আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩১৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৭৭
সূরা নূর
৩১৭৭. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) .... আমর ইবনে শুআয়ব তার পিতা তার পিতামহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মারছাদ ইবনে আবু মারছাদ নামে এক ব্যক্তি ছিল। সে বন্দীদের বহন করে মদীনায় নিয়ে আসত। রাবী বলেন, মক্কায় ছিল এক ব্যভিচারিণী নারী। তার নাম ছিল ’আনাক। সে ছিল মারছাদের বান্ধবী। একবার মারছাদ মক্কার জনৈক বন্দীকে বহন করে নিয়ে যাওয়ার ওয়াদা করে।

মারছাদ বলেন, এক চাঁদনী রাতে আমি এলাম এবং মক্কার দেওয়ালসমূহের এক দেওয়ালের ছায়ায় এসে পৌঁছলাম। তখন আনাক এল এবং উক্ত দেওয়ালের পার্শ্বে আমার ছায়া আকৃতি দেখতে পেল। সে আমার নিকটবর্তী হয়ে আমাকে চিনতে পারল। তখন সে বলল, মারছাদ? আমি বললামঃ মারছাদ।

সে বললঃ শুভেচ্ছা, স্বীয় পরিজনের কাছে আসলে। এস, আমাদের কাছেই আজ রাত্রি যাপন করবে। সে বলল, আমি বললামঃ হে আনাক, আল্লাহ তাআলা যিনা হারাম করে দিয়েছে।

সে তখন (চিৎকার করে) বলতে লাগল, হে খিমাবাসিগণ, এ লোকটি তোমাদের বন্দীদের বহন করে নিয়ে যায়।

তখন আটজন লোক আমাকে পশ্চাৎধাবন করে। আমি দৌড়ে খুন্দামা পাহাড়ে গেলাম, একটি গুহায় আত্মগোপন করলাম। এরা পেছনে পেছনে এসে আমার মাথার উপর দাঁড়িয়ে গেল। তারপর এরা পেশাব করলে আমার মাথায় তাদের পেশাব গিয়ে পড়তে লাগল কিন্তু আল্লাহ্ তাআলা আমার থেকে তাদের অন্ধ করে রাখলেন, (তারা আমাকে দেখল না)। পরে তারা ফিরে গেল। তখন আমি আমার ওয়াদাকৃত লোকটির কাছে ফিরে এলাম এবং তাকে বহন করে নিয়ে চললাম। সে ছিল বেশ ভারী। তারপর ইযখীর ঘাসের জঙ্গলে পৌঁছে তার বেল্টগুলো খুলে দিলাম। অতিকষ্টে তাকে বয়ে নিতে লাগলাম। অবশেষে মদীনায় পৌঁছলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আনাককে বিয়ে করে নিব? কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নীরব রইলেন। আমাকে কোন উত্তর দিলেন না। অবশেষে নাযিল হলঃ

الزَّانِي لاَ يَنْكِحُ إِلاَّ زَانِيَةً أَوْ مُشْرِكَةً وَالزَّانِيَةُ لاَ يَنْكِحُهَا إِلاَّ زَانٍ أَوْ مُشْرِكٌ وَحُرِّمَ ذَلِكَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ

ব্যভিচারী, ব্যভিচারিণী বা মুশরিক নারীকে ছাড়া বিয়ে করে না এবং ব্যভিচারিণী - তাকে ব্যভিচারী বা মুশরিক ছাড়া কেউ বিয়ে করে না।

রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে বললেনঃ হে মারছাদ, ব্যভিচারী ব্যভিচারিণী বা মুশরিক নারী ভিন্ন কাউকে বিয়ে করবে না আর ব্যভিচারিণীও ব্যভিচারী বা মুশরিক ভিন্ন কাউকে বিয়ে করবে না। সুতরাং তুমি তাকে (আনাককে) বিয়ে করতে পার না।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النُّورِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الأَخْنَسِ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ مَرْثَدُ بْنُ أَبِي مَرْثَدٍ وَكَانَ رَجُلاً يَحْمِلُ الأَسْرَى مِنْ مَكَّةَ حَتَّى يَأْتِيَ بِهِمُ الْمَدِينَةَ قَالَ وَكَانَتِ امْرَأَةٌ بَغِيٌّ بِمَكَّةَ يُقَالُ لَهَا عَنَاقُ وَكَانَتْ صَدِيقَةً لَهُ وَإِنَّهُ كَانَ وَعَدَ رَجُلاً مِنْ أُسَارَى مَكَّةَ يَحْمِلُهُ قَالَ فَجِئْتُ حَتَّى انْتَهَيْتُ إِلَى ظِلِّ حَائِطٍ مِنْ حَوَائِطِ مَكَّةَ فِي لَيْلَةٍ مُقْمِرَةٍ . قَالَ فَجَاءَتْ عَنَاقُ فَأَبْصَرَتْ سَوَادَ ظِلِّي بِجَنْبِ الْحَائِطِ فَلَمَّا انْتَهَتْ إِلَىَّ عَرَفَتْهُ فَقَالَتْ مَرْثَدُ فَقُلْتُ مَرْثَدُ . فَقَالَتْ مَرْحَبًا وَأَهْلاً هَلُمَّ فَبِتْ عِنْدَنَا اللَّيْلَةَ . قَالَ قُلْتُ يَا عَنَاقُ حَرَّمَ اللَّهُ الزِّنَا . قَالَتْ يَا أَهْلَ الْخِيَامِ هَذَا الرَّجُلُ يَحْمِلُ أَسْرَاكُمْ . قَالَ فَتَبِعَنِي ثَمَانِيَةٌ وَسَلَكْتُ الْخَنْدَمَةَ فَانْتَهَيْتُ إِلَى كَهْفٍ أَوْ غَارٍ فَدَخَلْتُ فَجَاءُوا حَتَّى قَامُوا عَلَى رَأْسِي فَبَالُوا فَطَلَّ بَوْلُهُمْ عَلَى رَأْسِي وَأَعْمَاهُمُ اللَّهُ عَنِّي . قَالَ ثُمَّ رَجَعُوا وَرَجَعْتُ إِلَى صَاحِبِي فَحَمَلْتُهُ وَكَانَ رَجُلاً ثَقِيلاً حَتَّى انْتَهَيْتُ إِلَى الإِذْخِرِ فَفَكَكْتُ عَنْهُ كَبْلَهُ فَجَعَلْتُ أَحْمِلُهُ وَيُعِينُنِي حَتَّى قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْكِحُ عَنَاقًا مَرَّتَيْنِ فَأَمْسَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَرُدَّ عَلَىَّ شَيْئًا حَتَّى نَزَلَتِ : (الزَّانِي لاَ يَنْكِحُ إِلاَّ زَانِيَةً أَوْ مُشْرِكَةً وَالزَّانِيَةُ لاَ يَنْكِحُهَا إِلاَّ زَانٍ أَوْ مُشْرِكٌ وَحُرِّمَ ذَلِكَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ ) فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا مَرْثَدُ الزَّانِي لاَ يَنْكِحُ إِلاَّ زَانِيَةً أَوْ مُشْرِكَةً وَالزَّانِيَةُ لاَ يَنْكِحُهَا إِلاَّ زَانٍ أَوْ مُشْرِكٌ فَلاَ تَنْكِحْهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩১৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৭৮
সূরা নূর
৩১৭৮. হান্নাদ (রাহঃ) ...... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মুসআব ইবনে যুবাইর (রাহঃ)-এর আমীর থাকা কালে আমাকে লিআন কারীদ্বয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, এই দুই জনের মাঝে বিচ্ছেদ করে দেওয়া হবে কি না! কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম না, কি বলব, তখন আমি আমার বাসস্থান থেকে আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর বাড়ি গেলাম এবং তাঁর নিকট প্রবেশের অনুমতি চাইলাম, আমাকে বলা হল তিনি দুপুরের বিশ্রাম নিচ্ছেন। (ইতিমধ্যে) তিনি আমার কথা শুনতে পেয়ে বললেনঃ ইবনে জুবাইর? ভিতরে এস, অবশ্য বিশেষ প্রয়োজনই তোমাকে নিয়ে এসেছে। ভিতরে প্রবেশ করে দেখি তিনি তাঁর হাওদার একটি ছাল বিছিয়ে শুয়ে আছেন। আমি বললামঃ হে আবু আব্দির রহমান, লিআন কারী স্বামী-স্ত্রীকে পরস্পর বিচ্ছেদ করে দিতে হবে কি?

তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ্, হ্যাঁ। প্রথম এই বিষয়ে অমুকের পুত্র অমুক প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি নবী (ﷺ) এর কাছে এসে বলেছিলেন। ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আমাদের কেউ যদি তার স্ত্রীকে অশ্লীল কাজে লিপ্ত দেখে তবে সে কি করবে? যদি কিছু বলে, তবে তো তাকে সাংঘাতিক কথা বলতে হবে, আর যদি চুপ করে থাকে তবেও সাংঘাতিক এক বিষয়ে সে চুপ রইল।

নবী (ﷺ) চুপ করে রইলেন। তাকে তিনি উত্তর দিলেন না। পরে সে প্রশ্নকর্তা আবার নবী (ﷺ) এর কাছে এসে বললেনঃ যে বিষয়ে আপনাকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম আমি নিজেই তাতে নিপতিত। তখন আল্লাহ্ তাআলা সূরা নূর নাযিল করেনঃ

والَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ

রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঐ ব্যক্তিটিকে ডাকলেন এবং তাকে এই আয়াতগুলি তেলাওয়াত করে শুনালেন। তিনি তাঁকে নসীহত করলেন। উপদেশ দিলেন এবং অবহিত করলেন যে, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের আযাবের তুলনায় সহজতর, তখন লোকটি বলল: না, কসম ঐ সত্তার যিনি সত্যসহ আপনাকে প্রেরণ করেছেন, আমি এই মহিলা সম্পর্কে মিথ্যা বলিনি।

এরপর নবী (ﷺ) মেয়েটির দিকে ফিরলেন, তাকে ওয়াজ করলেন, উপদেশ দিলেন এবং অবহিত করলেন যে, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের আযাবের তুলনায় সহজতর। সে বললঃ না কসম ঐ সত্তার, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন! এই পুরুষ সত্য কথা বলে নি।

তারপর নবী (ﷺ) পুরুষটির থেকে লিআন শুরু করলেন। সে চারবার আল্লাহর নামে শপথ করে এই কথার সাক্ষ্য দিল যে, সে সত্যবাদী। পঞ্চম বার বললঃ সে যদি মিথ্যাবাদী হয় তবে যেন তার উপর আল্লাহর লা’নত হয়। অতঃপর মহিলাটির দিকে ফিরলেন। সেও চারবার আল্লাহর নামে কসম করে সাক্ষ্য দিল যে, পুরুষটি মিথ্যাবাদী। পঞ্চম বারে বলল, পুরুষটি যদি সত্যবাদী হয় তবে যেন তার উপর আল্লাহর গযব হয়। এরপর নবী (ﷺ) তাদের উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النُّورِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ سُئِلْتُ عَنِ الْمُتَلاَعِنَيْنِ، فِي إِمَارَةِ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا فَمَا دَرَيْتُ مَا أَقُولُ فَقُمْتُ مِنْ مَكَانِي إِلَى مَنْزِلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَاسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ فَقِيلَ لِي إِنَّهُ قَائِلٌ فَسَمِعَ كَلاَمِي فَقَالَ لِي ابْنَ جُبَيْرٍ ادْخُلْ مَا جَاءَ بِكَ إِلاَّ حَاجَةٌ قَالَ فَدَخَلْتُ فَإِذَا هُوَ مُفْتَرِشٌ بَرْدَعَةَ رَحْلٍ لَهُ فَقُلْتُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُتَلاَعِنَانِ أَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا فَقَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ نَعَمْ إِنَّ أَوَّلَ مَنْ سَأَلَ عَنْ ذَلِكَ فُلاَنُ بْنُ فُلاَنٍ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ أَحَدَنَا رَأَى امْرَأَتَهُ عَلَى فَاحِشَةٍ كَيْفَ يَصْنَعُ إِنْ تَكَلَّمَ تَكَلَّمَ بِأَمْرٍ عَظِيمٍ وَإِنْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى أَمْرٍ عَظِيمٍ قَالَ فَسَكَتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُجِبْهُ فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ الَّذِي سَأَلْتُكَ عَنْهُ قَدِ ابْتُلِيتُ بِهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ هَذِهِ الآيَاتِ فِي سُورَةِ النُّورِ : (والَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ ) حَتَّى خَتَمَ الآيَاتِ قَالَ فَدَعَا الرَّجُلَ فَتَلاَهُنَّ عَلَيْهِ وَوَعَظَهُ وَذَكَّرَهُ وَأَخْبَرَهُ أَنَّ عَذَابَ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ عَذَابِ الآخِرَةِ فَقَالَ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا كَذَبْتُ عَلَيْهَا . ثُمَّ ثَنَّى بِالْمَرْأَةِ وَوَعَظَهَا وَذَكَّرَهَا وَأَخْبَرَهَا أَنَّ عَذَابَ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ عَذَابِ الآخِرَةِ فَقَالَتْ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا صَدَقَ . فَبَدَأَ بِالرَّجُلِ فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ وَالْخَامِسَةَ أَنَّ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ ثُمَّ ثَنَّى بِالْمَرْأَةِ فَشَهِدَتْ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الْكَاذِبِينَ وَالْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ ثُمَّ فَرَّقَ بَيْنَهُمَا . وَفِي الْبَابِ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩১৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৭৯
সূরা নূর
৩১৭৯. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হিলাল ইবনে উমাইয়া তাঁর স্ত্রীকে শারীক ইবনে সাহমার সঙ্গে জড়িয়ে নবী (ﷺ) এর কাছে যিনার অপবাদ দেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ সাক্ষী পেশ কর। নইলে তোমার পিঠে হদ প্রয়োগ করা হবে।

হিলাল (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কেউ যদি তার স্ত্রীর উপর কোন ব্যক্তিকে আপতিত দেখতে পায় তবে কি সে সাক্ষী তালাশ করতে যায়? কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বলতে লাগলেনঃ সাক্ষী আন। নইলে তোমার পিঠে হদ প্রয়োগ করা হবে।

হিলাল (রাযিঃ) বললেনঃ কসম সেই সত্তার যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন। আমি অবশ্যই সত্যবাদী। আমার এই বিষয়ে অবশ্যই আল্লাহ্ তাআলা এমন কিছু নাযিল করবেন যদ্বারা হদ প্রয়োগ থেকে আমার পিঠ বেঁচে যাবে। অনন্তর আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ

والَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ

নবী (ﷺ) এদের দুই জনকে ডেকে নিয়ে আসলেন। হিলাল ইবনে উমাইয়া (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিলেন, নবী (ﷺ) বলছিলেনঃ আল্লাহ্ তাআলা জানেন তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। সুতরাং তোমাদের মাঝে তওবা করার কেউ আছে কি?

এরপর মেয়েটি দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দেয়। পঞ্চম বারে যখন ’‘পুরুষটি যদি সত্যবাদী হয় তবে তার (মেয়েটির) উপর আল্লাহর গযব আপতিত হোক’’, বলার সময় এল তখন উপস্থিত লোকেরা বললঃ এ গযব অবশ্যম্ভাবী হবে।

ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ মেয়েটি তখন থেমে গেল এবং মাথা নীচু করে ফেলল। এমন কি আমাদের ধারণা হয় যে, সে বুঝি তার কথা প্রত্যাহার করবে। এরপর সে বললঃ আমি আমার কওমকে সকল সময়ের জন্য বেইজ্জত করতে পারি না।

নবী (ﷺ) বললেনঃ মেয়েটিকে লক্ষ্য কর। সে যদি সুরমা টানা দু’চোখ, ভারী নিতম্ব এবং সুস্পষ্ট জংঘা বিশিষ্ট বাচ্চা প্রসব করে তবে শারীক ইবনে সাহমার। শেষে মেয়েটি এই ধরণের বাচ্চা প্রসব করে। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ এই বিষয়ে কিতাবুল্লাহর বিধান যদি আগে থেকেই না থাকত তবে এই মেয়েটির ক্ষেত্রে আমাদের একটা দৃষ্টান্তমূলক বিষয় ঘটত।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النُّورِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنِي عِكْرِمَةُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ هِلاَلَ بْنَ أُمَيَّةَ، قَذَفَ امْرَأَتَهُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِشَرِيكِ بْنِ السَّحْمَاءِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْبِيِّنَةَ وَإِلاَّ حَدٌّ فِي ظَهْرِكَ " . قَالَ فَقَالَ هِلاَلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا رَأَى أَحَدُنَا رَجُلاً عَلَى امْرَأَتِهِ أَيَلْتَمِسُ الْبَيِّنَةَ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْبَيِّنَةَ وَإِلاَّ حَدٌّ فِي ظَهْرِكَ " . قَالَ فَقَالَ هِلاَلٌ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ إِنِّي لَصَادِقٌ وَلَيَنْزِلَنَّ فِي أَمْرِي مَا يُبَرِّئُ ظَهْرِي مِنَ الْحَدِّ فَنَزَلَ : (والَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ ) فَقَرَأَ حَتَّى بَلَغَ : ( والْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ ) قَالَ فَانْصَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمَا فَجَاءَا فَقَامَ هِلاَلُ بْنُ أُمَيَّةَ فَشَهِدَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ أَنَّ أَحَدَكُمَا كَاذِبٌ فَهَلْ مِنْكُمَا تَائِبٌ " . ثُمَّ قَامَتْ فَشَهِدَتْ فَلَمَّا كَانَتْ عِنْدَ الْخَامِسَةِ : ( أنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ ) قَالُوا لَهَا إِنَّهَا مُوجِبَةٌ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَتَلَكَّأَتْ وَنَكَسَتْ حَتَّى ظَنَنَّا أَنْ سَتَرْجِعُ فَقَالَتْ لاَ أَفْضَحُ قَوْمِي سَائِرَ الْيَوْمِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَبْصِرُوهَا فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَكْحَلَ الْعَيْنَيْنِ سَابِغَ الأَلْيَتَيْنِ خَدَلَّجَ السَّاقَيْنِ فَهُوَ لِشَرِيكِ بْنِ السَّحْمَاءِ " . فَجَاءَتْ بِهِ كَذَلِكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَوْلاَ مَا مَضَى مِنْ كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ لَكَانَ لَنَا وَلَهَا شَأْنٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ وَهَكَذَا رَوَى عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَاهُ أَيُّوبُ عَنْ عِكْرِمَةَ مُرْسَلاً وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
হাদীস নং:৩১৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৮০
সূরা নূর
৩১৮০. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার সম্পর্কে যখন অপবাদ রটনা হচ্ছিল অথচ এর কিছুই আমি জানতাম না। তখন একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ভাষণ দিতে দাঁড়ালেন। তিনি তাশাহহুদ পাঠ করলেন। আল্লাহর যথোপযুক্ত হামদ ও ছানা করলেন। পরে বললেনঃ আম্মা বাদ, এই সব লোকদের বিষয়ে তোমরা আমাকে পরামর্শ দাও যারা আমার স্ত্রী সম্পর্কে অপবাদ রটাচ্ছে। অথচ আল্লাহর কসম, আমার স্ত্রীর সম্পর্কে কখনও মন্দ কিছু আমি জানি না। এরা এমন এক ব্যক্তিকে জড়িয়ে অপবাদ দিচ্ছে আল্লাহর কসম, তার সম্পর্কেও আমি মন্দ বলতে কখনো কিছু জানি না। আর আমার উপস্থিতি ভিন্ন সে আমার ঘরে কোন দিন আসেনি। কোন সফর ব্যাপদেশে আমি যখন অনুপস্থিত থেকেছি সে-ও আমার সঙ্গেই অনুপস্থিত থেকেছে।

সা’দ ইবনে মুআয উঠে দাঁড়ালেন। বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এদের গর্দান উড়িয়ে দিতে আপনি আমাকে অনুমতি দিন। খাযরাজ কাবীলার জনৈক ব্যক্তি উঠে দাঁড়াল। হাসসান ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) (যিনি প্রোপাগান্ডায় প্রভাবিত হয়ে রটনাকারীদের মধ্যে শামিল হয়ে পড়েছিলেন)-এর মা ছিলেন ঐ ব্যক্তিটির কাবীলার, সে বললঃ তুমি ঠিক বলনি। আওস গোত্রের যদি কোন ব্যক্তি হত তবে আর তাদের গর্দানে আঘাত করা তুমি পছন্দ করতে না।

শেষে আওস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয়ের মাঝে সমজিদেই মন্দ পরিস্থিতি সৃষ্টির উপক্রম হয়ে দাঁড়াল। অথচ আমি কিছুই জানতে পারি নি। ঐ দিন বিকালে আমি আমার কোন (প্রাকৃতিক) প্রয়োজনে বের হই। আমার সঙ্গে ছিলেন মিসতাহ-এর মা। হঠাৎ তাঁর পা পিছলে যায়। তিনি বলে উঠলেনঃ মিসতাহ ধ্বংস হোক।

আমি বললামঃ হে মা, আপনি আপনার পুত্রকে ভৎর্সনা করছেন? তিনি চুপ রইলেন। দ্বিতীয়বার তাঁর পা পিছলে যায়। তিনি বললেনঃ মিসতাহ-এর ধ্বংস হোক।

আমি তাঁকে বললামঃ হে মা, আপনি আপনার পুত্রকে ভৎর্সনা করছেন?

তিনি চুপ করে গেলেন। এরপর তৃতীয়বার তাঁর পা জড়িয়ে যায়। তিনি বললেনঃ মিসতাহ-এর ধ্বংস হোক। আমি এইবার তাঁকে ধমক দিয়ে বললামঃ হে মা, আপনি আপনার পুত্রকে ভৎর্সনা করছেন?

তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম, তোমার জন্যই তো তাকে ভৎর্সনা করছি।

আমি বললাম আমার কি বিষয়ে?

তিনি তখন আমার কাছে পুরা বিষয়টি খুলে বললেন। আমি বললাম, এই ধরনের কথা হয়েছে!

তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহর কসম!

আমি আমার ঘরে ফিরে আসলাম। যে বিষয়ে বের হয়েছিলাম সে জন্য বেরই হই নি। কম বা বেশী কোন প্রয়োজনই টের পাচ্ছিলাম না। আমি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়লাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে বললামঃ আমাকে আমার পিতার বাড়ি পাঠিয়ে দিন। তিনি আমার সঙ্গে একটি বালককে পাঠিয়ে দিলেন। আমি ঘরে প্রবেশ করলাম এবং উম্মু রূমান (আয়িশা (রাযিঃ)-এর মা)-কে নীচে পেলাম। আর আবু বকর (রাযিঃ) উপরে (কুরআন) তিলাওয়াত করছিলেন। আমার মা আমাকে বললেনঃ প্রিয় কন্যা, কি জন্য এসেছ?

আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি তাকে অবহিত করলাম এবং তাঁকে ঘটনা বর্ণনা করলাম। দেখি যে খবরটি তাঁর কাছে সেভাবে আছর করেনি আমার উপর যেভাবে আছর করেছে। তিনি বললেনঃ হে প্রিয় কন্যা, বিষয়টি তোমার জন্য একটু হালকা করে দেখ। কেননা, আল্লাহর কসম, মহিলা যদি সুন্দরী হয় এবং স্বামী যদি তাকে ভালবাসে আর তার যদি কতিপয় সতীন থাকে তবে খুব কমই সে হিংসা থেকে বাঁচতে পারে। তার সম্বন্ধে (কিছু কিছু কথার) রটনা হয়েই থাকে।

যা হোক, যখন দেখলাম যে, আমার কাছে খবরটির যে প্রভাব পৌঁছেছে তাঁর উপর সে প্রভাব পড়েনি, তিনি বলেন, তখন তাঁকে আমি বললাম, আমার পিতাকে তা জানান হয়েছে কি?

তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমি বললামঃ আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমি কান্নাকাটি করতে লাগলাম।

আবু বকর (রাযিঃ) আমার আওয়াজ শুনতে পেলেন। তিনি ঘরের উপর কুরআন তিলাওয়াত করছিলেন। তিনি নীচে নেমে এলেন এবং আমার মাকে বললেনঃ এর ব্যাপার কি? তিনি বললেনঃ এর বিষয়ে যে রটনা চলছে তা তার কাছে পৌঁছে গেল। আবু বকর (রাযিঃ)-এর দুই চোখ বেয়ে অশ্রু নেমে এল। তিনি বললেনঃ হে প্রিয় কন্যা, তোমার উপর কসম দিয়ে বলছি অবশ্য তুমি তোমার বাড়ি ফিরে যাও।

অনন্তর আমি ফিরে আসলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার ঘরে এলেন এবং আমার সম্পর্কে তিনি আমার খাদিমকে জিজ্ঞাসা করলেন। সে বলল, আল্লাহর কসম, তাঁর কোন ধরনের কোন দোষ আছে বলে আমি জানি না। তবে তিনি এত সরলা যে, অনেক সময় তিনি ঘুমিয়ে পড়েন আর বকরী তাঁর আটার খামির খেয়ে ফেলে। তখন কোন সাহাবী খাদিমা মেয়েটিকে ধমক দিয়ে বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সঙ্গে সত্য কথা বল। এমনকি তিনি এই বিষয়ে তাকে গালাগালিও করলেন। খাদিমা মেয়েটি তখন বিস্ময় প্রকাশ করে বলল, সুবহানাল্লাহ্, আল্লাহর কসম, স্বর্ণকার লাল স্বর্ণের খাঁটিত্ব সম্পর্কে যতটুকু জানে আমিও এই মহিলার নির্দোষ হওয়া সম্পর্কে ততটুকু জানি।

যে পুরুষটিকে জড়িয়ে এই অপবাদ দেওয়া হয়েছিল তার কাছে যখন বিষয়টি পৌঁছল তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ্, আল্লাহর কসম, আমি তো কখনও কোন মহিলার অর্ন্তবাস খুলিনি!

আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, ইনি পরে আল্লাহর পথে শহীদ হন।

তিনি আরো বলেন, সকালে আমার পিতা-মাতা আমার কাছে এলেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর আসা পর্যন্ত তাঁরা আমার কাছেই থাকলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার কাছে এলেন এবং আসরের নামাযআদায় করলেন। তারপর তিনি আমার কাছে এলেন। আমার পিতা এবং মাতা আমার ডান পাশে আমাকে ঘিরে বসেছিলেন।

নবী (ﷺ) তাশাহহুদ পাঠ করলেন এবং আল্লাহ্ তাআলার যথোপযুক্ত হামদ ও ছানা করলেন। এরপর বললেনঃ আম্মা বাদ, হে আয়িশা, যদি কোন মন্দ কিছু তোমার হয়ে গিয়ে থাকে বা নিজের উপর কোন যুলুম করে থাক তবে তুমি আল্লাহর কাছে তওবা কর। কেনন, আল্লাহ্ তাআলা তাঁর বান্দাদের তওবা অবশ্যই কবুল করে থাকেন।

এই সময় একজন আনসারী মহিলাও সেখানে এসেছিলেন। তিনি দরজায় বসা ছিলেন। আমি বললাম, এই মহিলাও কোন কিছু রটনা করতে পারেন ভেবে এর সামনেও কি এই কথা বলতে আপনাদের কোন লজ্জা করছে না।

রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে কিছু নসীহত করলেন আমি তখন আমার পিতার দিকে ফিরে বললাম, আপনি এর উত্তর দিন।

তিনি বললেনঃ আমি কি বলব?

আমি আমার মায়ের দিকে ফিরে বললামঃ আপনি এর জওয়াব দিন।

তিনি বললেনঃ কি বলব আমি?

এরা কেউই যখন কোন উত্তর দিলেন না তখন আমি তাশাহহুদ পাঠ করলাম এবং আল্লাহ্ তাআলার যথোপযুক্ত হামদ ও ছানা করলাম। পরে বললামঃ শুনুন, আল্লাহর কসম, আমি যদি আপনাদের বলি যে, আমি তা করিনি, আর আল্লাহ্ সাক্ষী আমি আমার বক্তব্যে সত্যবাদী, কিন্তু আমার ঐ কথা আপনাদের কাছে আমার কোন উপকারে আসবে না। এই বিষয়ে আপনারা আলাপ-আলোচনা করেছেন আর আপনাদের হৃদয়ে তা গেঁথে গেছে। আর যদি বলি আমি এই কাজ করেছি, আর আল্লাহ্ তাআলা জানেন যে আমি তা করিনি। কিন্তু আপনারা বলবেন যে, মেয়েটির স্বীকৃতি পাওয়া গেছে। আল্লাহর কসম, আমি আমার ও আপনাদের ক্ষেত্রে ইউসূফ (আলাইহিস সালাম) এর পিতার দৃষ্টান্ত ছাড়া আর কোন উপমা পাচ্ছি না।

আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি তখন ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম)-এর নাম মনে করতে খুব প্রয়াস পেলাম, কিন্তু তা না পেরে ইউসুফ (আলাইহিস সালাম)-এর পিতা বলেছিলাম।

যা হোক, ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম) বলেছিলেনঃ (فصبْرٌ جَمِيلٌ وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ) পূর্ণ ধৈর্যই উত্তম। তোমরা যা বলছ সে বিষয়ে আল্লাহ্ই একমাত্র আশ্রয়স্থল। (সূরা ইউসূফ ১২ঃ ১৮)

আয়িশা বলেন, এই সময়েই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর উপর ওহী নাযিল শুরু হল। আমরা চুপ করে রইলাম সব শেষে তাঁর এই অবস্থা অপসৃত হল। আমি তাঁর চেহারায় আনন্দের আভাস বুঝতে পারছিলাম। তিনি তাঁর কপাল থেকে ঘাম মুছলেন এবং বলতে লাগলেনঃ হে আয়িশা, সুসংবাদ গ্রহণ কর। আল্লাহ্ তাআলা তোমার ক্রটিহীনতার বিবরণ নাযিল করেছেন।

আমি আগের চেয়েও বেশী ক্ষুদ্ধ ছিলাম। আমার পিতা-মাতা আমাকে বললেনঃ উঠ তাঁর (নবী (ﷺ)) এর কাছে যাও।

আমি বললামঃ না, আল্লাহর কসম, আমি উঠে তাঁর কাছে যাব না। তাঁর তা’রীফ করব না এবং আপনাদের দু’জনেরও তা’রীফ করব না। বরং আল্লাহ তাআলারই হামদ ও তা’রীফ করছি, যিনি আমার ক্রটিহীনতার বিবরণ নাযিল করেছেন। আপনারা তো বিষয়টি শুনেছেন কিন্তু তার কোন প্রতিবাদ করেন নি এবং তার কোন প্রতিকার করেন নি।

আয়িশা (রাযিঃ) বলতেনঃ আল্লাহ্ তাআলা যায়নাব বিনতে জাহাশ (রাযিঃ)-কে তার দ্বীনদারীর দরুন এই বিষয়ে লিপ্ত হওয়া থেকে হেফাযত করেছেন। তিনি এই ক্ষেত্রে ভাল ছাড়া অন্য কিছু বলেন নি। কিন্তু তাঁর বোন হামনা এ বিষয়ে লিপ্ত হয়েছে এবং যারা হালাক হয়েছে সে ছিল তাদের মধ্যে। এই বিষয়ের রটনায় যারা ছিল তারা হল মিসতাহ, হাসসান ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) আর মুনাফিক আব্দুল্লাহ্ ইবনে উবাই। সে-ই গুযব সংগ্রহ করত এবং তা রটাত। এই বিষয়ে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিল সে-ই আর হামনা।

আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আবু বকর (রাযিঃ) কসম খেয়ে বসেন যে, মিসতাহের কোন উপকার আর তিনি করবেন না। তখন আল্লাহ্ তাআলা এই আয়াত নাযিল করেনঃ

ألاَ تُحِبُّونَ أَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ

আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ অবশ্যই আল্লাহর কসম, হে আমাদের রব। আমরা অবশ্যই পছন্দ করি যে, আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিবেন। এরপর তিনি মিসতাহ-এর সঙ্গে যে আচরণ করতেন পুনরায় তা করা শুরু করেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النُّورِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا ذُكِرَ مِنْ شَأْنِي الَّذِي ذُكِرَ وَمَا عَلِمْتُ بِهِ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيَّ خَطِيبًا فَتَشَهَّدَ وَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ أَشِيرُوا عَلَىَّ فِي أُنَاسٍ أَبَنُوا أَهْلِي وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ عَلَى أَهْلِي مِنْ سُوءٍ قَطُّ وَأَبَنُوا بِمَنْ وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ عَلَيْهِ مِنْ سُوءٍ قَطُّ وَلاَ دَخَلَ بَيْتِي قَطُّ إِلاَّ وَأَنَا حَاضِرٌ وَلاَ غِبْتُ فِي سَفَرٍ إِلاَّ غَابَ مَعِي فَقَامَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ ائْذَنْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ أَضْرِبَ أَعْنَاقَهُمْ . وَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الْخَزْرَجِ وَكَانَتْ أُمُّ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ مِنْ رَهْطِ ذَلِكَ الرَّجُلِ فَقَالَ كَذَبْتَ أَمَا وَاللَّهِ أَنْ لَوْ كَانُوا مِنَ الأَوْسِ مَا أَحْبَبْتَ أَنْ تُضْرَبَ أَعْنَاقُهُمْ حَتَّى كَادَ أَنْ يَكُونَ بَيْنَ الأَوْسِ وَالْخَزْرَجِ شَرٌّ فِي الْمَسْجِدِ وَمَا عَلِمْتُ بِهِ فَلَمَّا كَانَ مَسَاءُ ذَلِكَ الْيَوْمِ خَرَجْتُ لِبَعْضِ حَاجَتِي وَمَعِي أُمُّ مِسْطَحٍ فَعَثَرَتْ فَقَالَتْ تَعِسَ مِسْطَحٌ فَقُلْتُ لَهَا أَىْ أَمَّ تَسُبِّينَ ابْنَكِ فَسَكَتَتْ ثُمَّ عَثَرَتِ الثَّانِيَةَ فَقَالَتْ تَعِسَ مِسْطَحٌ فَقُلْتُ لَهَا أَىْ أَمَّ تَسُبِّينَ ابْنَكِ فَسَكَتَتْ ثُمَّ عَثَرَتِ الثَّالِثَةَ فَقَالَتْ تَعِسَ مِسْطَحٌ فَانْتَهَرْتُهَا فَقُلْتُ لَهَا أَىْ أُمَّ تَسُبِّينَ ابْنَكِ فَقَالَتْ وَاللَّهِ مَا أَسُبُّهُ إِلاَّ فِيكِ . فَقُلْتُ فِي أَىِّ شَيْءٍ قَالَتْ فَبَقَرَتْ إِلَىَّ الْحَدِيثَ قُلْتُ وَقَدْ كَانَ هَذَا قَالَتْ نَعَمْ . وَاللَّهِ لَقَدْ رَجَعْتُ إِلَى بَيْتِي وَكَأَنَّ الَّذِي خَرَجْتُ لَهُ لَمْ أَخْرُجْ لاَ أَجِدُ مِنْهُ قَلِيلاً وَلاَ كَثِيرًا وَوُعِكْتُ فَقُلْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْسِلْنِي إِلَى بَيْتِ أَبِي فَأَرْسَلَ مَعِي الْغُلاَمَ فَدَخَلْتُ الدَّارَ فَوَجَدْتُ أُمَّ رُومَانَ فِي السُّفْلِ وَأَبُو بَكْرٍ فَوْقَ الْبَيْتِ يَقْرَأُ فَقَالَتْ أُمِّي مَا جَاءَ بِكِ يَا بُنَيَّةُ قَالَتْ فَأَخْبَرْتُهَا وَذَكَرْتُ لَهَا الْحَدِيثَ فَإِذَا هُوَ لَمْ يَبْلُغْ مِنْهَا مَا بَلَغَ مِنِّي قَالَتْ يَا بُنَيَّةُ خَفِّفِي عَلَيْكِ الشَّأْنَ فَإِنَّهُ وَاللَّهِ لَقَلَّمَا كَانَتِ امْرَأَةٌ حَسْنَاءُ عِنْدَ رَجُلٍ يُحِبُّهَا لَهَا ضَرَائِرُ إِلاَّ حَسَدْنَهَا وَقِيلَ فِيهَا فَإِذَا هِيَ لَمْ يَبْلُغْ مِنْهَا مَا بَلَغَ مِنِّي قَالَتْ قُلْتُ وَقَدْ عَلِمَ بِهِ أَبِي قَالَتْ نَعَمْ . قُلْتُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ نَعَمْ . وَاسْتَعْبَرْتُ وَبَكَيْتُ فَسَمِعَ أَبُو بَكْرٍ صَوْتِي وَهُوَ فَوْقَ الْبَيْتِ يَقْرَأُ فَنَزَلَ فَقَالَ لأُمِّي مَا شَأْنُهَا قَالَتْ بَلَغَهَا الَّذِي ذُكِرَ مِنْ شَأْنِهَا . فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ فَقَالَ أَقْسَمْتُ عَلَيْكِ يَا بُنَيَّةُ إِلاَّ رَجَعْتِ إِلَى بَيْتِكِ . فَرَجَعْتُ وَلَقَدْ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْتِي فَسَأَلَ عَنِّي خَادِمَتِي فَقَالَتْ لاَ وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ عَلَيْهَا عَيْبًا إِلاَّ أَنَّهَا كَانَتْ تَرْقُدُ حَتَّى تَدْخُلَ الشَّاةُ فَتَأْكُلَ خَمِيرَتَهَا أَوْ عَجِينَتَهَا وَانْتَهَرَهَا بَعْضُ أَصْحَابِهِ فَقَالَ أَصْدِقِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَسْقَطُوا لَهَا بِهِ فَقَالَتْ سُبْحَانَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ عَلَيْهَا إِلاَّ مَا يَعْلَمُ الصَّائِغُ عَلَى تِبْرِ الذَّهَبِ الأَحْمَرِ فَبَلَغَ الأَمْرُ ذَلِكَ الرَّجُلَ الَّذِي قِيلَ لَهُ فَقَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا كَشَفْتُ كَنَفَ أُنْثَى قَطُّ قَالَتْ عَائِشَةُ فَقُتِلَ شَهِيدًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ قَالَتْ وَأَصْبَحَ أَبَوَاىَ عِنْدِي فَلَمْ يَزَالاَ عِنْدِي حَتَّى دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ صَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ دَخَلَ وَقَدِ اكْتَنَفَنِي أَبَوَاىَ عَنْ يَمِينِي وَعَنْ شِمَالِي فَتَشَهَّدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ يَا عَائِشَةُ إِنْ كُنْتِ قَارَفْتِ سُوءًا أَوْ ظَلَمْتِ فَتُوبِي إِلَى اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِ " . قَالَتْ وَقَدْ جَاءَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الأَنْصَارِ وَهِيَ جَالِسَةٌ بِالْبَابِ فَقُلْتُ أَلاَ تَسْتَحِي مِنْ هَذِهِ الْمَرْأَةِ أَنْ تَذْكُرَ شَيْئًا . فَوَعَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَالْتَفَتُّ إِلَى أَبِي فَقُلْتُ أَجِبْهُ . قَالَ فَمَاذَا أَقُولُ فَالْتَفَتُّ إِلَى أُمِّي فَقُلْتُ أَجِيبِيهِ . قَالَتْ أَقُولُ مَاذَا قَالَتْ فَلَمَّا لَمْ يُجِيبَا تَشَهَّدْتُ فَحَمِدْتُ اللَّهَ وَأَثْنَيْتُ عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قُلْتُ أَمَا وَاللَّهِ لَئِنْ قُلْتُ لَكُمْ إِنِّي لَمْ أَفْعَلْ وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنِّي لَصَادِقَةٌ مَا ذَاكَ بِنَافِعِي عِنْدَكُمْ لِي لَقَدْ تَكَلَّمْتُمْ وَأُشْرِبَتْ قُلُوبُكُمْ وَلَئِنْ قُلْتُ إِنِّي قَدْ فَعَلْتُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ أَنِّي لَمْ أَفْعَلْ لَتَقُولُنَّ إِنَّهَا قَدْ بَاءَتْ بِهِ عَلَى نَفْسِهَا وَإِنِّي وَاللَّهِ مَا أَجِدُ لِي وَلَكُمْ مَثَلاً قَالَتْ وَالْتَمَسْتُ اسْمَ يَعْقُوبَ فَلَمْ أَقْدِرْ عَلَيْهِ إِلاَّ أَبَا يُوسُفَ حِينَ قَالََ : (فصبْرٌ جَمِيلٌ وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ ) قَالَتْ وَأُنْزِلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ سَاعَتِهِ فَسَكَتْنَا فَرُفِعَ عَنْهُ وَإِنِّي لأَتَبَيَّنُ السُّرُورَ فِي وَجْهِهِ وَهُوَ يَمْسَحُ جَبِينَهُ وَيَقُولُ " الْبُشْرَى يَا عَائِشَةُ فَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ بَرَاءَتَكِ " . قَالَتْ وَكُنْتُ أَشَدَّ مَا كُنْتُ غَضَبًا فَقَالَ لِي أَبَوَاىَ قُومِي إِلَيْهِ . فَقُلْتُ لاَ وَاللَّهِ لاَ أَقُومُ إِلَيْهِ وَلاَ أَحْمَدُهُ وَلاَ أَحْمَدُكُمَا وَلَكِنْ أَحْمَدُ اللَّهَ الَّذِي أَنْزَلَ بَرَاءَتِي لَقَدْ سَمِعْتُمُوهُ فَمَا أَنْكَرْتُمُوهُ وَلاَ غَيَّرْتُمُوهُ وَكَانَتْ عَائِشَةُ تَقُولُ أَمَّا زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ فَعَصَمَهَا اللَّهُ بِدِينِهَا فَلَمْ تَقُلْ إِلاَّ خَيْرًا وَأَمَّا أُخْتُهَا حَمْنَةُ فَهَلَكَتْ فِيمَنْ هَلَكَ وَكَانَ الَّذِي يَتَكَلَّمُ فِيهِ مِسْطَحٌ وَحَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ وَالْمُنَافِقُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ ابْنُ سَلُولَ وَهُوَ الَّذِي كَانَ يَسُوسُهُ وَيَجْمَعُهُ وَهُوَ الَّذِي تَوَلَّى كِبْرَهُ مِنْهُمْ هُوَ وَحَمْنَةُ قَالَتْ فَحَلَفَ أَبُو بَكْرٍ أَنْ لاَ يَنْفَعَ مِسْطَحًا بِنَافِعَةٍ أَبَدًا فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى هَذِهِ الآيَةَ : (ولاَ يَأْتَلِ أُولُو الْفَضْلِ مِنْكُمْ وَالسَّعَةِ ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ : (أنْ يُؤْتُوا أُولِي الْقُرْبَى وَالْمَسَاكِينَ وَالْمُهَاجِرِينَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ) يَعْنِي مِسْطَحًا إِلَى قَوْلِهِ : (ألاَ تُحِبُّونَ أَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ ) قَالَ أَبُو بَكْرٍ بَلَى وَاللَّهِ يَا رَبَّنَا إِنَّا لَنُحِبُّ أَنْ تَغْفِرَ لَنَا وَعَادَ لَهُ بِمَا كَانَ يَصْنَعُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ . وَقَدْ رَوَاهُ يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ وَمَعْمَرٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَعَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيِّ وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَائِشَةَ هَذَا الْحَدِيثَ أَطْوَلَ مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ وَأَتَمَّ .
হাদীস নং:৩১৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৮১
সূরা নূর
৩১৮১. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার উযর নাযিল হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মিম্বরে দাঁড়ালেন, এই কথার উল্লেখ করলেন এবং কুরআন তিলাওয়াত করলেন। আয়াত নাযিল হওয়ার পর দুইজন পুরুষ, একজন মহিলাকে (অপবাদ রটনার জন্য) হদ প্রয়োগের নির্দেশ দিলেন। তারপর তাদের হদ মারা হয়।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النُّورِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا نَزَلَ عُذْرِي قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ فَذَكَرَ ذَلِكَ وَتَلاَ الْقُرْآنَ فَلَمَّا نَزَلَ أَمَرَ بِرَجُلَيْنِ وَامْرَأَةٍ فَضُرِبُوا حَدَّهُمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ .