) প্রসঙ্গে তিনি বলেছেনঃ মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁকে তাঁর হৃদয়ে অবলোকন করেছেন।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ وَالنَّجْمِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، وَابْنُ أَبِي رِزْمَةَ، وَأَبُو نُعَيْمٍ عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ( ما كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى ) قَالَ رَآهُ بِقَلْبِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৮২
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আন-নাজম
৩২৮২. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ্ ইবনে শাকীক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু যর (রাযিঃ)-কে যদি পেতাম তবে একটি বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করতাম। তিনি বললেনঃ কি বিষয়ে তাঁকে তুমি জিজ্ঞাসা করতে? আমি বললামঃ তাঁকে জিজ্ঞাসা করতাম, মুহাম্মাদ (ﷺ) কি তাঁর রবকে দেখেছেন? তিনি বললেনঃ (نُورٌ أَنَّى أَرَاهُ) - তিনি (আল্লাহ) তো জ্যোতির্ময় নূর। কেমন করে দেখব আমি তাঁকে।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ وَالنَّجْمِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التُّسْتَرِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي ذَرٍّ لَوْ أَدْرَكْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْتُهُ . فَقَالَ عَمَّا كُنْتَ تَسْأَلُهُ قُلْتُ كُنْتُ أَسْأَلُهُ هَلْ رَأَى مُحَمَّدٌ رَبَّهُ فَقَالَ قَدْ سَأَلْتُهُ فَقَالَ " نُورٌ أَنَّى أَرَاهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৮৩
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আন-নাজম
৩২৮৩. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে, (ما كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى) তিনি যা দেখেছেন তাঁর অন্তঃকরণ তা অস্বীকার করেনি (সূরা নাজম ৫৩ঃ ১১) প্রসঙ্গে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ সূক্ষ্ম রেশমী হুল্লা পরিহিত অবস্থায় দেখেছেন। আকাশ ও যমীন ভরাট করে ফেলেছিলেন তিনি।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ وَالنَّجْمِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، وَابْنُ أَبِي رِزْمَةَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ (ما كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى ) قَالَ رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جِبْرِيلَ فِي حُلَّةٍ مِنْ رَفْرَفٍ قَدْ مَلأَ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৮৪
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আন-নাজম
৩২৮৪. আহমদ ইবনে উছমান আবু উছমান আল বসরী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে, (الَّذِينَ يَجْتَنِبُونَ كَبَائِرَ الإِثْمِ وَالْفَوَاحِشَ إِلاَّ اللَّمَمَ) - ছোট-খাট ত্রুটি করলেও যারা বিরত থাকে কবীরা গুনাহ ও অশ্লীল কাজ থেকে (সূরা নাজম ৩২ঃ ৩২) প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ হে আল্লাহ্, মাফ করবে যদি তবে বড় সব গুনাহ্ই মাফ করে দাও তুমি। এমন বান্দা কে আছে তোমার ছোট ছোট ত্রুটি যে নিপতিত হয় নি?
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ وَالنَّجْمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ أَبُو عُثْمَانَ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ : (الَّذِينَ يَجْتَنِبُونَ كَبَائِرَ الإِثْمِ وَالْفَوَاحِشَ إِلاَّ اللَّمَمَ ) قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنْ تَغْفِرِ اللَّهُمَّ تَغْفِرْ جَمَّا وَأَىُّ عَبْدٍ لَكَ لاَ أَلَمَّا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ زَكَرِيَّا بْنِ إِسْحَاقَ .
তাহকীক: