আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৯৫০
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৫০
নিজের মত অনুসারে কুরআন তাফসীর করা
২৯৫০. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি ইলম ছাড়া কুরআন সম্পর্কে কথা বলবে সে যেন জাহান্নামে তার আবাস বানিয়ে নেয়।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الَّذِي يُفَسِّرُ القُرْآنَ بِرَأْيِهِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رضى الله عنهما قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَالَ فِي الْقُرْآنِ بِغَيْرِ عِلْمٍ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৫১
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৫১
নিজের মত অনুসারে কুরআন তাফসীর করা
২৯৫১. সুফিয়ান ইবনে ওয়াকী (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরা নিশ্চিত ভাবে যা জান তা ছাড়া আমার থেকে হাদীস বর্ণনা ক্ষেত্রে সাবধান থাকবে। যে ব্যক্তি জেনে শুনে আমর প্রতি মিথ্যা আরোপ করবে সে যেন জাহান্নামকে তার আবাস বানিয়ে নেয়। আর যে ব্যক্তি কুরআনে নিজের মতানুসারে কথা বলবে সেও যেন জাহান্নামকে তার আবাস বানিয়ে নেয়।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الَّذِي يُفَسِّرُ القُرْآنَ بِرَأْيِهِ
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ عَمْرٍو الْكَلْبِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اتَّقُوا الْحَدِيثَ عَنِّي إِلاَّ مَا عَلِمْتُمْ فَمَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ وَمَنْ قَالَ فِي الْقُرْآنِ بِرَأْيِهِ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৫২
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৫২
নিজের মত অনুসারে কুরআন তাফসীর করা
২৯৫২. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... জুন্দুব ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজের মত অনুসারে কুরআন সম্পর্কে কথা বলে সে যদি শুদ্ধও বলে, তাহলেও সে অপরাধ করল।
কতক আলিম শ্রেণীর সাহাবা এবং অন্যান্য উলামায়ে কিরাম (রাহঃ) থেকে এইরূপ বর্ণিত আছে যে, তাঁরা ইলম ছাড়া কুরআনের তাফসীর করার বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর মত ব্যক্ত করেছেন। মুজাহিদ, কাতাদা প্রমূখ (রাহঃ) আলিমগণ কুরআন করীমের তাফসীর করতেন বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। কিন্তু তাঁদের বিষয়ে এই কথার ধারণাও করা যায় না যে, তাঁরা ইলম ছাড়া নিজ মত অনুসারে কুরআন সম্পর্কে কথা বলেছেন বা এর তাফসীর করেছেন। তারা ইলম ছাড়া নিজেদের পক্ষ থেকে কিছু বলেন নি বলে আমরা যে মন্তব্য করেছি তাঁদের পক্ষ থেকে বর্ণিত বক্তব্যেও এর প্রমাণ বিদ্যমান। কোন কোন হাদীস বিশারদ সুহাঈল ইবনে আবু হাযম সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন। হুসাইন ইবনে মাহদী আল-বসরী (রাহঃ) ......... কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, কুরআনের এমন কোন আয়াত নেই যে বিষয়ে আমি কোন রিওয়ায়াত শুনিনি।
ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি যদি ইবনে মাসউদের কিরাআত পাঠ করতাম তবে কুরআনের অনেক এমন বিষয়ে যেগুলো সম্পর্কে আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে প্রশ্ন করেছি সেগুলো সম্পর্কে আর তাঁকে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজনবোধ করতাম না।
কতক আলিম শ্রেণীর সাহাবা এবং অন্যান্য উলামায়ে কিরাম (রাহঃ) থেকে এইরূপ বর্ণিত আছে যে, তাঁরা ইলম ছাড়া কুরআনের তাফসীর করার বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর মত ব্যক্ত করেছেন। মুজাহিদ, কাতাদা প্রমূখ (রাহঃ) আলিমগণ কুরআন করীমের তাফসীর করতেন বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। কিন্তু তাঁদের বিষয়ে এই কথার ধারণাও করা যায় না যে, তাঁরা ইলম ছাড়া নিজ মত অনুসারে কুরআন সম্পর্কে কথা বলেছেন বা এর তাফসীর করেছেন। তারা ইলম ছাড়া নিজেদের পক্ষ থেকে কিছু বলেন নি বলে আমরা যে মন্তব্য করেছি তাঁদের পক্ষ থেকে বর্ণিত বক্তব্যেও এর প্রমাণ বিদ্যমান। কোন কোন হাদীস বিশারদ সুহাঈল ইবনে আবু হাযম সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন। হুসাইন ইবনে মাহদী আল-বসরী (রাহঃ) ......... কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, কুরআনের এমন কোন আয়াত নেই যে বিষয়ে আমি কোন রিওয়ায়াত শুনিনি।
ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি যদি ইবনে মাসউদের কিরাআত পাঠ করতাম তবে কুরআনের অনেক এমন বিষয়ে যেগুলো সম্পর্কে আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে প্রশ্ন করেছি সেগুলো সম্পর্কে আর তাঁকে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজনবোধ করতাম না।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الَّذِي يُفَسِّرُ القُرْآنَ بِرَأْيِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي حَزْمٍ أَخُو حَزْمٍ الْقُطَعِيِّ حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَالَ فِي الْقُرْآنِ بِرَأْيِهِ فَأَصَابَ فَقَدْ أَخْطَأَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي سُهَيْلِ بْنِ أَبِي حَزْمٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رُوِيَ عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّهُمْ شَدَّدُوا فِي هَذَا فِي أَنْ يُفَسَّرَ الْقُرْآنُ بِغَيْرِ عِلْمٍ . وَأَمَّا الَّذِي رُوِيَ عَنْ مُجَاهِدٍ وَقَتَادَةَ وَغَيْرِهِمَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُمْ فَسَّرُوا الْقُرْآنَ فَلَيْسَ الظَّنُّ بِهِمْ أَنَّهُمْ قَالُوا فِي الْقُرْآنِ أَوْ فَسَّرُوهُ بِغَيْرِ عِلْمٍ أَوْ مِنْ قِبَلِ أَنْفُسِهِمْ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُمْ مَا يَدُلُّ عَلَى مَا قُلْنَا أَنَّهُمْ لَمْ يَقُولُوا مِنْ قِبَلِ أَنْفُسِهِمْ بِغَيْرِ عِلْمٍ .
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَهْدِيٍّ الْبَصْرِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ مَا فِي الْقُرْآنِ آيَةٌ إِلاَّ وَقَدْ سَمِعْتُ فِيهَا بِشَيْءٍ .
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ قَالَ مُجَاهِدٌ لَوْ كُنْتُ قَرَأْتُ قِرَاءَةَ ابْنِ مَسْعُودٍ لَمْ أَحْتَجْ إِلَى أَنْ أَسْأَلَ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ كَثِيرٍ مِنَ الْقُرْآنِ مِمَّا سَأَلْتُ .
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَهْدِيٍّ الْبَصْرِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ مَا فِي الْقُرْآنِ آيَةٌ إِلاَّ وَقَدْ سَمِعْتُ فِيهَا بِشَيْءٍ .
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ قَالَ مُجَاهِدٌ لَوْ كُنْتُ قَرَأْتُ قِرَاءَةَ ابْنِ مَسْعُودٍ لَمْ أَحْتَجْ إِلَى أَنْ أَسْأَلَ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ كَثِيرٍ مِنَ الْقُرْآنِ مِمَّا سَأَلْتُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান