আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩২৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৪৮
সূরা হামীম আস-সাজদা
৩২৪৭. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ...... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বায়তুল্লাহর কাছে তিন ব্যক্তি বিতর্কে লিপ্ত হয়। এদের দু’জন কুরাইশ গোত্রের আর একজন ছাকীফী। বর্ণনান্তরে দু’জন ছাকাফী একজন কুরাইশী এদের হৃদয়ের অনুধাবন শক্তি ছিল খুবই কম আর পেটের চর্বি ছিল খুবই বেশী। তাদের একজন বললঃ আল্লাহ্ সম্পর্কে তুমি কি মনে কর, আমরা যা বলি তিনি কি তা শুনে না? অপরজন বললঃ আমরা যখন প্রকাশ্যে কথা বলি তখন তিনি তা শুনেন। আর যখন গোপনে বলি তখন তিনি তা শুনতে পান না। আরেক জন বললঃ প্রকাশ্যে বললে যদি শুনতে পান তবে তিনি গোপনে বললেও তা শুনতে পাবেন এই প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা নাযিল করেনঃ
ومَا كُنْتُمْ تَسْتَتِرُونَ أَنْ يَشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلاَ أَبْصَارُكُمْ وَلاَ جُلُودُكُمْ
তোমাদের কর্ণ, চক্ষু এবং ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না এই বিশ্বাসে তোমরা কিছুই গোপন করতে না (সূরা আস-সাজদা ৪১ঃ ২২)।
ومَا كُنْتُمْ تَسْتَتِرُونَ أَنْ يَشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلاَ أَبْصَارُكُمْ وَلاَ جُلُودُكُمْ
তোমাদের কর্ণ, চক্ষু এবং ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না এই বিশ্বাসে তোমরা কিছুই গোপন করতে না (সূরা আস-সাজদা ৪১ঃ ২২)।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ حم السَّجْدَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ اخْتَصَمَ عِنْدَ الْبَيْتِ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ قُرَشِيَّانِ وَثَقَفِيٌّ أَوْ ثَقَفِيَّانِ وَقُرَشِيٌّ قَلِيلاً فِقْهُ قُلُوبِهِمْ كَثِيرًا شَحْمُ بُطُونِهِمْ فَقَالَ أَحَدُهُمْ أَتَرَوْنَ أَنَّ اللَّهَ يَسْمَعُ مَا نَقُولُ فَقَالَ الآخَرُ يَسْمَعُ إِذَا جَهَرْنَا وَلاَ يَسْمَعُ إِذَا أَخْفَيْنَا . وَقَالَ الآخَرُ إِنْ كَانَ يَسْمَعُ إِذَا جَهَرْنَا فَإِنَّهُ يَسْمَعُ إِذَا أَخْفَيْنَا . فَأَنْزَلَ اللَّهُ : ( ومَا كُنْتُمْ تَسْتَتِرُونَ أَنْ يَشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلاَ أَبْصَارُكُمْ وَلاَ جُلُودُكُمْ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩২৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৪৯
সূরা হামীম আস-সাজদা
৩২৪৮. হান্নাদ (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কাবা শরীফের পর্দায় লুক্কায়িত ছিলাম। এমন সময় তিনজন লোক এল। এদের পেট ছিল খুবই মেদবহুল কিন্তু হৃদয়ের অনুধাবন শক্তি ছিল খূবই কম। এর একজন ছিল কুরাইশী অপর দুই জন ছিল ছাকাফী গোত্রীয় এবং তার জামাতা। কিংবা এক জন ছিল ছাকাফী, দুই জন ছিল কুরাইশী গোত্রীয় এবং তার জামাতা। তারা এমন সক কথা আলোচনা করল যা আমি বুঝতে পারিনি। এরপর তাদের এক জন বললঃ তোমরা আল্লাহ্ সম্পর্কে কি মনে কর, তিনি কি আমাদের এই কথাবার্তা শুনতে পান? অপর জন বললঃ আমরা যখন সশব্দে বলি তখন তিনি তা শুনতে পান, আর যখন আমাদের আওয়াজ উচ্চ না করি তখন তিনি তা শুনতে পান না। আরেক জন বললঃ তিনি যদি কিছু শুনতেই পান তা হলে তো পুরোপুরিই শুনতে পান।
আব্দুল্লহ্ (রাযিঃ) বলেনঃ আমি এই বিষয়েটি নবী (ﷺ) এর নিকট আলোচনা করি। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ
ومَا كُنْتُمْ تَسْتَتِرُونَ أَنْ يَشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلاَ أَبْصَارُكُمْ وَلاَ جُلُودُكُمْ إِلَى قَوْلِهِ : أَصْبَحْتُمْ مِنَ الْخَاسِرِينَ
তোমাদের কর্ণ, চক্ষু এবং ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না এই বিশ্বাসে তোমরা কিছু গোপন করতে না। উপরন্তু তোমরা মনে করতে যে, তোমরা যা করতে তার অনেক কিছুই আল্লাহ্ জানেন না। তোমাদের রব সম্পর্কে তোমাদের এই ধারণাই তোমাদের ধ্বংস এনেছে। ফলে তোমরা হয়েছ ক্ষতিগ্রস্থ (সূরা আস-সাজদা ৪১ঃ ২২-২৩)।
মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আব্দুল্লহ্ (রাযিঃ) বলেনঃ আমি এই বিষয়েটি নবী (ﷺ) এর নিকট আলোচনা করি। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ
ومَا كُنْتُمْ تَسْتَتِرُونَ أَنْ يَشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلاَ أَبْصَارُكُمْ وَلاَ جُلُودُكُمْ إِلَى قَوْلِهِ : أَصْبَحْتُمْ مِنَ الْخَاسِرِينَ
তোমাদের কর্ণ, চক্ষু এবং ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না এই বিশ্বাসে তোমরা কিছু গোপন করতে না। উপরন্তু তোমরা মনে করতে যে, তোমরা যা করতে তার অনেক কিছুই আল্লাহ্ জানেন না। তোমাদের রব সম্পর্কে তোমাদের এই ধারণাই তোমাদের ধ্বংস এনেছে। ফলে তোমরা হয়েছ ক্ষতিগ্রস্থ (সূরা আস-সাজদা ৪১ঃ ২২-২৩)।
মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ حم السَّجْدَةِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ كُنْتُ مُسْتَتِرًا بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ فَجَاءَ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ كَثِيرٌ شَحْمُ بُطُونِهِمْ قَلِيلٌ فِقْهُ قُلُوبِهِمْ قُرَشِيٌّ وَخَتَنَاهُ ثَقَفِيَّانِ أَوْ ثَقَفِيٌّ وَخَتَنَاهُ قُرَشِيَّانِ فَتَكَلَّمُوا بِكَلاَمٍ لَمْ أَفْهَمْهُ فَقَالَ أَحَدُهُمْ أَتُرَوْنَ أَنَّ اللَّهَ يَسْمَعُ كَلاَمَنَا هَذَا فَقَالَ الآخَرُ إِنَّا إِذَا رَفَعْنَا أَصْوَاتَنَا سَمِعَهُ وَإِذَا لَمْ نَرْفَعْ أَصْوَاتَنَا لَمْ يَسْمَعْهُ فَقَالَ الآخَرُ إِنْ سَمِعَ مِنْهُ شَيْئًا سَمِعَهُ كُلَّهُ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَنْزَلَ اللَّهُ : ( ومَا كُنْتُمْ تَسْتَتِرُونَ أَنْ يَشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلاَ أَبْصَارُكُمْ وَلاَ جُلُودُكُمْ ) إِلَى قَوْلِهِ : (أَصْبَحْتُمْ مِنَ الْخَاسِرِينَ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، نَحْوَهُ .
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، نَحْوَهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান