আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৪. কুরআনে কারীমের ফযীলত ও আদব - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৮৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৭৬
সূরা বাকারা এবং আয়াতুল কুরসীর ফযীলত।
২৮৭৬. হাসান ইবনে আলী খাল্লাল (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একবার একটি প্রতিনিধি দল এক অভিযানে প্রেরণ করেছিলেন। তারা সংখ্যায় ছিল কয়েক জন। তাদেরকে তিনি কুরআন পাঠ করতে বললেন। প্রত্যেকেই যে যা জানত তা পাঠ করে শোনাল। শেষে তিনি এদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী এক ব্যক্তির কাছে এলেন। বললেনঃ হে অমুক, তোমার কি আছে?
সে বললঃ অমুক অমুক সূরা এবং সূরা বাকারা আমার জানা আছে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃসূরা বাকারা তোমার মুখস্থ?
লোকটি বললঃ জি হ্যাঁ।
তিনি বললেনঃ যাও, তুমিই এ দলের আমীর।
তখন এ দলের একজন নেতৃস্থানীয় লোক বললঃ আল্লাহর কসম, (রাতের নামাযে) তা পড়তে না পারার আশঙ্কাই আমাকে এই সূরাটি শিখা থেকে বিরত রেখেছে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা কুরআন শিক্ষা কর এবং তা পড়। কেননা, যে ব্যক্তি কুরআন শিখে, তা তিলাওয়াত করে এবং নামাযে দাঁড়িয়েও তা পড়ে তার জন্য কুরআনের দৃষ্টান্ত হল মিসকে ভর্তি চামড়ার একটি থলের মত। সর্বত্র তার সৌরভ প্রসারিত হয়। আর যে ব্যক্তি তা শিখে ঘুমিয়ে রয়েছে তার দৃষ্টান্ত হল মুখ বাঁধা মিসকের থলের মত।
এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীসটি সাঈদ মাকবুরী-আবু আহমদের মাওলা আতা (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসাল রূপেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। কুতায়বা (রাহঃ) আবু আহমদের মাওলা আতা (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসাল রূপেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।
কুতায়বা (রাহঃ) ......... আবু আহমদের মাওলা আতা (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসাল রূপে উক্ত মর্মে অনূরূপ বর্ণিত আছে, এতে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর উল্লেখ নেই।
সে বললঃ অমুক অমুক সূরা এবং সূরা বাকারা আমার জানা আছে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃসূরা বাকারা তোমার মুখস্থ?
লোকটি বললঃ জি হ্যাঁ।
তিনি বললেনঃ যাও, তুমিই এ দলের আমীর।
তখন এ দলের একজন নেতৃস্থানীয় লোক বললঃ আল্লাহর কসম, (রাতের নামাযে) তা পড়তে না পারার আশঙ্কাই আমাকে এই সূরাটি শিখা থেকে বিরত রেখেছে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা কুরআন শিক্ষা কর এবং তা পড়। কেননা, যে ব্যক্তি কুরআন শিখে, তা তিলাওয়াত করে এবং নামাযে দাঁড়িয়েও তা পড়ে তার জন্য কুরআনের দৃষ্টান্ত হল মিসকে ভর্তি চামড়ার একটি থলের মত। সর্বত্র তার সৌরভ প্রসারিত হয়। আর যে ব্যক্তি তা শিখে ঘুমিয়ে রয়েছে তার দৃষ্টান্ত হল মুখ বাঁধা মিসকের থলের মত।
এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীসটি সাঈদ মাকবুরী-আবু আহমদের মাওলা আতা (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসাল রূপেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। কুতায়বা (রাহঃ) আবু আহমদের মাওলা আতা (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসাল রূপেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।
কুতায়বা (রাহঃ) ......... আবু আহমদের মাওলা আতা (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসাল রূপে উক্ত মর্মে অনূরূপ বর্ণিত আছে, এতে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর উল্লেখ নেই।
بَابُ مَا جَاءَ فِي فَضْلِ سُورَةِ البَقَرَةِ وَآيَةِ الكُرْسِيِّ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَطَاءٍ، مَوْلَى أَبِي أَحْمَدَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْثًا وَهُمْ ذُو عَدَدٍ فَاسْتَقْرَأَهُمْ فَاسْتَقْرَأَ كُلَّ رَجُلٍ مِنْهُمْ مَا مَعَهُ مِنَ الْقُرْآنِ فَأَتَى عَلَى رَجُلٍ مِنْهُمْ مِنْ أَحْدَثِهِمْ سِنًّا فَقَالَ " مَا مَعَكَ يَا فُلاَنُ " . قَالَ مَعِي كَذَا وَكَذَا وَسُورَةُ الْبَقَرَةِ . قَالَ " أَمَعَكَ سُورَةُ الْبَقَرَةِ " . فَقَالَ نَعَمْ . قَالَ " فَاذْهَبْ فَأَنْتَ أَمِيرُهُمْ " . فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ أَشْرَافِهِمْ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا مَنَعَنِي أَنْ أَتَعَلَّمَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ إِلاَّ خَشْيَةَ أَلاَّ أَقُومَ بِهَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَعَلَّمُوا الْقُرْآنَ فَاقْرَءُوهُ وَأَقْرِئُوهُ فَإِنَّ مَثَلَ الْقُرْآنِ لِمَنْ تَعَلَّمَهُ فَقَرَأَهُ وَقَامَ بِهِ كَمَثَلِ جِرَابٍ مَحْشُوٍّ مِسْكًا يَفُوحُ بِرِيحِهِ كُلُّ مَكَانٍ وَمَثَلُ مَنْ تَعَلَّمَهُ فَيَرْقُدُ وَهُوَ فِي جَوْفِهِ كَمَثَلِ جِرَابٍ وُكِئَ عَلَى مِسْكٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
وَقَدْ رَوَاهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَطَاءٍ، مَوْلَى أَبِي أَحْمَدَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ عَنِ اللَّيْثِ فَذَكَرَهُ .
وَقَدْ رَوَاهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَطَاءٍ، مَوْلَى أَبِي أَحْمَدَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ عَنِ اللَّيْثِ فَذَكَرَهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৮৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৭৭
সূরা বাকারা এবং আয়াতুল কুরসীর ফযীলত।
২৮৭৭. কুতায়বা (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের বাড়িতে গোরস্থান বানিও না। যে বাড়িতে সূরা বাকারা পাঠ করা হয় সে ঘরে শয়তান প্রবেশ করে না।সহীহ মুসলিম
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي فَضْلِ سُورَةِ البَقَرَةِ وَآيَةِ الكُرْسِيِّ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ مَقَابِرَ وَإِنَّ الْبَيْتَ الَّذِي تُقْرَأُ فِيهِ الْبَقَرَةُ لاَ يَدْخُلُهُ الشَّيْطَانُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৮৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৭৮
সূরা বাকারা এবং আয়াতুল কুরসীর ফযীলত।
২৮৭৮. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ প্রতিটি বস্তরই শীর্ষদেশ রয়েছে। কুরআনের শীর্ষস্থানীয় সূরা হল সূরা বাকারা। এতে এমন একটি আয়াত রয়েছে যেটি হল কুরআনের আয়াতসমূহের মাঝে প্রধান। সেটি হল আয়াতুল কুরসী।
এ হাদীসটি গারীব। হাকীম ইবনে জুবাইর-এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। শু’বা (রাহঃ) তার সমালোচনা করেছেন এবং তাকে যঈফ বলেছেন।
এ হাদীসটি গারীব। হাকীম ইবনে জুবাইর-এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। শু’বা (রাহঃ) তার সমালোচনা করেছেন এবং তাকে যঈফ বলেছেন।
بَابُ مَا جَاءَ فِي فَضْلِ سُورَةِ البَقَرَةِ وَآيَةِ الكُرْسِيِّ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِكُلِّ شَيْءٍ سَنَامٌ وَإِنَّ سَنَامَ الْقُرْآنِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ وَفِيهَا آيَةٌ هِيَ سَيِّدَةُ آىِ الْقُرْآنِ هِيَ آيَةُ الْكُرْسِيِّ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ . وَقَدْ تَكَلَّمَ شُعْبَةُ فِي حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ وَضَعَّفَهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৮৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৭৯
সূরা বাকারা এবং আয়াতুল কুরসীর ফযীলত।
২৮৭৯. ইয়াহয়া ইবনে মুগীরা আবু সালামা মাখযূমী মাদীনী (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে সূরা মু’মিনের হা-মীম থেকে ইলাইহিল মাসীর পর্যন্ত (১-৩ নং আয়াত) এবং আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করবে তবে বিকাল পর্যন্ত এর কারণে তার হিফাযত করা হবে। আর যে ব্যক্তি বিকালে তা পাঠ করবে সকাল পর্যন্ত এর কারণে তার হিফাজত করা হবে।
এ হাদীসটি গারীব। কোন কোন হাদীস বিশেষজ্ঞ আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর ইবনে আবু মুলায়কা মুলায়কী (রাহঃ) এর স্মরণ শক্তির বিষয়ে সমালোচনা করেছেন।
এ হাদীসটি গারীব। কোন কোন হাদীস বিশেষজ্ঞ আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর ইবনে আবু মুলায়কা মুলায়কী (রাহঃ) এর স্মরণ শক্তির বিষয়ে সমালোচনা করেছেন।
بَابُ مَا جَاءَ فِي فَضْلِ سُورَةِ البَقَرَةِ وَآيَةِ الكُرْسِيِّ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْمُغِيرَةِ أَبُو سَلَمَةَ الْمَخْزُومِيُّ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الْمُلَيْكِيِّ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ مُصْعَبٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ حم الْمُؤْمِنَ إِلَى : (إِلَيْهِ الْمَصِيرُ ) وَآيَةَ الْكُرْسِيِّ حِينَ يُصْبِحُ حُفِظَ بِهِمَا حَتَّى يُمْسِيَ وَمَنْ قَرَأَهُمَا حِينَ يُمْسِيَ حُفِظَ بِهِمَا حَتَّى يُصْبِحَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ الْمُلَيْكِيِّ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ . وَزُرَارَةُ بْنُ مُصْعَبٍ هُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَهُوَ جَدُّ أَبِي مُصْعَبٍ الْمَدَنِيِّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৮৮০
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৮০
সূরা বাকারা এবং আয়াতুল কুরসীর ফযীলত।
২৮৮০. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ....... আবু আইয়ুব আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তাঁর একটি তাক ছিল তাতে তিনি শুকনো খেজুর রাখতেন। কিন্তু শয়তান জিন এসে রাতে তা নিয়ে যেত। তিনি নবী (ﷺ) এর কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানালেন। তিনি বললেনঃ যাও, এটিকে যখন দেখবে বলবে, বিসমিল্লাহ্, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তোমাকে ডেকেছেন, চল।
রাবী বলেনঃ আবু আইয়ুব (রাযিঃ) এটিকে পাকড়াও করলেন। এটি তখন কসম করল যে, পুনর্বার তা করবে না। ফলে তিনি এটিকে ছেড়ে দিলেন। অনন্তর তিনি নবী (ﷺ) এর কাছে এলেন। তিনি বললেনঃ তোমার বন্দী কি করল? আবু আইয়ুব (রাযিঃ) বললেনঃ কসম করে বলল যে, পুনর্বার তা করবে না। তিনি বললেনঃ সে মিথ্যা বলেছে। আর তার অভ্যাসই হল মিথ্যা বলা।
রাবী বলেনঃ আবু আইয়ুব (রাযিঃ) সেটিকে আরেকবার পাকড়াও করলেন এবারও সে কসম করল যে, পুনর্বার আর আসবে না। ফলে তিনি এটিকে ছেড়ে দিলেন। অনন্তর নবী (ﷺ) এর কাছে এলেন। তিনি বললেনঃ তোমার বন্দী কি কর্ম করল? আবু আইয়ুব (রাযিঃ) বললেনঃ কসম করেছে, সে আর করবে না। তিনি বললেনঃ মিথ্যা বলেছে। তার অভ্যাসই হল মিথ্যা বলা।
পরে আবু আইয়ুব (রাযিঃ) তাকে আবার পাকড়াও করলেন। বললেনঃ এবার তোমাকে নবী (ﷺ) এর কাছে না নিয়ে আর ছাড়ব না। সে বললঃ আমি আপনাকে একটি বিষয় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। তা হল আপনার ঘরে আয়াতুল কুরসী পড়বেন। তাহলে আপনার কাছে শয়তান বা অনিষ্টকর অন্য কিছু আসতে পারবে না। অনন্তর তিনি নবী (ﷺ) এর কাছে এলেনঃ তিনি বললেনঃ তোমার বন্ধী কি করল? আবু আইয়ুব (রাযিঃ) সে যা বলেছিল সে সম্পর্কে তাঁকে জানালেন। তিনি বললেনঃ এবার সত্য বলেছে, যদিও সে মিথ্যাবাদী।
এ হাদীসটি হাসান-গারীব। এ বিষয়ে উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
রাবী বলেনঃ আবু আইয়ুব (রাযিঃ) এটিকে পাকড়াও করলেন। এটি তখন কসম করল যে, পুনর্বার তা করবে না। ফলে তিনি এটিকে ছেড়ে দিলেন। অনন্তর তিনি নবী (ﷺ) এর কাছে এলেন। তিনি বললেনঃ তোমার বন্দী কি করল? আবু আইয়ুব (রাযিঃ) বললেনঃ কসম করে বলল যে, পুনর্বার তা করবে না। তিনি বললেনঃ সে মিথ্যা বলেছে। আর তার অভ্যাসই হল মিথ্যা বলা।
রাবী বলেনঃ আবু আইয়ুব (রাযিঃ) সেটিকে আরেকবার পাকড়াও করলেন এবারও সে কসম করল যে, পুনর্বার আর আসবে না। ফলে তিনি এটিকে ছেড়ে দিলেন। অনন্তর নবী (ﷺ) এর কাছে এলেন। তিনি বললেনঃ তোমার বন্দী কি কর্ম করল? আবু আইয়ুব (রাযিঃ) বললেনঃ কসম করেছে, সে আর করবে না। তিনি বললেনঃ মিথ্যা বলেছে। তার অভ্যাসই হল মিথ্যা বলা।
পরে আবু আইয়ুব (রাযিঃ) তাকে আবার পাকড়াও করলেন। বললেনঃ এবার তোমাকে নবী (ﷺ) এর কাছে না নিয়ে আর ছাড়ব না। সে বললঃ আমি আপনাকে একটি বিষয় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। তা হল আপনার ঘরে আয়াতুল কুরসী পড়বেন। তাহলে আপনার কাছে শয়তান বা অনিষ্টকর অন্য কিছু আসতে পারবে না। অনন্তর তিনি নবী (ﷺ) এর কাছে এলেনঃ তিনি বললেনঃ তোমার বন্ধী কি করল? আবু আইয়ুব (রাযিঃ) সে যা বলেছিল সে সম্পর্কে তাঁকে জানালেন। তিনি বললেনঃ এবার সত্য বলেছে, যদিও সে মিথ্যাবাদী।
এ হাদীসটি হাসান-গারীব। এ বিষয়ে উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
بَابُ مَا جَاءَ فِي فَضْلِ سُورَةِ البَقَرَةِ وَآيَةِ الكُرْسِيِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَخِيهِ، عِيسَى عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّهُ كَانَتْ لَهُ سَهْوَةٌ فِيهَا تَمْرٌ فَكَانَتْ تَجِيءُ الْغُولُ فَتَأْخُذُ مِنْهُ قَالَ فَشَكَا ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فَاذْهَبْ فَإِذَا رَأَيْتَهَا فَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ أَجِيبِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " . قَالَ فَأَخَذَهَا فَحَلَفَتْ أَنْ لاَ تَعُودَ فَأَرْسَلَهَا فَجَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ " . قَالَ حَلَفَتْ أَنْ لاَ تَعُودَ فَقَالَ " كَذَبَتْ وَهِيَ مُعَاوِدَةٌ لِلْكَذِبِ " . قَالَ فَأَخَذَهَا مَرَّةً أُخْرَى فَحَلَفَتْ أَنْ لاَ تَعُودَ فَأَرْسَلَهَا فَجَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ " . قَالَ حَلَفَتْ أَنْ لاَ تَعُودَ . فَقَالَ " كَذَبَتْ وَهِيَ مُعَاوِدَةٌ لِلْكَذِبِ " . فَأَخَذَهَا فَقَالَ مَا أَنَا بِتَارِكِكِ حَتَّى أَذْهَبَ بِكِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَتْ إِنِّي ذَاكِرَةٌ لَكَ شَيْئًا آيَةَ الْكُرْسِيِّ اقْرَأْهَا فِي بَيْتِكَ فَلاَ يَقْرَبُكَ شَيْطَانٌ وَلاَ غَيْرُهُ . قَالَ فَجَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ " . قَالَ فَأَخْبَرَهُ بِمَا قَالَتْ . قَالَ " صَدَقَتْ وَهِيَ كَذُوبٌ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান